অগ্রিম ক্রয় বিক্রয়
অগ্রিম ক্রয় বিক্রয়>> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৩৫, অগ্রিম ক্রয় বিক্রয়, অধ্যায়ঃ (১-৮)=৮টি
৩৫/১. অধ্যায়ঃ মাপ বা নির্দিষ্ট পরিমাপে অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়।
৩৫/২. অধ্যায়ঃ নির্দিষ্ট ওজনে অগ্রিম বেচা-কেনা।
৩৫/৩. অধ্যায়ঃ এমন ব্যক্তির নিকটে আগাম মূল্য প্রদান করা যার কাছে মূল বস্তু নেই।
৩৫/৪. অধ্যায়ঃ খেজুরে অগ্রিম বেচা-কেনা।
৩৫/৫. অধ্যায়ঃ আগাম বেচা-কেনায় জামিন নিযুক্ত করা।
৩৫/৬. অধ্যায়ঃ অগ্রিম বেচা-কেনায় বন্ধক রাখা।
৩৫/৭. অধ্যায়ঃ নির্দিষ্ট মেয়াদে অগ্রিম বেচা-কেনা।
৩৫/৮. অধ্যায়ঃ উটনীর বাচ্চা প্রসবের মেয়াদে অগ্রিম বেচা-কেনা।
৩৫/১. অধ্যায়ঃ মাপ বা নির্দিষ্ট পরিমাপে অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়।
২২৩৯. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন তখন লোকেরা এক বা দু বছরের বাকীতে [রাবী ইসমাঈল সন্দেহ করে বলেন, দু অথবা তিন বছরের (মেয়াদে) খেজুর সলম (পদ্ধতিতে) বেচা-কেনা করত। এতে তিনি বলিলেন,] যে ব্যক্তি খেজুরে সলম করিতে চায় সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে সলম করে।
মুহাম্মাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) …. ইবনু আবু নাজীহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে (সলম করার কথা) বর্ণিত রয়েছে।
(২২৪০, ২২৪১, ২২৫৩, মুসলিম ২২/২৫, হাদীস ১৬০৪, আহমাদ ২৪৫৮) (আ.প্র. ২০৮১, ই.ফা. ২০৯৮)
৩৫/২. অধ্যায়ঃ নির্দিষ্ট ওজনে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৪০. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনাবাসী ফলে দু ও তিন বছরের মেয়াদে সলম করত। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন, কোন ব্যক্তি সলম করলে সে যেন নির্দিষ্ট মাপে এবং নির্দিষ্ট ওজনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করে।
————–
২২৪০/১. আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) …… ইবনু আবু নাজীহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সে যেন নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করে।
(আ.প্র. ২০৮৩, ই.ফা. ২১০০)
২২৪১. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নাবী (সাঃআঃ) (মদীনা) আসেন এবং বলেন, নির্দিষ্ট মাপে, নির্দিষ্ট ওজনে ও নির্দিষ্ট মেয়াদে (সলম) কর।
২২৪২. মুহাম্মাদ অথবা আবদুল্লাহ ইবনু আবুল মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনু হাদ ও আবু বুরদা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর মাঝে সলম কেনা-বেচার ব্যাপারে মতভেদ দেখা দিলে তাঁরা আমাকে ইবনু আবু আওফা (রাদি.)- এর নিকট পাঠান। আমি এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ), আবু বক্র ও উমর (রাদি.)- এর যুগে আমরা গম, যব, কিসমিস ও খেজুরে সলম করতাম। (তিনি আরো বলেন) এবং আমি ইবনু আবযা (রাদি.)- কে জিজ্ঞেস করলে তিনিও অনুরূপ বলেন।
২২৪৩. মুহাম্মাদ অথবা আবদুল্লাহ ইবনু আবুল মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনু হাদ ও আবু বুরদা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর মাঝে সলম কেনা-বেচার ব্যাপারে মতভেদ দেখা দিলে তাঁরা আমাকে ইবনু আবু আওফা (রাদি.)- এর নিকট পাঠান। আমি এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ), আবু বক্র ও উমর (রাদি.)- এর যুগে আমরা গম, যব, কিসমিস ও খেজুরে সলম করতাম। (তিনি আরো বলেন) এবং আমি ইবনু আবযা (রাদি.)- কে জিজ্ঞেস করলে তিনিও অনুরূপ বলেন।
৩৫/৩. অধ্যায়ঃ এমন ব্যক্তির নিকটে আগাম মূল্য প্রদান করা যার কাছে মূল বস্তু নেই।
২২৪৪. মুহাম্মাদ ইবনু আবু মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন , আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ও আবু বুরদা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.)- এর কাছে পাঠান। তাঁরা বলিলেন যে, (তুমি গিয়ে) তাঁকে জিজ্ঞেস কর, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)- এর যুগে সাহাবায়ে কিরাম গম বিক্রয়ে কি সলম (পদ্ধতি গ্রহণ) করিতেন? আবদুল্লাহ (রাদি.) বলিলেন, আমরা সিরিয়ার লোকদের সঙ্গে গম, যব ও কিসমিস নির্দিষ্ট মাপে ও নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করতাম। আমি বললাম, যার কাছে এসবের মূল বস্তু থাকত তাহাঁর সঙ্গে? তিনি বলিলেন, আমরা এ সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করিনি। তারপর তাঁরা দুজনে আমাকে আবদুর রহমান ইবনু আবযা (রাদি.)- এর কাছে পাঠালেন এবং আমি তাঁকে (এ ব্যাপারে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)- এর যুগে সাহাবীগন সলম করিতেন, কিন্তু তাদেরকে জিজ্ঞেস করিতেন না যে, তাঁদের কাছে মূল বস্তু মওজুদ আছে কি-না।
২২৪৫. মুহাম্মাদ ইবনু আবু মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
হইতে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন এবং তিনি বলেছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে গম ও যবে সলম করতাম।
শায়বানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত যে, রাবী বলেন, গম, যব ও কিসমিসের (সলম করিতেন)। আবদুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সুফিয়ান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে শায়বানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর বর্ণনায় রয়েছে “এবং যায়তুনে”।
২২৪৬.আবুল বাখ্তারী তাঈ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাদি.)- কে খেজুরে সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) খেজুর খাবার যোগ্য এবং ওজন করার যোগ্য হওয়ার আগে বিক্রি করা নিষেধ করিয়াছেন। ঐ সময় এক ব্যক্তি বলিল, কী ওজন করিবে? তাহাঁর পাশের এক ব্যক্তি বলিল, সংরক্ষিত হওয়া পর্যন্ত। মুআয (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে শুবা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে আমর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত, আবুল বাখ্তারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, ইবনু আব্বাস (রাদি.)- কে বলিতে শুনিয়াছি যে, নাবী (সাঃআঃ) এরূপ (করিতে) নিষেধ করিয়াছেন।
৩৫/৪. অধ্যায়ঃ খেজুরে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৪৭. আবুল বাখতারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাদি.)- কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বলিলেন, খেজুর আহারযোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রয় করা নিষেধ করা হয়েছে, আর নগদ রূপার বিনিময়ে বাকী রূপা বিক্রয় করিতেও (নিষেধ করা হয়েছে)। আমি ইবনু আব্বাস (রাদি.)- কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) খাওয়ার যোগ্য এবং ওজনের যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
২২৪৮. আবুল বাখতারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাদি.)- কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বলিলেন, খেজুর আহারযোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রয় করা নিষেধ করা হয়েছে, আর নগদ রূপার বিনিময়ে বাকী রূপা বিক্রয় করিতেও (নিষেধ করা হয়েছে)। আমি ইবনু আব্বাস (রাদি.)- কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) খাওয়ার যোগ্য এবং ওজনের যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
২২৪৯. আবুল বাখতারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাদি.)- কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, আহারযোগ্য হবার পূর্বে ফল বিক্রি করিতে উমর (রাদি.) নিষেধ করিয়াছেন এবং তিনি নগদ সোনা বা রূপার বিনিময়ে বাকীতে সোনা বা রূপা বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আমি এ সম্পর্কে ইবনু আব্বাস (রাদি.)- কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) খাওয়ার এবং ওজন করার যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আমি বললাম, এর ওজন করা কী? তখন তার নিকটে বসা একজন বলে উঠল, (অর্থাৎ) সংরক্ষণের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত।
২২৫০. আবুল বাখতারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাদি.)- কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, আহারযোগ্য হবার পূর্বে ফল বিক্রি করিতে উমর (রাদি.) নিষেধ করিয়াছেন এবং তিনি নগদ সোনা বা রূপার বিনিময়ে বাকীতে সোনা বা রূপা বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আমি এ সম্পর্কে ইবনু আব্বাস (রাদি.)- কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) খাওয়ার এবং ওজন করার যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আমি বললাম, এর ওজন করা কী? তখন তার নিকটে বসা একজন বলে উঠল, (অর্থাৎ) সংরক্ষণের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত।
৩৫/৫. অধ্যায়ঃ আগাম বেচা-কেনায় জামিন নিযুক্ত করা।
২২৫১. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) জনৈক ইয়াহূদীর কাছ হইতে বাকীতে খাদ্য খরিদ করে তাহাঁর লৌহ নির্মিত বর্ম ইয়াহূদীর কাছে বন্ধক রেখেছেন।
৩৫/৬. অধ্যায়ঃ অগ্রিম বেচা-কেনায় বন্ধক রাখা।
২২৫২. আমাশ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা সলম ক্রয় বিক্রয়ে বন্ধক রাখা সম্পর্কে ইবরাহীমকে জিজ্ঞেস করলে, তিনি বলেন, আমাকে আসওয়াদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) জনৈক ইয়াহূদীর নিকট হইতে নির্দিষ্ট মেয়াদে বাকীতে খাদ্য খরিদ করে তার নিকট নিজের লৌহ নির্মিত বর্ম বন্ধক রেখেছেন।
৩৫/৭. অধ্যায়ঃ নির্দিষ্ট মেয়াদে অগ্রিম বেচা-কেনা।
ইবনু আব্বাস ও সাঈদ (রাদি.) এবং আসওয়াদ ও হাসান (বাসরী) (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এ অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন। ইবনু উমর (রাদি.) বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদে ও নির্দিষ্ট দামের ভিত্তিতে খাদ্য (বাকীতে) বিক্রয় করায় দোষ নেই। অবশ্য যদি তা এমন ফসলে না হয় যা আহারযোগ্য হয়নি।
২২৫৩. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তারা (মদীনাবাসী) দু ও তিন বছরের মেয়াদে ফলের বিক্রয়ে সলম করত। তিনি বলেন, তোমরা নির্দিষ্ট মাপে ও নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করিবে।
আবদুল্লাহ ইবনু ওয়ালীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) …… ইবনু আবু নাজীহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে বর্ণিত, আর তিনি বলেন, নির্দিষ্ট মাপে ও নির্দিষ্ট ওজনে।
২২৫৪. মুহাম্মাদ ইবনু আবু মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু বুরদা ও আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আমাকে আবদুর রহমান ইবনু আবযা ও আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.)- এর নিকট পাঠালেন। আমি সলম পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা উভয়ে বলিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)- এর সঙ্গে (জিহাদে) আমরা মালে গনীমত লাভ করতাম, আমাদের কাছে সিরিয়া হইতে কৃষকগণ আসলে আমরা তাদের সঙ্গে গম, যব, ও যায়তুনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করতাম। তিনি [মুহাম্মাদ ইবনু আবু মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)] বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাদের নিকট সে সময় ফসল মওজুদ থাকত, কি থাকত না? তাঁরা উভয়ে বলিলেন, আমরা এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করিনি।
২২৫৫. মুহাম্মাদ ইবনু আবু মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু বুরদা ও আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আমাকে আবদুর রহমান ইবনু আবযা ও আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.)- এর নিকট পাঠালেন। আমি সলম পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা উভয়ে বলিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)- এর সঙ্গে (জিহাদে) আমরা মালে গনীমত লাভ করতাম, আমাদের কাছে সিরিয়া হইতে কৃষকগণ আসলে আমরা তাদের সঙ্গে গম, যব, ও যায়তুনে নির্দিষ্ট মেয়াদে সলম করতাম। তিনি [মুহাম্মাদ ইবনু আবু মুজালিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)] বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তাদের নিকট সে সময় ফসল মওজুদ থাকত, কি থাকত না? তাঁরা উভয়ে বলিলেন, আমরা এ বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করিনি।
৩৫/৮. অধ্যায়ঃ উটনীর বাচ্চা প্রসবের মেয়াদে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৫৬. আবদুল্লাহ [ইবনু উমর (রাদি.)] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লোকেরা (মুশরিকরা) গর্ভবতী উটনীর বাচ্চার বাচ্চা প্রসব করার মেয়াদে ক্রয়-বিক্রয় করত। নাবী (সাঃআঃ) এ হইতে নিষেধ করিলেন। (রাবী) নাফী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)- এর ব্যাখ্যা করিয়াছেন, উটনী তার পেটের বাচ্চা প্রসব করিবে।
Leave a Reply