অভিসম্পাত ও গালি গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
অভিসম্পাত ও গালি গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর কয়েকটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
অভিসম্পাত ও গালি গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
পরিচ্ছেদ – ২৬৪ঃ নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা ঘোর নিষিদ্ধ
পরিচ্ছেদ – ২৬৫ঃ অনির্দিষ্টরূপে পাপিষ্ঠদেরকে অভিসম্পাত করা বৈধ
পরিচ্ছেদ – ২৬৬ঃ কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
পরিচ্ছেদ – ২৬৭ঃ মৃতদেরকে অন্যায়ভাবে শরয়ী স্বার্থ ছাড়াই গালি দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা
পরিচ্ছেদ – ২৬৪: নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রাণীকে অভিসম্পাত করা ঘোর নিষিদ্ধ
১৫৫৯. আবু যায়েদ সাবেত ইবনে যাহ্হাক আনসারী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি ‘বায়আতে রিয্ওয়ান’ (হুদাইবিয়াহ সন্ধির সময়ে কুরাইশের বিরুদ্ধে কৃত প্রতিজ্ঞার) অন্যতম সদস্য ছিলেন; তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ব্যতীত ভিন্ন ধর্মের মিথ্যা কসম খেল, তাহলে সে তেমনি হয়ে গেল, যেমন সে বলল। যে ব্যক্তি কোন বস্তু দ্বারা আত্মহত্যা করল, কিয়ামতের দিন তাকে সেই বস্তু দ্বারাই শাস্তি দেওয়া হবে। মানুষ যে জিনিসের মালিক নয়, তার মানত পূরণ করা তার পক্ষে জরুরী নয়। আর কোন মুমিন ব্যক্তিকে অভিসম্পাত করা তাকে হত্যা করার সমান।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৩৬৪, ৪১৭১, ৪৮৪৩, ৬১০৫, ৬৬৫৩, মুসলিম ১১০, তিরমিজী ১৫৪৩, নাসাঈ ৩৭৭০, ৩৭৭১, ৩৮১৩, আবু দাঊদ ৩২৫৭, ইবনু মাজাহ ২০৯৮, আহমাদ ১৫৯৫০, ১৫৯৫৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৬০. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘কোন মহাসত্যবাদীর জন্য অভিসম্পাতকারী হওয়া সঙ্গত নয়।’’
(মুসলিম ২৫৯৭, আহমাদ ৮২৪২, ৮৫৬৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৬১. আবু দার্দা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘অভিসম্পাতকারীরা কিয়ামতের দিনে না সুপারিশকারী হবে, আর না সাক্ষ্যদাতা।’’
(মুসলিম ২৫৯৮, আবু দাঊদ ৪৯০৭, আহমাদ ২৬৯৮১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৬২. সামুরাহ ইবনে জুন্দুব রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমরা একে অন্যের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তাঁর গযব এবং জাহান্নামের আগুন দ্বারা অভিসম্পাত করো না।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিজী হাসান সহীহ)
(আবু দাঊদ ৪৯০৬, তিরমিজী ১৯৭৬, ১৯৬৬২) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৫৬৩. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘মুমীন খোঁটা দানকারী, অভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না।’’
(তিরমিজী ১৯৭৭, আহমাদ ৩৮২৯, ৩৯৩৮) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৫৬৪. আবু দার্দা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যখন কোন বান্দা কোন জিনিসকে অভিসম্পাত করে, তখন সেই অভিশাপ আকাশের দিকে উঠে যায়। কিন্তু তার সামনে আকাশের দ্বার বন্ধ ক‘রে দেওয়া হয়, ফলে পৃথিবীর দিকে নেমে আসে। তখনও তার সামনে (পৃথিবীর) দরজা বন্ধ ক‘রে দেওয়া হয়। কাজেই ডানে-বামে (এদিক ওদিক) ফিরতে থাকে। পরিশেষে যখন তা কোন যথার্থ স্থান পায় না, তখন অভিশপ্ত বস্তু বা ব্যক্তির প্রতি ফিরে যায়; যদি সে এর (অভিশাপের) উপযুক্ত হয়, তাহলে (তাকে অভিশাপ লেগে যায়)। নচেৎ তা অভিশাপ-কারীর প্রতি ফিরে আসে।’’
(আবু দাঊদ ৪৯০৫ ) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৫৬৫. ইমরান ইবনে হুসাইন রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন সফরে ছিলেন। আনসারী এক মহিলা এক উটনীর উপর সওয়ার ছিল। সে বিরক্ত হয়ে উটনীটিকে অভিসম্পাত করতে লাগল। রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তা শুনে (সঙ্গীদেরকে) বললেন, ‘‘এ উটনীর উপরে যা কিছু আছে সব নামিয়ে নাও এবং ওকে ছেড়ে দাও। কেননা, ওটি (এখন) অভিশপ্ত।’’ ইমরান বলেন, ‘যেন আমি এখনো উঁটনীটিকে দেখছি, উটনীটি লোকদের মধ্যে চলাফেরা করছে, আর কেউ তাকে বাধা দিচ্ছে না।’
(মুসলিম ২৫৯৫, আবু দাঊদ ২৫৫১, আহমাদ ১৯৩৫৮, ১৯৩৬৯, দারেমী ২৬৭৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৬৬. আবু বার্যাহ নাযলাহ ইবনে উবাইদ আসলামী হইতে বর্ণিতঃ
একবার এক যুবতী মহিলা একটি উটনীর উপর সওয়ার ছিল। আর তার উপর লোকদের (সহযাত্রীদের) কিছু আসবাব-পত্র ছিল। ইত্যবসরে মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে প্রত্যক্ষ করল। আর লোকদের জন্য পার্বত্য পথটি সংকীর্ণ বোধ হল। মহিলাটি উটনীকে (দ্রুত গতিতে চালাবার উদ্দেশ্যে) বলল, ‘হাঃ! হে আল্লাহ! এর উপর অভিশাপ কর।’ তা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘‘ঐ উটনী যেন আমাদের সাথে না থাকে, যাকে অভিশাপ করা হয়েছে।’’
(মুসলিম ২৫৯৬, আহমাদ ১৯২৯১) জেনে রাখুন যে, দৃশ্যতঃ এই হাদীসের অর্থের ব্যাপারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। অথচ এতে কোন জটিলতা নেই। কারণ, এর মর্মার্থ হল যে, উটনীটিকে অভিশাপ করা হয়েছে, অতএব তা যেন তাঁদের সাথে না থাকে। এর মানে এই নয় যে, উটনীটিকে যবেহ করা, বিক্রি করা, তার উপর আরোহন করা ইত্যাদি নিষেধ। বরং এ সকল তথা অন্য সমস্ত প্রকার উপকার তার দ্বারা গ্রহণ করা বৈধ। যা নিষিদ্ধ হল, তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাফেলায় থাকা। সুতরাং তা ব্যতীত অবশিষ্ট দিকগুলি পূর্ববৎ বৈধ থাকবে। হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৬৫: অনির্দিষ্টরূপে পাপিষ্ঠদেরকে অভিসম্পাত করা বৈধ
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ أَلَا لَعۡنَةُ ٱللَّهِ عَلَى ٱلظَّٰلِمِينَ ١٨ ﴾ (هود: ١٨)
অর্থাৎ, সাবধান! অত্যাচারীদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ। (সূরা হূদ ১৮ আয়াত)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنُۢ بَيۡنَهُمۡ أَن لَّعۡنَةُ ٱللَّهِ عَلَى ٱلظَّٰلِمِينَ ٤٤ ﴾ (الاعراف: ٤٤)
অর্থাৎ, অতঃপর জনৈক ঘোষণাকারী তাদের নিকট ঘোষণা করিবে, অত্যাচারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। (সূরা আ’রাফ ৪৪ আয়াত)
সহীহ হাদীসসমূহে প্রমাণিত যে,
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘সেই নারীর উপর আল্লাহর অভিশাপ, যে অপরের মাথায় নকল চুল জুড়ে দেয়। আর সেই নারীর উপরেও, যে অন্য নারীর দ্বারা (নিজ মাথায়) নকল চুল সংযুক্ত করায়।”
তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহ সুদখোরকে অভিশাপ করুন (অথবা করিয়াছেন) ।’’
وأنَّهُ لَعَنَ المُصَوِّرِينَ. তিনি ছবি নির্মাতাকে অভিশাপ করিয়াছেন।
তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি জমি জায়গার সীমা-চিহ্ন পরিবর্তন করে, আল্লাহ তাকে অভিশাপ করুন (অথবা করিয়াছেন) ।
তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহ চোরকে অভিশাপ করুন (অথবা করিয়াছেন), যে চোর ডিম চুরি করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘যে নিজ মাতা-পিতাকে অভিশাপ ও ভৎর্সনা করে তাকেও আল্লাহ অভিসম্পাত করুন (অথবা করিয়াছেন) ।’’
وَلَعَنَ اللهُ من ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ. ‘‘এবং সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ অভিশাপ করুন (অথবা করিয়াছেন), যে গায়রুল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু যবেহ করে।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি মদিনায় কোন প্রকার বিদআত (আবিষ্কার) করে অথবা কোন বিদআতী লোককে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতামন্ডলী এবং সমস্ত মানুষের অভিশাপ।’’
তিনি এভাবে (বদ্দু‘আ) ক‘রে বলেছেন, ‘‘হে আল্লাহ! রি’ল, যাকওয়ান ও উসাইয়াহ গোত্রসমূহের উপর অভিশাপ কর। কেননা, তারা আল্লাহ ও তদীয় রসূলের অবাধ্যতা করেছে।’’ আর এ তিনটিই ছিল আরবের এক একটি গোত্রের নাম।
তিনি বলেন, ‘‘আল্লাহ ইয়াহূদীদেরকে অভিসম্পাত করুন (অথবা করিয়াছেন), তারা তাদের পয়গম্বরদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।’’
তিনি সেই সকল পুরুষকেও অভিশাপ করিয়াছেন, যারা নারীদের সাদৃশ্য ও আকৃতি গ্রহণ করে। তেমনি সেই সব নারীদেরকেও অভিশাপ করিয়াছেন, যারা পুরুষদের সাদৃশ্য ও আকৃতি অবলম্বন করে থাকে।
উক্ত বাণীসমূহ বিশুদ্ধ হাদীসে সন্নিবিষ্ট হয়েছে। তার মধ্যে কিছু হাদীস সহীহ বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে। আর কিছু হাদীস তার মধ্যে কোন একটিতে উদ্ধৃত হয়েছে। আমি এখানে তার প্রতি সংক্ষিপ্তভাবে আভাস দিয়েছি মাত্র। উক্ত হাদীসগুলির অধিকাংশই এই গ্রন্থের বিভিন্ন পরিচ্ছেদে উল্লেখ করব ইনশা আল্লাহ।
পরিচ্ছেদ – ২৬৬: কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
১৫৬৭. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী (আল্লাহর অবাধ্যাচরণ) এবং তার সাথে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৮, ৬০৪৫, ৭০৭৬, মুসলিম ৬৪, তিরমিজী ১৯৮৩, ২৬৩৪, ২৬৩৫, নাসাঈ ৪১০৫, ৪১০৬, ৪১০৮-৪১১৩, ইবনু মাজাহ ৬৯, ৩৮৯৩, ৩৯৪৭, ৪১১৫, ৪১৬৭, ৪২৫০, ৪৩৩২, ৪৩৮০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৬৮. আবু যার্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে তিনি এ কথা বলতে শুনেছেন যে, ‘‘যখন কোন মানুষ অন্য মানুষের প্রতি ‘ফাসেক’ অথবা ‘কাফের’ বলে অপবাদ দেয়, তখনই তা তার উপরেই বর্তায়; যদি তার প্রতিপক্ষ তা না হয়।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬০৪৫, মুসলিম ৬১, আহমাদ ২০৯৫৪, ২১০৬১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৬৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘আপোসে গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কুবাক্য উচ্চারণ করে, সে সব তাদের মধ্যে সূচনাকারীর উপরে বর্তায়; যতক্ষণ না অত্যাচারিত ব্যক্তি (প্রতিশোধ গ্রহণে) সীমা অতিক্রম করে।’’
(মুসলিম ২৫৮৭, আহমাদ ৭১৬৪, ৯৯৫৬, ১০৩২৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৭০. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মদ পান করেছে এমন এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট হাজির করা হল। তিনি আদেশ দিলেন, ‘ওকে তোমরা মার।’ আবু হুরাইরা বলেন, (তাঁর আদেশ অনুযায়ী আমরা তাকে মারতে আরম্ভ করলাম।) আমাদের কেউ তাকে হাত দ্বারা মারতে লাগল, কেউ আপন জুতা দ্বারা, কেউ নিজ কাপড় দ্বারা। অতঃপর যখন সে ফিরে যেতে লাগল, তখন কিছু লোক বলে উঠল, ‘আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুক।’ তা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘এরূপ বলো না এবং ওর বিরুদ্ধে শয়তানকে সহযোগিতা করো না।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৭৭৭, ৬৭৮১, আবু দাঊদ ৪৪৭৭, আহমাদ ৭৯২৬)হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৫৭১. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নিজ মালিকানাধীন দাসের উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেবে, কিয়ামতের দিন তার উপর হদ্ (দণ্ডবিধি) প্রয়োগ করা হবে। তবে সে যা বলেছে, দাস যদি তাই হয় (তাহলে ভিন্ন কথা।)’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬৮৫৮, মুসলিম ১৬৬০, তিরমিজী ১৯৪৭, আবু দাঊদ ৫১৬৫, আহমাদ ৯২৮৩, ১০১১০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ২৬৭: মৃতদেরকে অন্যায়ভাবে শরয়ী স্বার্থ ছাড়াই গালি দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা
১৫৭২. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না। যেহেতু তারা নিজেদের কৃতকর্মের পরিণতি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।’’ (অর্থাৎ, তার ফল ভোগ করছে।)
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১৩৯৩, ৬৫১৬, নাসাঈ ১৯৩৬, আবু দাঊদ ৪৮৯৯, আহমাদ ২৪৯৪২, দারেমী ২৫১১) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply