নামাজের সানা দোয়া ও আশ্রয় প্রার্থনা করা

নামাজের সানা দোয়া ও আশ্রয় প্রার্থনা করা

নামাজের সানা দোয়া ও আশ্রয় প্রার্থনা করা >>

পরিচ্ছেদ ৮৬. বাণীর মাধ্যমে নামাজের বিবরণ
পরিচ্ছেদ ৮৭. নবী [সাঃআঃ] এর নামাজের বিবরণ
পরিচ্ছেদ ৮৮. নামাজ শুরু করার দু’আসমূহ
পরিচ্ছেদ ৮৯. নামাজে আশ্রয় প্রার্থনা করা শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ৯০. নবী [সাঃআঃ] এর নামাজের বৈশিষ্ট্য

পরিচ্ছেদ ৮৬. বাণীর মাধ্যমে নামাজের বিবরণ

২৬৭ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তুমি নামাজে দাড়ানোর ইচ্ছে করিবে, তখন প্রথমে তুমি যথানিয়মে অযু করিবে। তারপর কিলামুখী দাঁড়িয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন থেকে যে অংশ তোমার পক্ষে সহজ হইবে, তা তিলাওয়াত করিবে। তারপর তুমি রুকূ’ করিবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর মাথা তুলে ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তারপর সাজদাহ করিবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর আবার মাথা তুলে বসবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর ঠিক এভাবেই তোমার নামাজের যাবতীয় কাজ সমাধা করিবে। শব্দ বিন্যাস বুখারীর এবং ইবনু মাজাহতে মুসলিমের সানাদে রহিয়াছে [তা‘তাদিলা কায়িমান এর বদলে তাতময়িন্না কায়িমান] শব্দ রহিয়াছে যার অর্থও হচ্ছে ধীর-স্থির হয়ে দাড়াবে।’ {১} আর আহমদে রহিয়াছে, তুমি তোমার পিঠকে এমনভাবে সোজা করিবে যেন সকল হাড় যার যার স্থানে পৌছে যায়। {২}

{১} ৭ জন ইমাম বর্ণনা করিয়াছেন, শব্দ বিন্যাস বুখারির। {২} আবু দাউদ ৮৫৬, সহিহ। নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

২৬৮ – আহমদে ও ইবনু হিব্বানেও রিফাআ বিন রফি [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

নাসায়ী ও আবু দাউদে উক্ত সহাবী রিফা’আহ থেকে আছে-`তোমাদের কারও নামাজ অবশ্য ততক্ষণ পূর্ণভাবে সমাধান হইবে না যতক্ষণ না সে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী ঠিকভাবে উযু করে, তারপর`আল্লাহু আকবার বলে আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করে। এতে আরো আছে-`যদি তোমার কুরআন জানা থাকে তবে তা পড়বে অন্যথায় “আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলবে।

আবু দাউদে আছে- তারপর উম্মুল কুরআন [সূরা ফাতিহা] পাঠ করিবে, তারপর আল্লাহ যা পড়ার তাওফিক দেন তা পড়বে। [হাদিসের মান – হাসান] , ইবনু হিব্বানে আছে-`ফাতিহার পর`তুমি যা পড়ার ইচ্ছা [কুরআন থেকে পড়বে]।[হাদিসের মান – সহিহ], হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ৮৭. নবী [সাঃআঃ] এর নামাজের বিবরণ

২৬৯ – আবু হুমাইদ আস-সা‘য়িদী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] কে দেখেছি [সালাত শুরু করার সময়] তিনি তাকবীর বলে দু’ হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ করিতেন তখন দু হাত দিয়ে হাঁটু শক্ত করে ধরতেন এবং পিঠ সমান করে রাখতেন। অতঃপর রুকু হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দাড়াতেন যাতে মেরুদন্ডের হাড়গুলো স্ব-স্ব স্থানে ফিরে আসতো। অতঃপর যখন সাজদাহ করিতেন তখন দু হাত সম্পূর্ণভাবে মাটির উপর বিছিয়ে দিতেন না, আবার গুটিয়েও রাখতেন না। এবং তার উভয় পায়ের অঙ্গুলির মাথা কিবলাহুমুখী করে দিতেন। যখন দুরাকআতের পর বসতেন তখন বাম পা-এর উপর বসতেন আর ডান পা খাড়া করে দিতেন এবং যখন শেষ রাকাআতে বসতেন তখন বা পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের উপর বসতেন।

হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ৮৮. নামাজ শুরু করার দু’আসমূহ

২৭০ – ‘আলী বিন আবী ত্বলিব [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী [সাঃআঃ] হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন [রাতের বেলা] নামাজে দাড়াতেন তখন [তাকবীরে তাহরীমার পর] বলিতেন-

وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ. أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ، لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ

উচ্চারণঃ ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা হানিফাঁও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকীন, ইন্না সালাতী, ওয়া নুসুকী, ওয়া মাহইয়ায়া, ওয়া মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, লা শরীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আনতা রাব্বী ওয়া আনা আবদুকা, যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনুবী জামী’আন ইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলাকি লা ইয়াহদী লিআহসানিহা ইল্লা আনতা, ওয়াসরিফ আন্নী সাইয়িয়াহা, লা ইয়াসরিফু আন্নী সাইয়িয়াহা ইল্লা আনতা, লাব্বায়কা ওয়া সাদায়কা, ওয়ালখায়রু কুল্লুহূ বিয়াদায়কা, ওয়াশ-শাররু লাইসা ইলায়কা, আনা বিকা ওয়া ইলায়কা, তাবারাকতা ওয়া তা‘য়ালায়তা, আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলায়কা। একজন সত্যিকার ঈমানদার হিসাবে আমি মুখ ফিরাচ্ছি তাহাঁর দিকে যিনি আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন। আমি আল্লাহর সঙ্গে কারো শরীক করি না। যথার্থই আমার সালাত [নামাজ] এবং আমার ইবাদত, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সবই জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তার কোন শরীক নেই। আমাকে এরূপ হুকুম করা হয়েছে এবং যারা আজ্ঞানুবর্তী হয়েছে আমি তাদের মধ্যে একজন। হে আল্লাহ! তুমি সৃষ্টি জগতের রব। তুমি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমার রব এবং আমি তোমার বান্দা। আমার নিজের আত্মার উপর অন্যায় করেছি এবং আমার গুনাহ শনাক্ত করিতে পেরেছি। আমার সকল সীমালংঘন মাফ করে দাও, নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত আর কেউ আমার গুনাহ মাফ করিতে পারে না। আমার চরিত্রের উৎকর্ষতার পথ নির্দেশ দাও, কারণ তুমি ব্যতীত অন্য কেউ উৎকর্ষের পথ নির্দেশ দিতে পারে না। আমার চরিত্রের পাপসমূহ থেকে আমাকে রক্ষা কর, কারণ, যথার্থই তুমি ব্যতীত আর কেউ আমাকে পাপ থেকে রক্ষা করিতে পারে না। আমি তোমার সামনে দাড়িয়ে মিনতি করি। সকল ভাল তোমার হাতে, মন্দ তোমাকে ছুঁতে পারে না। আমি নিজেকে তোমার সামনে উপস্থাপন করছি, সম্পূর্ণভাবে তোমার কাছে। তুমি অতি পবিত্র অতি-মহিমাম্বিত। আমি তোমার কাছে মার্জনা চাই এবং তোমার নিকট অনুতপ্ত। – এর অন্য রিওয়ায়েতে আছে- রাত্রের নামাজে এ দুআটি পাঠ করিতেন।” {৩০৫}

{৩০৫} মুসলিম ৭৭১, তিরমিজি ২৬৬, ৩৪২১, ৩৪২২, ৩৪২৩, নাসায়ী ৮৯৭, আবু দাউদ ৭৬০, ১৫০৯, ইবনু মাজাহ ৮৬৪, ১০৫৪, আহমাদ ৮০৫, ৯৬৩, দারেমী ১২৩৮, ১৩১৪। নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

২৭১ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি তাঁকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলিলেন- এ সময় আমি বলি-

اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ

আল্ল-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা- বা’আদতা বাইনাল মাশরিকি ওয়াল মাগরিব, আল্ল-হুম্মা নাকিনী মিনাল খত্বা-ইয়া- কামা- ইউনাক্কস্ সাওবুল আবইয়াযু মিনাদ দানাস, আল্ল-হুম্মাগসিলনি মিন খত্বা-ইয়া-ইয়া বিলমা-য়ি ওয়াস্ সালজি ওয়াল বারদ, অর্থাৎ-“হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও। {৩০৬}

{৩০৬} বুখারী ৭৪৪, মুসলিম ৫৯৮, নাসায়ী ৮৯৫ আৰু দাউদ ৭৮১, ইবনু মাজাহ ৮০৫, আহমাদ ৭১২৪। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

২৭২ – ‘উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নামাজে তাকবীর তাহরীমার পর বলিতেন,

سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، تَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ

উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গায়রুকা। অর্থঃ মহিমা তোমার হে আল্লাহ এবং প্রশংসাও। মর্যাদাসম্পন্ন রাজাধিরাজ, তুমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। —মুসলিম মুনকাতি‘ সানাদে এবং দারাকুৎনী মাওসুল [সংযুক্ত] ও মাওকুফ-উভয়রপ সানাদে বর্ণনা করিয়াছেন।প্রকৃতপক্ষে হাদিসটি মাওকূফ। {৩০৭}

{৩০৭} আবু দাউদ ৭৭৫, তিরমিজি ২৪২, নাসায়ী ৮৯৯, ৯০০, ইবনু মাজাহ ৮০৪, আহমাদ ১১০৮১, দারিমী ১২৩৯। হাদিসের তাহকীকঃ অন্যান্য

পরিচ্ছেদ ৮৯. নামাজে আশ্রয় প্রার্থনা করা শরীয়তসম্মত

২৭৩ – ৰু সা’ঈদ খুদরী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। [আহমদ, আৰু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিয়ী, ইবনু মাজাহ] আর তাতে আছে -তাকবীর তাহরীমার পর [সানার শেষাংশে] এ অংশটুকুও বলিতেন,

أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، مِنْ هَمْزِهِ، وَنَفْخِهِ، وَنَفْثِهِ

উচ্চারণঃ আ‘উযু বিল্লাহিস সামী‘য়িল`আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম মিন হামযিহী ওয়া নাফখিহী ওয়া নাফসিহী। অর্থঃ সর্ব শ্রোতা ও সর্বজ্ঞ আল্লাহর নিকট বিতাড়িত ও ধিকৃত শয়তানের কুমন্ত্রণা ও তার তন্ত্রমন্ত্রের ফুঁকফাক থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” {৩০৮}

{৩০৮} [আলবানী তার ইরওয়াউল গালীল [২/৫৯] গ্রন্থে উল্লেখ করেন], আলবানী হাদিসটিকে আবু দাউদ [৭৭৫] তিরমিয়ী ২৪২ তাখরিজ মিশকাত গ্রন্থদ্বয়ে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন, আলবানী ইরওয়াউল গালীল, [২/৫৯] গ্রন্থে বলেন, এই হাদিসের সকল রাবী বিশ্বস্ত, সকল রাবী বুখারী মুসলিমের যদি ইবনু জুরাইজ না থাকতো সনদে, তিনি দোষ গোপনকারী অস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেন। ইমাম হায়সামী তার মাজমাউয যাওয়া, [২/২৬৮] এর সকল রাবীকে বিশ্বস্ত বলে আখ্যায়িত করিয়াছেন। ইমাম নবাবী তার আল মাজমু [৩/৩১৯অ] গ্রন্থে হাদিস টিকে দুর্বল বলেছেন। ইমাম আহমাদ হাদিসটি বিশৃদ্ধ নয় বলে উল্লেখ করিয়াছেন। ইমাম আৰু দাউদ বলেন, মুহাদ্দীসগন বলেন হাদিসটি আলী বিন আলী হাসান থেকে মুরসাল রুপে বর্ননা করিয়াছেন। ইমাম তিরমিয়ী বলেন [২৪২] আলী আর রেফারী সম্পর্কে ইয়াহিয়া বিন সাঈদ সমালোচনা করিয়াছেন। নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস

পরিচ্ছেদ ৯০. নবী [সাঃআঃ] এর নামাজের বৈশিষ্ট্য

২৭৪ – আয়িশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] তাকবীর তাহরীমা [আল্লাহু আকবার] দ্বারা নামাজ ও

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

`আলহামদুলিল্লাহ রাব্বিল আলামীন’ দ্বারা কিরাআত আরম্ভ করিতেন। আর যখন রুকু‘ করিতেন তখন মাথা না উচু রাখতেন, না নিচু- বরং সোজা সমতল করিতেন। আবার যখন রুকু থেকে মাথা উঠাতেন তখন সোজা হয়ে না দাড়িয়ে সাজদাহতে যেতেন না; পুনরায় যখন সাজদাহ থেকে মস্তক উঠাতেন তখন সোজা হয়ে না বসে দ্বিতীয় সাজদাহতে যেতেন না। আর প্রত্যেক দুরাকাআতের শেষে আত্তাহিয়াতু পাঠ করিতেন ও বাম পায়ের পাতা বিছিয়ে তার উপর [ভর করে] বসতেন ও ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখতেন। আর`উক্বাতুশ শায়তান’ {৩০৯} নামক আসনে বসতে নিষেধ করিতেন। আর হিংস্র জম্ভর ন্যায় কনুই পর্যন্ত দু’ হাতকে মাটিতে স্থাপন করিতে নিষেধ করিতেন, আর সালামের মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করিতেন। এর সানাদে কিছু দূর্বলতা রহিয়াছে।” {৩১০}

{৩০৯} এ বসার ধরন হচ্ছে- নিতম্বকে যমীনের সাথে লাগিয়ে দুই হাঁটু খাড়া অবস্থায় থাকিবে আর হাতের দুই তালু যমীনে থাকিবে। {৩১০} মুসলিম ৪৯৮, আৰু দাউদ ৭৮৩, ইবনু মাজাহ ৮১২, ৮৬৯, ৮৯৩. আহমাদ ২৩৫১০, ২৪২৭০, দারেমী ১২৩৬, হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস


by

Comments

Leave a Reply