আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার দোয়া
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার দোয়া >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ১০, অধ্যায়ঃ ৫
অধ্যায়ঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ
২৪৫৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা বিপদাপদে কষ্ট-ক্লিষ্ট ও দুর্ভাগ্যের আক্রমণ, ভাগ্যের অনিষ্টতা এবং বিপদগ্রস্তে শত্রুর উপহাস থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো। [বোখারী ও মুসলিম]{১}
{১} সহীহ : বোখারী ৬৬১৬, মুসলিম ২৭০৭, সহীহ আল জামি ২৯৬৮, সহীহাহ্ ১৫৪১। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৫৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়াল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া যলাইদ্ দায়নি ওয়া গলাবাতির্ রিজা-ল [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে দুশ্চিন্তা, শোক-তাপ, অক্ষমতা-অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের জোর-জবরদস্তি হইতে আশ্রয় চাই]।
[বোখারী ও মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : ৬৩৬৯, মুসলিম ২৭০৬, নাসায়ী ৫৪৪৯, তিরমিজি ৩৪৮৪, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১৪১, আহমাদ ১০৫২, মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ১২৯, সহীহ আল জামি ১২৮৯। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৫৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنٰى وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ اَللّٰهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّ قَلْبِىْ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ بَيْنِىْ وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াল মাগ্রামি ওয়াল মাসামি, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন্ আযা-বিন্ না-রি ওয়া ফিত্নাতিন্ না-রি ওয়া ওয়া ফিতনাতিল কব্রি আযা-বিল কব্রি ওয়ামিন্ শার্রি ফিত্নাতিল গিনা-, ওয়ামিন্ শার্রি ফিত্নাতিল ফাকরি ওয়ামিন্ শার্রি ফিত্নাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, আল্ল-হুম্মাগসিল খত্বা-ইয়া-ইয়া বিমা-য়িস্ সালজি ওয়াল বারাদি ওয়া নাক্কি কলবী কামা- ইউনাক্কাস্ সাওবুল আবয়াযু মিনাদ্দানাসি ওয়াবা-ইদ্ বায়নী ওয়াবায়না খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা- বাআদ্তা বায়নাল মাশরিকি ওয়াল মাগ্রিব
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে অলসতা, বার্ধক্য, ঋণ ও গুনাহ থেকে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জাহান্নামের আগুন, জাহান্নামের পরীক্ষা, কবরের পরীক্ষা ও শাস্তি হইতে, স্বচ্ছলতার পরীক্ষার মন্দাভাব ও দারিদ্রের পরীক্ষার মন্দাভাব হইতে এবং মাসীহুদ [কানা] দাজ্জালের পরীক্ষার অনিষ্টতা হইতে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহসমূহ বরফের ও শিলার পানি দিয়ে ধুয়ে দাও। আমার অন্তরকে পরিষ্কার করে দাও যেভাবে সাদা কাপড়, ময়লা হইতে পরিষ্কার করা হয় এবং আমার ও আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান তৈরি করে দাও যেমনভাবে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে রেখেছো।]।
[বোখারী ও মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : বোখারী ৬৩৭৫, মুসলিম ৫৮৯, নাসায়ী ৫৪৭৭, আহমাদ ২৫৭২৭। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬০. যায়দ ইবনি আরক্বম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ اَللّٰهُمَّ اٰتِ نَفْسِىْ تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لَا يُسْتَجَابُ لَهَا
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়াল হারামি ওয়া আযা-বিল কবরি, আল্ল-হুম্মা আ-তি নাফসী তাকওয়া-হা- ওয়াযাক্কিহা- আন্তা খয়রু মিন্ যাক্কা-হা- আন্তা ওয়ালিয়্যুহা- ওয়ামাও লা- হা-, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন্ ইল্মিন লা- ইয়ানফাউ ওয়ামিন্ কলবিন লা- ইয়াখশাউ ওয়ামিন্ নাফসিন লা- তাশবাউ ওয়ামিন্ দাওয়াতিন্ লা- ইউসতাজা-বু লাহা-
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য ও কবরের আযাব হইতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! তুমি আমার আত্মাকে সংযমী করো ও একে পবিত্র করো। তুমিই শ্রেষ্ঠ পুতঃপবিত্রকারী, তুমি তার অভিভাবক ও রব। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ঐ জ্ঞান লাভ হইতে আশ্রয় চাই, যে জ্ঞান [আত্মার] কোন উপকারে আসে না, ঐ অন্তর হইতে মুক্তি চাই যে অন্তর তোমার ভয়ে ভীত হয় না। ঐ মন হইতে আশ্রয় চাই যে মন তৃপ্তি লাভ করে না এবং ঐ দুআ হইতে, যে দুআ কবূল করা হয় না।]।
[মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : মুসলিম ২৭২২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১২৪, সহীহাহ্ ৪০০৫, সহীহ আল জামি ১২৮৬, সহীহ আত তারগীব ১২৩। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬১. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুআগুলোর মধ্যে এটাও ছিল,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন্ যাওয়া-লি নিমাতিকা ওয়া তাহাওউলি আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-আতি নিকমাতিকা ওয়া জামীই সাখাত্বিকা [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই {আমার ওপর] তোমার নিয়ামতের ঘাটতি, {আমার ওপর হইতে] তোমার নিরাপত্তার ধারাবাহিকতা, {আমার ওপর] তোমার শাস্তির অকস্মাৎ আক্রমণ এবং তোমার সমস্ত অসন্তুষ্ট হইতে।]।
[মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : মুসলিম ২৭৩৯, আবু দাউদ ১৫৪৫, মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ৩৫৮৮, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৪৬, শুআবুল ঈমান ৪২২৪, সহীহ আল জামি ১২৯১। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে দুআ করিতেন,
الَلّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أعمَلْ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন শাররি মা- আমিলতু ওয়ামিন্ শাররি মা-লাম আমাল [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই যা আমি করেছি এবং যা আমি করিনি তার অনিষ্টতা বা অপকারিতা হইতে]।
[মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : মুসলিম ২৭১৬, আবু দাউদ ১৫৫০, নাসায়ী ৫৫২৭, মুসলিম ২৫৭৮৪, ইবনি হিববান ১০৩১, সহীহ আল জামি ১২৯৩। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬৩. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি. হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [দুআ] বলিতেন,
اَللّٰهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ اٰمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْ تُضِلَّنِىْ أَنْتَ الْحَىُّ الَّذِىْ لَا يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ يَمُوْتُوْنَ
আল্ল-হুম্মা লাকা আস্লাম্তু, ওয়াবিকা আ-মান্তু, ওয়া আলায়কা তাওয়াক্কালতু, ওয়া ইলায়কা আনাবতু, ওয়াবিকা খ-সমতু, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিইয্যাতিকা লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্তা, আন্ তুযিল্লানী। আন্তাল হাইয়্যুল্লাযী লা- ইয়ামূতু, ওয়াল জিন্নু ওয়াল ইন্সু ইয়ামূতূনা
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমারই কাছে সমর্পণ করলাম, তোমারই ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম, তোমারই ওপর ভরসা করলাম এবং তোমারই দিকে নিজকে ফিরালাম এবং তোমারই সাহায্যে {শত্রুর সাথে] লড়লাম। হে আল্লাহ! আমি পথভ্রষ্টতা হইতে তোমার মর্যাদার আশ্রয় গ্রহণ করছি। তুমি ছাড়া সত্য আর কোন মাবূদ নেই, তুমি চিরঞ্জীব, তুমি মৃত্যুবরণ করিবে না, আর মানুষ আর জিন্ মৃত্যুবরণ করিবে।]।
[বোখারী ও মুসলিম]{১}, {১} সহীহ : বোখারী ৭৩৮৩, মুসলিম ২৭১৭, আহমাদ ২৭৪৮, সহীহ আল জামি ১৩০৯। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৬৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْأَرْبَعِ: مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ وَمِنْ دُعَاءٍ لَا يُسْمَعُ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল আরবাই: মিন্ ইলমিন লা- ইয়ানফাউ মিন্ কলবিন লা- ইয়াখশাউ ওয়ামিন্ নাফসিন লা- তাশবাউ ওয়ামিন দুআ-য়িন লা- ইউসমাউ
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি চারটি বিষয়ে তোমার কাছে আশ্রয় চাইঃ যে জ্ঞান কোন উপকারে আসে না, যে অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হয় না, যে আত্মা তৃপ্ত হয় না এবং যে দুআ কবূল হয় না।]
। [আহমাদ, আবু দাউদ ও ইবনি মাজাহ]{১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১৫৪৮, নাসায়ী ৫৪৬৭, ইবনি মাজাহ ৩৮৩৭, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১২৬, আহমাদ ৮৪৮৮, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৫৮। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬৫. তিরমিজি আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হইতে এবং নাসায়ী উভয় হইতে হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন।{১}
{১} সহীহ : নাসায়ী ৫৪৪২, তিরমিজি ৩৪২৯, সহীহ আল জামি ১৩০৮, ১২৮৬। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬৬. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচটি বিষয় হইতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেনঃ ভীরুতা, কৃপণতা, বয়সের অনিষ্টতা, অন্তরের কুমন্ত্রণা ও কবরের আযাব। [আবু দাউদ ও নাসায়ী]{১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৫৩৯, নাসায়ী ৫৪৮১, আহমাদ ১৪৫, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৪৩, সহীহ ইবনি হিববান ১০২৪, সহীহ আল জামি ৪৫৩৩। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [দুআয়] বলিতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ وَالْقِلَّةِ وَالذِّلَّةِ وَأَعُوذُ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি ওয়ায্ যিল্লাতি ওয়া মিন্ আন্ আযলিমা আও উযলামা [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে অস্বচ্ছলতা, স্বল্পতা, অপমান-অপদস্ত হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং আমি অত্যাচারী অথবা অত্যাচারিত হওয়া হইতেও তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
[আবু দাউদ ও নাসায়ী]{১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১৫৪৪, নাসায়ী ৫৪৬১, আহমাদ ৮০৫৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৮৩, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৫১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩১৫০। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৬৮. {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [দুআয়] বলিতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ وَسُوْءِ الْأَخْلَاقِ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাশ্ শিকা-কি, ওয়ান্ নিফা-কি ওয়া সূয়িল আখলা-ক [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি সত্যের বিরুদ্ধাচরণ, মুনাফিক্বী ও চরিত্রহীনতা হইতে তোমার কাছে আশ্রয় চাই]।
[আবু দাউদ ও নাসায়ী]{১}, {১} জইফ : আবু দাউদ ১৫৪৬, নাসায়ী ৫৪৭১, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৪৯, জইফ আল জামি ১১৯৮, জইফ আত তারগীব ১৬১৩। কারণ এর সানাদে যুবারাহ্ একজন মাজহূল [অজ্ঞাত] রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২৪৬৯. {আবু হুরাইরাহ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [দুআয়] বলিতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُوعِ فَإِنَّه بِئْسَ الضَّجِيعُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخِيَانَةِ فَإِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা, মিনাল জূই ফাইন্নাহূ বিসায্ যজীউ, ওয়া আঊযুবিকা মিনাল খিয়া-নাতি ফাইন্নাহা- বিসাতিল বিত্বা-নাহ্
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে অভুক্ত হইতে আশ্রয় চাই, কেননা তা মানুষের কতই না খারাপ নিদ্রা-সাথী এবং তোমার কাছে আশ্রয় চাই বিশ্বাসঘাতকতা হইতে, কেননা বিশ্বাসঘাতকতা কতই না মন্দ অদৃশ্য স্বভাব।]
। [আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনি মাজাহ]{১}, {১} হাসান : আবু দাউদ ১৫৪৭, নাসায়ী ৫৪৬৮, ইবনি মাজাহ ৩৩৫৪, সহীহ ইবনি হিববান ১০২৯, সহীহ আল জামি ১২৮৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
২৪৭০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [দুআয়] বলিতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُذَامِ وَالْجُنُونِ وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুযা-মি, ওয়াল জুনূনি, ওয়ামিন্ সাইয়্যিয়িল আসক্বা-ম
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি শ্বেতরোগ, কুষ্ঠরোগ, উম্মাদনা ও কঠিন রোগসমূহ হইতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি]।
[আবু দাউদ ও নাসায়ী]{১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১৫৫৪, নাসায়ী ৫৪৯৩, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯১২৯, আহমাদ ১৩০০৪, সহীহ ইবনি হিববান ১০৯৭, সহীহ আল জামি ১২৮১। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৭১. কুত্ববাহ্ ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [দুআ] বলিতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ وَالْأَهْوَاءِ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন্ মুনকারা-তিল আখলা-কি, ওয়াল আমা-লি, ওয়াল আহ্ওয়া-য়ি [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মন্দ স্বভাব, অসৎ কাজ ও খারাপ আশা-আকাঙ্খা হইতে আশ্রয় চাই]।
[তিরমিজি]{১}, {১} সহীহ : তিরমিজি ৩৫৯১, সহীহ আল জামি ১২৯৮। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৭২. তায়র ইবনি শাকাল ইবনি হুমায়দ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তাহাঁর পিতা শাকাল [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি একদিন বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা দিয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে পারি। তখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, পড়-
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِىْ وَمِنْ شَرِّ بَصَرِىْ وَشَرِّ لِسَانِىْ وَشَرِّ قَلْبِىْ وَشَرِّ مَنِيِّىْ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন্ শাররি সাম্ঈ, ওয়ামিন্ শাররি বাসারী, ওয়া শাররি লিসা-নী ওয়া শাররি কলবী ওয়া শাররি মানিয়্যি
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই- আমার কানের {মন্দ শোনার] অনিষ্টতা, চোখের {দেখার] অনিষ্টতা, আমার মুখের {বলার] অনিষ্টতা, আমার কলবের {অন্তরের চিন্তা-ভাবনার] অনিষ্টতা ও বীর্যের {যিনা-ব্যভিচারের] অনিষ্টতা হইতে রক্ষা পাওয়ার জন্য।]।
[আবু দাউদ, তিরমিজি ও নাসায়ী]{১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ১৫৫১, তিরমিজি ৩৪৯২, নাসায়ী ৫৪৫৫, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯৪৫, আহমাদ ১৫৫৪১, সহীহ আল জামি ১২৯২, ৪৩৯৯। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৭৩. আবুল ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে দুআ করিতেন,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَدْمِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ التَّرَدِّىْ وَمِنَ الْغَرَقِ وَالْحَرْقِ وَالْهَرَمِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ يَتَخَبَّطَنِى الشَّيْطَانُ عِنْدَ الْمَوْتِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَمُوتَ فِىْ سَبِيلِكَ مُدْبِرًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَمُوتَ لَدِيغًا
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল হাদমি ওয়া আঊযুবিকা মিনাত্ তারাদ্দী ওয়ামিনাল গরাকি ওয়াল হারক্বি ওয়াল হারামি ওয়া আঊযুবিকা মিন্ আন্ ইয়াতাখব্বাত্বানিশ্ শায়ত্ব-নু ইন্দাল মাওতি ওয়া আঊযুবিকা মিন্ আন্ আমূতু ফী সাবীলিকা মুদবিরান ওয়া আঊযুবিকা মিন্ আন্ আমূতা লাদীগা-
[অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই {আমার ওপর] কিছু ধসে পড়া হইতে। হে আল্লাহ! উপর হইতে পড়া, পানিতে ডুবা, আগুনে পোড়া ও বার্ধক্য হইতেও আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আরো আশ্রয় চাই তোমার কাছে মৃত্যুর সময় শয়তানের প্ররোচনায় নিমজ্জিত হওয়া হইতে। আর তোমার পথ হইতে পৃষ্ঠপ্রদর্শনরত {জিহাদের ময়দান হইতে পিছ পা] অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা হইতেও আশ্রয় চাই। আরো আশ্রয় চাই দংশিত হয়ে মৃত্যুবরণ করা হইতে।]। [আবু দাউদ, নাসায়ী; নাসায়ীর অপর এক বর্ণনায় আরো রয়েছে এবং শোক হইতে]{১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৫৫২, নাসায়ী ৫৫৩৩, আহমাদ ১৫৫২৩, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৮১, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৪৮, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩০৯। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৭৪. মুআয [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহর কাছে লোভ-লালসা হইতে আশ্রয় চাও, যে লোভ-লালসা মানুষকে দোষ-ত্রুটির দিকে এগিয়ে দেয়। [আহমাদ, বায়হাক্বী- দাওয়াতুল কাবীর]{১}
{১} জইফ : আহমাদ ২২০২১, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭৯, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৫৬, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৩৭, যঈফাহ্ ১৩৭৩, জইফ আল জামি ৮১৫। কারণ এর সানাদে আবদুল্লাহ ইবনি আমির আল আস্লামী একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২৪৭৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, হে আয়িশাহ্! আল্লাহর কাছে এর অনিষ্টতা হইতে আশ্রয় চাও। কারণ এটা হলো সেই গ-সিক বা অস্তগামী যখন তা অন্ধকার হয়ে যায়।
[তিরমিজি]{১}, {১} হাসান সহীহ : তিরমিজি ৩৩৬৬, আহমাদ ২৫৮০২, মুসতাদারাক লিল হাকিম ৩৯৮৯, সহীহ আল জামি ৭৯১৬। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ
২৪৭৬. ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতা হুসায়নকে জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি এখন কতজন মাবূদের পূজা করছো? আমার পিতা বললেন, সাতজনের- তন্মধ্যে ছয়জন মাটিতে আর একজন আকাশে। তখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, আশা-নিরাশার ও ভয়-ভীতির সময় কাকে মানো [কোন্ মাবূদকে ডাকো]? আমার পিতা বললেন, যিনি আকাশে আছেন তাকে মানি। তখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন, তবে শুন হুসায়ন! যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ করো, আমি তোমাকে দুটি কালিমা শিখাবো, যা তোমার উপকারে [পরকালীন মুক্তি] আসবে। বর্ণনাকারী {ইমরান [রাদি.]] বলেন, আমার পিতা হুসায়ন ইসলাম গ্রহণ করার পর বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে ঐ কালিমা দুটি শিখিয়ে দিন, যার কথা আপনি আমাকে ওয়াদা দিয়েছিলেন। তখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, তুমি [সেই আসমানের মাবূদকে] বলো, আল্ল-হুম্মা আলহিম্নী রুশদী, ওয়া আইযনী মিন শাররি নাফসী [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে সত্য পথের সন্ধান দাও এবং আমার নাফসের অপকারিতা হইতে রক্ষা করো]।
[তিরমিজি]{১}, {১} জইফ : তিরমিজি ৩৪৮৩, মুজামুল আওসাত লিত্ব ত্ববারানী ১৯৮৫, রিয়াযুস্ সলিহীন ১৪৯৫, জইফ আল জামি ৪০৯৮। কারণ এর সানাদে শাবীব একজন দুর্বল রাবী। আর হাসান বাসরী এবং ইমরান ইবনি হুসায়ন-এর মাঝে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কারণ হাসান ইমরান ইবনি হুসায়ন [রাযিঃ]-কে পাননি। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
২৪৭৭. আমর ইবনি শুআয়ব হইতে বর্ণীতঃ
তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ঘুমের মধ্যে ভয় পায় সে যেন বলে,
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِه وَعِقَابِه وَشَرِّ عِبَادِه وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونَ
আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ গাযাবিহী ওয়া ইকাবিহী ওয়া শার্রি ইবা-দিহী ওয়ামিন্ হামাযা-তিশ্ শায়া-ত্বীনি ওয়া আন্ ইয়াহ্যুরূন
[অর্থাৎ- আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাই, আল্লাহর ক্রোধ ও তার শাস্তি হইতে, তাহাঁর বান্দাদের অপকারিতা হইতে এবং শয়তানের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব হইতে। আর তারা যেন আমার কাছে উপস্থিত হইতে না পারে।]। এতে শয়তানের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তার ক্ষতি করিতে পারবে না। বর্ণনাকারী বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনি আমর তাহাঁর সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হইতেন তাদেরকে এই দুআ শিখিয়ে দিতেন, আর যারা অপ্রাপ্তবয়স্ক এ দুআ কাগজে লিখে তাদের গলায় লটকিয়ে দিতেন।
[আবু দাউদ, তিরমিজি; হাদিসটি তিরমিজির ভাষ্য]{১}, {১} হাসান : তবে মাওকূফ অংশটুকু ছাড়া। তিরমিজি ৩৫২৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৩৫৪৭, আবু দাউদ ৩৮৯৩, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৪৯, সহীহ আল জামি ৭০১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
২৪৭৮.আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিনবার আল্লাহর কাছে জান্নাতের প্রত্যাশা করে; জান্নাত বলবে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। আর যে ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করিবে; জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।
[তিরমিজি ও নাসায়ী]{১}, {১} সহীহ : তিরমিজি ৫৫২১, নাসায়ী ৫৫২১, সহীহ ইবনি হিববান ১০৩৪, সহীহ আল জামি ৬২৭৫। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৪৭৯, কক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কাব আল আহবার বলেছেন, যদি আমি এ বাক্যগুলো না বলতাম, তবে ইয়াহূদীরা নিশ্চয়ই আমাকে গাধা বানিয়ে ফেলতো। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সে বাক্যগুলো কি? তিনি বলেন,
أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيمِ الَّذِىْ لَيْسَ شَىْءٌ أَعْظَمَ مِنْهُ وَبِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التامَّاتِ الَّتِىْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ وَبِأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأ
আঊযু বিওয়াজ্ হিল্লা-হিল আযীম আল্লাযী লায়সা শাইউন আযমা মিনহু, ওয়াবিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তিল্লাতি লা- ইউজা-বিযুহুন্না বাররুন ওয়ালা- ফা-জিরুন, ওয়াবি আসমা-য়িল্লা-হিল হুসনা-, মা- আলিমতু মিনহা-, ওয়ামা- লাম্ আলাম মিন্ শাররি মা- খলাকা ওয়া যারাআ ওয়া বারাআ
[অর্থাৎ- আমি মহান আল্লাহর সত্তার আশ্রয় প্রার্থনা করছি, তাহাঁর অপেক্ষা মহান আর কেউ নেই এবং আমি আল্লাহর পূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয় নিচ্ছি যা অতিক্রম করার শক্তি ভালো-মন্দ কোন লোকের নেই। আমি আরো আশ্রয় চাচ্ছি আল্লাহর আসমা-য়ি হুসনা- বা উত্তম নামসমূহের, যা আমি জানি আর যা আমি জানি না তাহাঁর সৃষ্টির অনিষ্টতা হইতে যাদেরকে তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন ও পৃথিবীতে ছড়িয়ে রেখেছেন।]।
[মালিক]{১}, {১} সহীহ : মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৫০২। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৮০. মুসলিম ইবনি আবু বাকরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতা আবু বাকরা [রাদি.] নামাজ আদায় শেষে বলিতেন,
اَللّٰهُمَّ إِن أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ
আল্ল-হুম্মা ইন্ আঊযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি ওয়া আযা-বিল কবরি [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কুফরী, পরমুখাপেক্ষিতা ও কবর আযাব হইতে আশ্রয় চাই]। আর আমিও তাই বলতাম। একবার তিনি আমাকে বললেন, হে বৎস! তুমি এটা [দুআটি] কার থেকে গ্রহণ করেছো? আমি বললাম, আপনার কাছে থেকেই তো। তখন তিনি বললেন, তবে শুন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বাক্য নামাজ শেষ হবার পর বলিতেন।
[তিরমিজি; নাসায়ী নামাজ শেষে শব্দ ছাড়া, আহমাদ শুধু দুআটি বর্ণনা করিয়াছেন, তবে তাহাঁর বর্ণনায় রয়েছে প্রতিটি নামাজ শেষে]{১}, {১} সানাদ সহীহ : নাসায়ী ৫৪৬৫, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৪৫, ইরওয়া ৮৬০। আশ্রয় প্রার্থনা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
২৪৮১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলিতে শুনিয়াছি,
أَعُوذُ بِاللّٰهِ مِنَ الْكُفْرِ وَالدَّيْنِ
আঊযুবিল্লা-হি মিনাল কুফরি ওয়াদ্দায়নি [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কুফরী ও ঋণ হইতে আশ্রয় চাই]। এটা শুনে জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলো, হে আল্লাহ রসূল! আপনি ঋণকে কুফরীর সমান মনে করিয়াছেন? তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, হ্যাঁ। অন্য এক বর্ণনায় আছে,
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ
আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কুফরী ও পরমুখাপেক্ষিতা হইতে আশ্রয় চাই]। তখন এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রসূল! এ দুটো কি সমান [এক বিষয়]? তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, হ্যাঁ।
[নাসায়ী]{১}, {১} জইফ : নাসায়ী ৫৪৭৩, ৫৪৭৪, ৫৪৮৫, আহমাদ ১১৩৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৫০, সহীহ ইবনি হিববান ১০২৫, জইফ আত তারগীব ১১২১। কারণ এর সানাদে দার্রাজ আবুস্ সাম্হ আবুল হায়সাম থেকে বর্ণনায় দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply