অজুর নিয়ম কানুন সমূহের হাদিস গুলোর বর্ণনা
অজুর নিয়ম কানুন সমূহের হাদিস গুলোর বর্ণনা >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৩, অধ্যায়ঃ ৪
- অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৯১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠে তখন সে যেন স্বীয় হাত [পানির] পাত্রে না ডুবায়, যে পর্যন্ত তা তিনবার ধুয়ে না নেয়। কারণ সে জানে না রাতে তার হাত কোথায় ছিল। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ১৬২, মুসলিম ২৭৮।অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে উঠবে ও উযূ করিবে, সে যেন তিনবার নাকে পানি দিয়ে [নাক] ঝেড়ে ফেলে। কেননা শয়তান তার নাকের বাঁশিতে রাত যাপন করে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩২৯৫, মুসলিম ২৩৮; শব্দ বিন্যাস মুসলিমের। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৩. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ ইবনি আসিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুলাহ ইবনি যায়দ ইবনি আসিম [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করা হল, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিভাবে উযূ করিতেন? [এ কথা শুনে] তিনি উযূর জন্য পানি আনালেন, তারপর দুই হাতের উপর তা ঢাললেন এবং দুই হাত [কব্জি পর্যন্ত] দুবার ধুয়ে নিলেন। এরপর তিনবার করে কুলি করিলেন ও নাকে পানি দিলেন। এরপর তিনবার মুখ ধুলেন। তারপর হাত কনুই পর্যন্ত দুবার করে ধুলেন। এরপর দুই হাত দিয়ে মাথা মাসাহ করিলেন। [মাসাহ এভাবে করিলেন] দুই হাতকে মাথার সম্মুখভাগ হইতে পেছনের দিকে নিয়ে আবার পেছন হইতে সম্মুখভাগে নিয়ে এলেন। তারপর আবার উল্টো দিকে যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানে দুই হাত নিয়ে এলেন। অতঃপর দুই পা ধুলেন। {১} মালিক ও নাসায়ী; আবু দাঊদেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। জামিউই উসূল-এর গ্রন্থকার এ কথা বলেছেন।
{১} সহীহ : নাসায়ী ৯৭। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৪. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ ইবনি আসিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
সহীহুল বোখারী ও সহীহ মুসলিমে এ হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে এভাবে, আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ ইবনি আসিমকে বলা হল, যেভাবে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযূ করিতেন ঠিক সেভাবে আপনি আমাদের সামনে উযূ করুন। তাই তিনি {আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ [রাদি.]] পানি আনলেন। পাত্র কাত করে পানি নিয়ে দুই হাতের উপর পানি ঢেলে তিনবার হাত ধুয়ে নিলেন। এরপর পাত্রের ভিতর হাত ঢুকিয়ে পানি এনে এক কোষ পানি দিয়ে কুলি করিলেন ও নাকে পানি দিলেন। এভাবে তিনি তিনবার করিলেন। তারপর আবার নিজের হাত পাত্রে ঢুকিয়ে পানি এনে তিনবার তার মুখমণ্ডল ধুইলেন। আবার পাত্রে হাত ঢুকিয়ে পানি এনে নিজের মাথা মাসাহ এভাবে করিলেন, প্রথমে নিজ হাত দুটি সামনে থেকে পেছনের দিকে নিয়ে গেলেন। আবার পেছন থেকে সামনের দিকে নিয়ে এলেন, তারপর নিজের দুই পা গিরা পর্যন্ত ধুইলেন। অতঃপর বললেন, এরূপই ছিল রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওযূ। {১}
সহীহুল বোখারী ও সহীহ মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, [মাসাহ করার জন্য] নিজের দুই হাতকে সামনের দিক থেকে পেছনের দিকে নিয়ে গেলেন। আবার পিছনের দিক থেকে সামনের দিকে নিয়ে এলেন। অর্থাৎ মাথার সামনের অংশ হইতে মাসাহ শুরু করে দুই হাত পিছন পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। তারপর আবার পিছন থেকে শুরু করে হাত সেখানে নিয়ে এলেন যেখান থেকে শুরু করেছিলেন। অতঃপর দুই পা ধুইলেন। {2]
সহীহুল বোখারী ও সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় এভাবে বলা হয়েছে, তিনি এক কোষ পানি দিয়ে কুলি করিলেন, আর নাকে পানি দিলেন। এভাবে তিনবার করিলেন। {3]
বোখারী বর্ণনার শব্দ হল, তারপর তিনি মাথা মাসাহ করিলেন। নিজের দুই হাতকে সামনের দিক থেকে পেছনের দিকে নিয়ে গেলেন। আবার পেছন থেকে সামনের দিকে নিয়ে এলেন। আর এটা তিনি একবার করিয়াছেন। অতঃপর টাখনু পর্যন্ত দুই পা ধুইলেন। {4]
বোখারীরই এক বর্ণনায় শব্দ হল, অতঃপর তিনি কুলি করিলেন ও নাক ঝারলেন তিনবার এক কোষ পানি দিয়ে। {5]
{১} সহীহ : বোখারী ১৯২, মুসলিম ২৩৫; শব্দ বিন্যাস মুসলিমের, {2] সহীহ : বোখারী ১৮৫। {3] সহীহ : মুসলিম ২৩৫। {4] সহীহ : বোখারী ১৮৬। {5] সহীহ : বোখারী ১৯৯। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৫. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [উযূর স্থানসমুহ] একবার করে উযূ করিলেন। একবারের অধিক ধুলেন না। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ১৫৭। তবে لَمْ يَزِدْ عَلى هذ অংশটুকু ব্যতীত। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৬. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] উযূর অঙ্গগুলোকে দুবার করে ধুইলেন। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ১৫৮। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৭. উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, তিনি মাক্বাইদ নামক স্থানে উযূ করিতে বসলেন এবং বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উযূ করে দেখাব না? অতঃপর তিনি তিন তিনবার করে ধুয়ে উযূ করিলেন। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৩০। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৮. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মাক্কাহ্ হইতে মাদীনায় ফিরে যাবার পথে একটি পানির কূপের কাছে পৌঁছলাম। আমাদের কেউ কেউ আসরের সলাতের সময় তাড়াতাড়ি উযূ করিতে গেলেন এবং তাড়াহুড়া করে উযূ করিলেন। অতঃপর আমরা তাদের কাছে পৌঁছলাম, দেখি তাদের পায়ের গোড়ালি শুকনা, চকচক করছে। সেখানে পানি পৌঁছেনি। এটা দেখে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, সর্বনাশ! [শুকনা] গোড়ালির লোকেরা জাহান্নামে যাবে, তোমরা পূর্ণরূপে উযূ কর। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৪১, বোখারী ৯৬। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৩৯৯. মুগীরাহ্ ইবনি শুবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] উযূ করিলেন। তিনি কপালের চুলের উপর, পাগড়ীর উপর এবং মোজার উপর মাসাহ করিলেন। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৭৪। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সব কাজই যথাসম্ভব ডান দিক হইতে শুরু করিতে পছন্দ করিতেন- পাক-পবিত্রতা অর্জনে, মাথা আঁচড়ানোয় ও জুতা পরনে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৪২৬, মুসলিম ২৬৮। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪০১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যখন তোমরা কিছু পরিধান করিবে এবং উযূ করিবে, তখন ডান দিক থেকে শুরু করিবে। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪১৪১, সহীহুল জামি ৭৮৭, আহমাদ ৮৬৫২। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০২. সাঈদ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যে ব্যক্তি উযূর শুরুতে বিসমিল্লা-হ [আল্লাহ তাআলার নাম] পড়েনি তার ওযু হয়নি। {১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ২৫, ইবনি মাজাহ ৩৯৮, সহীহুল জামি ৭৫১৪। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আহমাদ ও আবু দাঊদে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে হাদিসটি বর্ণিত। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১০১। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৪. দারিমী আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
দারিমী আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে ও তিনি তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। ঈমাম আহমাদ প্রমুখ তাদের বর্ণনায় তার প্রথমে এ কথা বৃদ্ধি করিয়াছেন যার উযূ নেই তার নামাজও নেই, অর্থাৎ- উযূ ব্যতীত নামাজ হয় না। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১০১। হাদিসের এ সানাদটি দুর্বল হলেও এর শাহিদমূলক বর্ণনা থাকায় তা সহীহ স্তরে উন্নীত হয়েছে। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৫. লাক্বীত্ব ইবনি সবুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে উযূ সম্পর্কে বলুন। তিনি [সাঃআঃ] বললেন, উযূর অঙ্গগুলো পরিপূর্ণভাবে ধুবে। আঙ্গুলগুলোর মধ্যে [আঙ্গুল ঢুকিয়ে] খিলাল করিবে এবং উত্তমরূপে নাকে পানি পৌঁছাবে, যদি সিয়াম পালনকারী [রোযাদার] না হও। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪২, তিরমিজি ৭৮৮, নাসায়ী ১১৪, ইবনি মাজাহ ৪৪৮। তবে নাসায়ী ইবনি মাজাতে শেষের অংশটুকু নেই। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তুমি যখন উযূ করিবে, হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলোর মধ্যে [আঙ্গুল ঢুকিয়ে] খিলাল করিবে।
তিরমিজি ও ইবনি মাজাহ। ইবনি মাজাহও একইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। তিরমিজি [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, এ হাদিসটি গরীব। {১}; অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৭. মুস্তাওরিদ ইবনি শাদ্দাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে উযূ করার সময় দেখেছি যে, তিনি বাম হাতের ছোট আঙ্গুল দিয়ে দুই পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করিতেন। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৪৭, তিরমিজি ৪০, ইবনি মাজাহ ৪৪৬, সহীহুল জামি ৪৭০০। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উযূ করার সময় এক কোষ পানি নিয়ে চিবুকের নিচ দিয়ে দাড়িতে প্রবেশ করিয়ে তা খিলাল করে নিতেন এবং বলিতেন : আমার রব আমাকে এরূপ করিতে নির্দেশ করিয়াছেন। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৪৫, সহীহুল জামি ৪৬৯৬। bঅজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪০৯. উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] [উযূ করার সময়] নিজের দাড়ি খিলাল করিতেন। {১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ৩১, দারিমী ৭০৪। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১০. তাবিঈ আবু হাইয়্যাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী [রাদি.]-কে উযূ করিতে দেখেছি। তিনি প্রথমে নিজের হাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে পরিষ্কার করিলেন। তারপর তিনবার কুলি করিলেন ও তিনবার নাকে পানি দিলেন, তিনবার করে মুখমণ্ডল ও দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নিলেন। এরপর একবার মাথা মাসাহ করিলেন। অতঃপর দুই পা গিরা পর্যন্ত ধুলেন। এরপর তিনি দাঁড়ালেন এবং উযূর বাকী পানিটুকু নিয়ে তা দাঁড়ানো অবস্থায় পান করিলেন। অতঃপর বললেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিভাবে উযূ করিয়াছেন তা আমি তোমাদেরকে দেখাতে চাইলাম। {১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ৪৮, নাসায়ী ৯৬। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১১. তাবিঈ আবদ খায়র [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা বসে বসে আলী [রাদি.]-এর উযূ করা দেখছিলাম। তিনি ডান হাত পানির মধ্যে ডুবিয়ে পানি উঠিয়ে মুখ ভরে কুলি করিলেন ও নাকে পানি দিলেন। তারপর বাম হাত দিয়ে নাক ঝাড়লেন। তিনি এরূপ তিনবার করিলেন, অতঃপর বললেন, কেউ যদি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উযূ [করার পদ্ধতি] দেখে আনন্দ লাভ করিতে চায়, তবে দেখুক, এরূপই ছিল তাহাঁর ওযূ। {১}
{১} সহীহ : দারিমী ৭০১। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১২. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি যে, তিনি [সাঃআঃ] এক কোষ পানি দিয়ে কুলি করিয়াছেন ও নাকে দিয়েছেন। এভাবে তিনি [সাঃআঃ] তিনবার করিয়াছেন। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১১৯, তিরমিজি ২৮, [সহীহ সুনান আবী দাউদ]। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] নিজের মাথা ও দুই কান মাসাহ করিয়াছেন। কানের ভিতরাংশ নিজের দুই শাহাদাত আঙ্গুল ও উপরিভাগ বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে মাসাহ করিয়াছেন। {১}
{১} সহীহ : নাসায়ী ১০২। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১৪. রুবায়্যিই বিনতু মুআব্বিয [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ]-কে উযূ করিতে দেখেছেন। তিনি বলেন, তিনি [সাঃআঃ] মাথা মাসাহ করিলেন সামনের দিক ও পেছনের দিক [অর্থাৎ গোটা মাথা], দুই কানের পার্শ্ব ও দুই কান একবার করে।
অপর বর্ণনায় আছে, তিনি [সাঃআঃ] উযূ করিলেন এবং দুই আঙ্গুল দুই কানের ছিদ্রে ঢুকালেন। {১}
তিরমিজি প্রথম রিওয়ায়াতটি এবং আহমাদ ও ইবনি মাজাহ দ্বিতীয় রিওয়ায়াতটি বর্ণনা করিয়াছেন। {১} হাসান : আবু দাউদ ১২৯, ১৩১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
৪১৫. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ]-কে উযূ করিতে দেখেছেন। আর এটাও দেখেছেন যে, নবী [সাঃআঃ] মাথা মাসাহ করিলেন এমন পানি দিয়ে, যা তাহাঁর দুই হাতের পানির অবশিষ্টাংশ নয় [অর্থাৎ নতুন পানি দিয়ে মাসাহ করিলেন]। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৩৬, তিরমিজি ৩৫। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১৬. আবু উমামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি একবার রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উযূর কথা উল্লেখ করিলেন এবং বললেন, উযূর সময় তিনি [সাঃআঃ] চোখের দুই কোণ মললেন এবং বললেন, কান দুটি মাথারই অংশ। [ইবনি মাজাহ, আবু দাউদ, তিরমিজি]
আবু দাউদ ও তিরমিজি {১} এ কথাও বর্ণনা করিয়াছেন যে, এ হাদিসের অপর রাবী হাম্মাদ বলেছেন, আমি জানি না “কান দুটি মাথারই অংশ” এ কথাটা কার, আবু উমামার না রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর?
{১} জইফ : আবু দাউদ ১৩৪, তিরমিজি ৩৭, ইবনি মাজাহ ৪৪৩, [জইফ সুনান আবী দাউদ] ও সহীহুল জামি ২৭৬৫। কারণ এর সানাদে সিনান ও শাহ্র নামক দুজন দুর্বল রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৪১৭.আমর ইবনি শুআয়ব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [দাদা] বলেন যে, এক বেদুঈন নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে তাঁকে উযূ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায়, তিনি তাকে তিন তিনবার করে [উযূর প্রতিটি অঙ্গ ধুয়ে] দেখালেন। অতঃপর বললেন, এই হল ওযূ। যে ব্যক্তি এর চেয়ে বাড়িয়ে করিল সে মন্দ করিল, সীমালঙ্গল করিল ও যুল্ম করিল। {১}
{১} সহীহ : নাসায়ী ১৪০, ইবনি মাজাহ ৪২২, সহীহাহ্ ২৯৭০। তবে আবু দাউদ أَوْ نَقَصَ শব্দটি বৃদ্ধি করিয়াছেন যা মুনকার বা শায।অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১৮. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তার ছেলেকে এ দুআ করিতে শুনলেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জান্নাতের ডান দিকে সাদা বালাখানাটি চাই। এ কথা শুনে তিনি বললেন, হে আমার ছেলে! তুমি আল্লাহর কাছে শুধু জান্নাত চাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাও। আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, শীঘ্রই এ উম্মাতের মধ্যে এমন লোকের উদ্ভব হবে যারা পবিত্রতা অর্জনে ও দুআর ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করিবে। {১}
{১} সহীহ : আহমাদ ১৬৩৫৪, আবু দাউদ ৯৬, ইবনি মাজাহ ৩৮৬৪, সহীহুল জামি ২৩৯৬। তবে ইবনি মাজাহ্তে فِي الطَّهُوْرِ অংশটুকু নেই। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪১৯. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন : [ওয়াস্ওয়াসা দেবার] জন্য উযূর ক্ষেত্রে একটি শয়তান রয়েছে। এ শয়তান হল ওয়ালাহান। তাই [উযূ করার সময়] পানির ওয়াস্ওয়াসা হইতে সতর্ক থাকিবে। {৪৪০]
ঈমাম তিরমিজি বলেছেন, হাদিসটি গরীব, সানাদ দুর্বল। রাবী খারিজাহ্ ইবনি মুসহাব মুহাদ্দিসগণের মতে সবল নয়। অথচ তিনি ছাড়া অপর কেউ এ হাদিসকে মারফূ সূত্রে বর্ণনা করেননি।{১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৫৭, ইবনি মাজাহ ৪২১, যঈফুল জামি ১৯৭০। কারণ এর সানাদে খারিজাহ্ রয়েছে যাকে হাফিয ইবনি হাজার মাতরুক বলেছেন। আর ইবনি মাঈন মিথ্যুক বলেছেন।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৪২০. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখেছি যে, তিনি উযূ করার পর নিজের কাপড়ের কিনারা দিয়ে নিজের মুখমন্ডল মুছে ফেলতেন। {১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৫৪, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ৪১৭০। কারণ এর সানাদে রিশদীন ইবনি সাদ ও আবদুর রহমান ইবনি যিয়াদ ইবনি আন্আম রয়েছে যারা হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৪২১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে পৃথক একখন্ড কাপড় ছিল। এ কাপড় দিয়ে তিনি [সাঃআঃ] উযূ করার পর তাহাঁর উযূর অঙ্গগুলো মুছে নিতেন। {১}
ঈমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি তেমন সবল নয়। এর একজন বর্ণনাকারী আবু মআয মুহাদ্দিসীনের কাছে দুর্বল।
{১} জইফ : তিরমিজি ৫৩। কারণ এর সানাদে সাবিত ইবনি আবু সফিয়্যাহ্ রয়েছে যে দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২. তাবিঈ সাবিত ইবনি আবু সফিয়্যাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জাফার-এর পিতা মুহাম্মাদ বাক্বির [ইবনি যায়নুল আবিদীন]-কে বললাম, আপনার কাছে কি জাবির [রাদি.] এ হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন যে, নবী [সাঃআঃ] কখনো একবার, কখনো দুই দুইবার, আবার কখনো তিনবার করে উযূর অঙ্গগুলো ধৌত করিয়াছেন? তিনি বললেন, হাঁ। {১}
{১} জইফ : তিরমিজি ৪৫, ইবনি মাজাহ ৪১০। কারণ এর সানাদে আবু মুআয [রাদি.]নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৪২৩. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুই দুইবার করে উযূর অঙ্গগুলো ধুলেন। অতঃপর বললেন, এটা হল আলোর উপর আলো। {১}
{১} ভিত্তিহীন : তারগীব ১/৯৯। মুনযিরী তারগীবে বলেছেন, হয়তো এটি কোন সালাফের উক্তি হবে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ জাল হাদিস
৪২৪. উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিন তিনবার করে উযূর অঙ্গগুলো ধুয়েছেন। এরপর তিনি বলেছেন, এটা হল আমার ও আমার আগের নবীগণের উযূ এবং ইবরাহীম [আঃ] এর ওযূ। {১}
এ হাদিস দুটি ঈমাম রযীন বর্ণনা করিয়াছেন। ঈমাম নাবাবী শারহে মুসলিমে দ্বিতীয় হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন।
{১} ইবনি হিব্বান হাদিসটি আল মাজরূহীন-এর ২/১৬১-৬২-তে ইবনি উমার [রাদি.]-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করিয়াছেন আর وَوُضُوْءِ إبْرَاهِيْمَ অংশটুকু ব্যতীত বাকী হাদিস আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] সহীহ বলেছেন, [সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ২৬১]। এই হাদিসটির তাহকীকঃ অন্যান্য
৪২৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রত্যেক ফারয সলাতের জন্য উযূ করিতেন। আর আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তির জন্য যে পর্যন্ত উযূ নষ্ট বা ভঙ্গ না হয় সে পর্যন্ত এক ওযূই যথেষ্ট ছিল। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ২৪১, দারিমী ৭২০, সহীহ সুনানে আবী দাউদ ১৬৩। অজুর নিয়ম কানুন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৪২৬. মুহাম্মাদ ইবনি ইয়াহ্ইয়া ইবনি হিব্বান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমার-এর ছেলে উবায়দুল্লাহকে বললাম, আমাকে বলুন তো, আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] কি প্রত্যেক সলাতের জন্য উযূ করিতেন, চাই উযূ থাকুক কি না থাকুক, আর তিনি কার থেকে এ আমাল অর্জন করিয়াছেন? উবায়দুল্লাহ [রাহিমাহুল্লাহ] বললেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-এর নিকট আসমা বিনতু যায়দ ইবনুল খাত্ত্বাব এ হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনি হানযালাহ্ আবু আমির ইবনুল গসীল [রাদি.] এ হাদিস তাহাঁর নিকট বর্ণনা করিয়াছেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রত্যেক সলাতে উযূ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, চাই তাহাঁর উযূ থাকুক কি না থাকুক। এ কাজ তাহাঁর উপর কঠিন হয়ে পড়লে প্রত্যেক সলাতে মিসওয়াক করিতে নির্দেশ দেয়া হল, উযূ মাওকূফ করা হল, যতক্ষণ পর্যন্ত না উযূ ভঙ্গ হয়। উবায়দুল্লাহ বললেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমার মনে করিতেন যে, তার মধ্যে প্রত্যেক সলাতে উযূ করার শক্তি রয়েছে। তাই তিনি মৃত্যু পর্যন্ত এ আমাল করিয়াছেন। {১}
{১} হাসান : আহমাদ ২১৪৫৩, আবু দাউদ ৪৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
৪২৭. আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] সাদ ইবনি আবি ওয়াক্কাস-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় সাদ [রাদি.] উযূ করছিলেন। তিনি [সাঃআঃ] বললেন, হে সাদ! এত অপচয় কেন? সাদ আবেদন করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! উযূর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, হাঁ আছে। যদিও তুমি প্রবহমান নদীর কিনারায় থাক। {১}
{১} হাসান : আহমাদ ২/২২১, ইবনি মাজাহ ৪২৫, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩২৯৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
৪২৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.], ইবনি মাস্ঊদ ও ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেন : যে ব্যক্তি উযূ করিল এবং বিস্মিল্লা-হ [আল্লাহর নাম নিয়ে] পড়ে উযূ করিল, সে তাহাঁর গোটা শরীরকে [গুনাহ হইতে] পবিত্র করিল। আর যে ব্যক্তি উযূ করিল অথচ বিস্মিল্লা-হ বলিল না, সে শুধু উযূর অঙ্গগুলোকে পবিত্র [পরিষ্কার] করিল। {১}
{১} জইফ : দারাকুত্বনী ১/৭৩-৭৪। আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, এটি মূলত তিনটি হাদিসের সমষ্টি ১ম টি উল্লেখিত শব্দে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে যার সানাদে মিরদাস ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি আবু বুরদাহ্ রয়েছে ঈমাম যাহাবী যাকে অপরিচিত হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। আর উযূতে বিস্মিল্লা-হ বলার ব্যাপারে তার হাদিস মুনকার। ২য়টি- ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে إِذَا تَطَهَّرَ أَحَدُكُمْ فَلْيَزْكُرِ السْمَ اللهِ শব্দে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, যার সানাদে ইয়াহ্ইয়া ইবনি হাশিম নামে একজন মিথ্যুক বারী রয়েছে। ৩য়টি- ইবনি উমার [রাদি.] হইতে مَنْ تَوَضَّأَ فَزَكَرَ السْمَ اللهِ عَلى وُضُوْئِه… শব্দে মারফূ সূত্রে বর্ণিত, যার সানাদে আবু বাকর আবদুল্লাহ ইবনি হাকীম আদ্ দাহিরী নামে একজন মিথ্যুক রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৪২৯. আবু রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতের উযূ করার সময় নিজের আঙ্গুলে পরা আংটি নেড়ে-চেড়ে নিতেন। {১}
দারাকুত্বনী উপরের দুটি হাদিসই বর্ণনা করিয়াছেন এবং ইবনি মাজাহ শুধু দ্বিতীয় হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
{১} জইফ : ইবনি মাজাহ ৪৪৯, যঈফুল জামি ৪৩৬১। কারণ এর সানাদের রাবী মামার এবং তার পিতা উভয়ই দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply