আচার ব্যবহার । রাজাধিরাজ নাম রাখা হারাম।
আচার ব্যবহার । রাজাধিরাজ নাম রাখা হারাম , এই পর্বের হাদীস =১৬ টি (১৩৮০-১৩৯৫) >> আল লুলু ওয়াল মারজান এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্ব-৩৮ঃ আচার-ব্যবহার
৩৮/১. আবুল ক্বাসেম নামে কুনিয়াত বা উপনাম রাখা মাকরূহ এবং মুস্তাহাব নামসমূহের বর্ণনা।
৩৮/৩. খারাপ নাম পরিবর্তন করে ভাল নাম রাখা এবং বাররাহ নাম পরিবর্তন করে যায়নাব জুয়াইরিয়াহ বা এ জাতীয় নাম রাখা।
৩৮/৪. “রাজাধিরাজ” নাম রাখা হারাম।
৩৮/৫. কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করার সময় তাহনিক করা [কিছু চিবিয়ে মুখে দেয়া] এবং তাহনিক করার জন্য ভাল লোকের নিকট নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিন নাম রাখা জায়িয এবং আবদুল্লাহ, ইবরাহীম ও সমস্ত নাবী [সাঃআঃ]গণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব।
৩৮/৭. [ঘরে ইত্যাদিতে প্রবেশের জন্য] অনুমতি চাওয়া
৩৮/৮. অনুমতি প্রার্থীকে যখন বলা হইবে আপনি কে তখন আমি বলা মাকরুহ।
৩৮/৯. অন্যের বাড়িতে উঁকি মারা হারাম।
৩৮/১. আবুল ক্বাসেম নামে কুনিয়াত বা উপনাম রাখা মাকরূহ এবং মুস্তাহাব নামসমূহের বর্ণনা।
১৩৮০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী বাক্বী নামক স্থানে আবুল ক্বাসিম বলে [কাউকে] ডাক দিলেন। তখন নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার দিকে তাকালেন। তিনি বলিলেন, আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করিনি। তখন তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে বা ডাকনামে কারো কুনিয়াত রেখ না।
[বোখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৪৯ হাদীস নং ২১২১; মুসলিম ৩৮/১ ২১৩১] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৮১. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ আল-আনসারী [রাদি. হইতে বর্ণিতঃ.
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এক জনের পুত্র জন্মে। সে তার নাম রাখল কাসিম। তখন আনসারগণ বলিলেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করিতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না।
সে ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমার একটি পুত্র জন্মেছে। আমি তার নাম রেখেছি কাসিম। তখন আনসারগণ বলিলেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করিতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না।
নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, আনসারগণ ঠিকই করেছে। তোমরা আমার নামে নাম রাখ, কিন্তু কুনীয়াতের মত কুনীয়াত ব্যবহার করো না। কেননা, আমি তো কাসিম [বণ্টনকারী]।
[বোখারী পর্ব ৫৭ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৩১১৫; মুসলিম ৩৮/১ হাঃ ২১৩৩] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৮২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের একজনের একটি ছেলে জন্ম নিল। সে তার নাম রাখলো ক্বাসিম। আমরা বললামঃ আমরা তোমাকে আবুল ক্বাসিম ডাকবো না আর সে সম্মানো দিব না। তিনি এ কথা নাবী [সাঃআঃ]-কে জানালে তিনি বললেনঃ তোমার ছেলের নাম রাখ আবদুর রহমান
[বোখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১০৫ হাদীস নং ৬১৮৬; মুসলিম ৩৮/১, হাঃ ২১৩৩] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৩. আবু হুরায়রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবুল কাসিম তথা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা আমার আসল নামে নাম রাখতে পার, কিন্তু আমার উপনাম কারো জন্য রেখ না।
[বোখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২০ হাদীস নং ৩৫৩৭; মুসলিম ৩৮/১ হাঃ ২১৩১] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮/৩. খারাপ নাম পরিবর্তন করে ভাল নাম রাখা এবং বাররাহ নাম পরিবর্তন করে যায়নাব জুয়াইরিয়াহ বা এ জাতীয় নাম রাখা।
১৩৮৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
যাইনাব [রাদি.]-এর নাম ছিল বাররাহ [নেককার]। তখন কেউ বললেনঃ এতে তিনি নিজের পবিত্রতা প্রকাশ করছেন। তখন রাসূলুল্লাহ তাহাঁর নাম রাখলেনঃ যাইনাব।
[বোখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১০৭ হাদীস নং ৬১৯২; মুসলিম ৩৮/৩, হাঃ ২১৪১] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮/৪. “রাজাধিরাজ” নাম রাখা হারাম।
১৩৮৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট নামধারী অথবা বলেছেন, সব নামের মধ্যে ঘৃণিত নাম হলো সে ব্যক্তি, যে রাজাধিরাজ নাম ধারণ করেছে
। [বোখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১১৪ হাদীস নং ৬২০৫; মুসলিম ৩৮/৪, হাঃ ২১৪৩] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮/৫. কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করার সময় তাহনিক করা [কিছু চিবিয়ে মুখে দেয়া] এবং তাহনিক করার জন্য ভাল লোকের নিকট নিয়ে যাওয়া মুস্তাহাব। জন্মের দিন নাম রাখা জায়িয এবং আবদুল্লাহ, ইবরাহীম ও সমস্ত নাবী [সাঃআঃ]গণের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব।
১৩৮৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু ত্বলহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ল। আবু ত্বলহা বাইরে গেলেন, তখন ছেলেটি মারা গেল। আবু ত্বলহা [রাদি.] ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ ছেলেটি কী করছে? উম্মু সুলাইম বললেনঃ সে আগের চেয়ে শান্ত। তারপর তাঁকে রাতের খাবার দিলেন। তিনি আহার করিলেন। তারপর উম্মু সুলাইমের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করিলেন। যৌন সঙ্গম ক্রিয়া শেষে উম্মু সুলাইম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আস। সকাল হলে আবু ত্বলহা [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে তাঁকে এ ঘটনা বলিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ গত রাতে তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হাঁ! নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! তাহাদের জন্য তুমি বরকত দান কর। কিছুদিন পর উম্মু সুলাইম একটি সন্তান প্রসব করিল [রাবী বলেনঃ ] আবু ত্বলহা [রাদি.] আমাকে বলিলেন, তাকে তুমি দেখাশোনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে নিয়ে যাই। তারপর তিনি তাকে নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে নিয়ে গেলেন। উম্মু সুলাইম সঙ্গে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন। নাবী [সাঃআঃ] তাকে [কোলে] নিলেন এবং জিজ্ঞেস করিলেন, তার সঙ্গে কিছু আছে কি? তাঁরা বললেনঃ হাঁ, আছে। তিনি তা নিয়ে চর্বন করিলেন এবং তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন। তিনি এর দ্বারাই তার তাহনীক করিলেন এবং তার নাম রাখলেন আবদুল্লাহ।
[বোখারী পর্ব ৭১ অধ্যায় ১ হাদীস নং ৫৪৭০; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৪৪] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৭. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বারকাতের দুআ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবু মূসার বড় সন্তান।
[বোখারী পর্ব ৭১ অধ্যায় ১ হাদীস নং ৫৪৬৭; মুসলিম ৩৮/৪ হাঃ ২১৪৫] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৮. আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তখন আবদুল্লাহ্ ইবনি যুবায়ের তার গর্ভে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এমন সময় হিজরত করি যখন আমি আসন্ন প্রসবা। আমি মাদীনায় এসে কুবাতে অবতরণ করি। এ কুবাতেই আমি পুত্র সন্তানটি প্রসব করি। এরপর আমি তাকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে তাহাঁর কোলে দিলাম। তিনি একটি খেজুর আনালেন এবং তা চিবিয়ে তার মুখে দিলেন। কাজেই সর্বপ্রথম যে বস্তুটি আবদুল্লাহর পেটে গেল তা হল নাবী [সাঃআঃ]-এর থুথু। নাবী [সাঃআঃ] সামান্য চিবানো খেজুর নবজাতকের মুখের ভিতরের তালুর অংশে লাগিয়ে দিলেন। এরপর তার জন্য দুআ করিলেন এবং বরকত চাইলেন। তিনি হলেন প্রথম নবজাতক সন্তান যিনি হিজরাতের পর মুসলিম পরিবারে জন্মলাভ করেন।
[বোখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ৪৫ হাদীস নং ৩৯০৯; মুসলিম ৩৮/৪ হাঃ ২১৪৬] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৯. সাহ্ল বিন সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
যখন মুনযির ইবনি আবু উসায়দ জন্মগ্রহণ করিলেন, তখন তাকে নাবী [সাঃআঃ]-এর খিদমতে নিয়ে আসা হলো। তিনি তাকে নিজের উরুর উপর রাখলেন। আবু উসায়দ পাশেই বসা ছিলেন। এ সময় নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সামনেই কোন জরুরী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ইত্যবসরে আবু উসায়দ [রাদি.] কারো দ্বারা তাহাঁর উরু থেকে তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে নাবী [সাঃআঃ] সে কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করে জিজ্ঞেস করলেনঃ শিশুটি কোথায়? আবু উসায়দ বললঃ হে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ]! আমি তাকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তার নাম কী? তিনি বললেনঃ অমুক। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ বরং তার নাম মুন্যির। সে দিন থেকে তার নাম রাখলেন মুন্যির।
[বোখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১০৮ হাদীস নং ৬১৯১; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৪৯] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৯০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সবার চেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল; তাকে আবু উমায়র বলে ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাহাঁর নিকট আসতো, তিনি বলিতেনঃ হে আবু উমায়র! তোমার নুগায়র কি করছে? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন সলাতের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তাহাঁর নীচে যে বিছানা থাকতো, সামান্য পানি ছিটিয়ে ঝেড়ে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি সলাতের জন্য দাঁড়াতেন এবং আমরাও তাহাঁর পেছনে দাঁড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করিতেন।
[বোখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১১২ হাদীস নং ৬২০৩; মুসলিম ৩৮/৫, হাঃ ২১৫০] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮/৭. [ঘরে ইত্যাদিতে প্রবেশের জন্য] অনুমতি চাওয়া
১৩৯১. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি আনসারদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ আবু মূসা [রাদি.] ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এসে বললেনঃ আমি তিনবার উমার [রাদি.]-এর নিকট অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই আমি ফিরে এলাম। উমার [রাদি.] তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাকে ভেতরে প্রবেশ করিতে কিসে বাধা দিল? আমি বললামঃ আমি প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হলো না। তাই আমি ফিরে এলাম। [কারণ] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায় কিন্তু তাতে অনুমতি দেয়া না হয় তবে সে যেন ফিরে যায়। তখন উমার [রাদি.] বললেনঃ আল্লাহ্র কসম! তোমাকে এ কথার উপর অবশ্যই প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। তিনি সবাইকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ আছে কি যিনি নাবী [সাঃআঃ] থেকে এ হাদীস শুনেছেন? তখন উবাই ইবনি কাব বললেনঃ আল্লাহ্র কসম! আপনার কাছে প্রমাণ দিতে দলের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিই উঠে দাঁড়াবে। আর আমি দলের সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। সুতরাং আমি তাহাঁর সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে বললামঃ নাবী [সাঃআঃ] অবশ্যই এ কথা বলেছেন।
[বোখারী পর্ব ৭৯ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৬২৪৫; মুসলিম ৩৮/৭, হাঃ ২১৫৩] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮/৮. অনুমতি প্রার্থীকে যখন বলা হইবে আপনি কে তখন আমি বলা মাকরুহ।
১৩৯২. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতার কিছু ঋণ ছিল। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এলাম এবং দরজায় করাঘাত করলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কে? আমি বললামঃ আমি। তখন তিনি বললেনঃ আমি আমি, যেন তিনি তা অপছন্দ করিলেন।
[বোখারী পর্ব ৭৯ অধ্যায় ১৭ হাদীস নং ৬২৫০; মুসলিম ৩৮/৮, হাঃ ২১৫৫] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮/৯. অন্যের বাড়িতে উঁকি মারা হারাম।
১৩৯৩. সাহ্ল ইবনি সাদ সাঈদী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কোন গৃহের দরজার এক ছিদ্র দিয়ে উঁকি মারল। তখন রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট চিরুনি সদৃশ একখণ্ড লোহা ছিল। এ দ্বারা তিনি স্বীয়মাথা চুল্কাচ্ছিলেন। যখন রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাকে দেখলেন তখন বললেনঃ যদি আমি নিশ্চিত হতাম যে, তুমি আমার দিকে তাকাচ্ছ তাহলে এ দ্বারা আমি তোমার চোখে আঘাত করতাম। রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেনঃ চোখের দরুন-ই অনুমতির বিধান রাখা হয়েছে।
[বোখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ২৩ হাদীস নং ৬৯০১; মুসলিম ৩৮/৯, হাঃ ২১৫৬] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৯৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একবার এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর এক কামরায় উঁকি দিল। তখন তিনি একটা তীর ফলক কিংবা তীর ফলকসমূহ নিয়ে তার দিকে দৌড়ালেন। আনাস [রাদি.] বলেনঃ তা যেন এখনও আমি প্রত্যক্ষ করছি। তিনি ঐ লোকটির চোখ ফুঁড়ে দেয়ার জন্য তাকে খুঁজেছিলেন।
[বোখারী পর্ব ৭৯ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৬২৪২; মুসলিম ৩৮/৯, হাঃ ২১৫৭] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৩৯৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি কেউ তোমার ঘরে তোমার অনুমতি ব্যতিরেকে উঁকি মারে আর তুমি পাথর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু ফুটা করে দাও, তাতে তোমার কোন গুনাহ্ হইবে না।
[বোখারী পর্ব ৮৭ অধ্যায় ১৫ হাদীস নং ৬৮৮৮; মুসলিম ৩৮/৯, হাঃ ২১৫৮] আচার ব্যবহার -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply