নামাজে দৃষ্টি, আমীন, হাততালি, ইশারা করা

নামাজে দৃষ্টি, আমীন, হাততালি, ইশারা করা

নামাজে দৃষ্টি, আমীন, হাততালি, ইশারা করা

অনুচ্ছেদ-১৬৭ নামাজের মধ্যে কোন দিকে দৃষ্টি দেয়া
অনুচ্ছেদ-১৬৮ এ বিষয়ে অনুমতি সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১৬৯ নামাজের অবস্থায় যে কাজ করা জায়িয
অনুচ্ছেদ-১৭০ নামাযরত অবস্থায় সালামের জবাব দেয়া
অনুচ্ছেদ-১৭১ নামাজেরত অবস্থায় হাঁচির উত্তর দেয়া
অনুচ্ছেদ-১৭২ ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-১৭৩ নামাযরত অবস্থায় হাততালি দেয়া
অনুচ্ছেদ-১৭৪ নামাজের মধ্যে ইশারা করা প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-১৭৫ সালারত অবস্থায় পাথর কুচি সরানো

অনুচ্ছেদ-১৬৭ নামাজের মধ্যে কোন দিকে দৃষ্টি দেয়া

৯১২. জাবির ইবনি সামুরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) মাসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন যে, কিছু লোক আকাশের দিকে দু হাত উঁচু করে নামায আদায় করছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ যে সব লোক আকাশের দিকে তাকিয়ে নামায আদায় করে তারা যেন এরূপ করা হইতে বিরত থাকে। অন্যথায় তাহাঁদের দৃষ্টিশক্তি তাহাঁদের নিকট আর ফিরে আসবে না।

দুর্বল ঃ মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৩. আনাস ইবনি মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ লোকদের কি হলো যে, তারা নামাজের অবস্থায় তাহাঁদের চোখ (আকাশের দিকে) উঁচু করছে?

অতঃপর তিনি এ বিষয়ে কঠোর ভাষায় বললেনঃ তাহাঁদেরকে এরূপ কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হইবে। অন্যথায় তাহাঁদের দৃষ্টি ছিনিয়ে নেয়া হইবে।

দুর্বল ঃ বোখারি।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৪. আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নক্শা করা কাপড় পরিধান করে নামায আদায়ের পর বললেনঃ এ কাপড়ের কারুকার্য আমাকে নামায থেকে অমনোযাগী করেছে। তোমরা এ কাপড়খানা আবু জাহ্মের নিকট নিয়ে যাও এবং আমার জন্য কারুকার্যবিহীন চাদর নিয়ে এসো।

দুর্বল ঃ বোখারি ও মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৫. আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাঃআঃ) আবু জাহমের কাছ থেকে কুরদী চাদর নিলেন। অতঃপর বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল ! আপনার নকশা খচিত চাদরটি হে কুরদী চাদরের চাইতে উত্তম ছিলো।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ১৬৮ বিষয়ে অনুমতি সম্পর্কে

৯১৬. সাহল ইবনি হানযালিয়্যাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

একদা ফজর নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নামায আদায় করতে লাগলেন এবং নামাজের অবস্থায়ই তিনি গিরি পথের দিকে তাকাচ্ছিলেন।

ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) গিরিপথ পাহারা দেয়ার জন্য রাতে এক অশ্বারোহীকে সেখানে প্রেরণ করেছিলেন। (সেজন্যই তিনি সেখানে দৃষ্টি ফিরাচ্ছিলেন)।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ১৬৯ নামাজের অবস্থায় যে কাজ করা জায়িয

৯১৭. আবু ক্বাতাদাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) স্বীয় কন্যা যাইনাবের মেয়ে উমামাহকে কাঁধে নিয়ে নামায আদায় করছিলেন। তিনি (সাঃআঃ) সাজদাহর সময় তাকে নামিয়ে রাখতেন এবং দাঁড়ানোর সময় তাকে উঠিয়ে নিতেন।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৮, আবু ক্বাতাদাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

একদা আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। এমন সমায় (রাসুলুল্লাহ সাঃআঃ) স্বীয় কন্যা যাইনাবের মেয়ে উমামাহ বিনতু আবুলআস ইবনি রবী কে নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। তখন উমামাহ শিশু ছিলেন, রাসুলুল্ললাহ তাকে কাঁধে নিয়ে নামায আদায় করেন। তিনি রুকু করার সময় তাকে নামিয়ে রাখতেন এবং দাঁড়ানোর সময় আবার কাঁধে উঠিয়ে নিতেন। এভাবে তিনি নামায আদায় শেষ করেন।

দুর্বলঃ বোখারি সংক্ষেপে হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯১৯. আমর ইবনি সুলাইমান (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু ক্বাতাদাহ কে বলিতে শুনিয়াছি, (রসূলুল্লাহ সাঃআঃ) উমামাহ বিনতু আবুলআস কে কাঁধে নিয়ে লোকদের নামায ঈমামতি করিয়াছেন। তিনি যখন সাজদাহ করতেন তখন তাকে নামিয়ে রাখতেন।

সহীহঃ মুসলিম

ঈমাম আবু দাউদ (রাঃআঃ) বলেন, মাখরামাহ তার পিতা থেকে কেবল একটি হাদিস শুনেছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২০. রাসুলুল্লাহর (সাঃআঃ) সহাবী আবু ক্বাতাদাহ হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা যুহর কিংবা আসরের নামায আদায়ের জন্য রাসুলুল্লাহর (সাঃআঃ) অপেক্ষায় ছিলাম। বিলাল (রাঃআঃ) তাকে নামাজের জন্য আহবান করলে তিনি উমামা বিনতু আবুলআসকে নিয়ে আমাদের নিকট আসেন। অতঃপর তিনি ঈমামতির জন্য তার জায়গায় দাঁড়ালেন এবং আমরা তার পিছনে দাঁড়ালাম। উমামাহ তখন তার কাঁধেই ছিলো। অতঃপর তিনি (রাঃআঃ) তাকবির বললে আমরাও তাকবির বললাম। বর্ননাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) রুকুর ইচ্ছা করলে তাকে নিচে নামিয়ে রুকু ও সাজদাহ করতেন। অতঃপর সাজদাহ থেকে উঠার সময় তাকে পুনরায় কাঁধে উঠিয়ে নিতেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) প্রতি রাকাতেই এরূপ করেন এবং এভাবেই তিনি নামায শেষ করেন। {৯২০}

{৯২০}- এর সনদ দুর্বল। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনিল ইসাহাক একজন মুদাল্লিস এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করিয়াছেন। পূর্বে হাদিস টির অন্য সনদ ও মুতাবাআত গত হয়েছে ইসাহাকের অর্থগতভাবে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৯২১. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

ইনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমরা নামাজেরত অবস্থাতেও কালো সাপ ও কালো বিচ্ছু কে হত্যা করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২২. আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ঘরে দরজা বন্ধ করে নামায আদায় করছিলেন। এমন অবস্থয় আমি এসে দরজা খুলতে বললে তিনি হেটে গিয়ে দরজা খুলে পুনরায় নামাজে রত হলেন। হাদিসে একথাও রহিয়াছে যে, দরজাটি কিবলার দিকে ছিলো।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ১৭০ নামাযরত অবস্থায় সালামের জবাব দেয়া

৯২৩. আবদুল্লা ইবনি মাসউদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) নামাজে রত অবস্থায়ই আমরা তাঁকে সালাম দিলে তিনি এর জবাব দিলেন। পরবর্তীতে আমরা বাদশা নাজ্জাশীর কাছ থেকে ফিরে এসে তাঁকে নামাজের অবস্থায় সালাম দিলে তিনি এর জবাব না দিয়ে (নামায শেষে) বললেনঃ নামাজের মধ্যে অবশ্যই জরুরী কাজ আছে।

দুর্বল ঃ বোখারি ও মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৪. আবদুল্লা ইবনি মাসউদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নামাজের অবস্থায়ই সালাম দিতাম এবং আমাদের জরুরী কথাবার্তাও বলতাম। পরবর্তীতে আমি হাবশা থেকে ফিরে আসার পর তাঁকে নামাজের অবস্থায় সালাম করলে তিনি এর জবাব দিলেন না। ফলশ্রুতিতে আমার মনে নতুন ও পুরাতন বহু চিন্তার উদ্ভব হলো। অতঃপর নামায শেষে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ “মহান আল্লাহ্‌ যখন ইচ্ছে নতুন নির্দেশ প্রদান করেন। মহান আল্লাহ্‌র নতুন নির্দেশ হচ্ছে, নামাজের অবস্থায় কথা বলা যাবে না।” অতঃপর তিনি আমার সালামের জবাব দেন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৯২৫. সুহাইব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) নামাজেরত অবস্থায় আমি তাহাঁর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম করলে তিনি (সাঃআঃ) হাতের ইশারায় সালামের জবাব দেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৬. জাবির (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে বনু মুসত্বালিক্ব গোত্রের কাছে প্রেরণ করিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর আমি তাঁকে উঠের পিঠে নামায আদায় করতে দেখে তাঁকে সম্বোধন করে কথা বললে তিনি (সাঃআঃ) হাতের ইশারায় আমার কথার জবাব দিলেন। আমি পুনরায় কথা বললে তখনও হাতের ইশারায় জবাব দিলেন। আমি তাঁকে কুরআন পড়তে শুনছিলাম। তিনি রুকু ও সাজদাহ ইশারায় আদায় করছিলেন। অতঃপর নামায শেষে তিনি আমাকে বললেনঃ আমি তোমাকে যে কাজে প্রেরণ করেছিলাম সেটার খবর কি? আমি নামাজের অবস্থায় ছিলাম বিধায় তোমার সাথে কথা বলি নাই।

দুর্বল ঃ মুসলিম হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৭. আবদুল্লা ইবনি উমার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) নামায আদায়ের জন্য কুবার মাসজিদে আসলেন। এমতাবস্থায় আনসারগণ এসে তাহাঁর নামাজের অবস্থায়ই তাঁকে সালাম দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বিলালকে বললাম, আপনি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)– কে নামাজের অবস্থায় তাহাঁদের সালামের জবাব কিভাবে প্রদান করতে দেখেছেন? বিলাল (রাঃআঃ) বলিলেন, এভাবে। বর্ণনাকারী জাফার ইবনিআওন তার হাতের তালু নীচের দিকে এবং পিঠ উপরের দিকে করে তা দেখিয়ে দিলেন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৯২৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে নাবী (সাঃআঃ) এর হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নামায এবং সালামে কোন লোকসান নেই।

ঈমাম আহমাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমার মতে এর অর্থ হচ্ছেঃ তুমি কাউকে সালাম প্রদান করলে সে এর জবাব না দিলেও তোমার কোন ক্ষতি বা লোকসান নেই। বরং ধোঁকা বা ক্ষতি হলো কোন ব্যক্তির সন্দিহান মন নিয়ে নামায শেষ করা।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯২৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

বর্ণনাকারী বলেন, এ হাদিসটি মারফূ। তিনি বলেন, সালাম এবং নামায কোন লোকসান নেই।

দুর্বল। ঈমাম আবু দাউদ (রাঃআঃ) বলেন, ইবনি ফুযাইল এটি ইবনি মাহদীর শব্দে বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি এটিকে মারফু করেননি। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ১৭১ নামাজেরত অবস্থায় হাঁচির উত্তর দেয়া

৯৩০. মুআবিয়াহ ইবনিল হাকাম আস-সুলামী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) সাথে নামায আদায় করি। নামাজের অবস্থায় লোকজনের মধ্যকার এক ব্যক্তি হাঁচি দিলে জবাবে আমি ইয়ারহামুকাল্লাহ বলায় সকলেই আমার প্রতি (রাগের) দৃষ্টিতে তাকালো। তখন আমি মনে মনে বললাম, তোমাদের মাতা তোমাদেরকে হারাক। তোমরা আমার দিকে এভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ করছো কেন? মুআবিয়াহ বলেন, সকলেই রানের উপর সজোরে হাত মেরে শব্দ করতে থাকলে আমি বুঝতে পারি যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাইছে। বর্ণনাকারীউসমানের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছিলো, তখন (অনিচ্ছা সত্ত্বেও) আমি চুপ হলাম। অতঃপর রসূলুল্ললাহ (সাঃআঃ) নামায শেষ করিলেন। আমার পিতা-মাতা তাহাঁর জন্য কুরবান হোক ! তিনি আমাকে প্রহার করিলেন না, রাগ করিলেন না এবং গালিও দিলেন না। তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ নামাজের অবস্থায় তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন তিলাওয়াত ব্যতীত কোন কথা বলা মানুষের জন্য বৈধ নয়। অথবা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যেরূপ বলার বলিলেন। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)- কে বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! আমি সদ্য জাহিলিয়্যাত ছেড়ে আসা একটি সম্প্রদায়। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ইসলাম গ্রহণের তওফিক দিয়েছেন। আমাদের মধ্যেকার কতিপয় ব্যক্তি গণকের নিকট যায়। তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমরা তাহাঁদের নিকট যাবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমাদের মধ্যেকার কতিপয় লোক পাখি উড়িয়ে ভাগ্য নির্ণয় করে। তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ এটা তাহাঁদের মনগড়া কাজ, এরূপ (কুসংস্কার) যেন তাহাঁদেরকে তাহাঁদের কাজ থেকে বিরত না রাখে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমাদের মধ্যেকার এমনও কিছু লোক আছে যারা রেখা টেনে ভাগ্য নির্ণয় করে। তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ নাবীগণের মধ্যেকার একজন নাবী রেখা টানতেন। সুতরাং কারো রেখা তাহাঁর (নাবীর) মত হলে সঠিক হইতে পারে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, আমার এক দাসী উহুদ ও জাওয়ানিয়ার আশেপাশে বকরী চরাচ্ছিলো। আমি দেখলাম, বাঘ এসে সেখান থেকে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো আদম সন্তান। কাজেই আমিও তাহাঁদের মত দুঃখ পাই। কিন্তু আমি তাকে জোরে একটি থাপ্পড় দিলাম। এ কথাটি রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) কাছে গুরুত্ববহ মনে হওয়ায় আমি তাঁকে বললাম, আমি কি তাকে মুক্ত করে দিবো? তিনি (সাঃআঃ) বললেনঃ তাকে আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তাকে নিয়ে আসলে তিনি (সাঃআঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহ্‌ কোথায়? সে জবাবে বলিল, আকাশে। তিনি (সাঃআঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আমি কে? সে জবাবে বলিল, আপনি আল্লাহ্‌র রসূল! তখন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)- বলিলেন, তাকে আযাদ করে দাও। কারণ সে ঈমানদার মহিলা।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৩১. মুআবিয়াহ ইবনিল হাকাম আস-সুলামী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)- এর নিকট আসার পর আমাকে ইসলামের কিছু বিষয় শেখানো হলো। আমাকে তখন এটাও শেখানো হয়েছিল যে, তুমি হাঁচি দিলে “আলহামদুলিল্লাহ” বলবে। আর অন্য কাউকে হাঁচি দেয়ার পরআলহামদুলিল্লাহ বলিতে শুনলে তুমি বলবে “ইয়ারহামুকাল্লাহ” (অর্থঃ আল্লাহ্‌ তোমার প্রতি রহম করুন)। তিনি বলেন, একবার আমি রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) নামায আদায় করছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দিল এবং “আলহামদুলিল্লাহ” বললো। আমি উচ্চস্বরে বললাম, “ইয়ারহামুকাল্লাহ”। এতে উপস্থিত সকলেই আমার দিকে রাগত দৃষ্টিতে তাকালো। তাতে আমিও রাগান্বিত হলাম। আমি তাহাঁদেরকে বললাম, তোমরা আমার দিকে এভাবে চোখ ঘুরিয়ে দেখছো কেন? বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা সুবহানাল্লাহ বললো। নামায আদায় শেষে নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, (নামাজের মধ্যে) কে কথাবার্তা বলেছে? বলা হলো, এই গ্রাম্য লোকটি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নাবী (সাঃআঃ) আমাকে ডেকে নিয়ে বলিলেন, নামায কুরআন পাঠ ও আল্লাহ্‌র স্মরণ করা হয়। কাজেই নামাজেরত অবস্থায় তোমার তা-ই করা উচিত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)- এর চাইতে অধিক নম্র ও বিনয়ী শিক্ষক আর কখনো দেখিনি। {৯৩১}

{৯৩১}- সুনান বায়হাকী (২/২৪৯) আবু দাউদ সূত্রে, বোখারিখাল্কু আফআলুলইবাদ (৬৭) এবংজুযউল কেরাত খালফাল ঈমাম (৬৮) সকলে ফুলাইহ হইতে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ১৭২ ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে

৯৩২. ওয়াইল ইবনি হুজর (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (নামায আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন “ওয়ালাদদোয়াল্লীন” পড়তেন তখন তিনি সশব্দে আমীন বলিতেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৩৩. ওয়াইল ইবনি হুজর (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর পিছনে নামায আদায় করিয়াছেন। তাতে তিনি সশব্দে আমীন বলেছেন। তিনি ডানে ও বামে এভাবে সালাম ফিরিয়েছেন যে, আমি তাহাঁর গালের শুভ্রতা দেখেছি।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৯৩৪. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) (নামায আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) যখন “গাইরিল মাগদূবিআলাইহিম ওয়ালাদদোয়াল্লীন” পড়তেন তখন এমন জোরে আমীন বলিতেন যে, প্রথম কাতারে তাহাঁর নিকটবর্তী লোকেরা তাহাঁর এ “আমীন” বলা শুনতে পেতো।{৯৩৪}

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৯৩৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, নামাজে ঈমাম যখন পড়বে “গাইরিল মাগদূবিআলাইহিম ওয়ালাদদোয়াল্লীন” তখন তোমরা “আমীন” বলবে। কেননা যার কথা (আমীন বলা) ফেরেশতার কথার সাথে উচ্চারিত হইবে তার পূর্বেকার গুনাহসমুহ মাফ করে দেয়া হইবে।

দুর্বল ঃ বোখারি ও মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৩৬. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, (নামায সূরাহ ফাতিহা পাঠের পর) ঈমাম যখন “আমীন” বলবে তখন তোমরাও “আমীন” বলবে। কেননা যে ব্যক্তির (আমীন বলা) মালায়িকাহ (ফেরেশতার) “আমীন” বলার সাথে মিলবে তার পূর্বেকার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হইবে। ইবনি শিহাব(রাঃআঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) (সূরাহ ফাতিহার শেষে) আমীন বলিতেন।

দুর্বল ঃ বোখারি ও মুসলিম হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৩৭. বিলাল (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি আমার আগে “আমীন” বলবেন না। (রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সূরাহ ফাতিহা পাঠ শেষ হয়ে যেতো অথচ তখনও বিলালের (রাঃআঃ) পড়া শেষ হত না। তাই তিনি এ কথা বলিতেন)। {৯৩৭}

{৯৩৭}-বোখারি (অধ্যায়ঃ আযান, অনুঃ ইমামের সশব্দে আমীন বলা, হাঃ৭৮০), মুসলিম (অধ্যায়ঃ নামায, অনুঃ তাসবিহ, তাহমিদ ও আমীন বলা) উভয়ে মালিক হইতে। আহমাদ (৬/১২, ১৫), বায়হাক্কিসুনান (২/২৩), হাকিম (১/২১৯) বামাম হাকিম বলেন, এই হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্তে সহিহ। তবে তাঁরা এটি বর্ণনা করেননি। যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করিয়াছেন। ডঃ সাইয়্যিম মুহাম্মাদ সাইয়্যিদ বলেনঃ বরং সনদটি দুর্বল। সনদে ইনকিতা (বিচ্ছিনতা) হয়েছে। আবু উসমান হাদিসটি বিলাল হইতে শুনেননি। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৯৩৮. আবু মুসাব্বিহ আল-মাকরাই (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ) এর সহাবী আবু যুহাইর আন-নুমাইরী (রাঃআঃ) এর নিকট বসতাম। তিনি সুন্দর সুন্দর হাদিস শুনাতেন। একবার আমাদের মধ্যকার এক ব্যাক্তি দুআ করতে থাকলে তিনি বলিলেন, তুমি আমীন বলে দুআ শেষ করিবে। কেননা (দুআ শেষে)আমীন বলা (গ্রন্থ বা) চিঠিতে সীলমোহর করার মত। অতঃপর আবু যুহাইর (রাঃআঃ) বলেন, এ বিষয়ে আমি তোমাদের নিকট একটি ঘটনা জানাতে চাই। এক রাতে আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সাথে বের হই। অতঃপর আমরা এমন এক ব্যাক্তির কাছে উপস্থিত হই যিনি কাকুতি-মিনতি করে দুআ করছিলেন। নাবী (সাঃআঃ) থামলেন এবং তার দুআ শুনলেন, অতঃপর বলিলেন, যদি সে শেষ করে তবে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত। উপস্থিত লোকদের একজন বললো, কিসের দ্বারা সে দুআ শেষ করিবে? নাবী(সাঃআঃ) বলিলেন,আমীন বলে। কেননা যদি সেআমীন বলার উপর দুআ শেষ কহে তাহলে তার দুআ কবূল হয় (অথবা সে নিজের জন্য জান্নাত অবধারিত করে নেয়)। এরপর নাবী(সাঃআঃ) কে প্রশ্নকারী লোকটি দুআরত ব্যাক্তির নিকট গিয়ে বলিল, হে অমুক ! তুমি আমীন বলে দুআ শেষ কর এবং জান্নাত লাভের ও দুআ কবুলের) সুসংবাদ গ্রহণ করো। ঈমাম আবু দাউদ(রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আল-মাকরাই হলো হিময়ারের একটি গোত্র। {৯৩৮}

{৯৩৮}- আবু দাউদ এতে একক হয়ে গেছেন। মুনযিয়ী একেআত-তারগীব গ্রন্থে (১/৩৩০) বর্ণনা করিয়াছেন। এর সানাদে সুবাইহ ইবনি মুহরিয সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববুল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ১৭৩ নামাযরত অবস্থায় হাততালি দেয়া

৯৩৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, (নামায আদায়কালে ইমামের কোন ভূল পরিলক্ষিত হলে) পুরুষ (মুক্তাদীরা) সুবহানআল্লাহ বলবে আর নারী (মুক্তাদীরা) হাতের উপর হাত মেরে শব্দ করিবে।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৪০. সাহল ইবনি সাদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বানীআমর ইবনিআওফ গোত্রের বিবাদ মীমাংসার জন্য সেখানে যান। এমতাবস্থায় নামাজের ওয়াক্ত হলে মুয়াযযিন আবু বকর (রাঃআঃ) এর নিকট এসে বলিলেন, আপনি কি লোকদের নিয়ে নামায আদায় করবেন? আবু বকর (রাঃআঃ) স্বীকৃতি দেয়ায় নামাজের ইকামাত দেয়া হলো এবং আবু বকর (রাঃআঃ) নামায শুরু করিলেন। ইতিমধ্যে লোকদের নামাজেরত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এসে পৌঁছালেন এবং কাতার ভেদ করে সামনের কাতারে দাঁড়ালেন। এমতাবস্থায় লোকেরা হাততালি দিয়ে শব্দ করতে লাগলো। কিন্তু আবু বকর নামাজেরত অবস্থায় কোন দিকেই খেয়াল করতেন না। অতঃপর যখন লোকদের হাততালি অধিক হলো আবু বকর (রাঃআঃ) খেয়াল করিলেন এবং রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে দেখিতে পেলেন। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ইশারা করে তাকে স্বীয় স্থানে থাকতে বলিলেন। কিন্তু আবু বকর(রাঃআঃ) দু হাত উঠিয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর এই নির্দেশের জন্য আল্লাহ্‌র প্রশংসা করেন এবং পিছনে সরে কাতারে শামিল হন। ফলে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) অগ্রসর হয়ে নামায আদায় করালেন। নামায শেষে তিনি আবু বকর (রাঃআঃ) কে বলিলেন, হে আবু বকর! আমি নির্দেশ দেয়ার পরও তুমি নামাজের ইমামাত করলে না কেন? জবাবে আবু বকর (রাঃআঃ) বলিলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর উপস্থিতিতে আবু কুহাফার পুত্রের ইমামাত শোভনীয় নয়। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) লোকদের বলিলেন, কি ব্যাপার ! আমি দেখলাম, তোমরা সকলেই হাতের উপর হাত মেরে অধিক শব্দ করেছো। নামায কিছু ঘটলে (ইমামের কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে)সুবহানআল্লাহ বলা উচিত। কেননা কেওসুবহানআল্লাহ বললে ঈমাম সেদিকে লক্ষ্য করিবে। আর হাততালি দেয়াতা মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য।

সহীহঃ বুখারি ও মুসলিম।

ঈমাম আবু দাউদ (রাঃআঃ) বলেন, এ নিয়ম শুধু ফরয নামাজের বেলায় প্রযোজ্য।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৪১. সাহল ইবনি সাদ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) এর কাছে বানীআমর ইবনিআওফ গোত্রের লোকদের সংঘর্ষের সংবাদ পৌঁছালে তিনি তাহাঁদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসার জন্য যুহর নামাজের পর সেখানে যান। তিনি বিলাল(রাঃআঃ) কে বলিলেন, আমার ফিরে আসার পূর্বেইআসর নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে আবু বাকর কে লোকদের নামাজের ইমামাত করতে বলবে। অতঃপরআসর নামাজের ওয়াক্ত হলে বিলাল (রাঃআঃ) আযান দিলেন। এরপর ইকামাত দিয়ে আবু বাকরকে (ইমামাত করার) আদেশ করলে আবু বকর সামনে অগ্রসর হলেন। বর্ণনাকারী হাদিসের শেষাংশে বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, নামায কোন কিছু ঘটলে পুরুষরাসুবহানআল্লাহ বলবে এবং নারীরা হাততালি দিবে।

সহীহঃ বোখারি।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৪২. ঈসা ইবনি আইয়ুব (রহ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, “নারীদের হাততালি দেয়া” কথাটির অর্থ হল, তারা ডান হাতের দুই আঙ্গুল বাম হাতের তালুর উপর মারবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

অনুচ্ছেদ১৭৪ নামাজের মধ্যে ইশারা করা প্রসঙ্গে

৯৪৩. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) নামাজেরত অবস্থায় ইশারা করতেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯৪৪. আবু হুরাইরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন, (নামায ইমামের ককন ত্রুটি হলে) পুরুষরাসুবহানআল্লাহ বলবে এবং মহিলারা হাততালি দিবে। কেও যদি নামাযরত অবস্থায় এরূপ ইশারা করে যা দ্বারা নির্দিষ্ট কোন অর্থ বুঝায় তবে সে উক্ত নামায পুনরায় আদায় করিবে।

দুর্বল। ঈমাম আবু দাউদ (রাঃআঃ) বলেন, হে হাদিসটি সন্দেহমূলক।{৯৪৪} হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ১৭৫ সালারত অবস্থায় পাথর কুচি সরানো

৯৪৫. আবু যার (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণনা করেন। নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ নামায দাঁড়ালে তার সামনে আল্লাহ্‌র রহমত থাকে। সুতরাং এ সময় মুসল্লি যেন পাথর কুচি সরাতে ব্যস্ত না হয়।

দুর্বল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৯৪৬. মুআইক্বীব (রাঃআঃ) সূত্র হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, নামাযরত অবস্থায় তুমি পাথরকুচি সরাবে না। যদি সরাতেই হয় তবে কেবল একবার পাথরকুচি সরিয়ে জায়গা সমান করতে পারো।

সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply