আকিকার নিয়ম ও ‎আতীরাহ এবং ফারা সম্পর্কে হাদীস

আকিকার নিয়ম ও ‎আতীরাহ এবং ফারা সম্পর্কে হাদীস

আকিকার নিয়ম ও ‎আতীরাহ এবং ফারা সম্পর্কে হাদীস >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৭১, আকীকা, অধ্যায়ঃ (১-৪)=৪টি

৭১/১. অধ্যায়ঃ ‎যে সন্তানের আকিকা দেয়া হইবে না, জন্ম লাভের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্নীক করা (কিছু ‎চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)।
৭১/২. অধ্যায়ঃ ‎‎ আকিকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা।
৭১/৩. অধ্যায়ঃ ‎ ফারা সম্পর্কে।
৭১/৪. অধ্যায়ঃ ‎আতীরাহ

৭১/১. অধ্যায়ঃ ‎যে সন্তানের আকিকা দেয়া হইবে না, জন্ম লাভের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্নীক করা (কিছু ‎চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)।

৫৪৬৭

আবু মূসা (রাদি.)‎ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মালে আমি তাকে নিয়ে নাবী (সাঃআঃ)-এর কাছে ‎গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বারাকাতের ‎দুআ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবু মূসার সবচেয়ে বড় ছেলে। ‎(আঃপ্রঃ- ৫০৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৮)

৫৪৬৮

আয়েশা (রাদি.) ‎ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর কাছে তাহ্নীক করার জন্য এক শিশুকে আনা হল, শিশুটি ‎তার কোলে পেশাব করে দিল, তিনি তখন এতে পানি ঢেলে দিলেন। ‎ (আঃপ্রঃ- ৫০৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৯)

৫৪৬৯

আসমা বিনত আবু বক্‌র (রাদি.)‎ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেন, গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্থায় আমি বেরিয়ে ‎মদীনায় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম। কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি। তারপর তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ ‎‎(সাঃআঃ)-এর কাছে এসে তাকে তাহাঁর কোলে রাখলাম। তিনি একটি খেজুর আনতে ‎বলিলেন। তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর এই লালাই সর্বপ্রথম ‎তার পেটে প্রবেশ করেছিল। তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহ্নীক করিলেন এবং তার জন্য বরকতের দুআ ‎করিলেন। (হিজরতের পরে) ইসলামে জন্মলাভকারী সেই ছিল প্রথম সন্তান। তাই তার জন্যে মুসলিমরা মহা আনন্দে ‎আনন্দিত হয়েছিলেন। কারণ, তাদের বলা হত ইয়াহূদীরা তোমাদের যাদু করেছে, তাই তোমাদের সন্তান হয় না।(আঃপ্রঃ- , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬০)

৫৪৭০

আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) ‎ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবু তালহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ল। আবু তালহা (রাদি.) বাইরে গেলেন, তখন ছেলেটি মারা ‎গেল। আবু তালহা (রাদি.) ফিরে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ ছেলেটি কী করছে? উম্মু সুলাইম বললেনঃ সে আগের চেয়ে ‎শান্ত। তারপর তাঁকে খাবার দিলেন। তিনি আহার করিলেন। তারপর উম্মু সুলাইমের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করিলেন। ‎যৌন সঙ্গম ক্রিয়া শেষে উম্মু সুলাইম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আস। সকাল হলে আবু তালহা (রাদি.) ‎রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর কাছে এসে তাঁকে এ ঘটনা বলিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ গত ‎রাতে তুমি কি স্ত্রীর সাথে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ! নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ! ‎তাদের জন্য তুমি বরকত দান কর। কিছুদিন পর উম্মু সুলাইম একটি সন্তান প্রসব করিল। (রাবী বলেনঃ ) আবু ‎তালহা (রাদি.) আমাকে বললেনঃ তাকে তুমি দেখাশোনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ‎সাল্লাম)-এর কাছে নিয়ে যাই। অতঃপর তিনি তাকে নাবী (সাঃআঃ)-এর কাছে নিয়ে ‎গেলেন। উম্মু সুলাইম সঙ্গে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তাকে (কোলে) ‎নিলেন এবং জিজ্ঞেস করিলেন, তার সঙ্গে কিছু আছে কি? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, আছে। তিনি তা নিয়ে চিবালেন এবং ‎তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন। তিনি এর দ্বারাই তার তাহ্নীক করিলেন এবং তার নাম ‎রাখলেন আবদুল্লাহ। ‎

আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিত। তিনি উক্ত হাদীসটিই বর্ণনা করেন। ‎ (আঃপ্রঃ- ৫০৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬২)

৭১/২. অধ্যায়ঃ ‎‎ আকিকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা।

৫৪৭১

‎সালমান ইবনু আমির (রাদি.) ‎ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে ‎বলিতে শুনিয়াছি যে, সন্তানের সঙ্গে আকিকা সম্পর্কিত। ‎তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ আকিকার জন্তু যবেহ) ‎কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও। ‎(আ.প্র. ৫০৬৬, ই.ফা. ৪৯৬৩)‎

৫৪৭২

হাবীব ইবনু শাহীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু সিরীন আমাকে নির্দেশ করিলেন, আমি যেন ‎হাসানকে জিজ্ঞেস করি তিনি আকিকার হাদীসটি কার কাছ থেকে শুনেছেন? আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি ‎বললেনঃ সামূরাহ ইবনু জুনদুব (রাদি.) থেকে। [৫৪৭১] (আ.প্র. ৫০৬৭, ই.ফা. ৪৯৬৪)‎

৭১/৩. অধ্যায়ঃ ‎ ফারা সম্পর্কে।

৫৪৭৩

আবু হুরাইরা (রাদি.)‎ হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, (ইসলামে) ফারা বা আতীরা নেই। ফারা হল ঊটের সে প্রথম ‎বাচ্চা, যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবেহ করত। আর আতীরা হল রজবে যে জন্তু যবেহ করত। ‎

৭১/৪. অধ্যায়ঃ ‎আতীরাহ

৫৪৭৪

আবু হুরাইরা (রাদি.)‎ হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ (ইসলামে) ফারা ও আতীরা নেই। ফারা হল উটের প্রথম বাচ্চা যা ‎তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবেহ দিত। আর আতীরা যা রজবে যবেহ করত। ‎(আঃপ্রঃ- ৫০৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৬)

Comments

Leave a Reply