রিসলাতের শাহাদাত, তাওহীদ, এবং ঈমান

রিসলাতের শাহাদাত, তাওহীদ, এবং ঈমান

তাওহীদ ও রিসলাতের শাহাদাত এবং ইসলামের বিধানের আহবান >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন


তাওহীদ ও রিসলাতের শাহাদাত এবং ইসলামের বিধানের আহবান >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৭. অধ্যায়ঃ তাওহীদ ও রিসলাতের শাহাদাত এবং ইসলামের বিধানের দিকে আহবান
৮. অধ্যায়ঃ লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ যতক্ষণ না তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ [সাঃআ:] আল্লাহর রসূল এবং সলাত কায়িম করে, যাকাত দেয়, নবি যে শারীআতের বিধান এনেছেন তার প্রতি ঈমান আনে, যে ব্যক্তি এসব করিবে সে তার জান মালের নিরাপত্তা লাভ করিবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ব্যতীত, তার অন্তরের খবর আল্লাহর কাছে; যে ব্যক্তি যাকাত দিতে ও ইসলামের অন্যান্য বিধান পালন করিতে অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং ইসলামের বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইমামের গুরুত্বারোপ করার নির্দেশ
৯. অধ্যায়ঃ মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঈমান গ্রহণযোগ্য হওয়া, মুশরিকদের ব্যাপারে ইসতিগফার রহিত হওয়া ও মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর জাহান্নামী হওয়া এবং সে কোন ওয়াসীলায় পরিত্রাণ না পাওয়ার দলীল
১০. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর মৃত্যুবরণ করিবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে- এর দলীল প্রমাণ

৭. অধ্যায়ঃ তাওহীদ ও রিসলাতের শাহাদাত এবং ইসলামের বিধানের দিকে আহবান

২৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআ:] বলেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] আমাকে [ইয়ামানের প্রশাসক নিযুক্ত করে] পাঠালেন। তিনি বলিলেন, তুমি এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছো যারা কিতাবধারী। সুতরাং তাহাদেরকে আহবান জানাবে এ সাক্ষ্য দেয়ার জন্য, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ [উপাস্য] নেই আর আমি আল্লাহর রসূল। যদি তারা তোমার এ কথা মেনে নেয়, তবে তাহাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, প্রত্যহ দিন ও রাতে আল্লাহ তাহাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সলাত ফার্য করিয়াছেন। যদি তারা তোমার এ কথাও মেনে নেয়, তবে তাহাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ তাহাদের উপর যাকাত ফার্য করিয়াছেন- যা তাহাদের ধনীদের থেকে আদায় করা হইবে এবং তাহাদের দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হইবে। যদি তারা এ কথাও মেনে নেয়, তবে তাহাদের ভালো ভালো সম্পদগুলো গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকো। আর মাযলূমের অভিশাপকে ভয় কর, কেননা তার ও আল্লাহর মাঝখানে কোন আড়াল নেই।

[ই.ফা. ২৯; ই.সে. ২৯]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩০. ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

নবি [সাঃআ:] বললেনঃ নিশ্চয় তুমি এক সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ ….. বাকী অংশ ওয়াকীর বর্ণনার অনুরূপ।

[ই.ফা. ৩০; ই.সে. ৩০]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১. ইবনি আব্বাস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআ:]-কে ইয়ামানের প্রশাসক করে পাঠানোর সময় বলেছিলেন তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। তাহাদের প্রথম যে দাওয়াত দিবে তা হলো, মহান মহিমাময় আল্লাহর ইবাদাতের দিকে আহবান করা। যখন তারা আল্লাহকে চিনে নিবে তখন তাহাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ তাআলা তাহাদের জন্য দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত ফার্য করিয়াছেন। তারা তা করলে তাহাদের জানিয়ে দিবে যে, আল্লাহ তাহাদের উপর যাকাত ফার্য করিয়াছেন। তাহাদের সম্পদ ধনীদের থেকে আদায় করা হইবে এবং তা তাহাদের গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হইবে। এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করলে তুমি তাহাদের থেকে তা আদায় করিবে কিন্তু তাহাদের উত্তম মালগুলো গ্রহণ করা থেকে সাবধান থাকিবে।

[ই.ফা. ৩১; ই.সে. ৩১]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৮. অধ্যায়ঃ লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ যতক্ষণ না তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ [সাঃআ:] আল্লাহর রসূল এবং সলাত কায়িম করে, যাকাত দেয়, নবি যে শারীআতের বিধান এনেছেন তার প্রতি ঈমান আনে, যে ব্যক্তি এসব করিবে সে তার জান মালের নিরাপত্তা লাভ করিবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ব্যতীত, তার অন্তরের খবর আল্লাহর কাছে; যে ব্যক্তি যাকাত দিতে ও ইসলামের অন্যান্য বিধান পালন করিতে অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং ইসলামের বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইমামের গুরুত্বারোপ করার নির্দেশ

৩২. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর ইন্তিকালের পর আবু বাক্‌র [রাঃআ:] খলীফা নিযুক্ত হন। এ সময় আরবের একদল লোক [যাকাত অস্বীকার করলে] মুরতাদ হয়ে গেল। {আবু বাক্‌র [রাঃআ:] তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সংকল্প করিলেন} উমার [রাঃআ:] বলিলেন, আপনি কিরূপে লোকদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন? {২৪} অথচ রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলছেনঃ “আমি [আল্লাহর পক্ষ থেকে] লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে আদিষ্ট হয়েছি যে পর্যন্ত না তারা বলে লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ [আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই] আর যে ব্যক্তি

اَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ বলিল, সে তার জান-মাল আমার হাত থেকে রক্ষা করলো। অবশ্য আইনের দাবী আলাদা। [অর্থাৎ ইসলামের বিধান অনুযায়ী দণ্ডনীয় কোন অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করিতে হইবে] । তবে তার আসল বিচারের ভার আল্লাহর উপর ন্যস্ত। আবু বাক্‌র [রাঃআ:] বলিলেন, আল্লাহর কসম, যে ব্যক্তি সলাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করিবে আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। {২৫} কেননা যাকাত হচ্ছে মালের [উপর বঞ্চিতের] অধিকার। আল্লাহর কসম, যদি তারা আমাকে একখানা রশি প্রদানেও অস্বীকৃতি জানায় যা তারা [যাকাত বাবদ] রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে প্রদান করতো, তবে আমি এ অস্বীকৃতির কারণে তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। এবার উমার ইবনিল খাত্তাব [রাঃআ:] বলিলেন, আল্লাহর কসম, ব্যাপারটা এ ছাড়া আর কিছুই নয় যে, আল্লাহ তাআলা আবু বাক্‌রের হৃদয়কে যুদ্ধের জন্য প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। আমি স্পষ্টই উপলদ্ধি করলাম, এটাই [আবু বাক্‌রের সিদ্ধান্তই] সঠিক এবং যথার্থ।

[ই.ফা. ৩২, ই.সে ৩২]

{২৪} রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-এর ইন্তিকালের পর আরাবের কিছু সংখ্যক লোক মুরতাদ হয়ে যায়, কিছু সংখ্যক লোক যাকাত দিতে অস্বীকার করে। উমার [রাঃআ:]-এর জিজ্ঞাস্য ছিল, যারা যাকাত দিতে অস্বীকার করে অথচ

اَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ বলে, তাহাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা কি উচিত?

{২৫} যারা সলাত ফরয মনে করে অথচ যাকাত দেয়া ফার্য মনে করে না।

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৩. আবু হুরাইরাহ্ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই- এ কথার স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। সুতরাং যে কেউ আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই স্বীকার করিবে সে আমা হতে তার জান মালের নিরাপত্তা লাভ করিবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ব্যতীত। আর তার হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।

[ই.ফা. ৩৩; ই.সে. ৩৩]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই”- এ কথার সাক্ষ্য না দেয়া পর্যন্ত এবং আমার প্রতি ও আমি যা নিয়ে এসেছি তার প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। এগুলো মেনে নিলে তারা তাহাদের জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করিবে- তবে শারীআত সম্মত কারণ ছাড়া। আর তাহাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।

[ই.ফা. ৩৪; ই.সে. ৩৪]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৫. জাবির [রাঃআ:], আবু হুরাইরাহ্ [রাঃআ:] ও আবু সালিহ হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। বাকী অংশ আবু হুরাইরাহ্ [রাঃআ:] থেকে ইবনিল মুসাইয়্যাব-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। আবু বাক্‌র ইবনি শাইবাহ্ ও মুহাম্মাদ ইবনি আল মুসান্না [রাঃআ:] ….. জাবির [রাঃআ:] থেকে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই-এ কথার স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই- এ কথা স্বীকার করলে তারা আমার থেকে তাহাদের জান মালের নিরাপত্তা লাভ করিবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ছাড়া। তাহাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে। তারপর তিনি আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ

 إِنَّمَا أَنْتَ مُذَكِّرٌ * لَسْتَ عَلَيْهِمْ بِمُسَيْطِرٍ

“আপনি তো একজন উপদেশদাতা। আপনি এদের উপর কর্মনিয়ন্ত্রক নন”-[সূরাহহ্ আল গা-শিয়াহ্ ৮৮ : ২১-২২] ।

[ই.ফা. ৩৫; ই.সে. ৩৫-৩৬]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, লোকদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল এবং সলাত কায়িম করে, যাকাত দেয়, যদি এগুলো করে তাহলে আমা থেকে তারা জান মালের নিরাপত্তা লাভ করিবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ছাড়া। আর তাহাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।

[ই.ফা. ৩৬; ই.সে. ৩৭]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৭. আবু মালিক তাহাঁর পিতার সূত্র হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, এ কথা স্বীকার করে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য উপাস্যকে অস্বীকার করে, তার জান-মাল নিরাপদ। আর তার হিসাব-নিকাশ আল্লাহর নিকট।

[ই.ফা. ৩৭; ই.সে. ৩৮]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৮. আবু মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে তার পিতা তারিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নবি [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে এক বলে স্বীকার করে ….. অতঃপর তিনি উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ই.ফা. ৩৮; ই.সে. ৩৯]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৯. অধ্যায়ঃ মৃত্যুর লক্ষণ দেখা দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঈমান গ্রহণযোগ্য হওয়া, মুশরিকদের ব্যাপারে ইসতিগফার রহিত হওয়া ও মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর জাহান্নামী হওয়া এবং সে কোন ওয়াসীলায় পরিত্রাণ না পাওয়ার দলীল

৩৯. সাঈদ ইবনিল মুসাইয়্যাব থেকে তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন আবু তালিবের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসল রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তার কাছে গেলেন এবং সেখানে তিনি আবু জাহ্‌ল ও আবদুল্লাহ ইবনি উমাইয়্যাহ্‌ ইবনি মুগীরাহকে উপস্থিত দেখিতে পেলেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] [আবু তালিবকে লক্ষ্য করে] বলিলেন, হে আমার চাচা! আপনি

 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ কথাটি বলুন। এর দ্বারাই আমি আল্লাহর কাছে আপনার জন্য সাক্ষ্য দেব। তখন আবু জাহল ও আবদুল্লাহ ইবনি আবু উমাইয়্যাহ্‌ বলে ওঠলো, হে আবু তালিব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের মিল্লাত [দীন] থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে? [অর্থাৎ সে দ্বীন পরিত্যাগ করিবে?] এদিকে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বার বার তাহাঁর কথাটি পেশ করিতে থাকলেন। আবু তালিব শেষ পর্যন্ত যে কথা বলিলেন তা হলো, তিনি আবদুল মুত্তালিবের মিল্লাতের উপরই অবিচল থাকিবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” বলিতে অস্বীকৃতি জানালেন। এতে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, আল্লাহর শপথ! যতক্ষণ আমাকে নিষেধ না করা হয় আমি আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে থাকবো। এ প্রসঙ্গে সুমহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করিলেন,

‏ مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ‏

“নবি এবং ঈমানদারদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা শোভা পায় না, যদিও তারা [মুশরিকরা] নিকটাত্মীয় হয়। কেননা তারা যে জাহান্নামী হইবে এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে”-{২৬} [সূরাহ আত্‌ তাওবাহ্‌ ৯ : ১১৩] । আবু তালিবের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে বলিলেন,

إِنَّكَ لاَ تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ‏

“হে নবি! নিশ্চয়ই হিদায়াত আপনার হাতে নয় যে, যাকে আপনি চাইবেন হিদায়াত করিতে পারবেন। বরং আল্লাহ যাকে চান তাকে হিদায়াত দান করেন, আর কে হিদায়াতপ্রাপ্ত হইবে তিনিই বেশি জানেন”-{২৭} [সূরাহ আল কাসাস ২৮ : ৫৬] ।

[ই.ফা. ৩৯; ই.সে. ৪০]

{২৬} আল্লাহর নবি [সাঃআ:]-এর চাচা আবু তালিব যখন মরণাপন্ন তখন রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তার নিকট যান, সে সময় আবু জাহ্‌ল ও আবদুল্লাহ বিন উমাইয়্যাহ্‌ উপস্থিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তাকে

 لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ বলিতে বলেন, তখন আবু জাহ্‌ল বাধা দিল।

{২৭} রসূল [সাঃআ:]-এর চাচা কাফির হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরেও বলিলেন, আমি আপনার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করব, যতক্ষণ আল্লাহ নিষেধ না করবেন। আল্লাহ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন মুশরিকদের জন্য ইসতিগফার করা যাবে না। আরও জানা গেল, প্রকৃত হিদায়াতের মালিক আল্লাহ তাআলা, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] নন।

মৃত্যুর লক্ষণ – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪০. ইসহাক্‌ ইবনি ইবরাহীম ও আব্‌দ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

যুহরীর সূত্রে একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে সালিহ্‌-এর হাদীসটি [আরবী] এ বাক্যেই সমাপ্ত হয়েছে এবং তিনি আয়াত দুটির উল্লেখ করেননি। তিনি তাহাঁর সূত্রে আরও উল্লেখ করেন [আরবী] “তারা উভয়ই এ বক্তব্যটি পুনরাবৃত্তি করেন।” মামার বর্ণিত হাদীসে [আরবী]-এর স্থলে [আরবী] “তারা উভয়েই তার নিকট এ কথার পুনরাবৃত্তি করিতে থাকে” কথার বর্ণনা রয়েছে।

[ই.ফা. ৪০; ই.সে. ৪১]

মৃত্যুর লক্ষণ – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪১. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] তাহাঁর চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর সময় তাকে বলেছিলেন। আপনি লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ বলুন, কিয়ামাতের দিন আমি আপনার জন্য এর সাক্ষ্য দিব। কিন্তু তিনি তা বলিতে অস্বীকার করিলেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করেনঃ অর্থাৎ “আপনি যাকে পছন্দ করেন, তাকে সৎপথে আনতে পারবেন না”-[সূরাহ আল-কাসাস ২৮ : ৫৬]

[ই.ফা. ৪১; ই.সে. ৪২]

মৃত্যুর লক্ষণ – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪২. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] তাহাঁর চাচাকে বলিলেন, আপনি লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ বলুন, কিয়ামাত দিবসে আপনার পক্ষে আমি এর সাক্ষ্য দিব। তিনি বলিলেন, আবু তালিব ভীত হয়ে এ কথা বলেছেন, কুরায়শদের থেকে এরূপ দোষারোপের যদি আশংকা না থাকত তাহলে আমি তা পাঠ করে তোমার চোখ জুড়াতাম। অতঃপর আল্লাহ তাআলা অবতীর্ণ করলেনঃ

إِنَّكَ لاَ تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ

“তুমি যাকে চাইবে হিদায়াত করিতে পারবে না, কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন হিদায়াত করেন”-[সূরাহ আল-কাসাস ২৮ : ৫৬]

[ই.ফা. ৪২; ই.সে. ৪৩]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১০. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর মৃত্যুবরণ করিবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে- এর দলীল প্রমাণ

৪৩. উসমান [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অন্তরে এ বিশ্বাস রেখে মৃত্যুবরণ করলো যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। {২৮}

মুহাম্মাদ ইবনি আবু বাক্‌র আল মুকাদ্দামী [রাঃআ:] ….. উসমান [রাঃআ:] বলেন যে, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে অনুরূপ বলিতে শুনিয়াছি ….. অবশিষ্টাংশ উপরের হাদীসের অনুরূপ।

[ই.ফা. ৪৩-৪৪; ই.সে. ৪৪-৪৫]

{২৮} আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলেন, কালিমায় পূর্ণ বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহকে এক বলে স্বীকার করার পর তার দ্বারা যদি কাবীরাহ গুনাহ হয়ে যায় তাহলে একদিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আর খারিজী মুতাযিলা ফিরকা বলে কাবীরাহ্‌ গুনাহের দরুন চিরস্থায়ী জাহান্নামী হইবে।

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৪. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

আমরা রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর সঙ্গে একটি সফরে ছিলাম। এক পর্যায়ে দলের খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেল। পরিশেষে রসূল [সাঃআ:] তাহাদের কিছু সংখ্যক উট যাবাহ করার মনস্থ করিলেন। রাবী বলেন যে, এতে উমার [রাঃআ:] আরয করিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি যদি সকলের খাদ্য সামগ্রী একত্রিত করে আল্লাহর নিকট দুআ করিতেন তবে উত্তম হতো। রসূল [সাঃআ:] সেটাই করিলেন। যার নিকট গম ছিল সে গম নিয়ে এবং যার নিকট খেজুর ছিল তা নিয়ে উপস্থিত হলো। [তাল্‌হাহ্‌ ইবনি মুসাররিফ বলেন] মুজাহিদ আরো বর্ণনা করেন যে, যার নিকট খেজুরের আঁটি ছিল সে আঁটি নিয়েই উপস্থিত হলো। আমি [তাল্‌হাহ্‌] জিজ্ঞেস করলাম আঁটি দিয়ে কি করিতেন? তিনি বলিলেন, সেটা চুষে পানি পান করিতেন। রাবী বলেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] সংগৃহীত খাদ্যসামগ্রীর উপর দুআ করিলেন। রাবী বলেন, অতঃপর লোকেরা তাহাদের পাত্রসমূহ খাদ্য দ্বারা পূর্ণ করে নিল। রাবী বলেন, তখন রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল। যে এ বিষয় দুটোর প্রতি নিঃসন্দেহে বিশ্বাস রেখে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।

[ই.ফা. ৪৫; ই.সে. ৪৬]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৫. আবু হুরাইরাহ কিংবা আবু সাঈদ আল খুদরী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তাবূকের যুদ্ধের সময় লোকদের খুবই খাদ্যাভাব দেখা দেয়। তারা বলিল, ইয়া রসুলুল্লাহ! যদি আপনি অনুমতি দেন তাহলে আমরা আমাদের উটগুলো যাবাহ করে তার গোশ্‌ত খাই এবং তার চর্বি ব্যবহার করি। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, যাবাহ করিতে পার। রাবী বলেন, এমন সময় উমার [রাঃআ:] আসলেন এবং বলিলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! যদি এমন করা হয় তাহলে বাহন কমে যাবে। বরং আপনি লোকেদেরকে তাহাদের অবশিষ্ট খাদ্য নিয়ে আসতে বলুন, তাতে তাহাদের জন্য আল্লাহর দরবারে বারাকাতের দুআ করুন। আশা করা যায়, আল্লাহ তাতে বারাকাত দান করবেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, হ্যাঁ ঠিক আছে। তিনি একটি চাদর আনতে বলিলেন এবং তা বিছালেন, এরপর সকলের অবশিষ্ট খাদ্য চেয়ে পাঠালেন। রাবী বলেন, তখন কেউ এক মুঠো গম নিয়ে উপস্থিত হলো, কেউ এক মুঠো খেজুর নিয়ে উপস্থিত হলো, কেউ বা এক টুকরো রুটি নিয়ে আসলো, এভাবে কিছু পরিমাণ খাদ্য-সামগ্রী চাদরে জমা হলো। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বারাকাতের দুআ করিলেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, তোমরা নিজ নিজ পাত্রগুলো খাদ্য দ্বারা পূর্ণ করে নাও। সকলেই আপন আপন পাত্র ভরে নিল, এমনকি এ বাহিনীর কোন পাত্রই আর অপূর্ণ থাকল না। এরপর সকলেই পরিতৃপ্তি সহকারে আহার করিলেন। কিছু রয়েও গেল।তখন রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর প্রেরিত রসূল, যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহে এ কথা দুটোর উপর ঈমান রেখে আল্লাহর নিকট উপস্থিত হইবে সে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হইবে না।

[ই.ফা. ৪৬; ই.সে. ৪৭]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬. উবাদাহ্‌ ইবনি সামিত [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বলে, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক এবং মুহাম্মাদ [সাঃআ:] তাহাঁর বান্দা ও রসূল, আর নিশ্চয় ঈসা [আ:] আল্লাহর বান্দা, তাহাঁর বান্দীর [মারইয়ামের] পুত্র ও তাহাঁর সে কালিমা- যা তিনি মারইয়ামকে পৌঁছিয়েছেন এবং তাহাঁর পক্ষ থেকে প্রেরিত একটি রুহ মাত্র, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ তাকে জান্নাতের আটটি দরজার যেটি দিয়ে প্রবেশ করাতে চাইবেন, প্রবেশ করাবেন।”

[ই.ফা. ৪৭; ই.সে. ৪৮]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৭. উমায়র ইবনি হানী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

উমায়র ইবনি হানী [রাঃআ:] থেকে এ সানাদে উপরের বর্ণনার অনুরূপই বর্ণিত হয়েছে, তবে আরো রয়েছে, তার আমাল যা-ই হোক না কেন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। কিন্তু জান্নাতের আটটি দরজার যেটি দিয়েই সে চাইবে এ বাক্যটি এ বর্ণনায় উল্লেখ নেই।

[ই.ফা. ৪৮; ই.সে. ৪৮]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৮.সুনবিহী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি উবাদাহ্‌ ইবনি সামিত [রাঃআ:]-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেন। সুনবিহী বলেন, উবাদাহ ইবনি সামিত [রাঃআ:] যখন মৃত্যু শয্যায় তখন আমি তাহাঁর নিকট গেলাম, [তাঁকে দেখে] আমি কেঁদে ফেললাম। এ সময় তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বলিলেন, থামো, কাঁদছো কেন? আলাহর কসম! আমাকে যদি সাক্ষী বানানো হয়, আমি তোমার স্বপক্ষে সাক্ষ্য দিবো, আর যদি সুপারিশ করার অধিকারী হই তবে তোমার জন্য সুপারিশ করবো। আর যদি তোমার কোন উপকার করিতে পারি, নিশ্চয়ই সেটাও করবো। অতঃপর তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম! এ যাবৎ আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] থেকে যে কোন হাদীস শুনিয়াছি, যার মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে, তা আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে বর্ণনা করেছি। কিন্তু একটি মাত্র হাদীস [যা এতদিন আমি তোমাদেরকে বলিনি] আজ এখনই তা আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করবো। কেননা বর্তমানে আমি মৃত্যুর বেষ্টনীতে আবদ্ধ। আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য দেয় যে, “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ [সাঃআ:] আল্লাহর রসূল, আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।”

[ই.ফা. ৪৯; ই.সে. ৫০]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৯. মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক সময় নবি [সাঃআ:]-এর বাহনের পিছনে বসা ছিলাম। আমার ও নবি [সাঃআ:]-এর মাঝে হাওদার কাঠের টুকরা ব্যতীত কোন ব্যবধান ছিল না। নবি [সাঃআ:] বলিলেন, হে মুআয ইবনি জাবাল! আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! উপস্থিত আছি; আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। অতঃপর তিনি কিছু দূর অগ্রসর হয়ে পুনরায় বলিলেন, হে মুআয ইবনি জাবাল! আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! উপস্থিত আছি; আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। তিনি বলিলেন, তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক রয়েছে? আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাহাঁর রসূলই তা উত্তম জানেন। নবি [সাঃআ:] বলিলেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হলো তারা তাহাঁর ইবাদাত করিবে এবং তাহাঁর সঙ্গে কোন কিছুকে শারীক করিবে না। অতঃপর কিছু দূর চললেন, নবি [সাঃআ:] আবার বলিলেন, হে মুআয ইবনি জাবাল! আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! উপস্থিত আছি; আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। নবি [সাঃআ:] বলিলেন, তুমি কি জান, এগুলো করলে আল্লাহর কাছে বান্দার কী হক আছে? আমি বললাম, আল্লাহ তাহাঁর রসূলই ভালো জানেন। নবি [সাঃআ:] বলিলেন, আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিবেন না।

[ই.ফা. ৫০; ই.সে. ৫১]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫০. মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি এক সফরে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর গাধা উফায়র-এর পিঠে তাহাঁর পিছনে বসা ছিলাম। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, হে মুআয! তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর হক কী এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী? আমি বললাম, আল্লাহ তাহাঁর রসূলই ভালো জানেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হলো তারা আলাহর ইবাদাত করিবে এবং তাহাঁর সঙ্গে কোন কিছু শারীক করিবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হলো, যে তাহাঁর সঙ্গে শারীক করিবে না, তাকে তিনি শাস্তি দিবেন না। মুআয বলিলেন, আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি লোকদের এ সংবাদ জানিয়ে দেব না? তিনি বলিলেন, না; লোকেদের এ সংবাদ দিও না, তাহলে তারা এর উপর ভরসা করে থাকিবে। [অর্থাৎ, আমাল করা ছেড়ে দিবে]

[ই.ফা. ৫১; ই.সে. ৫২]

মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫১. মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলেছেন, হে মুআয! তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক? তিনি বলিলেন, আল্লাহ তাহাঁর রসূলই ভালো জানেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, তা হলো, আল্লাহর ইবাদাত করা এবং তাহাঁর সঙ্গে অন্য কিছুকে শারীক না করা তিনি বলিলেন, তুমি কি জান, তা করলে আল্লাহর নিকট বান্দার হক কী? মুআয বলিলেন, আল্লাহ তাহাঁর রসূলই ভালো জানেন। তিনি বলিলেন, তাহাদের তিনি শাস্তি দিবেন না।

[ই.ফা. ৫২; ই.সে. ৫৩]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫২. মুআয [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] আমাকে ডাকলেন। আমি তাহাঁর আহ্বানে সাড়া দিলাম। তারপর তিনি বলিলেন, তুমি কি জান মানূষের উপর আল্লাহর হক কী? ….. বাকি অংশ উপরোক্ত হাদীসের মত।

[ই.ফা. ৫৩; ই.সে. ৫৪]

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৩. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

একদা আমরা [সহাবাগণ] রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-কে ঘিরে বসেছিলাম। আমাদের জামাআতে আবু বাক্‌র এবং উমার [রাঃআ:]-ও ছিলেন। এ সময় রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] আমাদের মাঝ থেকে ওঠে গেলেন। দীর্ঘক্ষণ অতিক্রান্তের পর আমরা শঙ্কিত হলাম যে, তিনি কোথাও কোন বিপদের সম্মুখীন কিনা। তাই আমরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আর আমি সর্বপ্রথম বিচলিত হলাম। তাই আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর খোঁজে বের হয়ে পড়লাম। আমি বানু নাজ্জারের জনৈক আনসারীর বাগানের নিকট এসে উপনীত হলাম। আর বাগানের অভ্যন্তরে প্রবেশের কোন পথ খুঁজে পাওয়া যায় কিনা সেজন্য চারদিকে ঘুরলাম। কিন্তু পেলাম না। হঠাৎ দেখিতে পেলাম বাইরের একটি কুয়া থেকে একটি নালা বাগানের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হচ্ছে। সংকীর্ণ নালাকে জাদওয়াল বলা হয়। অতঃপর আমি নিজেকে শেয়ালের ন্যায় সংকুচিত করে নর্দমার মধ্য দিয়ে গিয়ে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর নিকট উপনীত হলাম। তিনি বলিলেন, আবু হুরাইরাহ নাকি? আমি বললাম, জী-হ্যাঁ, ইয়া রসূলাল্লাহ! তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, কি ব্যাপার? আমি বললাম, আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ উঠে চলে আসলেন, আর দীর্ঘক্ষণ পরও ফিরে না যাওয়ায় আমরা বিচলিত হয়ে পড়েছি। আমাদের অনুপস্থিতিতে কোথাও বিপদের সম্মুখীন হলেন কিনা আমাদের এ আশঙ্কা হলো। আর আমি সর্বপ্রথম বিচলিত হয়ে পড়ি। আমি এ দেয়ালের কাছে এসে শেয়ালের ন্যায় সঙ্কুচিত হয়ে নালার ভিতর দিয়ে এখানে উপস্থিত হলাম। অন্যান্যরা আমার পেছনে আছে। তিনি তাহাঁর জুতা জোড়া আমাকে দিয়ে বলিলেন, হে আবু হুরাইরাহ! আমার জুতা জোড়া সাথে নিয়ে যাও। এ বাগানের বাইরে যার সাথেই তোমার সাক্ষাৎ হয় তাকে বলোঃ যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।” বর্ণনাকারী {আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] } বলেন, সর্বপ্রথম উমার [রাঃআ:]-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো। তিনি আমাকে বলিলেন, হে আবু হুরাইরাহ! জুতা জোড়া কার? আমি বললাম, আল্লাহর রসূলের। তিনি আমাকে এ জুতা জোড়াসহ এই বলে পাঠিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি প্রশান্ত মনে এ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তাকে তুমি জান্নাতের সুসংবাদ দিবে” তিনি {আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] } বলেন, আমার এ কথা শুনে উমার [রাঃআ:] আমার বুকের উপর এমন জোরে চপেটাঘাত করিলেন যে, আমি পেছন দিকে পড়ে গেলাম। আর তিনি বলিলেন, হে আবু হুরাইরাহ! তুমি [রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর] নিকট ফিরে চলো। তাই আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর নিকট কাঁদো কাঁদো অবস্থায় ফিরে আসলাম। আমার পেছনে পেছনে উমার [রাঃআ:] সেখানে উপস্থিত হলেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] আমাকে জিজ্ঞেস করিলেন, হে আবু হুরাইরাহ! তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, আমার সাথে উমারের সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং আপনি আমাকে যে সুসংবাদ দিয়ে পাঠিয়েছিলেন তাঁকে এটা জানালে তিনি আমার বুকে এমন জোরে ঘুষি মারলেন যে, আমি পিছন দিকে পড়ে যাই। তিনি এটাও বলেছেন যে, আমি যেন [আপনার নিকট] ফিরে আসি। রসূলাল্লাহ [সাঃআ:] বলিলেন, হে উমার! কোন বস্তু তোমাকে এমন কাজ করিতে উদ্যত করলো? তিনি বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর কুরবান হোক। আপনি কি আপনার জুতা জোড়াসহ আবু হুরাইরাহ কে এ বলে পাঠিয়েছেন যে, যার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হয় তাকে বলো, যে ব্যক্তি সর্বান্তঃকরণে এ সাক্ষ্য দিবে যে, “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই” তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও? তিনি [সাঃআ:] বলিলেন, হ্যাঁ। উমার [রাঃআ:] বলিলেন, এরূপ করবেন না, কেননা আমার আশংকা হচ্ছে এতে লোকেরা [আমাল বর্জন করে] এর উপর ভরসা করে বসে থাকিবে, কাজেই লোকদেরকে আমাল করার সুযোগ দিন। অতঃপর রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, আচ্ছা তাহাদেরকে ছেড়ে দাও।

[ই.ফা. ৫৪; ই.সে. ৫৫]

মৃত্যুর লক্ষণ -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৪. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

নবি [সাঃআ:] ও মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআ:] একই বাহনের পৃষ্ঠে উপবিষ্ট ছিলেন। তারপর নবি [সাঃআ:] বলিলেন, “হে মুআয ইবনি জাবাল! মুআয [রাঃআ:] বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি উপস্থিত, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। নবি [সাঃআ:] পুনরায় বলিলেন, হে মুআয ইবনি জাবাল! মুআয [রাঃআ:] বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি হাযির, আপনার আনুগত্য শিরোধার্য। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, যদি কোন বান্দা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ [সাঃআ:] তাহাঁর বান্দা ও রসূল- তবে তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন। মুআয [রাঃআ:] বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি কি লোকদের এ সংবাদ দিব? যাতে তারা সুসংবাদ পায়। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] বলিলেন, তাহলে লোকেরা এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। পরে সত্য কথা গোপন রাখার গুনাহের ভয়ে মুআয [রাঃআ:] মৃত্যুর সময় এ খবরটি শুনিয়ে গেছেন।

[ই.ফা. ৫৫; ই.সে. ৫৬]

মৃত্যুর লক্ষণ -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৫. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে মাহমূদ ইবনি রাবী ইত্‌বান ইবনি মালিক [রাঃআ:] হতে বর্ণনা করিয়াছেন, মাহমূদ বলেন, আমি মাদীনায় আসলাম এবং ইত্‌বানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললাম, আপনার সূত্রে একটি হাদীস আমার কাছে পৌঁছেছে [সুতরাং ঘটনাটি আমাকে সবিস্তারে বলুন] । তিনি [ইত্‌বান] বলিলেন, আমার দৃষ্টিশক্তি কিছুটা কমে যাওয়ায় আমি রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:]-এর নিকট এ মর্মে সংবাদ পাঠালাম যে, আমার ইচ্ছা আপনি আমার বাড়িতে এসে এক জায়গায় সলাত আদায় করবেন এবং আমি সে জায়গাটি সলাতেরজন্য নির্দিষ্ট করে নিবো। তিনি [ইত্‌বান] বলেন, নবি [সাঃআ:] আসলেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তাহাঁর সাথে তাহাঁর কতিপয় সহাবাও আসলেন। তিনি ঘরে প্রবেশ করেই সলাত আদায় করিতে লাগলেন। আর তাহাঁর সহাবাগণ আপোষে কথাবার্তা বলিতে থাকলেন। তাঁদের আলোচনার এক পর্যায়ে এসে তাঁরা মালিক ইবনি দুখশুম {২৯} সম্পর্কে মস্ত বড় আপত্তিকর বদদুআ করুন এবং সে ধ্বংস হয়ে যাক। আবার কেউ এ ইচ্ছাও প্রকাশ করিলেন যে, নবি [সাঃআ:] তাকে বদদুআ করুন এবং সে ধ্বংস হয়ে যাক। আবার কেউ এ বাসনাও প্রকাশ করিলেন যে, যদি তার উপর আকস্মিক কোন দুর্ঘটনা নেমে আসতো তাহলে খুবই উত্তম হতো। ইত্যবসরে রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] সলাত সমাপ্ত করিলেন এবং জিজ্ঞেস করিলেন, সে [মালিক] কি এ কথার সাক্ষ্য দেয় না যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল? লোকেরা বলিল, সে মুখে বলে ঠিকই কিন্তু তার অন্তরে এর প্রতি কোন উপাস্য নেই। তিনি বলিলেন, “যে কেউ এ সাক্ষ্য দিবে যে, “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল” সে জাহান্নামে প্রবেশ করিবে না।” অথবা তিনি বলেছেন, আগুন তাকে গ্রাস করিবে না। আনাস [রাঃআ:] বলেন, এ হাদীসটি আমার নিকট খুবই চমৎকার মনে হয়েছে। তাই আমি আমার পুত্রকে বললাম, এটা লিখে নাও। সুতরাং সে তা লিখে নিলো।

[ই.ফা. ৫৬; ই.সে. ৫৭]

{২৯} মালিক ইবনি দুখশুম ছিলেন বদরী সহাবা আর তাহাঁর সাক্ষ্য ছিল আন্তরিক।

সহাবাদের মধ্যে মুনাফিকদের বিভিন্ন চরিত্র আলোচনা হতে ছিল। এক পর্যায়ে মালিক সম্পর্কে নানান আপত্তিকর মন্তব্যের সাথে সাথে তাঁকে মুনাফিক বলে ফেললেন। [শারহে নাবাবী]

মৃত্যুর লক্ষণ -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫৬. আনাস [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ

ইত্‌বান [রাঃআ:] অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআ:]-এর নিকট এ বলে খবর পাঠালেন, আপনি আমার ঘরে তাশরীফ আনুন এবং আমার জন্য একটি সলাতেরস্থান নির্দিষ্ট করে দেন। রসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআ:] তাহাঁর সঙ্গীদের নিয়ে তাশরীফ আনলেন এবং মালিক ইবনি দুখশুম নামক এক ব্যক্তির কথা সেখানে উল্লেখ করা হলো ….. তারপর বর্ণনাকারী সুলাইমান ইবনি মুগীরার মতো হাদীসটি বর্ণনা করেন।

[ই.ফা. ৫৭; ই.সে. ৫৮]

মৃত্যুর লক্ষণ -হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply