সমস্ত আরাফার ময়দান ই মাওক্বিফ [অবস্থানস্থল]
সমস্ত আরাফার ময়দান ই মাওক্বিফ [অবস্থানস্থল] >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২০. অধ্যায়ঃ সমস্ত আরাফার ময়দানই মাওক্বিফ [অবস্থানস্থল]
২১. অধ্যায়ঃ আরাফায় অবস্থান এবং আল্লাহ তাআলার বাণী- “অতঃপর তোমরা ফিরে যাও যেখান থেকে মানুষেরা ফিরে যায়”
২০. অধ্যায়ঃ সমস্ত আরাফার ময়দান ই মাওক্বিফ [অবস্থানস্থল]
২৮৪২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তার এ হাদীসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ “আমি এখানে কুরবানী করেছি এবং মিনার গোটা এলাকা কুরবানীর স্থান। অতএব তোমরা যার যার অবস্থানে কুরবানী কর। আর আমি এখানে অবস্থান করছি এবং গোটা আরাফাহ্ই অবস্থানস্থল [মাওক্বিফ], মুযদালিফার সবই অবস্থানস্থল এবং আমি এখানে অবস্থান করছি।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮১৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৮১৭]
২৮৪৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মাক্কায় এসে পৌঁছলেন প্রথমে হাজারে আসওয়াদের নিকট এসে তাতে চুমু খেলেন, অতঃপর ত্বওয়াফ করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮২০, ইসলামিক সেন্টার- ২৮১৮]
২১. অধ্যায়ঃ আরাফায় অবস্থান এবং আল্লাহ তাআলার বাণী- “অতঃপর তোমরা ফিরে যাও যেখান থেকে মানুষেরা ফিরে যায়”
২৮৪৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
কুরায়শগণ এবং তাদের ধর্মের অনুসারীরা [জাহিলী যুগে] মুযদালিফায় অবস্থান করত। তারা নিজেদের নামকরণ করেছিল আল-হুম্স। আর সমস্ত আরববাসীরা আরাফাতে অবস্থান করত। যখন ইসলামের আবির্ভাব হল, আল্লাহ তাআলা তাহাঁর নবী [সাঃআঃ]-কে আরাফায় অবস্থান করার ও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দেন। আল্লাহর বাণীর তাৎপর্যও তাই :
ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ
অতঃপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করিবে”- [সুরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৯৯]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮২১, ইসলামিক সেন্টার- ২৮১৯]
২৮৪৫. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [উরওয়াহ্] বলেন, আল-হুমস্ ব্যতীত সকল আরব উলঙ্গ অবস্থায় বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ করত। কুরায়শ ও তাদের বংশধরগণকে আল-হুমস্ বলা হতো। আরবরা উলঙ্গ অবস্থায়ই ত্বওয়াফ করত। কিন্তু আল-হুমস্ তাদেরকে কাপড় দান করলে স্বতন্ত্র কথা। তাদের পুরুষরা পুরুষদের এবং মহিলারা মহিলাদের কাপড় দান করত। আল-হুমস্ মুযদালিফার বাইরে যেত না, আর সব লোক আরাফায় চলে যেত। হিশাম বলেন, আমার পিতা [উরওয়াহ্] আয়িশা [রাদি.]-এর সূত্রে আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন, আয়েশাহ [রাদি.] বলেছেন, আল হুমস্- যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেছেনঃ
ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ
“অতঃপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে, তোমরাও সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করিবে”- [সুরা আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৯৯]। আয়িশা [রাদি.] বলেন, লোকেরা আরাফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন করত আর আল-হুমস্ মুযদালিফাহ্ থেকে প্রত্যাবর্তন করত। তারা বলত, আমরা কেবলমাত্র হারাম এলাকা থেকেই প্রত্যাবর্তন করব। অতঃপর যখন
أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ
“তোমরা প্রত্যাবর্তন কর- যেখান থেকে লোকেরা প্রত্যাবর্তন করে” আয়াত নাযিল হল, তখন থেকে তারা আরাফায় গেল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮২২, ইসলামিক সেন্টার- ২৮২০]
২৮৪৬. জুবায়র ইবনি মুতইম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমার একটি উট হারিয়ে গেল। আরাফাহ্ দিবসে আমি তাহাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে লোকদের সাথে আরাফায় অবস্থানরত দেখলাম। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! ইনি তো হুমস্-এর অন্তর্ভুক্ত, কী ব্যাপার ইনি এখানে কেন? অথচ কুরায়শদেরকে হুমস্- এর মধ্যে গণ্য করা হতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮২৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৮২১]
Leave a Reply