আযান । আযানের বাক্য গুলো দুবার এবং ইকামতে একবার বলা

আযান

আযান । আযানের বাক্য গুলো দুবার এবং ইকামতে একবার বলা >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ৭, আযান, হাদীস (৬২৬ – ৬৮৭)

১.পরিচ্ছেদঃ আযানের সূচনা
২.পরিচ্ছেদঃ আযানের বাক্যগুলো দুবার বলা
৩.পরিচ্ছেদঃ আযানের তরজীতে{২} আওয়াজ নিচু করা
৪.পরিচ্ছেদঃ আযানের বাক্য সংখ্যা কত
৫.পরিচ্ছেদঃ আযান দেয়ার নিয়ম
৬.পরিচ্ছেদঃ সফরের আযান
৭.পরিচ্ছেদঃ সফর অবস্থায় একা একা নামাজ আদায়কারীর আযান
৮.পরিচ্ছেদঃ আবাসে অন্য লোকের আযান যথেষ্ট হওয়া
৯.পরিচ্ছেদঃ এক মসজিদের জন্য দুজন মুয়াযযিন
১০.পরিচ্ছেদঃ দুই মুয়ায্‌যিন একই সময়ে আযান দিবে, না পৃথক পৃথক আযান দিবে
১১.পরিচ্ছেদঃ নামাজের ওয়াক্তের পূর্বে আযান দেওয়া
১২.পরিচ্ছেদঃ ফজরের আযানের সময়
১৩.পরিচ্ছেদঃ আযান দেওয়ার সময় মুয়ায্‌যিন কি করিবে
১৪.পরিচ্ছেদঃ উচ্চস্বরে আযান দেয়া
১৫.পরিচ্ছেদঃ ফজরের আযানে আস-সালাতু খাইরুম মিনান্নাউম বর্ধিত করা
১৬.পরিচ্ছেদঃ আযানের শেষ বাক্য
১৭.পরিচ্ছেদঃ বৃষ্টির রাতে জামাআতে উপস্থিত না হয়ে অন্যত্র নামাজ আদায় করলে আযান দেয়া
১৮.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুই নামাজ একত্রে আদায় করিবে, তার আযান প্রথম নামাজের সময়
১৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্ত নামাজ একত্রে প্রথম নামাজের সময় আতিবাহিত হওয়ার পর পড়বে, তার আযান
২০.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্ত নামাজ একত্রে পড়বে তার ইকামত
২১.পরিচ্ছেদঃ কাযা নামাজের আযান
২২.পরিচ্ছেদঃ নির্ধারিত সময়ের ও কাযা নামাজের জন্য একই আযান যথেষ্ট, তবে প্রত্যেক নামাজের জন্য পৃথক ইকামত বলা
২৩.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক নামাজের জন্য ইকামত যথেষ্ট হওয়া
২৪.পরিচ্ছেদঃ নামাজের কোন রাকআত ভুলে গেলে ইকামত বলা
২৫.পরিচ্ছেদঃ রাখালের আযান দেয়া
২৬.পরিচ্ছেদঃ একা নামাজ আদায়কারীর আযান
২৭.পরিচ্ছেদঃ একা নামাজ আদায়কারীর ইকামত
২৮.পরিচ্ছেদঃ ইকামত কিভাবে দিবে
২৯.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের জন্য ইকামত বলা
৩০.পরিচ্ছেদঃ আযান দেওয়ার ফযীলত
৩১.পরিচ্ছেদঃ আযানের জন্য লটারী
৩২.পরিচ্ছেদঃ এমন ব্যক্তিকে মুয়ায্‌যিন বানানো, যে আযানের পারিশ্রমিক গ্রহণ করে না
৩৩.পরিচ্ছেদঃ মুয়ায্‌যিন আযানে যে শব্দ উচ্চারণ করে, শ্রোতারও সে শব্দ উচ্চারণ করা
৩৪.পরিচ্ছেদঃ আযানের জবাব দেয়ার সওয়াব
৩৫.পরিচ্ছেদঃ মুয়াযযিনের অনুরূপ শাহাদাতের বাক্য বলা
৩৬.পরিচ্ছেদঃ মুয়াজ্জিন যখন [আরবি] বলবেন, শ্রবণকারী কি বলবেন
৩৭.পরিচ্ছেদঃ আযানের পর নাবী [সাঃআঃ]-এর উপর দরূদ পড়া
৩৮.পরিচ্ছেদঃ আযানের দোয়া
৩৯.পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ
৪০.পরিচ্ছেদঃ আযানের পর মসজিদ হইতে বাইরে না যাওয়ার হুকুম
৪১.পরিচ্ছেদঃ নামাজ আরম্ভ হওয়ার সময় মুয়ায্যিন কর্তৃক ঈমামকে অবহিত করা
৪১.পরিচ্ছেদঃ ঈমাম বের হওয়ার সময় মুয়াযযিন কর্তৃক ইকামত বলা

১.পরিচ্ছেদঃ আযানের সূচনা

৬২৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃমুসলিমগণ যখন মদীনায় আগমন করেন, তারা একত্র হয়ে নামাজের সময় নির্ধারণ করে নিতেন, কিন্তু কেউ নামাজের জন্য আহবান করিতেন না। তাই একদিন তাঁরা এ ব্যাপারে আলোচনায় বসলেন। কেউ কেউ বলিলেন ঃনাসারাদের ঘন্টার মত ঘন্টা ব্যবহার করুন। আর কেউ কেউ বলিলেন ঃবরং ইয়াহূদীদের শিংগার মত শিংগা ব্যবহার করা হোক। উমর [রাঃআঃ] বলিলেন ঃআপনারা কি একজন লোক পাঠাতে পারেন না, যে নামাজের আহবান জানাবে? তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃহে বিলাল, উঠ এবং নামাজের আহবান জানাও।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২.পরিচ্ছেদঃ আযানের বাক্যগুলো দুবার বলা

৬২৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিলাল [রাঃআঃ]-কে আযান [এর বাক্যগুলো] দুবার করে বলার এবং ইকামত [-এর বাক্যগুলো] একবার করে বলার নির্দেশ দেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬২৮. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে আযান [-এর বাক্যগুলো] দু দুবার এবং ইকামত [-এর বাক্যগুলো] একবার করে ছিল। তবে তুমি

 قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ

ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ, ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ

[দুবার] করে বলবে। {১}

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩.পরিচ্ছেদঃ আযানের তরজীতে{২} আওয়াজ নিচু করা

৬২৯. আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] তাঁকে [সামনে] বসালেন এবং তাঁকে এক-একটি শব্দ করে আযান শিখিয়ে দেন। ইবরাহীম বলেন ঃতা আমাদের এ আযানের ন্যায়। আমি তাঁকে বললাম

 اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ  اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ,

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ,

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ مَرَّتَيْنِ،

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আমার নিকট পুনরাবৃত্তি করুন।

তিনি তখন বলিলেন ঃ[আরবি] – দুবার। [আরবি] দুবার, [আরবি] দুবার, [আরবি] দুবার, [আরবি] দুবার, তারপর [আরবি]

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৪.পরিচ্ছেদঃ আযানের বাক্য সংখ্যা কত

৬৩০. আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে আযানের উনিশটি এবং ইকামতের সতেরটি বাক্য শিখিয়েছেন। এরপর আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] উনিশটি ও সতেরটি বাক্য গণনা করিলেন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৫.পরিচ্ছেদঃ আযান দেয়ার নিয়ম

৬৩১. আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে আযান শিক্ষা দেন এবং বলেন

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ.

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.

আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ;

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ

তারপর আবার বলেন

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ;

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ,

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ. حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ.

হাইয়্যাআলাস সালাহ, হাইয়্যাআলাস সালাহ। হাইয়্যাআলাস সালাহ, হাইয়্যাআলাস সালাহ।

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ. حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ.

হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ,

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ.

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৬৩২. আবদুল আযীয ইবনি আবদুল মালিক ইবনি আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আবদুল্লাহ ইবনি মুহাইরীয [রাঃআঃ] তাহাঁর নিকট বর্ণনা করেন, “তিনি ইয়াতীম ছিলেন এবং আবু মাহযূরার [রাঃআঃ] নিকট লালিত হন এবং তিনি তাঁকে সিরিয়ায় এক সফরে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বলেন ঃআমি আবু মাহযূরা [রাঃআঃ]-কে বললাম আমি সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা হচ্ছি। ভয় পাচ্ছি আপনার আযান দেয়া সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হইবে। রাবী আবদুর আযীয বলেন ঃইবনি মুহাইরীয আমাকে বলেন যে, আবু মাহযূরা তখন তাঁকে বলেছেন ঃআমি একটি দলের সাথে বের হলাম। আমরা হুনায়নের কোন একটি পথে গিয়ে উপনীত হলাম, যা ছিল রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হুনায়ন অভিযান হইতে ফেরার সময়। রাস্তায় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাত হল। এ সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুয়ায্‌যিন তাহাঁর অদুরে নামাজের আযান দিলেন। আমরা আযানের ধ্বনি শুনলাম, তখন আমরা ইসলাম থেকে বিমুখ ছিলাম। তাই আমরা আযানের অনুকরণ ও তা নিয়ে ঠাট্টা করছিলাম। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সে আওয়াজ শুনলেন এবং আমাদের ডেকে পাঠালেন। অবশেষে আমরা [ধৃত হয়ে] তাহাঁর সামনে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিজ্ঞাসা করিলেন, আমি যার ধ্বনি শুনিয়াছিলাম সে কে? লোকেরা আমার দিকে ইশারা করিল এবং তাঁরা প্রত্যায়ন করিল। তারপর তিনি সকলকে ছেড়ে দিলেন এবং আমাকে আটকিয়ে রাখলেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন ঃদাঁড়াও নামাজের আযান দাও। আমি দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্বয়ং আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন, তিনি বলিলেন ঃবল !

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ;

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ,

তারপর বলিলেন ঃপুনরায় দীর্ঘ স্বরে বল। তারপর তিনি বলেন

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ;

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ,

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ

হাইয়্যাআলাস সালাহ, হাইয়্যাআলাস সালাহ। হাইয়্যাআলাস সালাহ, হাইয়্যাআলাস সালাহ

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ,

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

আমি আযান দেয়া শেষ করলে তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে একটি থলে দান করিলেন। যাতে ছিল কিছু রৌপ্য। তখন আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে মক্কায় আযান দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করুন। উত্তরে তিনি বলেনঃহ্যাঁ, তোমাকে মক্কায় আযান দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কর্তৃক নিযুক্ত মক্কার আমীর আত্তাব ইবনি আসীদ [রাঃআঃ]-এর সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নির্দেশ অনুযায়ী তাহাঁর সঙ্গে আযান দিতে থাকি।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৬.পরিচ্ছেদঃ সফরের আযান

৬৩৩. আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন হুনায়ন থেকে বের হলেন, আমি মক্কাবাসী দশ ব্যক্তির অন্যতম হয়ে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর দলের খোঁজে বের হলাম। আমরা তাঁদেরকে নামাজের আযান দিতে শুনলাম। আমরা বিদ্রূপ সহকারে তাঁদের আযানের অনুকরণ করিতে লাগলাম। তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, “আমি তাহাদের মধ্যে মধুর কণ্ঠস্বর বিশিষ্ট এমন একজনের আওয়াজ শুনিয়াছি।” তখন তিনি আমাদের ডেকে পাঠালেন। তারপর আমরা সকলেই এক একজন করে আযান দিলাম। সর্বশেষ ছিলাম আমি। আমি আযান দেয়ার পর বলিলেন, আস, তারপর আমাকে তাহাঁর সামনে বসালেন এবং আমার কপালে হাত বুলিয়ে তিনবার বরকতের দোয়া করিলেন। তারপর বলিলেন, যাও, মসজিদে হারামে আযান দাও। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! কিভাবে দেব ? তখন তিনি আমাদের আযান শিক্ষা দিলেন যেরূপ তোমরা এখন আযান দিচ্ছো

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ.

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ.

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ.

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ. حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

তিনি ফজরের আযানে……

الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ

আসসলাতু খাইরুম মিনান-নাওম

দুবার বলা শিক্ষা দেন।

তিনি আমাকে ইকামত শিক্ষা দেন ঃদুবার করে

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার,

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ,

أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ،

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ,

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ

হাইয়্যাআলাস সালাহ, হাইয়্যাআলাস সালাহ।

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ,

قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ

কদ-কামাতিস সালাহ, কদ-কামাতিস সালাহ

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

ইবনি জুরায়জ বলেন ঃউসমান [রহঃ] এ পুরো হাদিসটি তাহাঁর পিতা এবং উম্মু আবদুল মালিক ইবনি আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] থেকে। আর তাঁরা উভয়ে আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] থেকে শুনেছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৭.পরিচ্ছেদঃ সফর অবস্থায় একা একা নামাজ আদায়কারীর আযান

৬৩৪. মালিক ইবনি হুওয়ায়রিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃএকবার আমি এবং আমার চাচাত ভাই [কখনো বলেছেন আমি এবং আমার সাথী] নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসলাম। তিনি বলিলেন ঃতোমরা দুজন যখন সফরে যাবে, আযান দিবে এবং ইকামত দিবে, তারপর তোমাদের যে বড় সে ঈমামতি করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৮.পরিচ্ছেদঃ আবাসে অন্য লোকের আযান যথেষ্ট হওয়া

৬৩৫. মালিক ইবনি হুওয়ায়রিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমরা [কয়েকজন] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন আমরা সবাই ছিলাম যুবক ও কাছাকাছি বয়সের। আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর খেদমতে বিশ দিন অবস্থান করি। তিনি অত্যন্ত দয়াশীল ও বিনম্র চিত্তের ছিলেন। তাহাঁর ধারণা হয়ে থাকিবে যে, আমরা বাড়িতে যেতে আগ্রহী। তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করিলেন ঃবাড়িতে কাদের রেখে এসেছো? আমরা তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি বলিলেন ঃতোমরা তোমাদের বাড়িতে চলে যাও এবং তোমাদের পরিজনদের মধ্যে থাক। তাহাদের [দীন] শিক্ষা দাও এবং তাহাদের [সৎকাজের] আদেশ দাও। যখন নামাজের সময় উপস্থিত হয় তখন যেন তোমাদের কোন একজন আযান দেয় এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে নামাজের ঈমামতি করে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৩৬. আমর ইবনি সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

[আইয়্যুব বলেন] আবু কিলাবা [রাঃআঃ] আমাকে বলেছেন যে, আমর ইবনি সালামা [রাঃআঃ] এখনও জীবিত আছেন, আপনি এখনো তাহাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেন না কেন? আইয়্যুব বলেন ঃআমি গিয়ে তাহাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন ঃমক্কা বিজয়ের পর প্রতেক গোত্রই দ্রুত ইসলাম কবুল করিতে আরম্ভ করে। আমাদের গোত্রের সকলের পক্ষ থেকে আমার পিতা ইসলাম কবুল করার জন্য যান। তাহাঁর প্রত্যাবর্তনের সময় আমরা তাকে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করি। তখন তিনি বলেন ঃআল্লাহর শপথ ! আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট থেকে তোমাদের কাছে এসেছি। তিনি বলিলেন ঃঅমুক নামাজ অমুক সময়ে আদায় করিবে এবং যখন নামাজের সময় উপস্থিত হইবে, তোমাদের মধ্যে একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যার কুরআন বেশি জানা আছে, সে ঈমামতি করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৯.পরিচ্ছেদঃ এক মসজিদের জন্য দুজন মুয়াযযিন

৬৩৭. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃবিলাল [রাঃআঃ] রাত থাকতে আযান দেয় সুতরাং ইবনি উম্মে মাকতূমের আযান না শোনা পর্যন্ত তোমরা পানাহার করিতে পার।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৬৩৮. সালেম [রহঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন ঃবিলাল [রাঃআঃ] রাত থাকতে আযান দেয়। সুতরাং ইবনি উম্মে মাকতূমের আযান না শোনা পর্যন্ত তোমরা পানাহার করিতে পার।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১০.পরিচ্ছেদঃ দুই মুয়ায্‌যিন একই সময়ে আযান দিবে, না পৃথক পৃথক আযান দিবে

৬৩৯. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃতিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃযখন বিলাল [রাঃআঃ] আযান দেয়, তখন থেকে ইবনি উম্মে মাকতূমের আযান পর্যন্ত তোমরা পানাহার করিবে। আয়িশাহ [রাঃআঃ] বলেন ঃদুই আযানের মধ্যে খুব বেশি ব্যবধান হত না। একজন আযান দিয়ে নেমে আসত, অন্যজন আযান দিতে উঠত।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৪০. উনায়সা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃযখন ইবনি উম্মে মাকতূম [রাঃআঃ] আযান দেয়, তখন তোমরা পানাহার কর এবং যখন বিলাল [রাঃআঃ] আযান দেয়, তখন আর পানাহার করিবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১.পরিচ্ছেদঃ নামাজের ওয়াক্তের পূর্বে আযান দেওয়া

৬৪১. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ঃবিলাল রাতে তোমাদের ঘুমন্ত লোকদের জাগানোর জন্য এবং নামাজরত লোকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আযান দেন। তিনি ইশারায় বোঝালেন যে, সুবহে কাযিবের প্রকাশে ফজর হয় না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২.পরিচ্ছেদঃ ফজরের আযানের সময়

৬৪২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে ফজরের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিলাল [রাঃআঃ]-কে আযান দিতে আদেশ করিলেন। বিলাল [রাঃআঃ] প্রভাত হওয়ার [সুবেহে সাদিকের প্রারম্ভে] সাথে সাথে আযান দিলেন। পরবর্তী দিন ভোর ফর্সা হওয়া পর্যন্ত তিনি ফজরের নামাজে বিলম্ব করিলেন। এরপর বিলাল [রাঃআঃ]-কে ইকামত বলার নির্দেশ দিলেন। বিলাল [রাঃআঃ] ইকামত দিলেন এবং তিনি নামাজ আদায় করিলেন। তারপর বলিলেন ঃএটাই ফজরের নামাজের সময়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৩.পরিচ্ছেদঃ আযান দেওয়ার সময় মুয়ায্‌যিন কি করিবে

৬৪৩. আবু জুহায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেছেন ঃআমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন বিলাল [রাঃআঃ] বের হলেন এবং আযান দিলেন। তিনি আযান দেয়ার সময় ডানদিকে এবং বামদিকে এভাবে মুখ ফিরালেন। {১}

{১} [আরবি] বলার সময় ডানদিকে এবং [আরবি] বলার সময় বামদিকে মুখ ফিরাতেন।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪.পরিচ্ছেদঃ উচ্চস্বরে আযান দেয়া

৬৪৪. আবদুল্লাহ ইবনি আবদূর রহমান ইবনি আবু সাসাআ আনসারী আল-মাযিনী [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি তাঁকে বলেছেন, আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] তাঁকে বলেছেন ঃআমি তোমাকে দেখি তুমি বকরী চরাতে এবং ময়দানে থাকতে ভালবাসো, যখন তুমি তোমার বকরীর পালের নিকট ময়দানে থাক এবং নামাজের জন্য আযান দাও, তখন উচ্চস্বরে আযান দিবে। কেননা মুয়ায্‌যিনের আওয়াজ যে পর্যন্ত পৌঁছাবে, কিয়ামতের দিন ঐ স্থানের সকল জিন, মানুষ এবং প্রতিটি বস্তু তাহাঁর জন্য সাক্ষ্য প্রদান করিবে। আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] বলেন ঃআমি এটা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট থেকে শুনিয়াছি।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৪৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, মুয়ায্‌যিনের আওয়াজের দূরত্ব পরিমাণ করে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হইবে এবং প্রত্যেক শুষ্ক ও আর্দ্র জিনিস [অর্থাৎ জীবন্ত ও মৃত প্রত্যেক জিনিস] তার [ঈমানের] পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৪৬. বারা ইব্‌নে আযিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী কারীম [সাঃআঃ] বলেছেন ঃনিশ্চয়ই আল্লাহ প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাহাঁর ফেরেশতাগণও তাহাদের জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করেন এবং মুয়ায্‌যিনকে তার আওয়াজের দূরত্ব পরিমান ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং যে সব শুস্ক ও আদ্র জিনিস তার শব্দ শোনে, তারা তাকে সত্যবাদী বলে ঘোষনা দেয় এবং তাকে তার সাথে নামাজ আদায়কারীদের সমপরিমান পুরস্কার দেওয়া হয়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৫.পরিচ্ছেদঃ ফজরের আযানে আস-সালাতু খাইরুম মিনান্নাউম বর্ধিত করা

৬৪৭. আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর মুয়ায্‌যিন ছিলাম। আমি ফজরের প্রথম আযানে {১} [আরবি] এর পরে বলতামঃ

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ.

হাইয়্যাআলাল ফালাহ, হাইয়্যাআলাল ফালাহ,

الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ. الصَّلَاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ.

আসসলাতু খাইরুম মিনান-নাওম, আসসলাতু খাইরুম মিনান-নাওম

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ.

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

{১} প্রথম আযান দ্বারা আযান উদ্দেশ্য ; ইকামতকে দ্বিতীয় আযান বলে। -অনুবাদক।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৪৮. ইয়াহইয়া ও আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

সুফিয়ান এই সনদে অনুরুপ হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। আবু আবদুর রহমান [রহঃ] বলেন ঃএ সনদে উল্লিখিত আবু জাফর আবু জাফর ফাররা নন।

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

১৬.পরিচ্ছেদঃ আযানের শেষ বাক্য

৬৪৯. বিলাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি আযানের শেষ বাক্যগুলো এরূপ বলিতেন

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ 

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৫০. আসওয়াদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃবিলাল [রাঃআঃ]-এর আযানের শেষ বাক্যগুলো ছিল

اللَّهُ أَكْبَرُ. اللَّهُ أَكْبَرُ. لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৫১. আসওয়াদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

অর্থাৎ বিলাল [রাঃআঃ]-এর আযানের শেষ বাক্য ছিল ঃ

[আরবি]

হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৬৫২. আবু মাহযূরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন বিলাল [রাঃআঃ]-এর আযানের শেষবাক্য

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৭.পরিচ্ছেদঃ বৃষ্টির রাতে জামাআতে উপস্থিত না হয়ে অন্যত্র নামাজ আদায় করলে আযান দেয়া

৬৫৩. আমর ইবনি আওস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমার নিকট সাকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি সফর অবস্থায় বর্ষার এক রাতে নাবী [সাঃআঃ] এর ঘোষককে বলিতে শুনেছেন

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ. حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ. صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ

হাইয়্যা আলাস্ সলা-হ , হাইয়্যা আলাল ফালা-হ, সাল্লু ফি রিহালিকুম

…“সকলেই আপন আপন স্থানে নামাজ আদায় করে নিন।”

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৫৪. নাফে [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] এক রাতে নামাজের জন্য আযান দেন। সে রাতে খুব ঠান্ডা পড়েছিল ও প্রচন্ড বাতাস বইছিল। তিনি আযানে বলেন ঃ[আর-বি.] “সকলেই আপন আপন স্থানে নামাজ আদায় করে নিন।” কেননা ঠান্ডা ও বৃষ্টির রাতে নাবী [সাঃআঃ] মুয়ায্‌যিনকে এই কথা ঘোষোণা করিতে নির্দেশ দিতেন যে, সকলেই আপন আপন স্থানে নামাজ আদায় করে নিন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৮.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুই নামাজ একত্রে আদায় করিবে, তার আযান প্রথম নামাজের সময়

৬৫৫. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চলতে থাকলেন এবং আরাফায় পৌছলেন। সেখানে পৌছে দেখলেন যে, নামীরা নামক স্থানে তাহাঁর জন্য তাবু স্থাপন করা হয়েছে। তিনি সেখানে অবতরন করিলেন। যখন সূর্য ঢলে পড়ল, কাসওয়া নামক উষ্ট্রীর পিঠে হাওদা স্থাপন করার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি বাত্‌ন-ই ওয়াদিতে পৌছার পর লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষন দিলেন। তারপর বিলাল [রাঃআঃ] আযান দিলেন এবং ইকামত বলিলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যোহরের নামাজ আদায় করিলেন। পুনরায় বিলাল [রাঃআঃ] ইকামত বললে তিনি আসরের নামাজ আদায় করিলেন। আর এ দুই নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে কোন নামাজ আদায় করিলেন না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্ত নামাজ একত্রে প্রথম নামাজের সময় আতিবাহিত হওয়ার পর পড়বে, তার আযান

৬৫৬. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চলতে চলতে মুযদালিফায় পৌঁছলেন। সেখানে এক আযান ও দুই একামতের সাথে মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করিলেন। এ দুয়ের মধ্যবর্তী সময় কোন নামাজ আদায় করেন নি।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৫৭. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমরা আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] এর সঙ্গে মুযদালিফায় ছিলাম। যখন আযান ও ইকামত দেয়া হয়, তখন তিনি আমাদের নিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।তারপর তিনি বলেন ঃ[আবার] নামাজ আদায় কর এবং তিনি আমাদের নিয়ে ইশার দুই রাকআত নামাজ আদায় করেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ কোন নামাজ ? তিনি বলিলেন ঃআমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সঙ্গে এস্থানে এরূপেই নামাজ আদায় করেছি।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

২০.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্ত নামাজ একত্রে পড়বে তার ইকামত

৬৫৮. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি মুযদালিফায় এক ইকামতের সাথে মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করেন এবং আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও এরূপ করিয়াছেন এবং আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] বর্ণনা করেন যে, নাবী [সাঃআঃ]-ও এরূপ করিয়াছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ শায

৬৫৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি মুযদালিফায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সঙ্গে এক ইকামতে দুই নামাজ আদায় করিয়াছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৬৬০. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] মুযদালিফায় দু নামাজ একত্রে আদায় করিয়াছেন এবং দু নামাজই তিনি এক ইকামতসহ আদায় করেন এবং দু নামাজের কোন নামাজেরই পূর্বে বা পরে কোন নফল নামাজ আদায় করেন নি।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২১.পরিচ্ছেদঃ কাযা নামাজের আযান

৬৬১. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃখন্দকের যুদ্ধের দিন মুশরিকরা আমাদেরকে যোহরের নামাজ থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত বিরত রেখেছিল। এটা যুদ্ধের সময় সালাতুল খওফ সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। তারপর আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন ঃ

وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ

“যুদ্ধে মুমিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।” [৩৩ ঃ২৫]

তারপর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিলাল [রাঃআঃ]-কে ইকামত দেওয়ার আদেশ করেন। তিনি যোহরের নামাজের ইকামত দেন। নাবী [সাঃআঃ] নামাজের আসল ওয়াক্তে আদায় করার ন্যায় যোহরের কাযা নামাজ আদায় করেন। পরে আসরের জন্য ইকামত বলা হয়। নাবী [সাঃআঃ] তখন নামাজের আসল ওয়াক্তে আদায় করার ন্যায় আসরের কাযা নামাজ আদায় করেন। তারপর মাগরিবের আযান দেয়া হয় এবং তা নির্ধারিত সময়ে আদায় করার ন্যায় আদায় করেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২.পরিচ্ছেদঃ নির্ধারিত সময়ের ও কাযা নামাজের জন্য একই আযান যথেষ্ট, তবে প্রত্যেক নামাজের জন্য পৃথক ইকামত বলা

৬৬২. আবু উবায়্‌দা [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] বলেছেন যে, খন্দকের যুদ্ধের দিন মুশরিকরা নাবী [সাঃআঃ]-কে চার ওয়াক্ত নামাজ হইতে বিরত রেখেছিল। পরে তিনি বিলাল [রাঃআঃ]-কে আযান দেওয়ার নির্দেশ দেন, বিলাল [রাঃআঃ] আযান দেন, পরে ইকামত দেন। নাবী [সাঃআঃ] যোহরের নামাজ আদায় করেন। পুনরায় ইকামত দেন এবং আসরের নামাজ আদায় করেন। পুনরায় ইকামত বলা হয় ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। আবার ইকামত বলা হয় এবং তিনি ইশার নামাজ আদায় করেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২৩.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক নামাজের জন্য ইকামত যথেষ্ট হওয়া

৬৬৩. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমরা একটি যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম, মুশরিকরা আমাদেরকে যোহর, আসর, মাগরিব, ও ইশার নামাজ আদায় করিতে সুযোগ দেয়নি। যখন তারা চলে গেল, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুয়ায্‌যিনকে আযান দেয়ার নির্দেশ দিলেন। তারপর যোহরের নামাজের জন্য ইকামত বলা হলে আমরা নামাজ আদায় করলাম। আবার আসরের নামাজের জন্য ইকামত বলা হলে আমরা নামাজ আদায় করলাম। পরে মাগরিবের জন্য ইকামত বলা হলে আমরা নামাজ আদায় করলাম। পুনরায় ইশার নামাজের ইকামত বলা হয় এবং আমরা নামাজ আদায় করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের প্রতি লক্ষ্য করে বলিলেন ঃএখন যমীনের উপর তোমরা ব্যতীত এমন কোন দল নেই যারা আল্লাহ তাআলার যিকির করছে।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৪.পরিচ্ছেদঃ নামাজের কোন রাকআত ভুলে গেলে ইকামত বলা

৬৬৪. মুআবিয়া ইবনি খুদায়জ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

একদিন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজ আদায় করেন এবং সালাম ফিরান। কিন্তু এক রাকআত নামাজ তাহাঁর বাকী রয়ে গিয়েছিল [অর্থাৎ এক রাকআত বাকী থাকতেই ভুলে সালাম ফিরান]। এক ব্যক্তি তা স্মরণ করিয়ে দিলেন এবং বলিলেন, আপনি এক রাকআত নামাজ ভুলে গিয়েছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মসজিদে প্রবেশ করেন এবং বিলাল [রাঃআঃ]-কে ইকামত দিতে বলেন। বিলাল [রাঃআঃ] ইকামত বলিলেন। তিনি লোকদের নিয়ে এক রাকআত নামাজ আদায় করেন। আমি যখন এ ঘটনা লোকদের নিকট বর্ণনা করি, তখন তারা আমাকে বলিল, আপনি কি লোকটিকে চেনেন ? আমি বললাম, না, তাঁকে আমি চিনি না। তবে তাঁকে দেখলে চিনতে পারবো। সে ব্যক্তি আমার সামনে আসল, আমি বললাম, ইনিই সেই লোক। লোকেরা বলিল, ইনি হলেন তালহা ইবনি উবায়দুল্লাহ [রাঃআঃ]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৫.পরিচ্ছেদঃ রাখালের আযান দেয়া

৬৬৫. আবদুল্লাহ ইবনি রুবায়্যিআ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে একবার সফরে ছিলেন এবং এক ব্যক্তির আযানের শব্দ শুনতে পেলেন। নিয়মানুযায়ী তিনি উত্তরে মুয়ায্‌যিনের অনুরুপ বাক্য বলিলেন। তারপর বলেন যে, এ ব্যক্তি কোন রাখাল বা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি হইবে। তারপর তাঁরা লক্ষ্য করে দেখলেন যে, সে একজন রাখাল।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৬.পরিচ্ছেদঃ একা নামাজ আদায়কারীর আযান

৬৬৬. উকবা ইবনি আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তোমার রব সে ব্যক্তির উপর খুশি হন, যে পাহাড়ের উচ্চ শৃঙ্গে বকর চরায় এবং নামাজের জন্য আযান দেয় ও নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তা’আলা বলেন ঃতোমরা আমার এ বান্দাকে দেখ, সে আযান দিচ্ছে এবং নামাজ কায়েম করছে ও আমাকে ভয় করছে। আমি আমার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম।”

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৭.পরিচ্ছেদঃ একা নামাজ আদায়কারীর ইকামত

৬৬৭. রিফা’আ ইবনি রাফি [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজের কাতারে বসা ছিলেন এমন সময় ………. আল-হাদিস।

সহীহ। সহীহ আবু দাউদ হা. ৮০৭

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৮.পরিচ্ছেদঃ ইকামত কিভাবে দিবে

৬৬৮. আবুল মুসান্না [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ]-কে আযান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে আযানের শব্দগুলো দু-দুবার এবং ইকামতের শব্দগুলো এক-একবার বলা হতো। কিন্তু তুমি যখন

قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ

ক্বাদকা- মাতিস সালা-হ

বলবে [তখন দু’বার বলবে]। কারণ নাবী করীম [সাঃআঃ]-এর মুয়ায্‌যিন দু’বার বলিতেন। আমরা যখন [আর-বি.] বলার আওয়াজ শুনতাম, তখন উযূ করতাম এবং নামাজের জন্য বের হতাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৯.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের জন্য ইকামত বলা

৬৬৯. মালিক ইবনি হুয়ায়রিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এবং আমার এক সাথীকে বলিলেন ঃযখন নামাজের সময় হইবে তখন তোমাদের মধ্যে একজন আযান দেবে [অন্যজন আযানের জবাব দেবে]। পরে একজন ইকামত দেবে এবং যে তোমাদের মধ্যে বড় সে ঈমামতি করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০.পরিচ্ছেদঃ আযান দেওয়ার ফযীলত

৬৭০. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেন ঃযখন নামাজের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান সশব্দে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পালায় যাতে আযানের আওয়াজ না শোনে। আযান শেষ হলে সে আবার আসে। তারপর নামাজের জন্য ইকামত আরম্ভ হলে সে আবার পালায়। ইকামত বলা শেষ হলে পুনরায় উপস্থিত হয়ে মুসল্লীদের মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং যে সকল বিষয় তার স্মরণ ছিল না সে সকল বিষয়ে সে বলিতে থাকে, অমুক বিষয় স্মরণ কর, অমুক বিষয় স্মরণ কর। অবশেষে সে ব্যক্তি এরূপ হয়ে যায় যে, সে বলিতে পারে না কত রাকাআত নামাজ আদায় করেছে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩১.পরিচ্ছেদঃ আযানের জন্য লটারী

৬৭১. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঃবলেছেন ঃমানুষ যদি জানত, আযান দেয়া এবং নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে কি ফযীলত রহিয়াছে, তবে তা পাবার জন্য লটারী ছাড়া উপায় না থাকলে তারা তার জন্য লটারী করত। আর তারা যদি জানত যে, দ্বি-প্রহরের [যোহর ও জুম’আ] নামাজের প্রথম সময়ে গমনে কি রহিয়াছে, তবে তার দিকে দ্রুতগতিতে ধাবিত হত। আর তারা যদি জানত ইশা ও ফজরের নামাজে কি রহিয়াছে, তাহলে উভয় নামাজের জন্য অবশ্যই হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উপস্থিত হত।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩২.পরিচ্ছেদঃ এমন ব্যক্তিকে মুয়ায্‌যিন বানানো, যে আযানের পারিশ্রমিক গ্রহণ করে না

৬৭২. উসমান ইবনি আবুল আস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি আবেদন করলাম ঃইয়া রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] ! আপনি আমাকে আমার কওমের ঈমাম বানিয়ে দিন। তিনি বলিলেন, [ঠিক আছে যাও] তুমি তাহাদের ঈমাম। তবে তাহাদের দুর্বল লোকদের প্রতি লক্ষ্য রাখবে [নামাজ দীর্ঘ করায় তাহাদের যেন কষ্ট না হয়] এবং যে ব্যক্তি আযানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করে না, তাকে মুয়ায্‌যিন নিযুক্ত করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৩.পরিচ্ছেদঃ মুয়ায্‌যিন আযানে যে শব্দ উচ্চারণ করে, শ্রোতারও সে শব্দ উচ্চারণ করা

৬৭৩. আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন ঃযখন তোমরা আযানের শব্দ শুনবে, তখন [উত্তরে] মুয়ায্‌যিন যা বলবে তার অনুরূপ বলবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৪.পরিচ্ছেদঃ আযানের জবাব দেয়ার সওয়াব

৬৭৪. আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেনঃআমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট ছিলাম। এমন সময় বিলাল [রাঃআঃ] আযান দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। তিনি আযান শেষ করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন ঃযে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এর অনুরূপ বলবে [আযানের জবাব দিবে], সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৫.পরিচ্ছেদঃ মুয়াযযিনের অনুরূপ শাহাদাতের বাক্য বলা

৬৭৫. মুহাম্মদ ইবনি ইয়াহইয়া আনসারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি আবু উমামা ইবনি সাহল ইবনি হুনায়ফ [রাঃআঃ]-এর নিকট বসা ছিলাম। এ সময় মুয়ায্‌যিন আযান দিলেন। মুয়াযযিন দুবার [আরবি] বলিলেন, তিনিও দু’বার বলিলেন। মুয়ায্‌যিন [আরবি] বলিলেন, তিনিও দুবার বলিলেন। মুয়াযযিন [আরবি] বলিলেন, তিনিও দুবার বলিলেন। তারপর তিনি বলিলেন, মুআবিয়া ইবনি আবু সুফিয়ান [রাঃআঃ] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট থেকে আমাকে এরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৭৬. আবু উমামা ইবনি সাহল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি মুআবিয়া [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মুয়ায্‌যিনের আযান শুনতেন, তখন তাকে মুয়ায্‌যিনের অনুরূপ বলিতে শুনিয়াছি।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৩৬.পরিচ্ছেদঃ মুয়াজ্জিন যখন [আরবি] বলবেন, শ্রবণকারী কি বলবেন

৬৭৭. আলকামা ইবনি ওয়াক্কাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি মুআবিয়া [রাঃআঃ]-এর নিকট ছিলাম। যখন তাহাঁর মুয়ায্‌যিন আযান দিলেন তখন মু’আবিয়া [রাঃআঃ] সে বাক্যগুলো বলিলেন, যেগুলো মুয়ায্‌যিন বলছিলেন। মুয়ায্‌যিন যখন বলিলেন ঃ

حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ

হাইয়্যা আলাস্ সলা-হ

তখন তিনি বলিলেনঃ

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

লা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

মুয়ায্‌যিন যখন

حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ

হাইয়্যা আলাল ফালা-হ

বলিলেন, তিনি বলিলেন

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّ

লা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

তারপর মুয়ায্‌যিন যে বাক্য বলিলেন, তিনিও সে বাক্য বলিলেন। তারপর বলিলেন ঃআমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এরূপ বলিতে শুনিয়াছি।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৭.পরিচ্ছেদঃ আযানের পর নাবী [সাঃআঃ]-এর উপর দরূদ পড়া

৬৭৮. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃআমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তোমরা যখন মুয়ায্‌যিনকে আযান দিতে শোন, তখন মুয়ায্‌যিন যা বলে তোমরাও তা বলবে এবং আমার উপর দরূদ পাঠ করিবে। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ দশবার তার উপর রহমত প্রেরণ করেন। তারপর আল্লাহর কাছে আমার জন্য ওসীলা সওয়াল করিবে, কেননা ওসীলা জান্নাতের একটি মনযিল। আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে একজন ব্যতীত আর কেউ এর যোগ্য হইবে না। আশা করি আমি হব সেই ব্যক্তি। অতএব যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসীলা চাইবে, সে আমার সুপারিশের অধিকারী হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৮.পরিচ্ছেদঃ আযানের দোয়া

৬৭৯. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেছেন ঃযে ব্যক্তি মুয়ায্‌যিনকে [আরবি] বলিতে শোনে এবং তখন বলে ঃ[আর-বি.]

“আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং তিনি এক, তাহাঁর কোন শরীক নেই। মুহাম্মদ [সাঃআঃ] তার বান্দা ও রাসূল। আমি স্বতস্ফূর্তভাবে আল্লাহকে রব, ইসলামকে আমার দীন, মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-কে রাসূল মেনে নিয়েছি-” তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হইবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৮০. জারির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃযে ব্যক্তি আযান শুনে এই দোয়া পড়বে ঃ

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ. آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ الَّذِي وَعَدْتَهُ

আল্ল-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা’ওয়াতি তা-ম্মাতি ওয়াস্ সালা-তিল ক-য়িমাতি আ-তি মুহাম্মাদানাল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাতা ওয়াব’ আসহুল মাকা-মাল মাহমূদাল্লাযী ওয়া আত্তাহ

“হে আল্লাহ ! এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও অনুষ্ঠিতব্য নামাজের মালিক। মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-কে ওসীলা [জান্নাতের সর্বোত্তম মর্যাদা] এবং শ্রেষ্ঠত্ব দান করুন। তাঁকে আপনার ওয়াদাকৃত মাকামে মাহমূদে [শাফাআতের মাকামে] পৌছে দিন” {১} সে অবশ্যই কিয়ামতের দিন আমার শাফাআত পাবে।

{১} বায়হাকীর বর্ণনায় ঃ[আরবি] “নিশ্চয়ই আপনি ভঙ্গ করেন না অঙ্গীকার” উল্লেখিত হয়েছে।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩৯.পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ

৬৮১. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্‌ফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃপ্রত্যেক দুই আযানের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ রহিয়াছে। প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ রহিয়াছে। প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ রহিয়াছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে তার জন্য।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৮২. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃমুয়ায্‌যিন আযান শেষ করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কোন কোন সাহাবী মসজিদের খুঁটির নিকট যেতেন এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [হুজরা হইতে] বের না হওয়া পর্যন্ত নামাজ আদায় করিতেন। মাগরিবের পূর্বেও তারা [নফল] নামাজ আদায় করিতেন। তবে মাগরিবের আযান ও ইকামতের মধ্যে বেশি বিলম্ব করা হত না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪০.পরিচ্ছেদঃ আযানের পর মসজিদ হইতে বাইরে না যাওয়ার হুকুম

৬৮৩. আশআস ইবনি আবু শাসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃএক ব্যক্তি আযানের পর মসজিদ থেকে বের হল এবং সেখান থেকে চলে গেল। আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং বলিলেন ঃএই ব্যক্তি আবুল কাসেম অর্থাৎ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অবাধ্যতা করিল।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৮৪. আবু শাসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃনামাজের জন্য আযান দেয়ার পর এক ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে গেল। আবু হুরায়রা [রাঃআঃ] বলিলেন ঃএই ব্যক্তি আবুল কাসেম অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অবাধ্য হল।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪১.পরিচ্ছেদঃ নামাজ আরম্ভ হওয়ার সময় মুয়ায্যিন কর্তৃক ঈমামকে অবহিত করা

৬৮৫. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃনাবী [সাঃআঃ] ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজ পর্যন্ত সময়ে এগার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। প্রত্যেক দুই রাকআতের পর সালাম ফিরাতেন। বিতরের এক রাকআত পড়তেন {১} এবং এত দীর্ঘ সিজদা করিতেন যে, সে সময়ে তোমাদের একজন কুরআনের পঞ্চাশটি আয়াত পড়তে পারে। তারপর মাথা উঠাতেন। মুয়ায্‌যিন আযান দেওয়া শেষ করলে তিনি ফজরের নামাজের সময় জ্ঞাত হয়ে দুই রাকাআত সংক্ষিপ্ত নামাজ আদায় করিতেন এবং ডান পার্শ্বে শুয়ে পড়তেন। মুয়ায্‌যিন ইকামতের বিষয়ে তার নিকট আসত। তিনি তার সঙ্গে বের হইতেন।

{১} অর্থাৎ দু রাকআতের সাথে এক রাকআত যুক্ত করে বিতর নামাজকে তিন রাকআত আদায় করিতেন এবং তিন রাকআত শেষে সালাম ফিরাতেন। বিতর নামাজ সম্পর্কে এ কিতাবের কিয়ামুল লায়ল অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা রহিয়াছে। -অনুবাদক

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৬৮৬. কুরায়ব [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন আমি আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]- এর নিকট রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে কিভাবে নামাজ আদায় করিতেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করি। তিনি বলিলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাতে বিত্‌রসহ এগার রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। তারপর ঘুমাতেন। একদা তাহাঁর নিদ্রা গভীর হলো এবং তাহাঁর নাকের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এমন সময় বিলাল [রাঃআঃ] তাহাঁর নিকট আসলেন এবং বলিলেন ঃ[আস্‌সালাতু ইয়া রাসূলাল্লাহ!] ইয়া রাসূলাল্লাহ! নামাজ। তিনি উঠলেন এবং দুই রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। তারপর লোকদের নিয়ে নামাজ আদায় করিলেন। [তবে] তিনি উযূ করেন নি। {১}

{১} যেহেতু নিদ্রাবস্থায় রাসূলুল্লাহ [সা]-এর অন্তর জাগ্রত থাকত, সেহেতু নিদ্রায় তাহাঁর উযূ ভঙ্গ হত না। উম্মতের কারো জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। – অনুবাদক।হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪২.পরিচ্ছেদঃ ঈমাম বের হওয়ার সময় মুয়াযযিন কর্তৃক ইকামত বলা

৬৮৭. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন ঃরাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃনামাজের ইকামত হলে আমাকে বের হইতে না দেখা পর্যন্ত দাঁড়াবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply