আজানের জবাব দান ও ফযিলত সম্পর্কে
আজানের জবাব দান ও ফযিলত সম্পর্কে >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৫
- অধ্যায়ঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ
৬৫৪. মুআবিয়াহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি : ক্বিয়ামাতের দিন মুয়ায্যিনগণ সবচেয়ে উঁচু ঘাড় সম্পন্ন লোক হবে। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৩৮৭, ইবনি মাজাহ ৭২৫, আহমাদ ১৬৮৬১, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৬৬৯, সহীহ আল জামি ১০৩১। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৫৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : সলাতের জন্য আযান দিতে থাকলে শয়তান পিঠ ফিরিয়ে পালায় ও বায়ু ছাড়তে থাকে, যাতে আযানের শব্দ তার কানে না পৌঁছে। আযান শেষ হয়ে গেলে সে ফিরে আসে। আবার যখন ইক্বামাত শুরু হয় পিঠ ফিরিয়ে পালাতে থাকে। ইক্বামাত শেষ হলে আবার ফিরে আসে। সলাতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করিতে তাকে। সে বলে, অমুক বিষয় স্মরণ কর। অমুক বিষয় স্মরণ কর। যেসব বিষয় তার মনে ছিল না সব তখন তার মনে পড়ে যায়। পরিশেষে মানুষ অবচেতন হয় আর বলিতে পারে না কত রাক্আত সলাত আদায় করা হয়েছে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৬০৮, মুসলিম ৩৮৯, আবু দাউদ ৫১৬, নাসায়ী ৫৭০, আহমাদ ৯৯৩১, সহীহ আল জামি ৮১৭। اَلتَّثْوِيْبُ [আত তাসবীব] হলো ২য় বার ঘোষণা করা। এখানে ইক্বামাহ্ উদ্দেশ্য। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৫৬. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বরেছেন : যতদূর পর্যন্ত মানুষ, জিন্ বা অন্য কিছু মুয়ায্যিনের আযানের ধ্বনি শুনবে তারা সকলেই ক্বিয়ামাতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করিবে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৭৫৪৮, নাসায়ী ৬৪৪, আহমাদ ১১৩০৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৬৬১, সহীহ আল জামি ২৪৫০। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৫৭. আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমরা মুয়ায্যিনের আযান শুনলে উত্তরে সে শব্দগুলোরই পুনরাবৃত্তি করিবে। আযান শেষে আমার উপর দরূদ পাঠ করিবে। কারণ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করিবে [এর পরিবর্তে] আল্লাহ তার উপর দশবার রাহমাত বর্ষণ করিবেন। এরপর আমার জন্য আল্লাহর কাছে ওয়াসীলা প্রার্থনা করিবে। ওয়াসীলা হল জান্নাতের সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে শুধু একজন পাবেন। আর আমার আশা এ বান্দা আমিই হব। তাই যে ব্যক্তি আমার জন্য ওয়াসীলার দুআ করিবে, ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য সুপারিশ করা আমার জন ওয়াজিব হয়ে পড়বে। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৩৮৪, আবু দাউদ ৫২৩, নাসায়ী ৬৭৮, তিরমিজি ৩৬১৪, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৬৯০, ইরওয়া ২৪২, সহীহ আল জামি ৬১৩। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৫৮. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : মুয়ায্যিন যখন
اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ
“আল্লা-হু আকবার” বলে তখন তোমাদের কেউ যদি [উত্তরে] অন্তর থেকে বলে,
اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ
“আল্লা-হু আকবার” “আল্লা-হু আকবার” এরপর মুয়ায্যিন যখন বলেন,
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ اِلَّا اللّهُ
“আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ,” সেও বলে,
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ اِلَّا اللّهُ
“আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ,”। অতঃপর মুয়ায্যিন যখন বলে,
أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ
“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লা-হ”, সেও বলে
أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ
“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লা-হ”, তারপর মুয়ায্যিন যখন বলে,
حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ
“হাইয়্যা আলাস সলা-হ”, সে তখন বলে,
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
“লা-হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হ”; পরে মুয়ায্যিন যখন বলে,
حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ
হাইয়্যা আলাল ফালাহ
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
“লা-হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হ”; পরে মুয়ায্যিন যখন বলে,
اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ
“আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার”, সেও বলে,
اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ
“আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার”, এরপর মুয়ায্যিন যখন বলে,
لَا إِلهَ اِلَّا اللّهُ
“লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ”, সেও বলে
لَا إِلهَ اِلَّا اللّهُ
“লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ”, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৩৮৫, আবু দাউদ ৫২৭, সহীহ আল জামি ৭১৪। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৫৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যে ব্যক্তি আযান শুনে [ ও এর উত্তর দেয়ার ও দরূদ পড়ার পর] এ দুআ পড়ে, তার জন্য সুপারিশ করা আমার অবশ্য করণীয় হয়ে পড়ে। দুআ হল :
اللّهُمَّ رَبَّ هذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اۤتِ مُحَمَّدَانِ الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودَانِ الَّذِي وَعَدْتَه
“আল্ল-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দাওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস্ সলা-তিল ক্ব-য়িমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযী-লাহ, ওয়াবআস্হু মাক্বা-মাম মাহমূদা-নিল্লাযী ওয়াআদ্তাহ্” {অর্থাৎ-হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সলাতের প্রভূ! তুমি মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-কে দান করো ওয়াসীলা; সুমহান মর্যাদা ও প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও তাঁকে [মাক্বামে মাহমূদে], যার ওয়াদা তুমি তাঁকে দিয়েছ।] ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আমার শাফাআত আবশ্যকীয়ভাবে হবে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৬১৪, নাসায়ী ৬৮০, আবু দাউদ ৫২৯, ইরওয়া ২৪৩, সহীহ আল জামি ৬৪২৩, তিরমিজি ২১১, ইবনি মাজাহ ৭২২, আহমাদ ১৪৮১৭। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] [সেনাবাহিনী নিয়ে কোথাও যখন যেতেন ভোরে শত্রুদের উপর] আক্রমণ চালাতেন। ভোরে তিনি কান পেতে আযান শোনার অপেক্ষায় থাকতেন। [যে স্থানে আক্রমণ করার পরিকল্পনা হত] ওখান থেকে আযানের ধ্বনি কানে ভেসে এলে আক্রমণ করিতেন না। আর আযানের ধ্বনি কানে ভেসে না এলে আক্রমণ করিতেন। একবার তিনি শত্রুর উপর আক্রমণ করার জন্য রওনা হইতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তিনি এক ব্যক্তিকে
اللّهُ أَكْبَرُ اللّهُ أَكْبَرُ
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার বলিতে শনলেন। তখন তিনি বললেন, ইসলামের উপর আছে [কারণ আযান মুসলিমরাই দেয়]। এরপর ওই ব্যক্তি বলিল,
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ اِلَّا اللّهُ
“আশ্হাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” [আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবূদ নেই], রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, তুমি [শির্ক থেকে বিরত থাকার কারণে] জাহান্নাম থেকে বেঁচে গেলে। সহাবীগণ চারদিকে তাকিয়ে দেখলেন, আযান দান তা বকরীর পালের রাখাল। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৩৮২, তিরমিজি ১৬১৮, আহমাদ ১২৩৫১, দারিমি ২৪৮৯, সহীহ ইবনি হিব্বান ৪৭৫৩। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬১. সাদ ইবনি আবী ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যে ব্যক্তি মুয়ায্যিনের আযান শুনে এই দুআ পড়বে,
أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُولُه رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا
“আশ্হাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রসূলুহূ, রাযিতু বিল্লা-হি রব্বাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলান ওয়াবিল ইসলা-মি দীনা” [অর্থাৎ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক তাহাঁর কোন শারীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আল্লাহর বান্দা ও রসূল, আমি আল্লাহকে রব, দ্বীন হিসেবে ইসলাম, রসূল হিসেবে মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-কে জানি ও মানি] এর উপর আমি সন্তুষ্ট, তাহলে তার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৩৮৬, আবু দাউদ ৫২৫, নাসায়ী ৬৭৯, তিরমিজি ২১০, ইবনি মাজাহ ৭২১, আহমাদ ১৫৬৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৬৯৩, সহীহ আল জামি ৬৪২২। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬২.আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যখানে সলাত আছে। প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যখানে সলাত আছে। অতঃপর তৃতীয়বার বললেন: এই সলাত ওই ব্যক্তির জন্য যে পড়তে চায়, ঐ ব্যক্তির জন্য যে পড়তে চায়। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৬২৪, মুসলিম ৮৩৮, আবু দাউদ ১২৮৩, নাসায়ী ৬৮১, তিরমিজি ১৮৫, ইবনি মাজাহ ১১৬২, আহমাদ ১৬৭৯০, দারিমি ১৪৮০, সহীহ আল জামি ২৮৫০।এ হাদিসটি প্রমাণ করে যে, মাগরিবের আযান ও ইক্বামাতের মাঝে সলাত [সালাত/নামায/সলাত] আদায় করা মুসতাহাব। আর বুরায়দাহ্ হইতে মাগরিব ব্যতীত অন্য সকল সলাতের আযান ও ইক্বমাতের মাঝে দু রাক্আত সলাত [সালাত/নামায/সলাত] রয়েছে মর্মে যে হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে তা দুর্বল। অপরপক্ষে বোখারীতে বুরায়দাহ্ হইতে হাদিস রয়েছে, রসূল সাঃআঃ বলেনঃ صَلُّوْ قَبْلَ الْمَغْرِبِ رَكْعَتَيْنِ لِمَنْ شَاءَ خَشْىيَة أَنْ يَتَّخِذَهَا النَّاسُ, আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৬৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : ঈমাম যিম্মাদার আর মুয়ায্যিন আমানতদার। তারপর তিনি [সাঃআঃ] এই দুআ করিলেন, “হে আল্লাহ! তুমি ঈমামদেরকে হিদায়াত দান কর। আর মুয়ায্যিনদেরকে মাফ করে দাও”। {১}
{১} সহীহ : আহমাদ ৯৬২৬, আবু দাউদ ৫১৭, তিরমিজি ২০৭, মুসনাদে শাফিঈ ১৭৪। আহমাদ ২/৪১৯। ঈমাম শাফিঈর শব্দ হলো اَلْاَئِمَّةُ ضُمَنَاءُ وَالْمُؤَذِّنُوْنَ أُمَنَاءُ فَارْشُدْ اَللّهُمَّ…। তবে ঈমাম শাফিঈর সানাদটি দুর্বল। কারণ তাতে ইব্রাহীম ইবনি মুহাম্মাদ আল আসলামী রয়েছে যিনি একজন মাতরূক [পরিত্যক্ত] রাবী। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬৪. [আবদুল্লাহ] ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যে ব্যক্তি [পারিশ্রমিক ও বিনিময়ের লোভ বাদ দিয়ে] শুধু সাওয়াব লাভের আশায় সাত বছর পর্যন্ত আযান দেয় তার জন্য জাহান্নামের মুক্তি লিখে দেয়া হয়। {১}
{১} খুবই দুর্বল : তিরমিজি ২০৬, ইবনি মাজাহ ৭২৭, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ৮৫০। তবে আবু দাঊদে হাদিসটি নেই। কারণ এর সানাদে জাবির বিন ইয়াযীদ আল জুযফী একজন দুর্বল রাবী, বরং কিছু ঈমাম তাকে মিথ্যুক বলেছেন। সে রাফিযী ছিল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
৬৬৫. উক্ববাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমার রব সেই মেষপালক রাখালের উপর খুশী হন, যে একা পর্বত চূড়ায় দাঁড়িয়ে সলাতের জন্য আযান দেয় ও সলাত আদায় করে। আল্লাহ তাআলা সে সময় তার মালাকগণকে বলেন, তোমরা আমার এই বান্দার দিকে তাকাও। সে আমাকে ভয় করে [এই পর্বত চূড়ায়] আযান দেয় ও সলাত আদায় করে। তোমরা সাক্ষী থাক আমি আমার বান্দাকে মাফ করে দিলাম এবং জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিলাম। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১২০৩, নাসায়ী ৬৬৬, ইরওয়া ২১৪, আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : ক্বিয়ামাতের দিন তিন ধরনের ব্যক্তি মিস্কের টিলায় থাকিবে। প্রথম সেই গোলাম যে আল্লাহর হাক্ব আদায় করে নিজ মুনীবের হাক্বও আদায় করেছে। দ্বিতীয় সেই ব্যক্তি যে মানুষের সলাত আদায় করায়, আর মানুষরা তার উপর খুশী। আর তৃতীয় হল সেই ব্যক্তি যে দিনরাত সব সময় পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের জন্য আযান দিয়েছে। {১}
{১} জইফ : তিরমিজি ১৯৮৬, জইফ আত তারগীব ১৬১। তিরমিজি এ হাদিসকে গরীব বলেছেন। কারণ-এর সানাদে আবুল ইয়াক্বযান উসমান ইবনি ক্বায়স নামে একজন রাবী রয়েছে যিনি ইবনি উমায়র নামে প্রসিদ্ধ। হাফিয ইবনি হাজার তাক্বরীবে তাকে জইফ [দুর্বল], মুখতালাত্ব [স্মৃতিবিভ্রাট বিশিষ্ট] ও মুদাল্লিস হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেনঃ এ হাদিসটি সে [আবুল ইয়াক্বযান] যাযান থেকে তাদলীস করেছে। হাদিসটি ত্ববারানী তাহাঁর আওসাত্ব-এ একই সানাদে বর্ণনা করা সত্ত্বেও মুনযিরী সেটিকে সমস্যামুক্ত হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন যা তাহাঁর পক্ষ হইতে ভুল ধারণা মাত্র। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৬৬৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : মুয়ায্যিন, তাকে মাফ করে দেয়া হবে। তার আযানের আওয়াজের শেষ সীমা পর্যন্ত তার জন্য সাক্ষ্য দেবে প্রতিটা সজীব এ নির্জীব জিনিস। যে সলাতে উপস্থিত হবে, তার জন্য প্রতি সলাতে পঁচিশ সলাতের সাওয়াব লিখা হবে। মাফ করে দেয়া হবে তার দুই সলাতের মধ্যবর্তি সময়ের গুনাহগুলো। {১}
কিন্তু নাসায়ী, প্রত্যেক সজীব নির্জীব পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। তারপর তিনি আরও বলেছেন, তার জন্য সাওয়াব রয়েছে যারা সলাত আদায় করেছে তাদের সমান। {2]
{১} সহীহ : আহমাদ ৪/২৮৪, আবু দাউদ ৫১৫, ইবনি মাজাহ ৭২৪, সহীহ আল জামি ৬৬৪৪। তবে ঈমাম নাসায়ী হাদিসটি সাহাবী বারা ইবনি আযীব [রাদি.] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। {2] সহীহ : নাসায়ী ৬৪৬, সহীহ আল জামি ১৮৪১। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬৮. উসমান ইবনি আবুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে আমার জাতির ঈমাম নিযুক্ত করে দিন। নবী [সাঃআঃ] বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি তাদের ঈমাম। তবে ঈমামতির সময় তাদের সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য রেখ। একজন মুয়ায্যিন নিযুক্ত করে নিও, যে আযান দেবার বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করিবে না। {১}
{১} সহীহ : আহমাদ ১৫৮৩৬, আবু দাউদ ৫৩১, নাসায়ী ২৭২, সহীহ আল জামি ১৪৮০। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬৯. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে মাগরিবের আযানের সময় এ দুআটি পড়ার জন্য শিখিয়ে দিয়েছেন :
اللّهُمَّ إِنَّ هذَا إِقْبَالُ لَيْلِكَ وَإِدْبَارُ نَهَارِكَ وَأَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِي
“আল্ল-হুম্মা ইন্না হা-যা- ইক্ববা-লু লায়লিকা ওয়া ইদ্বা-রু নাহা-রিকা ওয়া আস্ওয়া-তু দুআ-তিকা ফাগফির লী” [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! এ আযানের ধ্বনি তোমার দিনের বিদায় ধ্বনি এবং তোমার মুয়ায্যিনের আযানের সময়। তুমি আমাকে ক্ষমা কর।] {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৫৩০, বায়হাক্বী দাওয়াতে কাবীর, আল কালিমুত্ ত্বইয়্যিব ৯৭ পৃঃ। কারণ এর সানাদে আবু কাসীর নামে একজন মাজহূল বা অপরিচিত রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৬৭০. আবু উমামাহ অথবা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কোন সহাবী হইতে বর্ণীতঃ
একবার বিলাল ইক্বামাত দিতে শুরু করিলেন। তিনি যখন
قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ
“ক্বদ ক্বা-মাতিস সলা-হ্” বললেন, তখন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন,
أَقَامَهَا اللّهُ وَأَدَامَهَا
“আক্বা-মাহাল্ল-হু ওয়া আদা-মাহা-“ [আল্লাহ সলাতকে ক্বায়িম করুন এ একে চিরস্থায়ী করুন]। বাকী সব ইক্বামাতে উমার [রাদি.] বর্ণিত হাদিসে আযানের উত্তরে যেরূপ উল্লেখ রয়েছে সেরূপই বললেন। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৫২৮, ইরওয়া ২৪১। কারণ এর সানাদে একজন অপরিচিত ও দুজন দুর্বল রাবী রয়েছে। বিঃ দ্রঃ যখন হাদিসটির দুর্বলতা প্রমাণিত হয়ে যায় তখন সে হাদিসের প্রতি দুটি কারণে আমাল করা যাবে না। প্রথমত হাদিসটি ফাযীলাত সংক্রান্ত নয় কারণ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ -এর সময় أَقَامَهَا اللّهُ وَأَدَامَهَا বলা শারীআতসম্মত নয় এবং অন্য কোন হাদীসে এর ফাযীলাত বর্ণিত হয়নি যে, বলা হবে এটি ফাযীলাত সংক্রান্ত আমাল যার প্রতি আমাল করা যাবে। পক্ষান্তরে এটিকে কেবলমাত্র এ ধরনের দুর্বল হাদিস দ্বারা প্রমাণিত করে শারীআত সম্মত করাটা শারীআতের নীতির অনেক দূরবর্তী বিষয় যা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত এটি রসূল সাঃআঃ ব্যাপক উক্তির পরিপন্থী। যেখানে তিনি বলেছেন যখন তোমরা মুয়াযযিনকে আযান বা ইক্বামাত বলিতে শুনবে তখন তোমরা তার মতো বলো…..। তাই হাদিসটি তার ব্যাপকতার উপর রাখাটাই আবশ্যক। অতএব, আমরা ইক্বামাতের সময় قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ বলব। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৬৭১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দুআ আল্লাহ তাআলার দরবার হইতে ফেরত দেয়া হয় না। {১}
{১} সহীহ লিগয়রিহী : আবু দাউদ ৫২১, তিরমিজি ২১২, সহীহ আত তারগীব ২৬৫, আহমাদ ৩/১৫৫ ও ২২৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৬৭২. সাহল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : দুসময়ের দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না অথবা [তিনি বলেছেন] কমই ফিরিয়ে দেয়া হয়। আযানের সময়ের দুআ ও যুদ্ধের সময়ের দুআ, যখন পরস্পর কাটাকাটি, মারামারি আরম্ভ হয়ে যায়। আর এক বর্ণনায় আছে বৃষ্টি বর্ষণের সময়ে দুআ। {১}
তবে দারিমীর বর্ণনায় “বৃষ্টির বর্ষণের” কথাটুকু উল্লেখ হয়নি। {১} সহীহ : আবু দাউদ ২৫৪০, দারিমী ১২৩৬, সহীহ আল জামি ৩০৭৮। তবে تَحْتَ الْمَطَرِ-এর বর্ণনাটি দুর্বল। কারণ তাতে একজন অপরিচিত রাবী রয়েছে। তবে আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] সহীহ আল জামি-তে এ অংশটিকেও সহীহ বলেছেন। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৭৩. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আবেদন করিল, হে আল্লাহর রসূল! আযানদান তা তো আমাদের চেয়ে মর্যাদায় বেড়ে যায়। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, তারা যেভাবে বলে তোমরাও তোদের সাথে সাথে সেভাবে বলে যাও। আর আযানের উত্তরে শেষে যা খুশী তাই আল্লাহর কাছে চাও, তোমাদেরকে দেয়া হবে। {১}
{১} হাসান সহীহ : আবু দাউদ ৫২৪। সহীহ আত তারগীব ২৫৬। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ
অধ্যায়ঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৬৭৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, শয়তান যখন সলাতের আযান শুনে তখন সে “রাওহা” না পৌঁছা পর্যন্ত ভাগতে থাকে [অর্থাৎ অনেক দূরে চলে যায়]। বর্ণনাকারী বলেন, “রাওহা” নামক স্থান মাদীনাহ্ থেকে ছত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৩৮৮, সহীহাহ্ ৩৫০৬, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৬৬৪। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৭৫. আলক্বামাহ্ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি মুআবিয়াহ্ [রাদি.]-এর নিকট ছিলাম। তাহাঁর মুয়ায্যিন আযান দিচ্ছিলেন। মুয়ায্যিন যেভাবে [আযানের বাক্যগুলো] বলছিলেন, মুআবিয়াহ্ [রাদি.] ও ঠিক সেভাবে বাক্যগুলো বলিতে থাকেন। মুয়ায্যিন
حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ
“হাইয়্যা আলাস্সলা-হ্” বললে মুআবিয়াহ্ [রাদি.] বললেন,
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
“লা-হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”। মুয়ায্যিন
حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ
“হাইয়্যা আলাল ফালা-হ” বললে মুআবিয়াহ্ [রাদি.] বললেন,
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ
“লা-হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আলিয়্যিল আযীম”। এরপর আর বাকীগুলো তিনি তা-ই বললেন যা মুয়ায্যিন বললেন। এরপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে [আযানের উত্তরে] এভাবে বলিতে শুনিয়াছি। {১}
{১} যঈফুল ইসনাদ : আহমাদ ২৭৫৯৮, নাসায়ী ১/১০৯-১০। কারণ এর সানাদে ঈসা [আঃ] ইবনি উমার এবং আবদুল্লাহ ইবনি আলক্বামাহ্ নামে দুজন অপরিচিত রাবী রয়েছে যা ঈমাম যাহাবী [রাহিমাহুল্লাহ] স্পষ্টভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। হাদীসে لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ -এর পর الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ অংশটুকু মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক্ব ছাড়া অন্য কোন হাদিসের গ্রন্থে নেই। আর মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক্ব-এর সানাদটি দুর্বল, কারণ তাতে আসিম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি আসিম নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে। অতএব এ অতিরিক্ত অংশটুকু মুনকার। তবে অতিরিক্ত অংশ ব্যতীত হাদিসটি সহীহ যা বোখারী ও মুসলিমে রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৬৭৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে যাচ্ছিলাম, বিলাল দাঁড়িয়ে আযান দিতে লাগলেন। আযান শেষে বিলাল চুপ করলে রসূল [সাঃআঃ] বললেন, যে ব্যক্তি অন্তরের দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে এর মত বলবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে। {১}
{১} সহীহ : নাসায়ী ৬৭৪, সহীহ আল জামি ২৪৬। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৭৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] যখন মুয়ায্যিনকে, “আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ” ও “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লা-হ” বলিতে শুনতেন তখন বলিতেন,
أَنَا وَأَنَا
আনা আনা [আর আমিও আর আমিও] অর্থাৎ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ৫২৬, সহীহ আত তারগীব ২৫৮। আজানের জবাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৭৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যে ব্যক্তি বার বছর পর্যন্ত আযান দিবে তার আযানের বিনিময়ে প্রতিদিন তার আমালনামায় ষাটটি নেকী ও প্রত্যেক ইক্বামাতের পরিবর্তে ত্রিশ নেকী লেখা হবে। {১}
{১} সহীহ লিগয়রিহী : ইবনি মাজাহ ৭২৮, সহীহ আত তারগীব ২৪৮। যদিও এর সানাদে আবদুল্লাহ ইবনি সালিহ নামে একজন দুর্বল রাবী থাকায় তা দুর্বল কিন্তু এর শাহিদ রিওয়ায়াত থাকায় তা সহীহ-এর স্তরে উন্নীত হয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৬৭৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদেরকে মাগরিবের আযানের সময় দুআ করার জন্য হুকুম দেয়া হয়েছে। {১}
{১} জইফ : ইবনি আবি শায়বাহ্ ৮৪৬৭, বায়হাক্বীর দাওয়াতুল কাবীর। কারণ এর সানাদে আবদুর রহমান ইবনি ইসহক ইবনি হারিস নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply