মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব
মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ২৪২: মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ওয়াজিব
মহান আল্লাহ বলেছেন, ﴿ فَٱذۡكُرُونِيٓ أَذۡكُرۡكُمۡ وَٱشۡكُرُواْ لِي وَلَا تَكۡفُرُونِ﴾ [البقرة: ١٥٢]
“তোমরা আমাকে স্মরণ কর; আমিও তোমাদের স্মরণ করব। তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও, আর কৃতঘ্ন হয়ো না।” [সূরা বাকারা ১৫২ আয়াত]
তিনি অন্যত্র বলেন, ﴿لَئِن شَكَرۡتُمۡ لَأَزِيدَنَّكُمۡۖ وَلَئِن كَفَرۡتُمۡ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٞ﴾ [ابراهيم: ٧]
“তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দান করব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হইবে কঠোর।” [সূরা ইব্রাহীম ৭ আয়াত]
তিনি অন্য জায়গায় বলেন, ﴿ وَقُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ١١١ ﴾ [الاسراء: ١١١]
“বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই।” [সূরা ইসরা ১১১ আয়াত]
তিনি আরও বলেছেন, ﴿ وَءَاخِرُ دَعۡوَىٰهُمۡ أَنِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٠ ﴾ [يونس : ١٠]
“তাহাদের শেষ বাক্য হইবে, আলহামদু লিল্লাহি রাবিবল আলামীন [সমস্ত প্রশংসা সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য]।” [সূরা ইউনুস ১০ আয়াত]
১৪০১. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
যে রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মি‘রাজ ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে রাতে তাঁর নিকট মদ ও দুধের দু’খানা পাত্র আনা হল। তখন তিনি উভয়ের দিকে তাকিয়ে দেখে দুধের বাটি খানা তুলে নিলেন। এ দেখে জিবরাঈল (আঃ) বললেনঃ ‘সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আপনাকে প্রকৃতির দিকেই পথ দেখালেন। যদি আপনি মদের পাত্রটি ধারণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩৩৯৪, ৩৪৩৭, ৫৫৭৬, ৫৬০৩, মুসলিম ১৬৮, ১৭২, তিরমিজী ৩১৩০, নাসাঈ ৫৬৫৭, আহমাদ ২৭৩০৬, ১০২৬৯, দারেমী ২০৮৮). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৪০২. আবু হুরাইরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর প্রশংসার সাথে আরম্ভ না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
(আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি সনদ দুর্বল আর ভাষায় ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে যেমনটি আমি “ইরওয়াউল গালীল” গ্রন্থের প্রথমে (১-২) ব্যাখ্যা করেছি। এর সনদের বর্ণনাকারী কুর্রা ইবনু আব্দির রহমান মু‘য়াফিরী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি খুবই মুনকারুল হাদীস আর ইবনু মা‘ঈন তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি দুর্বল। শু‘য়াইব আলআরনাঊতও হাদীসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। দেখুন আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ্ নায়াঅনী কর্তৃক লিখিত গ্রন্থ “মাজমূ‘আতুল আহাদীসুয য‘ঈফাহ্ ফী কিতাবি রিয়াযিস সালেহীন”(২৭)। বিস্তারিত জানতে “ইরওয়াউল গালীল” দেখুন।)
হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
১৪০৩. আবু মুসা আশআরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যখন কোন বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন মহান আল্লাহ স্বীয় ফিরিশতাদেরকে বলেন, ‘তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জীবন হনন করেছ কি?’ তাঁরা বলেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বলেন, ‘তোমরা তার হৃদয়ের ফলকে হনন করেছ?’ তাঁরা বলেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বলেন, ‘সে সময় আমার বান্দা কি বলেছে?’ তারা বলে, ‘সে আপনার হাম্দ (প্রশংসা) করেছে ও ইন্না লিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রা-জিঊন (অর্থাৎ, আমরা তোমার এবং তোমার কাছেই অবশ্যই ফিরে যাব) পাঠ করেছে।’ মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমার (সন্তানহারা) বান্দার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ কর, আর তার নাম রাখ, ‘বায়তুল হাম্দ’ (প্রশংসাভবন)।”
(তিরমিজী ১০২১ ) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৪০৪. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে (অর্থাৎ, আল-হামদু লিল্লাহ পড়ে) ।”
(মুসলিম ২৭৩৪, তিরমিজী ১৮১৬, আহমাদ ১১৫৬২, ১১৫৭৮). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply