আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] ও তাহাঁর মাতার ফযিলত

আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] ও তাহাঁর মাতার ফযিলত

আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] ও তাহাঁর মাতার ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২২. অধ্যায়ঃ আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] ও তাহাঁর মাতার ফযিলত

৬২১৯. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

যখন এ আয়াত নাযিল হলো:

 لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا‏

“যারা ঈমান এনেছে এবং নেক আমাল করেছে তাদের খাদ্য বস্তুর মধ্যে কোন অসুবিধা নেই, যখন তারা আল্লাহকে ভয় করে এবং মুমিন হয়” . . . [সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫:৯৩] শেষ পর্যন্ত, তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, “আমাকে বলা হয়েছে যে, তুমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৩, ইসলামিক সেন্টার-৬১৪৪]

৬২২০.আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার ভাই ইয়ামান হইতে আসলাম। আমরা অনেকদিন পর্যন্ত আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] ও তাহাঁর মাকে রসূল-পরিবারেরই লোক বলে ভেবেছি। কারণ তাঁরা রসূলের নিকট ঘন ঘন যাতায়াত করিতেন এবং তাহাঁর কাছে অবস্থান করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৪, ইসলামিক সেন্টার-৬১৪৫]

৬২২১.আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার ভাই ইয়ামান হইতে পদার্পণ করি . . . অবশিষ্টাংশ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৪, ইসলামিক সেন্টার-৬১৪৬]

৬২২২.আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম, আমার মনে হচ্ছিল যে, আবদুল্লাহ তাহাঁরই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, কিংবা তিনি অনুরূপ রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৫, ইসলামিক সেন্টার-৬১৪৭]

৬২২৩. আবুল আহ্ওয়াস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইবনি মাসউদের ইন্তিকালের সময় আমি আবু মাসউদ ও আবু মূসার কাছে ছিলাম। তাঁরা একজন অপরজনকে বলিলেন, কি মনে হয়, তাহাঁর মতো আর কাউকে কি ছেড়ে গেছেন? অন্যজন বলিলেন, তুমি এ কথা বলছো, তার অবস্থায়ই এমন ছিল যে, যখন আমাদের বাধা দেয়া হতো তখনও তাকে অনুমতি দেয়া হতো; আমরা উপস্থিত থাকতাম না আর সে উপস্থিত থাকতো।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৬, ইসলামিক সেন্টার-৬১৪৮]

৬২২৪. আবুল আহ্ওয়াস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবদুল্লাহ কতিপয় সহাবীর সাথে তাঁরা একটি কুরআন মাযীদ দেখছিলেন। আবদুল্লাহ উঠে দাঁড়ালেরন। তখন আবু মাসউদ বলিলেন, আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাব সম্বন্ধে দণ্ডায়মান লোকের চেয়ে অধিক পরিজ্ঞাত কোন লোক রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] রেখে গেছেন বলে আমি জানি না। আবু মূসা [রাদি.] বলিলেন, যদি আপনি এ কথা বলেন, তবে তার কারণ তাহাঁর অবস্থা এই ছিল যে, আমরা যখন উপস্থিত থাকতাম না তখন সে থাকতো উপস্থিত, আর যখন আমাদের বাধা দেয়া হতো, তখন তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হতো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৭, ইসলামিক সেন্টার-৬১৪৯]

৬২২৫. যায়দ ইবনি ওয়াহ্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি হুযাইফাহ্ ও আবু মূসার সাথে উপবিষ্ট ছিলাম। তারপর হাদীসের অবশিষ্টাংশ রিওয়ায়াত করিয়াছেন এং কুত্বাহ্ বর্ণিত হাদীস পরিপূর্ণ ও বেশি আস্থাশীল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৮, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫০]

৬২২৬.আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “আর যে লোক কোন কিছু আত্মসাৎ করিবে কিয়ামাতের দিন তা নিয়ে সে উপস্থিত হইবে”- [সূরাহ্ আ-লি ইমরান ৩:১৬১]। তারপর বলিলেন, তোমরা আমাকে কার মতো তিলাওয়াতের কথা বলো? আমি তো রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সম্মুখে সত্তরের ঊর্ধ্বে সূরা তিলাওয়াত করেছি। আর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাহাবাগণ জানেন যে, আমি তাঁদের মাঝে কুরআন সম্বন্ধে সর্বাধিক জানি। যদি আমি জানতাম যে, আর কেউ আমার তুলনায় অধিক কুরআন জানে তবে আমি তাহাঁর দিকে উটে সওয়ার হয়ে তার কাছে যেতাম।

শাকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের একাধিক বৈঠকে বসেছি। আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদের এ কথাকে বাতিল করিতে কাউকে শুনিনি এবং তাহাঁর উপর দোষারোপ করিতেও শুনিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১০৯, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫১]

৬২২৭. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন,যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই তাহাঁর কসম! আল্লাহর কিতাবে এমন কোন সূরা নেই যা নাযিল হওয়ার জায়গার ব্যাপারে আমি না জানি, এরূপ কোন আয়াত নেই যার নাযিল হওয়ার স্পষ্ট কারণ আমার অজানা। যদি আমি এমন কোন লোককে জানতাম যিনি আমার তুলনায় অধিক কুরআন জানেন এবং তাহাঁর নিকট উট যেতে পারে, তবে আমি তার নিকট যাওয়ার জন্য উটে আরোহণ করতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১০, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫২]

৬২২৮. মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবদুল্লাহ ইবনি অমরের নিকট গিয়ে তাহাঁর সাথে কথোপকথন করতাম। একদা আমরা আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদের বর্ণনা করলাম, তিনি বলিলেন, তোমরা এরূপ এক লোকের বর্ণনা করেছো, যাঁকে অত্র হাদীস শুনার পর হইতে আমি ভালবেসে আসছি। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে আমি বলিতে শুনেছি, তোমরা চারজনের নিকট কুরআন শিখ। আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ, মুআয ইবনি জাবাল, উবাই ইবনি কাব ও আবু হুযাইফাহ্র ক্রীতদাস সালিমের নিকট হইতে। এখানে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সর্বপ্রথম আবদুল্লাহ্‌র নাম বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১১, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫৩]

৬২২৯. . মাসরূক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা আবদুল্লাহ ইবনি আম্‌র [রাদি.]-এর নিকট ছিলাম। তখন আমরা ইবনি মাসউদ [রাদি.]-এর একটি হাদীসের বর্ণনা করি। এমন সময় আবদুল্লাহ ইবনি আম্‌র [রাদি.] বলিলেন, তিনি ঐ লোক যাকে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর একটি কথা শুনার পর হইতে ভালবেসে আসছি। আমি তাঁকে বলিতে শুনেছি, তোমরা চার লোকের নিকট থেকে কুরআন শিক্ষা গ্রহণ কর। আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ, তাহাঁর নামই প্রথমে বলিলেন এবং উবাই ইবনি কাব, সালিম আবু হুযাইফাহ্র ক্রীতদাস ও মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.]।

যুহায়র ইবনি হারব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]–এর বর্ণনায় ………. শব্দটি উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১২, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫৪]

৬২৩০. আমাশ [রাদি.] থেকে জারীর ও ওয়াকীর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

আবু মুআবিয়াহ্ হইতে আবু বকর [রাদি.]-এর বর্ণিত সূত্রে মুআয ইবনি জাবালকে উবাইয়ের আগে এনেছে। আর আবু কুরায়বের বর্ণনায় উবাই এর নাম মুআয [রাদি.]-এর নামের আগে এসেছে।

৬২৩১. আমাশ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তাদের সূত্রে রিওয়ায়াত করিয়াছেন, তবে তাঁদের মাঝে শুবার সূত্রে চার [সাহাবার] নামের ক্রমধারায় পার্থক্য রয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৪, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫৬]

৬২৩২. মাসরুক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন যে, তাঁরা আবদুল্লাহ ইবনি আম্‌র [রাদি.]-এর সম্মুখে আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদের কথা উল্লেখ করলে তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর এ কথা শুনার পর হইতে আমি ঐ ব্যক্তিটিকে ভালবেসে আসছি, “চারজনের নিকট হইতে তোমরা কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করো- ইবনি মাসঊদ, আবু হুযাইফার আযাদকৃত গোলাম সালিম, উবাই ইবনি কাব ও মুআজ ইবনি জাবাল [রাদি.]।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৫, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫৭]

৬২৩৩. উবাইদুল্লাহ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর বাবা মুআয [রাদি.] হইতে শুবাহ্ সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত সানাদে রিওয়ায়াত করেন। মুআয [রাদি.] বর্ধিত বলেছেন- “এ উভয়কে দিয়ে শুরু করেছে, কিন্তু প্রথমে কার নাম তা আমি জানি না”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১১৬, ইসলামিক সেন্টার-৬১৫৮]

Comments

Leave a Reply