আয়িশাহ [রাদি.]-এর ফযিলত
আয়িশাহ [রাদি.]-এর ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১৩. অধ্যায়ঃ আয়িশাহ [রাদি.]-এর ফযিলত
৬১৭৭. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: স্বপ্নের মাধ্যমে তিনদিন তোমায় আমাকে দেখানো হয়েছে। একজন ফেরেশ্তা তোমাকে একটি রেশমী কাপড়ের টুকরায় ঢেকে নিয়ে এসে বলিল, এটা আপনার সহধর্মিণী। আমি তোমার মুখের বস্ত্র সরিয়ে দেখি সেটি তুমিই। আমি বললাম, যদি এ স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হইতে হয় তবে তা বাস্তবে প্রকাশিত হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০২]
৬১৭৮. হিশাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৩]
৬১৭৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমায় বলেছেন: আমি কিন্তু আঁচ করিতে পারি তুমি কখন আমার উপর সন্তুষ্ট থাকো, আর কখন আমার উপর ক্রোধান্বিত হও। আমি বললাম, কিসের মাধ্যমে এটা বুঝতে পারেন? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ যখন তুমি আমার উপর সন্তুষ্ট থাকো তখন তুমি বলে থাকো- না, মুহাম্মাদের প্রতিপালকের শপথ! আর যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন বলো- না, ইব্রাহীমের প্রতিপালকের শপথ! আমি বললাম, হ্যাঁ আল্লাহর শপথ! হে আল্লাহর রসূল! আপনার নামটা শুধু বাদ দেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৪]
৬১৮০. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর উপরোক্ত সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
“না, ইব্রাহীমের প্রতিপালকের শপথ” বাক্য পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৫]
৬১৮১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট পুতুল নিয়ে খেলা করিতেন। তিনি বলেন, তখন আমার নিকট আমার সঙ্গীরা আসতো। তারা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে দেখে আড়ালে যেতো। আর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৬]
৬১৮২. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে রিওয়ায়াত করিয়াছেন। জারীর-এর হাদীসে রয়েছে, “আমি কন্যাদের নিয়ে তাহাঁর গৃহে খেলা করতাম, আর কন্যার অর্থ হলো খেলনা।” [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৭]
৬১৮৩. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
লোকেরা হাদিয়াসমূহ পাঠানোর জন্য আয়িশা [রাদি.]-এর পালার প্রতীক্ষা করতো যেদিন আয়িশা [রাদি.]-এর পালা হতো সেদিন তারা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে সন্তুষ্ট করার জন্য উপহার প্রেরণ করতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৮]
৬১৮৪. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সহধর্মিণীগণ রসূল কন্যা ফাতিমাকে তাহাঁর নিকট প্রেরণ করিলেন। সে এসে অনুমতি প্রার্থনা করিল। তখন তিনি আমার চাদর গায়ে আমার সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি তাঁকে অনুমতি প্রদান করিলেন। ফাতিমা [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, আবু কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে তাঁরা আপনার ন্যায়-বিচার চান। আমি চুপ করে রইলাম। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাঁকে বললেনঃহে আদরের কন্যা! আমি যা ভালবাসি, তা-কি তুমি ভালবাসো না? সে বলিলেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, তবে একে ভালবাসো। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট এ কথা শুনে ফাতিমা [রাদি.] নবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রীদের নিকট ফিরে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে তিনি যা বলেছেন, আর তিনি তাঁকে যা উত্তর দিয়েছেন তা তাঁদেরকে বলিলেন। সহধর্মিণীগণ বলিলেন, তুমি আমাদের কোন লাভ করিতে পারলে না। তুমি পুনরায় রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে তাঁকে বলো, আপনার স্ত্রীগণ আবু কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে আপনার নিকট সুবিচার চাচ্ছেন। ফাতিমা [রাদি.] বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আয়িশা [রাদি.]-এর ব্যাপারে আমি কোন দিন কথা বলিতে যাব না। তারপর রসূল সহধর্মিণীগণ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী যাইনাবকে তাহাঁর নিকট প্রেরণ করিলেন। তিনিই ছিলেন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট আমার সমমর্যাদার অধিকারিণী। যাইনাবের চেয়ে দীনদার, আল্লাহভীরু, সত্যভাষিণী, মায়াময়ী, দানশীলা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে ও দায়-খয়রাতের জন্যে নিজেকে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করার ন্যায় কোন নারী আমি দেখিনি। তবে তাহাঁর মাঝে শুধু একটা ক্ষিপ্ততা ছিল, তবে তিনি খুব দ্রুত ঠাণ্ডাও হয়ে যেতেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। আর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আয়িশা [রাদি.]-এর সাথে চাদরে ঢাকা থাকা অবস্থায়ই অনুমতি দিলেন, যে অবস্থায় ফাতিমা [রাদি.] তাহাঁর নিকট এসে ছিল। তখন তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন। আবু কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে তাঁরা আপনার সুবিচার প্রার্থনা করেন। আয়িশা [রাদি.] বলেন, তারপর তিনি আমার সম্পর্কে মন্তব্য করিতে লাগলেন এবং বড় বড় কতক কথা শুনালেন। আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর চোখের দিকে দেখছিলাম, তিনি আমায় কিছু বলার অনুমতি দেবেন কি-না? আমি বুঝতে পারলাম যে, যাইনাবের কথার জবাব দিলে তিনি কিছু মনে করবেন না। তখন আমিও তাহাঁর উপর কথা বলিতে লাগলাম এবং অল্প সময়ের মাঝে তাঁকে নিশ্চুপ করিয়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হেসে বললেনঃএ তো আবু বকরের কন্যা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০৯]
৬১৮৫. যুহরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে এর মর্মার্থবোধক হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। কিন্তু তিনি “যখন আমিও তাহাঁর সঙ্গে কথা বলা আরম্ভ করলাম তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই পরাভূত করলাম” এ বাক্যটি বলেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১০]
৬১৮৬.আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সফরের ইচ্ছা করিতেন তাহলে তিনি বলিতেন, আমি আজ কোথায় থাকব? কাল আমি কোথায় থাকব? এ কথা ভেবে যে, আয়িশা [রাদি.]-এর পালা সম্ভবত অনেক দেরী। আয়িশা [রাদি.] বলেন, যখন আমার নিকট তাহাঁর অবস্থানের দিন আসলো, তখন আল্লাহ তাআলা আমার বক্ষ ও পাঁজরের মাঝ থেকে উঠিয়ে নিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১১]
৬১৮৭. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি মৃত্যুর আগমুহূর্তে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন, তিনি তাহাঁর বূকে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, আর তিনিও [আয়িশাহ] তাহাঁর দিকে কান পেতে রেখেছিলেন; তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করো, রহম করো এবং আমাকে আমার বন্ধুর সঙ্গে শামিল করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১২]
৬১৮৮. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সূত্রেই অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৩]
৬১৮৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি শুনতাম যে, কোন নবীই মৃত্যুবরণ করবেন না, যতক্ষণ না তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝখান হইতে কোন একটি বেছে নেয়ার অধিকার দেয়া হইবে। মৃত্যু শয্যায় শায়িতাবস্থায় নবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, যখন তাহাঁর উর্ধ্বশ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছিল,
مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا
“ওদের সঙ্গে, যাদের উপর আল্লাহ দয়া করিয়াছেন; তাঁরা হলেন সিদ্দীক, শাহীদ ও সৎকর্মশীল, তাঁরা কতই না ঘনিষ্ঠ বন্ধু”- [সূরাহ্ আন্ নিসা ৪:৬৯]। আয়িশা [রাদি.] বলেন, আমার মনে হল তখনই তাঁকে [দুনিয়া ও আখিরাতের মাধ্যমে যা ভাল সেটি গ্রহণ করার] সুযোগ দেয়া হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৪]
৬১৯০. সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৫]
৬১৯১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সুস্থ থাকাবস্থায় বলেছেন: কোন নবীই ইন্তিকাল করেননি যে পর্যন্ত না তিনি জান্নাতে তাহাঁর জায়গাটি দেখে নিয়েছেন। আর তাঁকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। আয়িশা [রাদি.] বলেন, যখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর মৃত্যু ঘনিয়ে আসলো আর তাহাঁর মাথা আমার রানের উপর, তখন কিছু সময় তিনি বেহুঁশ হয়ে রইলেন। হুঁশ ফিরে আসলে তিনি ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর বলিলেন, হে আল্লাহ! মর্যাদাসম্পন্ন বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত করো।
আয়িশা [রাদি.] বলেন, আমি মনে মনে বললাম, এখন আর তিনি আমাদের গ্রহণ করবেন না।
আয়িশা [রাদি.] বলেন, তখন আমার ঐ হাদীসটি মনে পড়ল যেটি তিনি সুস্থ থাকাকালে বলেছিলেন যে, কোন নবী মৃত্যুবরণ করেন না, যতক্ষণ না তিনি জান্নাতে তাহাঁর জায়গাটি দেখে নেন। তারপর তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতে যেটিকে ভাল মনে করেন সেটি গ্রহণ করার অনুমতি দেয়া হয়।
আয়িশা [রাদি.] বলেন, এটাই ছিল শেষ কথা যা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: “হে আল্লাহ! উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বন্ধুদের সঙ্গে”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৬]
৬১৯২.আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] যখন সফরে বের হইতেন, তখন নিজ স্ত্রীদের সম্বন্ধে লটারী করিতেন। একবার লটারিতে আয়িশাহ ও হাফসার নাম উঠল। দুজনেই তাহাঁর সঙ্গে বের হলেন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] যখন রাতে সফর করিতেন তখন তিনি আয়িশার সঙ্গে কথোপকথন করে চলতেন। হাফসাহ্ [রাদি.] আয়িশাকে বলিলেন, আজ রাতে তুমি আমার উটে চড় আর আমি তোমার উটে চড়ি। তারপর তুমি অপেক্ষা করিবে আমিও অপেক্ষা করব। এরপর আয়িশা [রাদি.] হাফসার উটে আর হাফসাহ্ [রাদি.] আয়শার উটে সাওয়ারী হলেন। যখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আয়িশার উটের নিকট আসলেন এবং এসে সওয়ার ছিলেন হাফসাহ্ [রাদি.] তখন তিনি সালাম দিলেন এবং তাহাঁর সঙ্গে চললেন। পরিশেষে মনযিলে গিয়ে অবতরণ করিলেন। আয়িশা [রাদি.] তাঁকে [সাঃ-কে] না পেয়ে চটে গেলেন। যখন সকলে মনযিলে যেয়ে নামলেন, আয়িশাহ তাহাঁর পা ইয্খির” ঘাসের উপর রেখে চলতে লাগলেন, হে রাব! একটা সাপ বা বিচ্ছু আমার দিকে পাঠিয়ে দিন যেন আমাকে দংশন করে। তিনি তো আপনার রসূল। আমি তাঁকে কিছু বলিতেও পারি না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৭]
৬১৯৩. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, অন্যান্য মহিলাদের উপর আয়িশার মর্যাদা সকল খাদ্যের উপর “সারীদের” শ্রেষ্ঠত্বের মতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৮]
৬১৯৪. আনাস [রাদি.]-এর সানাদে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল রিওয়ায়াত করেন। তাদের উভয়ের হাদীসে “রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে শুনেছি” এ কথা নেই। ইসমাঈলের হাদীসে “আনাস [রাদি.] হইতে শ্রবণ করেছি” আছে।
‘[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১৯]
৬১৯৫. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন, জিব্রীল [আঃ] তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। আমি বললাম, তাহাঁর প্রতিও সালাম এবং আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৬১২০]
৬১৯৬. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাঁদের হাদীসের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬১২১]
৬১৯৭. যাকারিয়্যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬১২২]
৬১৯৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: হে আয়িশাহ! এই যে জিব্রীল [আঃ] তোমাকে সালাম বলছেন। আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, ওয়া আলাইহিস্ সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ্- তাহাঁর উপরও সালাম এবং আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক। তারপর আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, তিনি তো এমন কিছু লক্ষ্য করেন যা আমি দেখিতে পাই না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬১২৩]
Leave a Reply