আজওয়া খেজুর কি মহা ঔষধ? ভোরবেলা সাতটি খুরমা খাওয়া

আজওয়া খেজুর

সহিহুল বুখারি – ৫৭৬৮ঃ সাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাঃআঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকালবেলায় কয়েকটি আজ্‌ওয়া খুরমা খাবে, ঐ দিন রাত অবধি কোন বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করিবে না।

অন্যান্য বর্ণনাকারী বলেছেনঃ সাতটি খুরমা।(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৪৭, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৩)

সহিহুল বুখারি – ৫৭৬৯ঃ সাদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকালবেলায় সাতটি আজ্‌ওয়া (মদীনায় উৎপন্ন উৎকৃষ্ট খুরমা) খেজুর খাবে, সে দিন কোন বিষ বা যাদু তার কোন ক্ষতি করিবে না।

( আধুনিক প্রঃ- ৫৩৪৮, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৪)

সহিহুল বুখারি – ৫৭৭৯:সাদ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

আধুনিক প্রঃ- ৫৩৫৫, ইঃ ফাঃ- ৫২৫১)

হাদিসঃ সুনানু তিরমিজি -২০৩৭উম্মুল মনিযির (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার বাসায় আসলেন। আলী (রাদিআল্লাহু আঃ)-ও তাহাঁর সাথে ছিলেন। আমাদের খেজুরের ছড়া ঝুলিয়ে রাখা ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা থেকে খেতে আরম্ভ করিলেন। তাহাঁর সাথে আলী (রাদিআল্লাহু আঃ)- ও খেতে লাগলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাদিআল্লাহু আঃ) কে বললেনঃ হে আলী! থাম, থাম, তুমি তো অসুস্থতাজনিত দুর্বল। বর্ণনাকারী বলেন, আলী (রাদিআল্লাহু আঃ) বসে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খেতে থাকলেন। আমি (উম্মুল মুনযির) তাহাদের জন্য বীট এবং বার্লি বানিয়ে আনলাম। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে আলী! তুমি এটা খেতে পার, তোমার জন্য এটা বেশি উপযোগী।

হাসান, দেখুন পরবর্তী হাদিস। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাপদীসটি শুধুমাত্র ফুলাইহ্-এর সূত্রেই জেনেছি। এটি ফুলাইহ্ হইতে আইয়্যূব ইবনু আবদুর রাহমানের সূত্রেও বর্ণিত আছে।

উম্মুল মুনযির আল-আনসারিইয়া (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বাড়ীতে আসলেন…….. উপরের হাদিসের অনুরূপ। এই বর্ণনার শেষে আছেঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার জন্য এটা বেশি উপকারী।

হাসান, ইবনু মাজাহ (৩৪৪২) । মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার বলেন, এ হাদিসটি আইয়্যূব ইবনু আবদুর রাহমান আমার নিকট বর্ণনা করিয়াছেন। এ হাদিসটি উত্তম গারীব। হাদিস এর মানঃ হাসান হাদি

হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৪৪২উম্মুল মুনযির বিনতু কায়স আল-আনসারী (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। (৩৪৪২) তিরমিযী ২০৩৭, আবু দাউদ ৩৮৫৬, আহমাদ ২৬৫১১, মিশকাত ৪২১৬, সহীহাহ ৫৯, মুখতাসরুশ শামাইল ১৫৪। হাদিস এর মানঃ হাসান হাদিস

হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৪৪৩দাদা (সুহায়ব বিন সিনান) (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ

আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তাহাঁর সামনে ছিল রুটি ও খেজুর। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কাছে এসো এবং খাও। আমি খেজুর থেকে খেতে শুরু করলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি খেজুর খাচ্ছো, তোমার তো চোখ উঠেছে। আমি বললাম, আমি অপর পাশ দিয়ে চিবাচ্ছি। এ কথায় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসলেন।

তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। ৩৪৪৩. হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। হাদিস এর মানঃ হাসান হাদিস

হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৪৫৩আবু সাঈদ ও জাবির (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তারা বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ছত্রাক হলো মান্ন’ নামক আসমানী খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং তার পানি চক্ষুরোগের নিরাময়য়। আজওয়া’ হলো জান্নাতের খেজুর এবং তা উন্মাদনার প্রতিষেধক।

(উপরোক্ত হাদিস মোট ৪টি সানাদের ২টি বর্ণিত হয়েছে, অপর ২টি সানাদ হলোঃ)
২/৩৪৫৩ (১). আবু সাঈদ খুদরী (রাদিআল্লাহু আঃ) তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ (আরবি) অর্থাৎ তা “বিষের প্রতিষেধক” কথাটি দ্বারা সহীহ।

(৩৪৫৩) আবু দাউদ ১১০৬১, রাওদুন নাদীর ৪৪৪, মিশকাত ৪২৩৫। উক্ত হাদিসের রাবী-
১. শাহর বিন হাওশাব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও ইয়া’কূব বিন সুফিয়ান এবং আল-আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। শু’বাহ ইবনুল হাজ্জাজ তাকে বর্জন করিয়াছেন। আহমাদ বিন হাম্বাল ও আবু হাতিম আর- রাযী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং- ২৭৮১, ১২/৫৭৮ নং পৃষ্ঠা)।
২. সাঈদ বিন মাসলামাহ বিন হিশাম সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী তাকে দুর্বল বলেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন, তিনি দুর্বল ও মুনকার। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি কুফরী নয় এমন কওলী বা আমালী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব ও ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। মানঃ তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং- ২৩৫৭, ১১/৬৩ নং পৃষ্ঠা)। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস

হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৮৭৫সা’দ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হলে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে দেখিতে আসলেন এবং আমার বুকে তাহাঁর হাত রাখলেন। আমি আমার হৃদয়ে তাহাঁর হাতের শীতলতা অনুভব করলাম। অতঃপর তিনি বললেনঃ তুমি হৃদরোগী, তুমি সাকীফ গোত্রের হারিস ইবনু কালাদাহ্‌র নিকট যাও; কারণ সে এসব রোগের চিকিৎসা করে। সে যেন মাদীনাহ্‌র আজওয়া খেজুর হইতে সাতটি খেজুর নিয়ে বীচিসহ চূর্ণ করে সেগুলো তোমার মুখে ঢেলে দেয়।

দুর্বলঃ মিশকাত(৪২২৪)। (৩৮৭৫) আবূ দাঊদ এটি এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। এর সানাদে ইনকিতা হয়েছে। হাম্মাদ, সা’দকে পাননি। হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস

হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৮৭৬আমির ইবনু সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রহঃ) হইতে নিজের পিতার সূত্র হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোন ধরনের বিষ ও যাদু তাকে ক্ষতি করিবে না।

হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস । সারাংশঃ আজওয়া খেজুর গুলো বর্ণনা করা হোল


Posted

in

by

Comments

5 responses to “আজওয়া খেজুর কি মহা ঔষধ? ভোরবেলা সাতটি খুরমা খাওয়া”

Leave a Reply