আখেরাত এর কাজে প্রতিযোগিতা করা – রিয়াদুস সালেহীন
আখেরাত এর কাজে প্রতিযোগিতা করা – রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৬৩: আখেরাত এর কাজে প্রতিযোগিতা করা এবং বরকতময় জিনিস অধিক কামনা করার বিবরণ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَفِي ذَٰلِكَ فَلۡيَتَنَافَسِ ٱلۡمُتَنَٰفِسُونَ﴾ [المطففين: ٢٦]
অর্থাৎ “এ ব্যাপারে [জান্নাত লাভের জন্য] প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক।” [সূরা মুত্বাফফিফীন ২৬ আয়াত]
1/574 وَعَن سَهْلِ بن سَعدٍ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ أُتِيَ بِشَرابٍ، فَشَرِبَ مِنْهُ وَعَنْ يَمِينِهِ غُلاَمٌ، وَعَنْ يَسَارِهِ الأشْيَاخُ، فَقَالَ لِلغُلاَمِ: « أتَأذَنُ لِي أنْ أُعْطِيَ هَؤُلاَءِ ؟ » فَقَالَ الغُلامُ: لاَ وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ، لاَ أُوْثِرُ بِنَصِيبي مِنْكَ أحَداً . فَتَلَّهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ في يَدِهِ . متفقٌ عَلَيْهِ
১/৫৭৪। সাহল ইবনি সা‘দ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ এর সামনে কোন পানীয় পরিবেশন করা হল। তিনি তা থেকে পান করিলেন। তাহাঁর ডান দিকে ছিল একটি বালক আর বাম দিকে ছিল কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। [নিয়ম হল, ডান দিকে আগে দেওয়া তাই] তিনি বালকটিকে বলিলেন, ‘‘তুমি কি আমাকে অনুমতি দেবে, আমি ঐ বয়স্ক লোকদেরকে আগে পান করিতে দিই?’’ বালকটি বলিল, ‘আল্লাহর কসম! হে আল্লাহর রসূল! আপনার কাছ থেকে আমার ভাগে আসা জিনিসের ক্ষেত্রে আমি কাউকে আমার উপর অগ্রাধিকার দেব না।’ [সা‘দ বলেন,] ‘রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তখন পেয়ালাটি তার হাতে তুলে দিলেন।’ [বুখারী ও মুসলিম] [1]
* ঐ বালক ছিলেন, ইবনি আব্বাস রাঃআঃ।
2/575 وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ، قَالَ: «بَيْنَا أيُّوبُ عليه السلام يَغْتَسِلُ عُرْيَاناً، فَخَرَّ عَلَيْهِ جَرَادٌ مِنْ ذَهَبٍ، فَجَعَلَ أيُّوبُ يَحْثِي في ثَوْبِهِ، فَنَادَاهُ رَبُّهُ – عَزَّ وَجَلَّ -: يَا أيُّوبُ، ألَمْ أكُنْ أغْنَيتكَ عَمَّا تَرَى ؟! قَالَ: بَلَى وَعِزَّتِكَ وَلَكِنْ لاَ غِنى بِيْ عَنْ بَرَكَتِكَ ». رواه البخاري
২/৫৭৫। আবূ হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘একদা আইয়ূব আলাইহিস সালাম উলঙ্গ হয়ে গোসল করছিলেন। অতঃপর তাহাঁর উপর সোনার পঙ্গপাল পড়তে লাগল। আইয়ূব আলাইহিস সালাম তা আঁজলা ভরে ভরে বস্ত্রে রাখতে আরম্ভ করিলেন। সুতরাং তাহাঁর প্রতিপালক আয্যা অজাল্ল তাঁকে ডাক দিলেন, ‘হে আইয়ূব! তুমি যা দেখছ তা হতে কি আমি তোমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিইনি?’ তিনি বলিলেন, ‘অবশ্যই, তোমার ইজ্জতের কসম! কিন্তু আমি তোমার বরকত হতে অমুখাপেক্ষী নই।’’ [বুখারী] [2]
[1] সহীহুল বুখারী ২৩৫১, ২৩৬৬, ২৪৫১, ২৬০২, ২৬০৫, ৫৬২০, মুসলিম ২০৩০, আহমাদ ২২৩১৭, ২২৩৬০, মুওয়াত্তা মালিক ১৭২৪
[2] সহীহুল বুখারী ২৭৯, ৩৩৯১, ৭৪৯৩, নাসায়ী ৪০৯, আহমাদ ৭২৬৭, ৭৯৭৮, ২৭৩৭৬, ৮৩৬৪, ৯৯৮০, ১০২৬০
Leave a Reply