মিন থেকে আরাফাহ থেকে মুযদালিফায় প্রত্যাবর্তন
আরাফাহ থেকে মুযদালিফায় প্রত্যাবর্তন এবং মুযদালিফায় >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪৬. অধ্যায়ঃ আরাফাহ্ দিবসে মিনা থেকে আরাফাতে যাবার পথে তালবিয়াহ্ ও তাকবীর পাঠ করার বর্ণনা
৪৭. অধ্যায়ঃ আরাফাহ্ থেকে মুযদালিফায় প্রত্যাবর্তন এবং মুযদালিফায় এ রাতের মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করা মুস্তাহাব
৪৬. অধ্যায়ঃ আরাফাহ্ দিবসে মিনা থেকে আরাফাতে যাবার পথে তালবিয়াহ ও তাকবীর পাঠ করার বর্ণনা
২৯৮৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা সকালবেলা যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সাথে মিনা থেকে আরাফার দিকে রওনা হলাম, তখন আমাদের মধ্যে কতক তালবিয়াহ্ পাঠকারী এবং কতক তাকবীর পাঠকারী ছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬১, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৫৯]
২৯৮৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা আরাফাহ্ দিবসের সকালবেলা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সাথে ছিলাম। আমাদের মধ্যে কতক তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করছিল, আর কতক তালবিয়াহ্ পাঠ করছিল। আমরা তাকবীর ধ্বনি করেছি। অধঃস্তন রাবী [আবদুল্লাহ ইবনি আবু সালামাহ্] বলেন, আমি [আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহকে] বললাম, কী আশ্চর্য! আপনি তাকে [আবদুল্লাহ ইবনি উমর] কেন জিজ্ঞেস করিলেন না যে, আপনি এ ক্ষেত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–কে কী করিতে দেখেছেন?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬২, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬০]
২৯৮৮. মুহাম্মাদ ইবনি আবু বকর আস্ সাক্বাফী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]–এর সাথে সকালবেলা মিনা থেকে আরাফায় যাওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, আপনারা এ দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সাথে কিভাবে কী করিতেন? তিনি বলিলেন, আমাদের কতক তালবিয়াহ পাঠ করত কিন্তু তাতে বাধা দেয়া হতো না এবং কতক তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করত কিন্তু তাতেও বাধা দেয়া হতো না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬১]
২৯৮৯. মুহাম্মাদ ইবনি আবু বকর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আরাফাহ্ দিবসের সকালবেলা আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]–কে জিজ্ঞেস করলাম, এ দিন আপনারা তালবিয়ার ক্ষেত্রে কী বলিতেন? তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সাথে আমি ও তাহাঁর সাহাবীগণ এ পথ ভ্রমণ করেছি। আমাদের কতক আল্ল-হু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করেছে এবং কতক তালবিয়াহ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ
[লাব্বায়কা আল্ল-হুম্মা লাব্বায়কা] উচ্চারণ করেছে। এতে আমাদের কেউ কারো দোষ ধরেনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬২]
৪৭. অধ্যায়ঃ আরাফাহ থেকে মুযদালিফায় প্রত্যাবর্তন এবং মুযদালিফায় এ রাতের মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করা মুস্তাহাব
২৯৯০. ইবনি আব্বাস [রাদি.]–এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব থেকে উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তাকে বলিতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরাফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন করিলেন, পাহাড়ের সরু পথের নিকট পৌঁছে বাহন থেকে নেমে পেশাব করিলেন, এরপর হালকা ওযূ করিলেন, পূর্ণ ওযূ নয়। আমি তাঁকে বললাম, নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। তিনি বলিলেন, সামনে এগিয়ে নামাজ আদায় করব। এরপর তিনি সওয়ারীতে আরোহণ করিলেন, মুযদালিফায় পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ ওযূ করিলেন। এরপর নামাজের ইক্বামাত দেয়া হল এবং [এখানে] মাগরিবের নামাজ আদায় করিলেন। অতঃপর প্রত্যেকে নিজ নিজ উট বসাল [বিশ্রামের জন্য], এরপর ইশার নামাজের ইক্বামাত দেয়া হল এবং তিনি ইশার নামাজ আদায় করিলেন। এ দুই নামাজের মধ্যে তিনি অন্য কোন নামাজ আদায় করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৩]
২৯৯১. উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তনের পথে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য কোন এক গিরিপথে গেলেন। এরপর আমি তাহাঁর ওযুর পানি ঢেলে দিলাম, এরপর বললাম, নামাজ আদায় করবেন কি? তিনি বলিলেন, সামনে এগিয়ে নামাজ আদায় করব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৪]
২৯৯২. ইবনি আব্বাস [রাদি.]–এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.]–কে বলিতে শুনেছি: রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরাফাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করিলেন। তিনি গিরিপথের নিকটে পৌঁছে বাহন থেকে নেমে পেশাব করিলেন। উসামাহ্ এ কথা বলেননি যে, তিনি পানি ঢেলে দিয়েছেন। বরং বলেছেন, তিনি পানি চাইলেন এবং হালকাভাবে ওযূ করিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি কি নামাজ আদায় করবেন? তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, নামাজ তো তোমার সম্মুখে রয়েছে। রাবী বলেন, এরপর তিনি [সাঃআঃ] চলতে থাকলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছলেন। এরপর মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৫]
২৯৯৩. কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.]–কে তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, আপনি যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সাথে তাহাঁর বাহনে আরোহণ করিলেন, তখন আরাফাহ দিবসের সন্ধ্যায় আপনারা কী করেছিলেন? তিনি বলিলেন, যে উপত্যকায় লোকেরা মাগরিবের সময় নিজের উটকে [বিশ্রামের জন্য] বসায়, সেখানে এলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উষ্ট্রী বসালেন এবং পেশাব করিলেন। উসামাহ্ [রাদি.] পানি ঢেলে দেয়ার কথা বলেননি। নবী [সাঃআঃ] ওযূর পানি চেয়ে আনলেন এবং হালকাভাবে ওযূ করিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি কি নামাজ আদায় করবেন? তিনি বলিলেন, নামাজ তোমার সম্মুখে। এরপর তিনি সওয়ার হয়ে রওনা করিলেন। অবশেষে আমরা মুযদালিফায় আসলাম। মাগরিবের নামাজ আদায় করিলেন। লোকেরা নিজ নিজ স্থানে উট বসাল কিন্তু মাল-সামান খুলল না, এমনকি ইশার সলাতে দাঁড়ালেন এবং সালাত আদায় করিলেন। এরপর লোকেরা মাল-সামান নামাল। আমি [কুরায়ব] বললাম, ভোর হওয়ার পর আপনারা কী করিলেন? তিনি [উসামাহ্] বলিলেন, ফায্ল ইবনি আব্বাস [রাদি.] তাহাঁর বাহনে [তাহাঁর পিছনে] সওয়ার হলেন এবং আমি কুরায়শদের অগ্রভাগে পদব্রজে রওনা হলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৬]
২৯৯৪. উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যে উপত্যকায় মাক্কার সম্ভ্রান্ত লোকেরা অবতরণ করত, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেখানে অবতরণ করে পেশাব করিলেন। তিনি পানি ঢেলে দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ওযূর পানি চাইলেন এবং হালকা ওযূ করিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! নামাজ। তিনি বলিলেন, নামাজ সামনে এগিয়ে আদায় করা হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৭]
২৯৯৫. উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আরাফাহ থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সওয়ারীতে পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। উপত্যকায় পৌঁছে তিনি তাহাঁর উটনী বসালেন, এরপর প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য গেলেন। তিনি ফিরে এলেন। আমি পাত্র থেকে পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি ওযূ করিলেন, এরপর সওয়ার হলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছে তিনি মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭০, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৮]
২৯৯৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরাফাহ থেকে প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হলেন। উসামাহ্ [রাদি.] তাহাঁর পিছনে উপবিষ্ট ছিলেন। উসামাহ্ [রাদি.] বলেন, তিনি মুযদালিফায় পৌঁছা পর্যন্ত অনবরত চলতে থাকলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭১, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৬৯]
২৯৯৭. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [উরওয়াহ্] বলেন, উসামাহ্ [রাদি.]-কে আমার উপস্থিতিতে জিজ্ঞেস করা হল অথবা [অধঃস্তন রাবীর সন্দেহ] আমি উসামাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তাকে তাহাঁর সওয়ারীর পিছনে বসিয়ে ছিলেন, তখন তিনি কিভাবে চলেছিলেন? তিনি বলিলেন, তিনি ধীর গতিতে সওয়ারী চালালেন, যখন খোলা জায়গা পেলেন, তখন দ্রুতগতিতে হাঁকালেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭২, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭০]
২৯৯৮. হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। হুমায়দের রিওয়ায়াতে আছে, রাবী হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, [আরবি] এর চেয়ে আরো দ্রুত গতিতে চলাকে [আরবি] বলা হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭১]
২৯৯৯. আবু আইয়ূব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার সালাত আদায় করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭২]
৩০০০. ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। ইবনি রুমহ্ তার বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াযীদ আল খাত্বমীর সূত্রে উল্লেখ করিয়াছেন যে, আবু আইয়ূব আল আনসারী [রাদি.] আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাদি.]-এর খিলাফাতকালে কূফার আমীর ছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ]
৩০০১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭৩]
৩০০২. উবায়দুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, তার পিতা বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করিয়াছেন। তিনি এ দুই নামাজের মধ্যে অন্য কোন নামাজ [সুন্নাত বা নাফ্ল] আদায় করেননি। তিনি মাগরিব তিন রাকআত এবং ইশা দুরাকআত আদায় করিয়াছেন।
আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-ও [মুযদালিফায়] অনুরূপভাবে নামাজ আদায় করিতেন এবং এ অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭৪]
৩০০৩. সাঈদ ইবনি যুবায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [মুযদালিফায়] মাগরিব ও ইশার নামাজ এক ইক্বামাতে একই সাথে আদায় করিয়াছেন। এরপর তিনি ইবনি উমর [রাদি.] সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনিও অনুরূপভাবে নামাজ আদায় করিয়াছেন। আর ইবনি উমর [রাদি.] বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অনুরূপ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭৫]
৩০০৪. শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। এতে উল্লেখ আছে, “তিনি একই ইক্বামাতে দু ওয়াক্তের নামাজ আদায় করিয়াছেন।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭৬]
৩০০৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [মুযদালিফায়] মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে [একই সময়ে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন নিয়্যাতে] আদায় করিয়াছেন। তিনি এক ইক্বামাতেই মাগরিবের নামাজ তিন রাকআত এবং ইশার নামাজ দুরাকআত আদায় করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৮০, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭৭]
৩০০৬. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা ইবনি উমর [রাদি.]-এর সাথে [আরাফাহ্ থেকে মুযদালিফায়] এলাম। তিনি আমাদের সাথে মাগরিব ও ইশার নামাজ এক ইক্বামাতে আদায় করেন। নামাজ শেষ করে বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ স্থানে আমাদের নিয়ে এভাবে নামাজ আদায় করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৮১, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৭৮]
Leave a Reply