উযূ, সফর, বর, স্ত্রী ও মালের বারাকাতের দোয়া

উযূ, সফর, বর, স্ত্রী ও মালের বারাকাতের দোয়া

উযূ, উপত্যকা, বর, স্ত্রী ও মালের বারাকাতের দোয়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

উযূ, উপত্যকা, বর, স্ত্রী ও মালের বারাকাতের দোয়া

৮০/৪৭. অধ্যায়ঃ বারাকাতসহ মালের প্রবৃদ্ধির জন্য দুআ প্রার্থনা।
৮০/৪৭.২ অধ্যায়ঃ বারাকাতপূর্ণ অধিক সন্তান পাওয়ার জন্য প্রার্থনা।
৮০/৪৮. অধ্যায়ঃ ইস্তিখারার সময়ের দুআ।
৮০/৪৯. অধ্যায়ঃ উযূ করার সময় দুআ করা।
৮০/৫০. অধ্যায়ঃ উঁচু স্থানে আরোহণের সময় দুআ।
৮০/৫১. অধ্যায়ঃ উপত্যকায় অবতরণকালে দুআ।
৮০/৫২. অধ্যায়ঃ সফরের ইচ্ছা করলে কিংবা সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় দুআ।
৮০/৫৩. অধ্যায়ঃ বরের নিমিত্তে দুআ করা।
৮০/৫৪. অধ্যায়ঃ নিজ স্ত্রীর নিকট আসলে যে দুআ বলবে।
৮০/৫৫. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) এর দুআঃ হে আমাদের রব্ব! আমাদের এ জগতে কল্যাণ দাও।
৮০/৫৬. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার ফিতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা।
৮০/৫৭. অধ্যায়ঃ বারবার দুআ করা।

৮০/৪৭. অধ্যায়ঃ বারাকাতসহ মালের প্রবৃদ্ধির জন্য দুআ প্রার্থনা।

৬৩৭৮. উম্মু সুলায়ম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আনাস আপনার খাদিম, আপনি আল্লাহর নিকট তার জন্য দুআ করুন। তিনি দুআ করলেনঃ

 اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

আল্লাহুম্মাকছির মালুহু ওয়া ওয়া লাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ্ধি করে দিন, আর আপনি তাকে যা কিছু দিয়েছেন তাতে বারাকাত দান করুন। হিশাম ইবনু যায়দ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) -কে এ রকমই বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি।

[১৯৮২; মুসলিম ৪৪/৩১, হাদীস ২৪৮০, ২৪৮১, আহমাদ ২৭৪৯৬] আঃপ্রঃ- ৫৯৩২,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৫)

৬৩৭৯. উম্মু সুলায়ম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আনাস আপনার খাদিম, আপনি আল্লাহর নিকট তার জন্য দুআ করুন। তিনি দুআ করলেনঃ

اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

আল্লাহুম্মাকছির মালাহু ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ্ধি করে দিন, আর আপনি তাকে যা কিছু দিয়েছেন তাতে বারাকাত দান করুন। হিশাম ইবনু যায়দ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) -কে এ রকমই বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি।

[১৯৮২; মুসলিম ৪৪/৩১, হাদীস ২৪৮০, ২৪৮১, আহমাদ ২৭৪৯৬] আঃপ্রঃ- ৫৯৩২,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৫)

৮০/৪৭.২ অধ্যায়ঃ বারাকাতপূর্ণ অধিক সন্তান পাওয়ার জন্য প্রার্থনা।

৬৩৮০. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম বলেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আনাস আপনার খাদিম। তখন তিনি দুআ করলেনঃ

হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ্ধি করে দিন এবং আপনি তাকে যা দিয়েছেন তাতে বারাকাত দান করুন।

 اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

আল্লাহুম্মাকছির মালাহু ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ্ধি করে দিন, আর আপনি তাকে যা কিছু দিয়েছেন তাতে বারাকাত দান করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৬)

৬৩৮১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম বলেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! আনাস আপনার খাদিম। তখন তিনি দুআ করলেনঃ

اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

আল্লাহুম্মাকছির মালাহু ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ্ধি করে দিন এবং আপনি তাকে যা দিয়েছেন তাতে বারাকাত দান করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৬)

৮০/৪৮. অধ্যায়ঃ ইস্তিখারার সময়ের দুআ।

৬৩৮২. মুতাররিফ ইবন আব্দুল্লাহ আবু মুসআব (র.) ……. জাবির (রা.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ৬৩৮২. জাবির (রাদি.) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আমাদের সকল কাজের জন্য ইস্তিখারা শিক্ষা দিতেন, যেমনভাবে তিনি কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন। (বলিতেন) যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছে হয়, তখন সে যেন দু রাকআত সলাত আদায় করে এরূপ দুআ করে। (অর্থ) : হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের দ্বারা আমার উদ্দিষ্ট কাজের মঙ্গলামঙ্গল জানতে চাই এবং আপনার ক্ষমতা বলে আমি কাজে সক্ষম হইতে চাই। আর আমি আপনার মহান অনুগ্রহ প্রার্থনা করি। কারণ, আপনি ক্ষমতাবান আর আমার কোন ক্ষমতা নেই এবং আপনি জানেন আর আমি জানি না। আপনিই গায়িব সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞানে এ কাজটিকে আমার দ্বীনের ব্যাপারে, আমার জীবন ধারণে ও পরিণামে- রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন- আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক দিয়ে মঙ্গলজনক বলে জানেন তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর যদি আমার এ কাজটি আমার দ্বীনের ব্যাপারে, জীবন ধারণে ও পরিণামে- রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন- দুনিয়ায় আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক দিয়ে আপনি আমার জন্য অমঙ্গলজনক মনে করেন, তবে আপনি তা আমা হইতে ফিরিয়ে নিন। আমাকেও তা হইতে ফিরিয়ে রাখুন। আর যেখানেই হোক, আমার জন্য মঙ্গলজনক কাজ নির্ধারিত করে দিন। তারপর আমাকে আপনার নির্ধারিত কাজের প্রতি তৃপ্ত রাখুন। রাবী বলেন, সে যেন এ সময় তার প্রয়োজনের নির্দিষ্ট বিষয়ের কথা উল্লেখ করে।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৭)

৮০/৪৯. অধ্যায়ঃ উযূ করার সময় দুআ করা।

৬৩৮৩. আবু মূসা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) একবার পানি আনিয়ে অযূ করিলেন। তারপর উভয় হাত তুলে দুআ করলেনঃ

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعُبَيْدٍ أَبِي عَامِرٍ

আল্লাহুম্মাগফির লি উবাইদ আবি আমির, হে আল্লাহ! আপনি উবায়দ আবু আমরকে মাফ করে দিন। আমি তখন তাহাঁর বগলের শুভ্রতা দেখলাম। আরও দুআ করলেনঃ

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَوْقَ كَثِيرٍ مِنْ خَلْقِكَ مِنَ النَّاسِ

আল্লাহুম্মাগফির লাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি ফাওকা কাসির মিন খলকিকা মিনান নাস, হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্বিয়ামাতের দিন আপনার সৃষ্ট অধিকাংশ অনেক লোকের উপর স্থান দান করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৮)

৮০/৫০. অধ্যায়ঃ উঁচু স্থানে আরোহণের সময় দুআ।

৬৩৮৪. আবু মূসা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একবার এক সফরে আমরা নাবী (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে ছিলাম। যখন আমরা উঁচু স্থানে আরোহণ করতাম তখন উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহু আকবার বলতাম। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ হে লোকেরা! তোমরা নিজেদের জানের উপর দয়া করো। কারণ তোমরা কোন বধির অথবা অনুপস্থিতকে আহ্বান করছ না বরং তোমরা আহ্বান জানাচ্ছ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টাকে। কিছুক্ষণ পর তিনি আমার কাছে এলেন, তখন আমি মনে মনে পড়ছিলামঃ

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই

তখন তিনি বলেন, হে আবদুল্লাহ ইবনু কায়স! তুমি পড়বে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। কারণ এ দুআ হলো জান্নাতের রত্ন ভাণ্ডারগুলোর একটি। অথবা তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে এমন একটি কথার সন্ধান দেব না যে কথাটি জান্নাতের রত্ন ভাণ্ডার? তাত্থেকে একটি রত্নভাণ্ডার হলো লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৯)

৮০/৫১. অধ্যায়ঃ উপত্যকায় অবতরণকালে দুআ।

এ প্রসঙ্গে জাবির (রাদি.)-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

৮০/৫২. অধ্যায়ঃ সফরের ইচ্ছা করলে কিংবা সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় দুআ।

৬৩৮৫। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যখন যুদ্ধ, হাজ্জ কিংবা উমরাহ থেকে ফিরতেন, তখন প্রত্যেক উঁচু স্থানের উপর তিনবার আল্লাহু আকবার বলিতেন। তারপর বলিতেনঃ “আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাহাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব, হামদও তাহাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তাওবাহকারী, ইবাদাতকারী, আপন প্রতিপালকের প্রশংসাকারী, আল্লাহ তাআলা স্বীয় ওয়াদা রক্ষা করিয়াছেন। তিনি তাহাঁর বান্দাকে সাহায্য করিয়াছেন, আর শত্রু দলকে তিনি একাই প্রতিহত করিয়াছেন।

”[১৭৯৭; মুসলিম ১৫/৭৬, হাদীস ১৩৪৪, আহমাদ ৪৯৬০] আঃপ্রঃ- ৫৯৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩০)

৮০/৫৩. অধ্যায়ঃ বরের নিমিত্তে দুআ করা।

৬৩৮৬। আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) আবদুর রহমান ইবনু আওফের গায়ে হলুদ রং দেখে জিজ্ঞেস করলেনঃ ব্যাপার কী? তিনি বললেনঃ আমি এক নারীকে বিয়ে করেছি এক টুকরো স্বর্ণের বিনিময়ে। তিনি দুআ করলেনঃ

 بَارَكَ اللَّهُ لَكَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ

আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দান করুন। একটা ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওয়ালীমা দাও।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩১)

৬৩৮৭। জাবির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

জাবির (রাদি.) বলেন, আমার আব্বা সাত অথবা নয়জন মেয়ে রেখে মারা যান। তারপর আমি এক নারীকে বিয়ে করি। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তুমি কি বিয়ে করেছ? আমি বললামঃ হাঁ। নাবী (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করিলেন, সে নারী কুমারী না অকুমারী? আমি বললামঃ অকুমারী। তিনি বলিলেন, তুমি একজন কুমারী বিয়ে করলে না কেন? তা হলে তুমি তার সঙ্গে ক্রীড়া কৌতুক করিতে এবং সেও তোমার সঙ্গে ক্রীড়া কৌতুক করত। আর তুমি তার সঙ্গে এবং সেও তোমার সঙ্গে হাসি-তামাশা করতো। আমি বললামঃ আমার পিতা সাত অথবা নয়জন মেয়ে রেখে মারা গেছেন। কাজেই আমি এটা পছন্দ করলাম না যে, তাদের মত কুমারী বিয়ে করে আনি। এজন্য আমি এমন এক নারীকে বিয়ে করেছি যে তাদের তত্ত্বাবধান করিতে পারবে। তখন তিনি দুআ করলেনঃ

 بَارَكَ اللَّهُ عَلَيْكَ

বারিকাল্লাহু আলাইকা

আল্লাহ! তোমাকে বারাকাত দান করুন। ইবনু উয়াইনাহ ও মুহাম্মাদ বিন মুসলিম, আমর (রাদি.) থেকে আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দিন” কথাটি বলেননি।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩২)

৮০/৫৪. অধ্যায়ঃ নিজ স্ত্রীর নিকট আসলে যে দুআ বলবে।

৬৩৮৮. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তোমাদের কেউ স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গত হইতে চাইলে সে বলবেঃ আল্লাহর নামে,

اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ، لَمْ يَضُرَّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا

আল্লাহুম্মা জান্নিবনাস সাইতানা, ওয়া জান্নিবিস সাইতানা মা রাজাকতানা, ফা ইন্নাহু ইন ইউকদ্দার বাইনাহুম ওয়া লাদ ফি জালিক, লাম ইয়াদুররাহু সাইতানা আবাদান

হে আল্লাহ! আপনি আমাদের শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদেরকে যা দান করেন তা থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন। তারপর তাদের এ মিলনের মাঝে যদি কোন সন্তান নির্ধারিত থাকে তা হলে শয়তান এ সন্তানকে কক্ষনো ক্ষতি করিতে পারবে না।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৩)

৮০/৫৫. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) এর দুআঃ হে আমাদের রব্ব! আমাদের এ জগতে কল্যাণ দাও।

৬৩৮৯. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) অধিকাংশ সময়ই এ দুআ পড়তেনঃ

اللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

আল্লাহুম্মা রব্বানা আতানা ফিদ দুনইয়া হাসানাতান, ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতান ওয়া কিন আজা বান্নার

হে আমাদের রব্ব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে থেকে রক্ষা কর।

(সুরা আল-বাকারাহ ২/২০১) [৪৫২২; মুসলিম ৪৮/৯, হাদীস ২৬৯০, আহমাদ ১৩৯৩৮] আঃপ্রঃ- ৫৯৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৪)

৮০/৫৬. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার ফিতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা।

৬৩৯০. সাদ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যেভাবে লেখা শিখানো হতো ঠিক তেমনিভাবে আমাদেরকে নাবী (সাঃআঃ) এ দুআ শিখাতেনঃ

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَعَذَابِ الْقَبْرِ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউজুবিকা মিন আন নুরাদ্দা ইলা আরজালিল উমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনিয়া ওয়া আজাবিল কবর

হে আল্লাহ! আমি কৃপণতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আর আমি ভীরুতা থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। আর আপনার আশ্রয় চাচ্ছি আমাদেরকে বার্ধক্যের আতিশয্যের দিকে ফিরিয়ে দেয়া থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি দুনিয়ার ফিতনা এবং ক্ববরের শাস্তি হইতে।

(আঃপ্রঃ- ৫৯৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩৫)

৮০/৫৭. অধ্যায়ঃ বারবার দুআ করা।

৬৩৯১. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) –এর উপর যাদু করা হলো। অবস্থা এমন হলো যে, তাহাঁর খেয়াল হতো যে, তিনি একটা কাজ করিয়াছেন, অথচ তিনি তা করেননি। সেজন্যে তিনি আল্লাহর কাছে দুআ করিলেন। এরপর তিনি [আয়েশাহ(রাদি.)-কে বললেনঃ তুমি জেনেছ কি? আমি যে বিষয়টা আল্লাহর নিকট হইতে জানতে চেয়েছিলাম, তা তিনি আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন। আয়েশাহ (রাদি.) বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! তা কী? তিনি বললেনঃ (স্বপ্নের মধ্যে) আমার নিকট দুজন লোক আসলেন এবং একজন আমার মাথার কাছে, আরেক জন আমার দুপায়ের কাছে বসলেন। তারপর একজন তার সাথীকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এ লোকের রোগটা কী? তখন অপরজন বললেনঃ তিনি যাদুগ্রস্ত। আবার তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তাকে কে যাদু করেছে? অপরজন বললেনঃ লাবীদ ইবনু আসাম। তিনি আবার জিজ্ঞেস করিলেন, তা কিসের মধ্যে করেছ। তিনি বলিলেন, চিরুনী, ছেঁড়া চুল ও কাঁচা খেজুর গাছের খোসার মধ্যে। আবার তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ এটা কোথায়? তিনি বললেনঃ যুরাইক গোত্রের যারওয়ান কূপের মধ্যে। আয়েশাহ (রাদি.) বর্ণনা করেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) সেখানে গেলেন (তা বের করিয়ে নিয়ে) আয়েশাহর কাছে ফিরে এসে বললেনঃ আল্লাহর কসম! সেই কূপের পানি যেন মেন্দি তলানি পানি এবং এর খেজুর গাছগুলো ঠিক যেন শয়তানের মাথা। আয়েশাহ (রাদি.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) ফিরে এসে তাহাঁর কাছে কূপের বিস্তারিত বর্ণনা দিলেন। তখন আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এ বিষয়টি লোকেদের মাঝে প্রকাশ করে দিলেন না কেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তো আমাকে রোগমুক্ত করিয়াছেন। সুতরাং আমি লোকজনের মাঝে উত্তেজনা ছড়ানো পছন্দ করি না। ঈসা ইবনু ইউনুস ও লায়স (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)….. আয়েশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী (সাঃআঃ) –কে যাদু করা হলে তিনি বারবার দুআ করিলেন, এভাবে পূর্ণ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।


Posted

in

by

Comments

One response to “উযূ, সফর, বর, স্ত্রী ও মালের বারাকাতের দোয়া”

Leave a Reply