আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণী যমীনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে

আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণী যমীনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে

আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণী যমীনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৫৯, সৃষ্টির সূচনা, অধ্যায়ঃ (১৪-১৭)=৪টি

৫৯/১৪. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ যমীনে সকল প্রকার প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন।”
৫৯/১৫. অধ্যায়ঃ মুসলিমের সর্বোৎকৃষ্ট মাল হল ছাগের পাল যেগুলোকে নিয়ে তারা পাহাড়ের উপর চলে যায়।
৫৯/১৬. অধ্যায়ঃ হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী।
৫৯/১৭. অধ্যায়ঃ পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে। কারণ তার এক ডানায় থাকে রোগ, অন্যটিতে থাকে আরোগ্যের উপায়।

৫৯/১৩. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরণ করুন, আমি আপনার প্রতি একদল জ্বিনকে আকৃষ্ট করেছিলাম …. এরূপ লোকেরাই প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতার মধ্যে পতিত রয়েছে। (সুরা আহ্কাফ ২৯-৩২)

—— অর্থ ফিরিবার স্থান। —— আমরা ফিরিয়ে দিলাম।

৫৯/১৪. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ যমীনে সকল প্রকার প্রাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন।”

ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, ——– হল পুরুষ সাপ। বলা হয় সাপ বিভিন্ন প্রকারের হয়, শ্বেত সাপ, মাদী সাপ আর কাল সাপ, ———- অর্থ আল্লাহ তাহাঁর রাজত্ব ও কর্তৃত্বে সকল জীবকে রেখেছেন, —- তাদের ডানাগুলো সম্প্রসারিত অবস্থায়। — তারা তাদের ডানাগুলো সঙ্কুচিত করে।

৩২৯৭. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী (সাঃআঃ)- কে মিম্বারের উপর ভাষণ দানের সময় বলিতে শুনেছেন, সাপ মেরে ফেল। বিশেষ করে মেরে ফেল ঐ সাপ, যার মাথার উপর দুটো সাদা রেখা আছে এবং লেজ কাটা সাপ। কারণ এ দুপ্রকারের সাপ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়।

৩২৯৮. See previous Hadith. আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ (রাদি.) বলিলেন, একদা আমি একটি সাপ মারার জন্য তার পিছু ধাওয়া করছিলাম। এমন সময় আবু লুবাবা (রাদি.) আমাকে ডেকে বলিলেন, সাপটি মেরোনা। তখন আমি বললাম, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সাপ মারার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলিলেন, এরপরে নাবী (সাঃআঃ) যে সাপ ঘরে বাস করে যাকে আওয়ামির বলা হয় এমন সাপ মারতে নিষেধ করিয়াছেন।

৩২৯৯.আবদুর রায্‌যাক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) মামার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে হইতে বর্ণিতঃ

আমাকে দেখেছেন আবু লুবাবা অথবা যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাদি.) আর অনুসরণ করিয়াছেন মামার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- কে ইউনুস ইবনু ইয়াইনা, ইসহাক কলবী ও যুবাইদী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এবং সালিহ, ইবনু আবু হাফসাহ ও ইবনু মুজাম্মি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)…. ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমাকে দেখেছেন আবু লুবাবা ও যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাদি.)।

৫৯/১৫. অধ্যায়ঃ মুসলিমের সর্বোৎকৃষ্ট মাল হল ছাগের পাল যেগুলোকে নিয়ে তারা পাহাড়ের উপর চলে যায়।

৩৩০০. আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, সে সময় অতি নিকটে যখন একজন মুসলিমের সবচেয়ে উত্তম সম্পদ হইবে ছাগ-পাল। তা নিয়ে সে পাহাড়ের চূড়ায় এবং বৃষ্টির এলাকায় চলে যাবে; সে ফিতনা হইতে নিজের দ্বীনকে রক্ষার জন্য পলায়ন করিবে।

৩৩০১. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।

৩৩০২.উক্‌বাহ ইবনু আমর আবু মাসউদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) নিজ হাতের দ্বারা ইয়ামানের দিকে ইশারা করে বলিলেন, ঈমান এদিকে। দেখ কঠোরতা এবং অন্তরের কাঠিন্য ঐ সব বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উট নিয়ে ব্যস্ত থাকে যেখান থেকে শয়তানের শিং দুটি উদয় হয় অর্থ্যাৎ রাবীয়াহ ও মুযার গোত্রদ্বয়ের মধ্যে।

৩৩০৩. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহর নিকট তাহাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে দুআ কর। কেননা এ মোরগ ফেরেশতাদের দেখে আর যখন গাধার আওয়াজ শুনবে তখন শয়তান হইতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে, কেননা এ গাধাটি শয়তান দেখেছে।

৩৩০৪. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেন, যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে অথবা বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে আটকিয়ে রাখবে। কেননা এসময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিক্রান্ত হইবে তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করিবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করিবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারেনা। ইবনু জুরাইজ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, হাদীসটি আমর ইবনু দীনার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ……. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ হইতে আত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর মতই বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি ———— বলেননি।

৩৩০৫. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেন, বনী ইসরাঈলের একদল লোক নিখোঁজ হয়েছিল। কেউ জানেনা তাদের কী হলো আর আমি তাদেরকে ইঁদুর বলেই মনে করি। কেননা তাদের সামনে যখন উটের দুধ রাখা হয়, তারা তা পান করে না, আর যখন তাদের সামনে ছাগী দুগ্ধ রাখা হয় তখন তারা তা পান করে। [আবু হুরাইরা (রাদি.) বলেন] আমি এ হাদীসটি কাবের নিকট বললাম, তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করিলেন আপনি কি এটা নাবী (সাঃআঃ)- কে বলিতে শুনেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি কয়েকবার আমাকে এ কথাটি জিজ্ঞেস করিলেন। তখন আমি বললাম, আমি কি তাওরাত কিতাব পড়েছি?

৩৩০৬. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) গিরগিটি বা রক্তচোষা টিকটিকি কে নিকৃষ্টতম ফাসিক বলে আখ্যায়িত করিয়াছেন। আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)–কে একে হত্যা করার আদেশ দিতে শুনিনি। আর সাদ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) একে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন।

৩৩০৭. সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

উম্মু শারীক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) তাকে গিরগিটি বা রক্ত চোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

৩৩০৮. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, পিঠে দুটি সাদা রেখা ওয়ালা সাপকে হত্যা কর। কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তি বিনষ্ট করে আর গর্ভপাত ঘটায়।

৩৩০৯. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) লেজকাটা সাপকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর বলেছেন, এ ধরনের সাপ দৃষ্টিশক্তি বিনষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।

৩৩১০. ইবনু আবু মুলায়কাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

ইবনু উমর (রাদি.) প্রথমে সাপ মেরে ফেলতেন। পরে মারতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ) একবার তাহাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তাতে তিনি সাপের খোলস দেখিতে পান। তখন তিনি বলিলেন, দেখ! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখল তিনি বলিলেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেললাম।

৩৩১১. See previous Hadith. ইবনু আবু মুলায়কাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

অতঃপর আবু লুবাবার সঙ্গে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, পিঠের উপর দুটি রেখাওয়ালা এবং লেজকাটা সাপ ছাড়া অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরোনা। কেননা ওগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।

৩৩১২. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি সাপ হত্যা করিতেন।

৩৩১৩. See previous Hadith. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

অতঃপর আবু লুবাবাহ (রাদি.) তাঁকে একটি হাদীস শুনালেন যে, নাবী (সাঃআঃ) ঘরে বসবাসকারী সাপ হত্যা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে দেন।

৫৯/১৬. অধ্যায়ঃ হারামে হত্যাযোগ্য পাঁচ প্রকারের অনিষ্টকারী প্রাণী।

৩৩১৪. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী অধিক ক্ষতিকারক। এদেরকে হারামেও (সীমানারমধ্যে) হত্যা করা যায়। এগুলো হল বিচ্ছু, ইঁদুর, চিল, কাক ও পাগলা কুকুর।

৩৩১৫.আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, পাঁচ প্রকারের ক্ষতিকারক প্রাণী যাদেরকে কেউ ইহরাম অবস্থায়ও যদি মেরে ফেলে, তাহলে তার কোন গুনাহ নেই। এগুলো হল বিচ্ছু, ইঁদুর, পাগলা কুকুর, কাক এবং চিল।

৩৩১৬. জাবির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান করার পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে রেখো। কারণ এসময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোনকিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্জ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ইবনু জুরাইজ এবং হাবীব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আত্বা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে “কেননা এসময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে” এর স্থলে “শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে” বর্ণনা করিয়াছেন।

৩৩১৭. আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)–এর সঙ্গে এক গুহায় ছিলাম। তখন ওয়াল “মুরসালাতি গারকা” সুরাটি অবতীর্ণ হয়। আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)– এর মুখ হইতে সুরাটি শিখে নিচ্ছিলাম। এমন সময় একটা সাপ বেরিয়ে এল তার গর্ত হইতে। আমরা তাকে মারার জন্য দৌঁড়ে যাই। কিন্তু সে আমাদের আগেই গিয়ে গর্তে ঢুকে পড়ে। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন, সে তোমাদের অনিষ্ট হইতে যেমন রক্ষা পেয়েছে, তোমরাও তেমন তার অনিষ্ট হইতে বেঁচে গেছ।

ইসরাঈল (রহ) আমাশ, ইবরাহীম,আলকামাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-ও আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে এ রকমই বর্ণনা করিয়াছেন। রাবী আবদুল্লাহ (রাদি.) বলেছেন, আমরা সুরাটি তাহাঁর মুখ হইতে বের হবার সঙ্গে সঙ্গে শিখে নিচ্ছিলাম। আবু আওয়ানাহ মুগীরাহ (রাদি.) হইতে এভাবেই বর্ণনা করিয়াছেন। আর হাফস, আবু মুআবিয়া ও সুলাইমান ইবনু কারম, আমাশ, ইবরাহীম, আসওয়াদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-ও আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে অনুরূপই বর্ণনা করিয়াছেন।

৩৩১৮. ইবনু উমর (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রেও নাবী (সাঃআঃ) হইতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

৩৩১৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল( সাঃ) বলেছেন, নাবীগণের মধ্যে কোন এক নাবী একটি গাছের নীচে অবতরণ করেন। অতঃপর তাঁকে একটি পিঁপড়ায় কামড় দেয়। তিনি তাহাঁর আসবাবপত্রের ব্যাপারে আদেশ দেন। এগুলো গাছের নিচ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। অতঃপর তিনি নির্দেশ দিলে পিঁপড়ার বাসা আগুন দিতে জ্বালিয়ে দেয়া হল। তখন আল্লাহ তাহাঁর প্রতি ওয়াহী নাযিল করিলেন, তুমি একটি মাত্র পিঁপড়াকে শাস্তি দিলে না কেন?

৫৯/১৭. অধ্যায়ঃ পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে ডুবিয়ে দেবে। কারণ তার এক ডানায় থাকে রোগ, অন্যটিতে থাকে আরোগ্যের উপায়।

৩৩২০. উবাইদ ইবনু হুনায়ন (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু হুরাইরা (রাদি.)-কে বলিতে শুনিয়াছি, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমাদের কারো পানীয় দ্রব্যে মাছি পড়লে সেটাকে তাতে ডুবিয়ে দেবে। অতঃপর তাকে উঠিয়ে ফেলবে। কেননা তার এক ডানায় রোগ থাকে আর অপর ডানায় থাকে রোগের প্রতিষেধক।

৩৩২১. আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখিতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসা তাকে মুমূর্ষ করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে উড়নার সাথে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হইতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল।

৩৩২২. আবু ত্বলহা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যে বাড়িতে কুকুর এবং প্রাণীর ছবি থাকে তাতে ফেরেশতামন্ডলী প্রবেশ করেন না।

৩৩২৩. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কুকুর মেরে ফেলতে আদেশ করিয়াছেন।

৩৩২৪. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কুকুর প্রতিপালন করিবে, প্রত্যেক দিন তার আমলনামা হইতে এক ক্বীরাত করে সওয়াব কমতে থাকবে। তবে ক্ষেত খামার কিংবা পশু পাল পাহারা দেয়ার কাজে নিযুক্ত শিকারী কুকুর ছাড়া।

৩৩২৫. সায়িব ইবনু ইয়াযীদ সুফিয়ান ইবনু আবু যুহাইর শানাভির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি কুকুর লালন পালন করে, যদদ্বারা না কৃষির উপকার হয়, না পশুপালনের, তার আমল হইতে প্রত্যহ এক কিরাত আমল কমে যায়। সায়িব জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি তা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) হইতে শুনেছেন? তিনি বলিলেন, এই কিবলার (কাবার) প্রতিপালকের শপথ!, অবশ্যই।

Comments

Leave a Reply