জাবির [রা]-এর বাবা আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি হারাম [রা]এর ফযিলত

জাবির [রাদি.]-এর বাবা আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি হারাম [রাদি.]-এর ফযিলত

জাবির [রাদি.]-এর বাবা আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি হারাম [রাদি.]-এর ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৬. অধ্যায়ঃ জাবির [রাদি.]-এর বাবা আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনি হারাম [রাদি.]-এর ফযিলত

৬২৪৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উহুদ যুদ্ধের দিন যখন আমার বাবাকে বস্ত্রে ঢেকে আনা হলো এমতাবস্থায় যে, অঙ্গচ্ছেদন করা [নাক-কান হাত-পা কেটে ফেলা] হয়েছে। আমি তার কাপড় সরাতে চাইলে লোকেরা আমায় বারণ করিল। আমি আবারও কাপড় সরাতে চাইলে আমার সম্প্রদায় আমাকে বারণ করিল। আমি আবারও কাপড় সরাতে চাইলে আমার সম্প্রদায় আমাকে বারণ করিল। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] নিজেই তার বস্ত্র সরালেন কিংবা তিনি সরানোর নির্দেশ দেয়ায় সরানো হলো। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একজন ক্রন্দসী নারীর শব্দ শুনে প্রশ্ন করিলেন, ইনি কে? লোকেরা বলিল, অমরের মেয়ে কিংবা বলিল, অমরের বোন। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃতুমি কান্নাকাটি করছো কেন? অথচ ফেরেশ্তারা তাকে তুলে নেয়া পর্যন্ত পাখা মেলে ছায়া দিচ্ছিল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩০, ইসলামিক সেন্টার-৬১৭২]

৬২৪৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমার বাবা উহুদের দিবস শহীদ হলেন, আমি তাহাঁর মুখায়ব হইতে বস্ত্র তুলি আর কাঁদি। ব্যক্তিরা আমাকে নিষেধ করিল। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে বারণ করেননি। আর অমরের মেয়ে ফাতিমাও তাহাঁর জন্য কান্নাকাটি করিতে থাকলেন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন: তুমি কাঁদো কিংবা নাই কাঁদো, ফেরেশতাগণ তাহাঁর উপর আপন পাখার ছায়া বিস্তার করে রেখেছিল, যতক্ষণ না তোমরা তাঁকে তুলে নিয়েছো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩১, ইসলামিক সেন্টার-৬১৭৪]

৬২৫০. জাবির [রাদি.] এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

এ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তবে জুরায়জের বর্ণনায় ফেরেশ্তা ও ক্রন্দনকারীর কান্নার বর্ণনা নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩২, ইসলামিক সেন্টার-৬১৭৫]

৬২৫১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উহুদের দিবস আমার বাবাকে অঙ্গহানী অবস্থায় আনা হলো এবং রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সামনে রাখা হলো . . . তারপর তাদের অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৩, ইসলামিক সেন্টার-৬১৭৬]

Comments

Leave a Reply