সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার জিকির

সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার জিকির

সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার জিকির

১ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ পাঠের ফাযীলাত।
২ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
৩ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার ও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠের ফাযীলাত
৪ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ, আল্‌হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ও আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠের ফাযীলাত
৫ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামৃদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”
৬ পরিচ্ছেদঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলা

১ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ পাঠের ফাযীলাত।

মুসআব ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা [সাদ] আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন যে, তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে [বসা] ছিলাম। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের মাঝে কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার পুণ্য হাসিল করিতে অপারগ হয়ে যাবে? তখন সেখানে বসে থাকদের মধ্য থেকে এক প্রশ্নকারী প্রশ্ন করিল, আমাদের কেউ কিবাবে এক হাজার পুণ্য হাসিল করিবে, তিনি বলিলেন, সে একশ তাসবীহ

سُبْحَانَ اللهِ

উচ্চারণঃ সুবহানাল্ল-হ, অর্থঃ আল্লাহ পবিত্র

اللهِسُبْحَانَ
আল্লাহ পবিত্র

পাঠ করলে তার জন্য এক হাজার পুণ্য লিখিত হইবে এবং তার আমালনামা হইতে এক হাজার পাপ মুছে দেয়া হইবে।

ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের তৃতীয় অধ্যায়ে, কালেমায়ে ছুওমের ফাজায়েল এর প্রথম পরিচ্ছেদে ১৩ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন

ইমাম মুসলিম , মুসআব ইবনি সাদ (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত তাসবিহ বর্ণনা করেছেন [সহীহ মুসলিম ৬৭৪৫- ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬০]

ইমাম তিরমিজি, সাদ ইবনি আবী ওয়াক্কাস (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত তাসবিহ বর্ণনা করেছেন [তিরমিজি-৩৪৬৩]

২ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

আয়েশা বিনতু সাদ (রাঃআঃ) হইতে তার পিতা হইতে বর্ণিতঃ

একদা তিনি রসূলুল্লাহর (সাঃআঃ) সাথে এক মহিলার কাছে গিয়ে তার সম্মুখে খেজুর বিচি অথবা কংকর দেখিতে পেলেন। মহিলাটি ওগুলোর সাহায্যে তাসবীহ পাঠ করছিলো। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ আমি কি তোমাকে এর চাইতে অধিক সহজ ও উত্তম পদ্ধতি জানাবো না! “আকাশের সমস্ত সৃষ্টির সংখ্যা পরিমাণ

سُبْحَانَ اللَّهِ

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহ, অর্থঃ আল্লাহ পবিত্র

اللهِسُبْحَانَ
আল্লাহ পবিত্র

এবং যমীনের সমস্ত সৃষ্টির সংখ্যা পরিমাণ সুবহানাল্লাহ। আকাশ ও যমীনের মাঝে যা কিছু রহিয়াছে সে পরিমাণ সুবহানাল্লাহ এবং অনুরূপ সংখ্যক

اللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার, অর্থঃ আল্লাহ মহান

أَكْبَرُاللَّهُ
মহানআল্লাহ

الْحَمْدُ لِلَّهِ

উচ্চারণঃ আল্‌হামদুলিল্লাহ , অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর

لِلَّهِالْحَمْدُ
মহান আল্লাহরসমস্ত প্রশংসা

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّ

উচ্চারণঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।” অর্থঃ

ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের তৃতীয় অধ্যায়ে, কালেমায়ে ছুওমের ফাজায়েল এর প্রথম পরিচ্ছেদের ১৯ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন

ইমাম আবু দাউদ, আয়েশা বিনতু সাদ (রাঃআঃ) হইতে তার পিতার বর্ণনায় উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনি ওয়াহাব হইতে, ঈমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদিসটি হাসান গরীব)। এর সানাদে খুযাইমাহ রহিয়াছে। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃআয়েশা বিনতু সাদ হইতে খুযাইমাকে চেনা যায়নি। [আবু দাউদ-১৫০০, দুর্বল হাদিস]

৩ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার ও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠের ফাযীলাত

আবু যার্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকের প্রত্যেক (হাড়ের) জোড়ের পক্ষ থেকে প্রাত্যহিক সাদকাহ ওয়াজিব করে। সুতরাং প্রত্যেক তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর (আল্লাহু আকবার বলা) সাদকাহ এবং ভাল কাজের আদেশ প্রদান ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ। এ সব কাজের পরিবর্তে চাশতের দু’রাক্আত নামায যথেষ্ট হবে।’’

ইমাম নওয়াবী, আবু যার (রাঃআঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [রিয়াদুস সালেহিন ১২০, সহীহ]

ইমাম মুসলিম আবু যার (রাঃআঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন তবে তাকবীর উল্লেখ করেননি [সহিহ মুসলিম ২২১৯]

আবু দাউদ, আবু যার (রাঃআঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন তবে তাসবীহ, তাহমীদ ও তাকবীর উল্লেখ করেননি [আবু দাউদ ১২৮৬, সহীহ]

আবু দাউদ, আবুল আসওয়াদ আদ-দুয়ালী (রাঃআঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন তবে তাসবীহ, তাহমীদ ও তাকবীর উল্লেখ করেননি [আবু দাউদ ১২৮৫, সহীহ]

ইবন উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি স্বপ্নে দেখল যে, কেউ তাঁকে জিজ্ঞাসা করছে যে, তোমাদের নাবী [সাঃআঃ] কিসের আদেশ করিয়াছেন? সে বলিল, আমাদের নাবী [সাঃআঃ]

سُبْحَانَ اللهِ

উচ্চারণঃ সুবহানাল্ল-হ, অর্থঃ আল্লাহ পবিত্র , (৩৩ বার)

الْحَمْدُ لِلَّهِ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহ, অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর এবং তাকবীর

اللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার, অর্থঃ আল্লাহ মহান (৩৪ বার) বলবে।

বলিতে আদেশ করিয়াছেন। এ হল একশত বার। সে বলিল, তোমরা ২৫ বার ‘সুবহানাল্লাহ‘ ২৫ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ‘ এবং ২৫ বার ‘আল্লাহু আকবর‘ এবং ২৫ বার

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে, তাও একশত বার হইবে। যখন সকাল হল ঐ ব্যক্তি স্বপ্ন বৃত্তান্ত নাবী [সাঃআঃ] কে জানাল। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা তাসবীহ অনুরুপই বলবে, যেরূপ আনসারী ব্যক্তি বলেছে।

ইমাম নাসাই ইবন উমর (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সুনানে নাসাই ১৩৫১ হাসান সহীহ]

ইমাম নাসাই, যায়দ ইবনি সাবিত (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সুনানে নাসাই ১৩৫০ সহীহ]

ইমাম তিরমিজি, যায়দ ইবনি সাবিত (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [তিরমিজি ৩৪১৩ সহীহ]

ইমাম মুহিউস সুন্নাহ, যায়দ ইবনি সাবিত (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [মিশকাত শরীফ ৯৭৩ সহীহ]

সহীহঃ ইবনি খুযাইমাহ্‌ [৭৫২]

৪ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ, আল্‌হামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ও আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠের ফাযীলাত

আবু হুরাইরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক দিন) মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় একটি করে সাদকাহ রয়েছে। (আর সাদকাহ শুধু মাল খরচ করাকেই বলে না; বরং) দু’জন মানুষের মধ্যে তোমার মীগোশতা করে দেওয়াটাও সাদকাহ, কোন মানুষকে নিজ সওয়ারীর উপর বসানো অথবা তার উপর তার সামান উঠিয়ে নিয়ে সাহায্য করাও সাদকাহ, ভাল কথা বলা সাদকাহ, নামাযের জন্য কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ সাদকাহ এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করাও সাদকাহ।’’

এটিকে ইমাম মুসলিম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকেও বর্ণনা করিয়াছেন, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ বলল, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ‘সুবহানাল্লাহ’ বলল, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল, কিম্বা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল), সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যে, সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।’’[১]

ইমাম বুখারী, আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে শুধু হাতের জোরা ও সুবিচার এর কথা উল্লেখ করেছেন [সহীহ বুখারী ২৭০৭]

মুস্লিম ২২২০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইমাম নওয়াবী, আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস হুবুহু বর্ণনা করেছেন [রিয়াদুস সালেহিন ১২৪]

ইমাম বুখারী, আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে বলেন, “শরীরের প্রতিটি জোড়ার উপর প্রতিদিন একটি করে সদকা রয়েছে। কোন ব্যক্তিকে তার সাওয়ারীতে উঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করা, অথবা তার মাল-সরঞ্জাম তুলে দেয়া সদকা। উত্তম কথা বলা ও সালাতের উদ্দেশ্যে গমনের প্রতিটি পদক্ষেপ সদকা এবং রাস্তা বাতলিয়ে দেয়া সদকা।” [সহীহ বুখারী ২৮৯১, ২৯৮৯]

৫ পরিচ্ছেদঃ সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামৃদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”

ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মিরাজের রাতে আমি ইবরাহীম [আঃ]-এর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ” আপনার উম্মাতকে আমার সালাম পৌছিয়ে দিন এবং তাহাদেরকে জানান যে, জান্নাতের যামীন অতীব সুগন্ধি সমৃদ্ধ এবং সেখানকার পানি অত্যন্ত সুস্বাদু। তা একটি সমতল ভূমি এবং তার গাছপালা হল

سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামৃদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার”, অর্থঃ আল্লাহর পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ভিন্ন কোন মাবূদ নেই, আল্লাহ মহান”

لِلَّهِ وَالْحَمْدُ اللَّهِ سُبْحَانَ
আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর পবিত্র
বাকী অংশঃ হাদিস ৬৪০৯ দেখুন

ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের তৃতীয় অধ্যায়ে, কালেমায়ে ছুওমের ফাজায়েল এর প্রথম পরিচ্ছেদের ১,৬, ১৫, ১৭ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন

ইমাম তিরমিজি তার জামে আত তিরমিজি শরিফে, সাদ ইবনি আবী ওয়াক্কাস [রাদি.] এর বর্ণনায় এই হাদিসটির পরিচ্ছেদের নামকরন করেছেন “জান্নাতের গাছের নাম”। তিরমিজি-৩৪৬২ হাসানঃ তালীকুর রাগীব [হাঃ ২/২৪৫, ২৫৬], আল-কালিমুত তাইয়্যিব [হাঃ ১৫/৬], সহীহাহ [হাঃ ১০৬]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে, আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] এর সুত্রে হুবুহু তাসবিহ বর্ণনা করে বলেছেন, পড়া আমার নিকট বেশি প্রিয়– সে সব বিষয়ের চেয়ে, যার উপর সূর্য উদিত হয়।) সহীহ মুসলিম ৬৭৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬০২, ইসলামিক সেন্টার ৬৬৫৫]

ইবনে মাজাহ সহিহ সনদে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সুত্রে একই হাদিস একটু ভিন্ন ভাবে বর্ণনা করে বলেন “তিনি একটি চারাগাছ রোপণরত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহার নিকট দিয়ে যেতে জিজ্ঞেস করিলেন ঃ আবু হুরাইরাহ! কী রোপণ করছো? আমি বললাম, আমার একটি চারা রোপণ করছি। তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাকে এমন কিছু রোপণের কথা বলে দিবো না, যা তোমার জন্য এর চেয়েও উত্তম? তিনি বলেন, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলেনঃ তুমি বলো, সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামৃদু লিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার

ইবনে মাজাহ সহিহ সনদে সামুরাহ বিন জুনদুব [রাদি.] এর সুত্রে আরও বলেছেন, “নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ চারটি শ্রেষ্ঠ বাক্য আছে তাহার যে কোনোটি দিয়ে শুরু করাতে তোমার ক্ষতি নেই” [ ইবনে মাজাহ ৩৮১১, {৩১৪৩} মুসলিম ২১৩৭। সহীহাহ ৩৪৬। জিকিরের ফজিলত -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস]

ইবনে মাজাহ দুর্বল সনদে আবু দারদা [রাদি.] এর সুত্রে আরও বলেছেন, এই তাসবিহ পড়তে থাকো। কারণ তা গুনাহ সমূহঝরিয়ে দেয়, যেমন গাছ তাহার পাতা ঝরিয়ে দেয়।[ ইবনে মাজাহ ৩৮১৩ {৩১৪৫} আহমাদ ২১২৩৪। আত তালীকুর রাগীব ২/২৪৮, দঈফ আল-জামি ৩৭৫০। জিকিরের ফজিলত -এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস]

রুকন আল-দীন মুহিউস সুন্নাহ তার মিসকাতুল মাসাবিহ শরিফে আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর বর্ণনায় একই হাদীস সঙ্কলন করেছেন। মিসকাত ২২৯৫

৬ পরিচ্ছেদঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলা

আবু মূসা আল আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার নাবী সাঃআঃ একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা একটি চূড়া হয়ে যাচ্ছিলেন, যখন তার উপর উঠলেন তখন এক ব্যক্তি উচ্চকণ্ঠে বলিল,

لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ

লা ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহ ছারা কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ মহান।

তখন রাসুল সাঃআঃ তাহাঁর খচ্চরের উপরে ছিলেন। তখন নাবী সাঃআঃ বলিলেন, তোমরা তো কোন বধির কিংবা কোন অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। তারপর তিনি বললেনঃ হে আবু মূসা, অথবা বললেনঃ হে আবদুল্লাহ। আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধন ভান্ডারের একটি বাক্য বলে দেব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, বলে দিন। তিনি বললেনঃ তা হচ্ছে

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

উচ্চারণঃ লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ, অর্থঃ আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে ফিরে আসার শক্তি নেই

وَلاَ حَوْلَ لاَ
এবং নেইসাহায্য নেই
بِاللهِإِلاَّ قُوَّةَ
আল্লাহর সাহায্য ছাড়াশক্তি

ইমাম বুখারি, আবু মূসা আল আশআরী [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত কালিমাটি বর্ণনা করেন। [সহীহ বুখারি ৬৪০৯, ২৯৯২ আঃপ্রঃ- ৫৯৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৪]

ইমাম মুসলিম, আবু মূসা আল আশআরী [রাদি.] এর সুত্রে উপরোক্ত কালিমাটি বর্ণনা করেন। ইমাম মুসলিম তাকবির এর কথা উল্লেখ করেন নি [সহীহ মুসলিম ৬৭৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭৬]

ইমাম আবুদ দাউদ, আবু উসমান আন-নাহদী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর সুত্রে উপরোক্ত কালিমাটি বর্ণনা করেন [আবু দাউদ ১৫২৬, সহীহ তবে “তোমরা যাকে ডাকছো তিনি তোমাদের বাহনের ঘাড়ের চাইতেও অতি নিকটে আছেন।” এ অংশটুকু মুনকার।]

ইবনে মাজাহ আবু মুসা আল আশআরী [রাদি.], আবু যার্র [রাদি.] ও হাযিম বিন হারমালাহ [রাদি.] এর বর্ণনা সুত্রে ৩ টি আলাদা সনদে উপরোক্ত কালিমাটি বর্ণনা করেন [ইবনে মাজাহ ৩৮২৪, ৩৮২৫, ৩৮২৬]

ইমাম তিরমিজি আবু মূসা আল-আশআরী [রাদি.] এর বর্ণনায় উপরোক্ত কালিমাটি বর্ণনা করেন [তিরমিজি ৩৪৬১, সহীহ]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply