আকিকার মাসআলা । আকীকার পদ্ধতি ও বর্ণনা হাদিস থেকে

আকিকার মাসআলা । আকীকার পদ্ধতি ও বর্ণনা হাদিস থেকে

আকিকার মাসআলা । আকীকার পদ্ধতি ও বর্ণনা হাদিস থেকে, =৭ টি ( ১০৬৭-১০৭৩ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ২৬ঃ আকীকা সম্পর্কিত

পরিচ্ছেদ ১ – আকীকার বর্ণনা
পরিচ্ছেদ ২ – আকীকার পদ্ধতি

পরিচ্ছেদ ১ – আকীকার বর্ণনা

১০৬০

বনী যামরার জনৈক ব্যক্তি তাঁর পিতা হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর নিকট আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছেন : আমি উকূক {১} পছন্দ করি না। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ এই নামটি পছন্দ করিবেন না। তিনি আরো বলেছিলেন : কারো সন্তান হলে সে যদি কিছু কুরবানী করিতে চায় তবে তা করিতে পারে। [হাসান, আবু দাঊদ ২৮৪২, নাসাঈ ৪২১২, আলবানী হাদীসটি হাসান বলেছেন {আস সিলসিলাহ সহীহা ১৬৫৫} তবে ঈমাম মালিক কর্তৃক বর্ণিত সনদে মুবহাম রাবী রয়েছে]

{১} উকূক শব্দের অর্থ হল পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। আর আকীকা শব্দটির ধাতু যেহেতু উকূক শব্দের অনুরূপ। তাই রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ উকূক পছন্দ করেননি।

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

১০৬১

জাফর ইবনি মুহাম্মাদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

রসূল সাঃআঃ তনয়া ফাতিমা [রাদি.] হাসান, হুসাইন, যায়নাব ও উম্মে কুলসুম [রাদি.]-এর মাথার চুল ওজন করে সেই পরিমাণ রৌপ্য দান করেছিলেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

১০৬২

মুহাম্মাদ ইবনি আলী ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

রসূল সাঃআঃ তনয়া ফাতিমা [রাদি.] হাসান ও হুসাইনের মাথার চুল ওজন করে তত পরিমাণ রৌপ্য দান করেছিলেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

পরিচ্ছেদ ২ – আকীকার পদ্ধতি

১০৬৩

নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-এর পরিবারের কারো জন্য আকীকার ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করলে তিনি তাহাকে সাহায্য করিতেন এবং তাঁর নিজের সন্তানের ব্যাপারে ছেলে বা মেয়ে হোক, প্রত্যেক সন্তানের জন্য একটি করে বকরী আকীকা দিতেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

{১} আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণিত হয়েছে ছেলের পক্ষ হইতে দুটি বকরী এবং মেয়ের পক্ষ হইতে একটি করে বকরী আকীকা দিতে পারবে। ঈমাম আবু হানীফা [রাহিমাহুল্লাহ] অনুরূপ মত পোষণ করেন।

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

১০৬৪

মুহাম্মাদ ইবনি ইবরাহীম হারিস তায়মী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

পিতার নিকট শুনিয়াছি, আকীকা করা তাঁর খুবই প্রিয় ছিল, তা একটি পাখীও হোক না কেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

১০৬৫

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আলী [রাদি.] ইবনি আবু তালিবের পুত্র হাসান ও হুসাইন [রাদি.]-এর আকীকা করা হয়েছিল। [সহীহ, আবু দাঊদ ২৮৪১, নাসাঈ ৪২১৯, আব্বাস [রাদি.]-এর বরাত দিয়ে মুত্তাসিল সনদে বর্ণনা করেন, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন {মিশকাত ৪১৫৫} ঈমাম মালেকের নিকট হাদীসটি পৌঁছেছে মর্মে বর্ণনা করিয়াছেন]

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

১০৬৬

উরওয়াহ ইবনি যুবাইর [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

ছেলে হোক বা মেয়ে, প্রত্যেক সন্তানের জন্য একটি বকরী আকীকা করিতেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন : আকীকার বিষয়ে আমাদের নিকট হুকুম হল, ছেলে হোক বা মেয়ে হোক প্রত্যেকের জন্য একটি বকরী আকীকা করা হইবে। আকীকা করা ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব। তবে আকীকার বকরী কুরবানীর বকরীর অনুরূপ হইতে হইবে। চোখ কানা, অতিশয় বৃদ্ধ, শিং ভাঙ্গা এবং রোগা হলে চলবে না। আকীকার গোশ্ত এবং চামড়া বিক্রয় করা জায়েয নয়। এর হাড়গুলো ভেঙ্গে দেয়া উচিত। {২}

আকীকার গোশ্ত নিজে খাবে এবং দরিদ্রদেরকেও খেতে দিবে। আকীকাকৃত বকরীর রক্ত বাচ্চাকে ছোঁয়াবে না। {৩}

{১} তিরমিজি শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ ছেলের পক্ষে দুটি এবং মেয়ের পক্ষে একটি আকীকা করিতে বলেছেন।

{২} জাহেলী যুগে হাড় ভাঙ্গা অশুভ বলে মনে করা হত। তাই এখানে এ কথার উল্লেখ করা হয়েছে।

{৩} এটাও একটি জাহেলী রসম ছিল।

আকিকার মাসআলা -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য


by

Tags:

Comments

One response to “আকিকার মাসআলা । আকীকার পদ্ধতি ও বর্ণনা হাদিস থেকে”

Leave a Reply