দুধমা য়ের স্বামীর সাথে হারাম সাব্যস্ত হওয়া

দুধমা য়ের স্বামীর সাথে হারাম সাব্যস্ত হওয়া

দুধমা য়ের স্বামীর সাথে হারাম সাব্যস্ত হওয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১. অধ্যায়ঃ জন্মদানের কারণে যা হারাম হয় স্তন্যদানেও তা হারাম হয়
২. অধ্যায়ঃ দুধমায়ের স্বামীর সাথে হারাম সাব্যস্ত হওয়া
৩. অধ্যায়ঃ দুধ ভাইয়ের কন্যা হারাম প্রসঙ্গে
৪. অধ্যায়ঃ স্ত্রীর কন্যা ও বোন হারাম প্রসঙ্গে
৫. অধ্যায়ঃ [কোন মহিলার দুধ] এক বা দু চুমুক খাওয়া প্রসঙ্গে
৬. অধ্যায়ঃ [কোন মহিলার দুধ] পাঁচ চুমুক খাওয়াতে হারাম সাব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে
৭. অধ্যায়ঃ বয়স্কদের দুধপান করানো
৮. অধ্যায়ঃ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দুধপান করাতেই দুধভাই সাব্যস্ত হয়
৯. অধ্যায়ঃ ইসতিবরার {৫২} পর যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সঙ্গম করা জায়িয এবং তার স্বামী বর্তমান থাকলে সে বিবাহ বাতিল
১০. অধ্যায়ঃ সন্তান বিছানার অধিপতির এবং সন্দেহ পরিহার
১১. অধ্যায়ঃ ক্বায়িফ কর্তৃক পিতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক নিরূপণ
১২. অধ্যায়ঃ বাসর ঘর উদ্যাপনের পর স্ত্রী বাকিরা বা সায়্যিবা হলে স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে কী পরিমাণ সময় লাভের অধিকারিণী
১৩. অধ্যায়ঃ রাত যাপনে স্ত্রীদের মাঝে পালাবন্টন এবং প্রত্যেকের কাছে এক রাত পরের দিবাভাগ সহ অবস্থান করা সুন্নাত
১৪. অধ্যায়ঃ সতীনকে নিজের পালা হিবা করা বৈধ
১৫. অধ্যায়ঃ দ্বীনের মানদন্ডে বিবাহের জন্য কন্যা পছন্দ করা মুস্তাহাব
১৬. অধ্যায়ঃ কুমারীর পানিগ্রহণ মুস্তাহাব
১৭. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ সতী নারী
১৮. অধ্যায়ঃ মহিলাদের সদুপদেশ দেয়া
১৯. অধ্যায়ঃ হাওয়া [আঃ]-এর অপরাধ না ঘটলে কোন নারীই স্বামীর খিয়ানাত করত না

১. অধ্যায়ঃ জন্মদান এর কারণে যা হারাম হয় স্তন্যদানেও তা হারাম হয়

৩৪৬০. আয়িশাহ্ [রাদি.] সূত্রে আমরাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট অবস্হান করছিলেন; তিনি তখন কোন ব্যক্তির হাফ্সাহ্ [রাদি.]-এর ঘরে প্রবেশের অনূমতি লাভের আওয়াজ শুনতে পেলেন। আয়িশা [রাদি.] বলেন, আমি তখন বললামঃ হে আল্লাহ্‌র রসূল! এ লোক আপনার ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি জানি, অমুক, হাফ্সার দুধচাচা। আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! যদি তার [আয়িশার] দুধচাচা জীবিত থাকতেন তা হলে তিনি কি তার নিকট প্রবেশ করিতে পারতেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হাঁ, নিশ্চয়ই দুগ্ধ সম্পর্ক সেই সব লোকদের হারাম করে দেয়, যাদের জন্মগত সম্পর্ক হারাম করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩২]

৩৪৬১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “দুগ্ধ সম্পর্ক সে সব লোকদের হারাম করে দেয়, যাদের জন্মগত সম্পর্ক হারাম করে।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৩]

৩৪৬২. আবদুল্লাহ ইবনি আবু বাকর [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত হিশাম ইবনি উরওয়ার বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৪]

২. অধ্যায়ঃ দুধমা য়ের স্বামীর সাথে হারাম সাব্যস্ত হওয়া

৩৪৬৩. উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশাহ্ [রাদি.] সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

আবুল কুআয়স-এর ভাই আফ্লাহ একবার তাহাঁর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি ছিলেন তাহাঁর দুধচাচা। এ ছিল পর্দার হুকুম অবতীর্ণ হওয়ার পরবর্তী ঘটনা। তিনি বলেন, আমি তাঁকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। অতঃপর যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন আমি যা করেছি সে সম্পর্কে আমি তাঁকে অবহিত করলাম। তখন তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন যে, আমি যেন তাঁকে [দুধচাচাকে] আমার নিকট আসার অনুমতি দিই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৫]

৩৪৬৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমার দুধ চাচা আফ্‌লাহ ইবনি আবুল কুআয়স আমার কাছে এলেন। অতঃপর রাবী পূর্ববর্তী হাদীসের ন্যায় হাদীস বর্ণনা করেন। তবে রাবী তাহাঁর বর্ণনায় অতিরিক্ত বলেছেন, আমি বললাম, আমাকে এক মহিলা দুধ পান করিয়েছেন, কোন পূরুষ তো করাননি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমার দু হাত বা ডান হাত ধূলিমলিন হোক।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৬]

৩৪৬৫. উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আয়িশা [রাদি.] তার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন যে, আবুল কুআয়সের ভাই আফ্লাহ এসে তাহাঁর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। এ ছিল পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হবার পরবর্তী ঘটনা। আবুল কুআয়স ছিলেন আয়িশা [রাদি.]-এর দুধপিতা। আয়িশা [রাদি.] বলেন, আমি বললামঃ আল্লাহর কসম! আমি আফ্লাহ-কে আমার কাছে আসার অনুমতি দিব না যে পর্যন্ত না রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছ থেকে অনুমতি না নিই। কেননা, আবুল কুআয়স সে তো আমাকে দুধ পান করান নি, বরং আমাকে দুগ্ধপান করিয়েছে তার স্ত্রী। আয়িশা [রাদি.] বলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এলেন আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আবুল কুআয়স-এর ভাই আফ্লাহ আমার নিকট প্রবেশের অনুমতি চেয়েছেন, কিন্তু আমি আপনার অনুমতি না নিয়ে তাঁকে আমার কাছে আসতে দিতে অস্বীকার করলাম। রাবী বলেন, আয়িশা [রাদি.] বলেছেন, নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি তাকে অনুমতি দাও।

উরওয়া বলেন, এ কারণেই আয়িশা [রাদি.] বলিতেন, “তোমরা দুধপানের সম্পর্ক দ্বারা ঐ সব লোকদের হারাম গণ্য করিবে যাদের তোমরা বংশগত সম্পর্কের দ্বারা হারাম গণ্য কর।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৭]

৩৪৬৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে বর্ণিত আছে যে, আবুল কুআয়স-এর ভাই আফ্লাহ আয়িশা [রাদি.]-এর কাছে আসার অনুমতি চাইলেন। উপরোক্ত হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী এতে আরো বর্ণিত আছে যে, সে তো তোমার চাচা। তোমার হাত ধূলিমলিন হোক। আর আবুল কুআয়স ছিলেন আয়িশা [রাদি.]-কে যে মহিলা স্তন্যদান করেছিলেন তার স্বামী।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৮]

৩৪৬৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমার দুধচাচা আমার সাথে সাক্ষাত করার জন্য আসলেন এবং আমার কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, কিন্তু রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত আমি অনুমতি দিতে অস্বীকার করলাম। যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন তখন আমি তাঁকে বললাম আমার দুধচাচা আমার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি অনুমতি দিতে অস্বীকার করি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন, তোমার চাচা তোমার নিকট প্রবেশ করিতে পারে। আমি বললাম, আমাকে তো দুধপান করিয়েছে নারী, কোন পুরুষ তো আমাকে দুধপান করায়নি। তিনি বলিলেন, অবশ্যই সে তোমার চাচা। অতএব সে যেন তোমার সাথে সাক্ষাত করিতে পারে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩৯]

৩৪৬৮. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

আবুল কুআয়স-এর ভাই আয়িশার কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন- এরপর উক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৪০]

৩৪৬৯. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে অনুরূপ। অবশ্য তিনি বলেছেন, আয়িশা [রাদি.]-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চেয়েছিলেন আবুল কুআয়স।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪২, ইসলামিক সেন্টার-৩৪৪১]

৩৪৭০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা আমার দুধচাচা আবুল জাদ আমার নিকট প্রবেশ করার জন্য অনুমতি চাইলেন। আমি তাকে ফিরিয়ে দিলাম। [রাবী] ইবনি জুরায়জ বলেন, আমাকে হিশাম বলেছেন, ঐ ব্যক্তি তো আবুল কুআয়স। যখন নবী [সাঃআঃ] এলেন তখন আয়িশা [রাদি.] তাঁকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলিলেন, কেন তুমি তাকে অনুমতি প্রদান করলে না? ধূলায় ধূসরিত হোক তোমার ডান হাত অথবা তিনি বলেছেন, ধূসরিত হোক তোমার হাত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৪৪২]

৩৪৭১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বর্ণনা করেন যে, আফ্‌লাহ নামক তাহাঁর দুধচাচা তাহাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য অনুমতি চাইলেন। তিনি তাঁকে নিষেধ করে দেন। অতঃপর তিনি এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে অবহিত করিলেন। তিনি তাঁকে বলিলেন, তুমি তাহাঁর থেকে পর্দা করিবে না। কেননা দুধ পানের সম্পর্ক দ্বারা ঐসব লোক হারাম হয়ে যায় যারা রক্ত সম্পর্ক দ্বারা হারাম হয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৪, ই.স. ৩৪৪৩]

৩৪৭২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আফ্‌লাহ ইবনি কুআয়স আমার সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চাইলেন। আমি তাকে অনুমিত প্রদানে অস্বীকার করলাম। অতঃপর তিনি লোক পাঠিয়ে আমাকে জানালেন যে, আমি তোমার চাচা। আমার ভাইয়ের স্ত্রী তোমাকে দুধপান করিয়েছেন। এরপরও আমি তাকে অনুমতি দিতে অস্বীকার করি। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন এবং আমি তাহাঁর কাছে এ বিষয়ে উল্লেখ করি। তিনি বলিলেন, সে তোমার নিকট আসতে পারে। কেননা, সে তোমার চাচা।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৪৪]

৩. অধ্যায়ঃ দুধ ভাই য়ের কন্যা হারাম প্রসঙ্গে

৩৪৭৩. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার আপনি কুরায়শী মহিলাদের প্রতি আগ্রহী আর আমাদের প্রতি অমনোযোগী? তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে নাকি? আমি বললাম, হাঁ, হাম্‌যার কন্যা। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সে আমার জন্য হালাল নয়। কেননা, সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৪৫]

৩৪৭৪. উসমান ইবনি শায়বাহ্, ইসহাক্ব ইবনি ইব্রাহীম, ইবনি নুমায়র, মুহাম্মাদ ইবনি আবু বাকর মুক্বদ্দামী [রাহিমাহুলুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

সবাই আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্রে উপরোক্ত সানাদে বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৪৪৬]

৩৪৭৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে হামযার কন্যার বিবাহের প্রস্তাব দেয়া হয়। তিনি বলেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। কেননা সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। আর দুধপান দ্বারা ঐসব লোক হারাম হয়ে যায় যারা রক্ত সম্পর্কের দ্বারা হারাম হয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৪৭]

৩৪৭৬. সাঈদ ইবনি আরূবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সুত্রে সকলে ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উক্ত হাম্মাদের সানাদে হাদীস বর্ননা করেন। তবে শুবার হাদীসে দুধ ভাইয়ের মেয়ে পর্যন্ত এবং সাঈদের হাদীসে এ-ও আছে, দুধ সম্পর্কে তারা হারাম হয়ে যায় যারা রক্ত সম্পর্কে হারাম হয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৪৮]

৩৪৭৭. নবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে বলা হল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি হামযার কন্যার সাথে বিবাহ সম্পর্ক স্থাপন থেকে দূরে কেন অথবা বলা হল আপনি কি হামযাহ্‌ ইবনি আবদুল মুত্ত্বালিবের কন্যাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন না? তিনি বলিলেন, হামযাহ্‌ হল আমার দুধ ভাই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৪৯]

৪. অধ্যায়ঃ স্ত্রীর কন্যা ও বোন হারাম প্রসঙ্গে

৩৪৭৮. উম্মু হাবীবাহ বিন্‌তু আবু সুফ্‌ইয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার ঘরে আসলেন। আমি তাঁকে বললাম, আপনার কি আমার বোন বিন্‌ত আবু সুফ্‌ইয়ানের প্রতি আগ্রহ আছে? তিনি বলিলেন, আমি কী করব? আমি বললাম, আপনি তাকে বিবাহ করবেন। তিনি বলিলেন, তুমি কি তা পছন্দ কর? আমি বললাম, আমি তো একাই আপনাকে চাচ্ছি না। আপনার সান্নিধ্য কল্যান লাভে আমার সঙ্গে যারা শরীক হয়েছে তাঁদের সাথে আমার বোনও থাকুক, আমি তাই বেশি পছন্দ করি। তিনি বলিলেন, সে আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমি এ মর্মে অবহিত হয়েছি যে, আপনি আবু সালামার কন্যা দুররাহ্‌-কে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলিলেন, উম্মু সালামার কন্যা? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলিলেন, যদি সে আমার কোলে প্রতিপালিত নাও হতো তাহলেও সে আমার জন্য হালাল হত না। যেহেতু সে হলো আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। আমাকে এবং তার পিতা আবু সালামাকে সুওয়ায়বা দুধপান করিয়েছিলেন। অতএব তোমরা আমার সাথে তোমাদের কন্যা ও ভগ্নিদের বিবাহের প্রস্তাব পেশ করিবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫০]

৩৪৭৯. হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণিত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫১]

৩৪৮০. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী উম্মু হাবীবাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার বোন আয্‌যাহ্‌-কে বিবাহ করুন। তিনি বলিলেন, তুমি কি তা পছন্দ কর? তিনি বলিলেন, হাঁ ইয়া রসূলুল্লাহ। আমি তো আপনাকে একাকী চাচ্ছি না। আর কল্যানে যে আমার শরীক হইবে, সে আমার বোন হওয়াই বেশি পছন্দ করি। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তাকে তো বিবাহ করার আমার জন্য হালাল নয়। তিনি বলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে যে, আপনি আবু সালামার কন্যা দুর্‌রাহ্‌-কে বিবাহ করার ইচ্ছা রাখেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন- আবু সালামার কন্যা? তিনি উত্তরে করলে, হাঁ। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, যদি সে আমার অভিভাবকত্বে প্রতিপালিতা নাও হতো তবু সে এ কারণে আমার জন্য হালাল হতো না যে, সে আমার দুধ ভাইয়ের কন্যা। আমাকে ও তার পিতা আবু সালামাকে সুওয়ায়বাহ্‌ দুধপান করিয়েছেন। তাই তোমরা আমার কাছে তোমাদের কন্যা ও ভগ্নিদের বিবাহের প্রস্তাব পেশ করো না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫২]

৩৪৮১. আবদুল মালিক ইবনি শুআয়ব ইবনিল লায়স এবং আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি আবু হাবীব-এর সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু ইয়াযীদ ইবনি হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ব্যতিত তারা কেউ নিজে হাদীসে আয্যার নাম উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫৩]

৫. অধ্যায়ঃ কোন মহিলার দুধ এক বা দু চুমুক খাওয়া প্রসঙ্গে

৩৪৮২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সুওয়ায়দ ও যুহায়রের বর্ণনায় নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, দুএক চুমুকে হারাম করে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫৪]

৩৪৮৩. উম্মুল ফায্‌ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক বেদুঈন নবী [সাঃআঃ]–এর কাছে এলো। সে বলিল, হে আল্লাহর নবী, আমার এক স্ত্রী ছিল। তার উপর আর একটি বিবাহ করলাম। এমতাবস্থায় প্রথমা স্ত্রী বলছে যে, সে আমার নবাগতা স্ত্রীকে এক চুমুক বা দুচুমুক দুধ পান করিয়েছে। নবী [সাঃআঃ] বলিলেন, এক চুমুক বা দুচুমুক হারাম করে না। আম্‌র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি হারিস ইবনি নাওফাল-এর বর্ণনায় অনুরূপ আছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৬, ই.স. ৩৪৫৫]

৩৪৮৪. উম্মুল ফায্‌ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বানী আমির ইবনি সাসাআহ্‌-এর এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করিল, হে আল্লাহর নবী। একবার মাত্র দুধপানে কি [বিবাহ] হারাম সাব্যস্ত করে? তিনি বলিলেন, না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫৬]

৩৪৮৫. উম্মুল ফায্‌ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একবার দুবার দুধপান অথবা এক চুমুক, দুচুমুক হারাম সাব্যস্ত করে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫৭]

৩৪৮৬. ইবনি আবু আরূবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে অনুরূপ বর্ণিত। ইসহাক্ব ইবনি বিশর-এর রিওয়ায়াতে বলেন, দুবার দুধপান অথবা দুচুমুক। ইবনি শায়বাহ্ বলেন, দুবার দুধপান অথবা দুচুমুক।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫৮]

৩৪৮৭. উম্মুল ফায্‌ল [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার কিংবা দুবার চুমুকে হারাম করে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৫৯]

৩৪৮৮. উম্মুল ফায্‌ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করিল, এক চুমুক দুধপান কি হারাম করে? তিনি বলিলেন, না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬১, ইসলামিক সেন্টার-৩৪৬০]

৬. অধ্যায়ঃ কোন মহিলার দুধ পাঁচ চুমুক খাওয়াতে হারাম সাব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে

৩৪৮৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, কুরআনে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছিল [আরবী] “দশবার দুধপানে হারাম সাব্যস্ত হয়”। অতঃপর তা রহিত হয়ে যায় [আরবী]-এর দ্বারা “পাঁচবার পান দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়।” অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করেন অথচ ঐ আয়াতটি কুরআনের আয়াত হিসেবে তিলাওয়াত করা হত।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬১]

৩৪৯০. আমরাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আয়িশা [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, যখন তিনি দুধপানের ঐ পরিমান সম্পর্কে আলোচনা করিলেন যার দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। আমরাহ্‌ বলিলেন যে, আয়িশা [রাদি.] বলেছিলেন, আল-কুরআনে নাযিল হয় [আর-বী] “নির্ধারিত দশবার দুধপানে।” অতঃপর নাযিল হয় [আরবী] “নির্ধারিত পাঁচবার দুধপানে।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬২]

৩৪৯১. আমরাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

আয়িশা [রাদি.]-কে অনুরূপ বলিতে শুনেছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৩]

৭. অধ্যায়ঃ বয়স্কদের দুধপান করানো

৩৪৯২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সুহায়ল-এর কন্যা সাহ্‌লাল্‌ নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট হাযির হয়ে বলিল, হে আল্লাহর রসূল, আমার সাথে সালিমের দেখা সাক্ষাৎ করার কারণে আমি আবু হুযায়ফার মুখমন্ডলে অসন্তুষ্টির আলামত দেখিতে পাচ্ছি অথচ সালিম হল তাহাঁর হালীফ [পোষ্য পুত্র]। নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও। তিনি বলেন, আমি কেমন করে তাকে দুধপান করাব, অথচ সে একজন বয়স্ক পুরুষ। এতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুচকি হাসি দিলেন এবং বলিলেন, আমি জানি যে, সে একজন বয়স্ক পুরুষ।

আম্‌র [রাবী] তাহাঁর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন, সালিম বদর যুদ্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর ইবনি আবু উমারের বর্ণনায় রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হেসে দিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৪]

৩৪৯৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুযায়ফার মুক্তদাস সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবু হুযাইফাহ্‌ ও তাহাঁর পরিবারের সাথে একই ঘরে বসবাস করত। একদা সুহায়লের কন্যা [হুযায়ফার স্ত্রী] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, সালিম বয়স্ক পুরুষের স্তরে পৌছে গেছে, সে বুঝে লোকে যা বুঝতে পারে অথচ সে আমাদের নিকট প্রবেশ করে থাকে। আমি ধারণা করি এ কারণে আবু হুযায়ফার মনে অভিযোগের ভাব সৃষ্টি হয়েছে। নবী [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, তুমি তাঁকে দুধপান করিয়ে দাও, তুমি তাহাঁর জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবু হুযায়ফার মনের অভিযোগ দূরীভূত হইবে। অতঃপর তিনি তাহাঁর [আবু হুযায়াফার] নিকট ফিরে এসে বলিলেন, আমি তাকে [সালিমকে] দুধপান করিয়েছি। তাতে আবু হুযায়ফার মনের অসন্তোষ দূর হয়ে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৫]

৩৪৯৪. আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

সুহায়ল ইবনি আম্‌র-এর কন্যা সাহ্‌লাহ্‌ নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! সালিম আবু হুযায়ফার মুক্তদাস আমাদের সাথে একই ঘরে থাকে, অথচ সে বয়স্ক ও জ্ঞান সম্পন্ন পুরুষের স্তরে পৌছে গেছে। তিনি বলিলেন, তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও, তাতে তুমি তার প্রতি হারাম হয়ে যাবে। রাবী [ইবনি আবু মুলায়কাহ্‌] বলেন, অতঃপর আমি এক বছর বা প্রায় এক বছর কাল ভয়ে উক্ত হাদীস বর্ণনা করিনি। অতঃপর কাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, আপনি আমার নিকট এতদিন এমনি এক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন যা আমি অদ্যাবধি কারোর নিকট বর্ণনা করিনি। তিনি বলিলেন, তা কোন হাদীস? তখন আমি তাকে ঐ হাদীসখানার বিষয়ে অবহিত করলাম। তখন তিনি বলিলেন, তুমি তা আমা হইতে এ সুত্রে বর্ণনা কর যে, আয়িশা [রাদি.] আমাকে সে সম্পর্কে অবহিত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৬]

৩৪৯৫. যায়নাব বিনতু উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আয়িশা [রাদি.]-কে বলিলেন, তোমার নিকট বালিগ হওয়ার নিকটবর্তী ছেলে প্রবেশ করে থাকে, কিন্তু আমার নিকট ঐ ধরনের ছেলের প্রবেশ করাকে পছন্দ করি না। রাবী বলেন, আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, তোমার জন্য কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মধ্যে সুন্দর আদর্শ বিদ্যমান নেই? তিনি আরো বলিলেন, একদা আবু হুযায়ফার স্ত্রী আরয করিল, হে আল্লাহর রসূল! সালিম আমার নিকট প্রবেশ করে থাকে, অথচ সে একজন বয়স্ক পুরুষ এবং এজন্য আবু হুযায়ফার অন্তরে কিছুটা অসন্তোষ ভাব বিদ্যমান। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি তাকে তোমার দুধপান করিয়ে দাও যাতে সে তোমার নিকট প্রবেশ করিতে পারে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৭]

৩৪৯৬. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিনী উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন আয়িশা [রাদি.]-কে বলিলেন, আল্লাহর কসম আমি পছন্দ করি না যে, যে ছেলে দুধপানের সম্পর্ক থেকে মুক্ত আমাকে দেখুক। তিনি বলিলেন, কেন? একদা সুহায়ল-এর কন্যা সাহ্‌লাহ্ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর কসম আমার নিকট সালিমের প্রবেশ করার কারণে আমি আবু হুযায়ফার মুখমন্ডলে অসন্তোষের লক্ষণ দেখিতে পাচ্ছি। আয়িশা [রাদি.] বলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও, তাতে আবু হুযায়ফার মুখমন্ডলের মলিনতা দূর হয়ে যাবে।

সাহ্‌লার বর্ণনা, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি যে, তারপরে আমি আবু হুযায়ফার চেহারায় মলিনতা আর দেখিতে পাইনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৮]

৩৪৯৭. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সকল সহধর্মিনী দুধপান সম্পর্কের দ্বারা কাউকে তাদের নিকট প্রবেশ করিতে নিষেধ করেন এবং তারা আয়িশা [রাদি.]-কে বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এটাকে [প্রাপ্ত বয়সে দুধপান দ্বারা হুরমত সাব্যস্ত হওয়াকে] একটি বিশেষ অনুমতি মনে করি যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কেবল সালিমের জন্য দিয়েছিলেন। অতএব এ ধরনের দুধপানের মাধ্যমে কেউ আমাদের নিকট প্রবেশ করিতে পারবে না এবং আমাদের প্রতি দৃষ্টিপাতও করিতে পারবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৬৯]

৮. অধ্যায়ঃ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দুধপান করাতেই দুধভাই সাব্যস্ত হয়

৩৪৯৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার নিকট এলেন তখন আমার নিকট একজন পুরুষ উপবিষ্ট ছিলেন। তাতে তাহাঁর মন অতিভারাক্রান্ত হয় এবং আমি তার চেহারায় ক্রোধের আলামত দেখিতে পেলাম। তিনি বলেন, আমি তখন বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! এ ব্যক্তি আমার দুধভাই। তিনি বলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ কারা তোমাদের দুধ ভাই, তা তোমরা ভাল করে দেখে নিও। কেননা রযাআহ্ সাবিত হয় যখন দুধপানের দ্বারা সন্তানের ক্ষুধা নিবারিত হয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭০]

৩৪৯৯. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না, ইবনি বাশ্শার, উবায়দুল্লাহ ইবনি মুআয, আবু বাকর ইবনি আবু শায়বাহ্, যুহায়র ইবনি হারব ও আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহিমাহুমুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

সকলেই আশআস ইবনি শাসা আবুল আহওয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী বর্ণনা করেন। তবে তাঁরা বলেন, “ক্ষুধার কারণ”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭২, ই.সা. ৩৪৭১]

৯. অধ্যায়ঃ ইসতিবরার {৫২} পর যুদ্ধ বন্দিনীর সাথে সঙ্গম করা জায়িয এবং তার স্বামী বর্তমান থাকলে সে বিবাহ বাতিল

{৫২} গর্ভবতী হলে প্রসব, অন্যথায় এক ঋতু অতিবাহিত হওয়াকে ইসতিব্‌রার বলে

৩৫০০. আবু সাঈদ খুদ্‌রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হুনায়ন-এর যুদ্ধের সময় একটি দল আওত্বাস-এর দিকে পাঠান। তারা শত্রু দলের মুখোমুখী হয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে এবং তাদের অনেক কয়েদী তাদের হস্তগত হয়। এদের মধ্যে থেকে দাসীদের সাথে যৌন সঙ্গম করা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কয়েকজন সাহাবা যেন নাজায়িয মনে করিলেন, তাদের মুশরিক স্বামী বর্তমান থাকার কারণে। আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন “এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ” অর্থাৎ তারা তোমাদের জন্য হালাল, যখন তারা তাদের ইদ্দাত পূর্ণ করে নিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭২]

৩৫০১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] হুনায়ন যুদ্ধের সময় একটি ছোট সেনাদল পাঠান- পরবর্তী অংশ ইয়াযীদ ইবনি যুরায় এর হাদীসের মর্মানুসারে। তবে এতে রয়েছে- তাদের [সধবাদের] মধ্য থেকে যারা তোমাদের অধিকারভুক্ত তারা তোমাদের জন্য হালাল। এ বর্ণায় “যখন তারা তাদের ইদ্দাত পূর্ণ করে নিবে”-অংশটুকু উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭৩]

৩৫০২. ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণিত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭৪]

৩৫০৩. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আওত্বাস-এর যুদ্ধে কিছু কয়েদী সাহাবীগনের হস্তগত হয়, যাদের স্বামী ছিল। তারা [তাদের সাথে সঙ্গম করিতে] ভয় পেলেন। তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়- “এবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৬, ই.সা. ৩৪৭৫]

৩৫০৪. ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে উক্ত সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণিত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭৬]

১০. অধ্যায়ঃ সন্তান বিছানার অধিপতির এবং সন্দেহ পরিহার

৩৫০৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস এবং আব্‌দ ইবনি যামআহ্‌ উভয়ে একটি সন্তানের ব্যপারে ঝগড়া করেন। সাদ বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! এ সন্তান উতবাহ্‌ ইবনি আবু ওয়াক্কাস, আমার ভাইয়ের ছেলে। তিনি আমাকে ওয়াসিইয়্যাত করিয়াছেন যে, এ সন্তান তারই পুত্র। আপনি তার সাদৃশ্যের প্রতি লক্ষ্য করুন। আর আব্‌দ ইবনি যামআহ্‌ বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! এ সন্তান আমার ভাই। আমার পিতার ঔরসে দাসীর গর্ভে জন্মলাভ করেছে। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সন্তানটির গঠনাকৃতির দিকে লক্ষ্য করিলেন। দেখিতে পেলেন উত্‌বার সাথে স্পষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। তখন তিনি বলিলেন, হে আব্‌দ [ইবনি যামআহ্‌] সন্তান তো বিছানার অধিপতির আর ব্যভিচারীর জন্যে রয়েছে পাথর [এর শাস্তি]। হে সাওদা বিন্‌ত যামআহ্‌ তুমি এর থেকে পর্দা করিবে।

আয়িশা [রাদি.] বলেন, অতঃপর সে কখনো সাওদাহ্‌ [রাদি.]-কে দেখেনি। মুহাম্মাদ ইবনি রুমহ্‌ “ইয়া আব্‌দু” শব্দটি উল্লেখ করেনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭৭]

৩৫০৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে উভয়ে তাদের হাদীসে শুধু [আরবী] সন্তান তো বিছানার অধিপতির কথাটুকু বর্ণনা করিয়াছেন এবং [আরবী] ব্যভিচারীর জন্য পাথর অংশের উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭৮]

৩৫০৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বিছানা যার সন্তান তার, আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর [এর শাস্তি]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৭৯]

৩৫০৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

সাইদ ও আবু সালামাহ্ অথবা তাদের একজন সূত্রে আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] ত্থেকে, আমর থেকে মামার সূত্রে [সাঃআঃ] হইতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮০]

১১. অধ্যায়ঃ ক্বায়িফ কর্তৃক পিতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক নিরূপণ

৩৫০৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এমনি আনন্দে আমার নিকট প্রবেশ করিলেন যে, তাহাঁর চেহারার রেখাগুলো চমকাচ্ছিল। তিনি বলিলেন, হে আয়েশাহ! তুমি কি জান না যে, সবে মাত্র মুজায্‌যিয যায়দ ইবনি হারিসাহ্‌ এবং উসামাহ্‌ ইবনি যায়দ-এর দিকে দৃষ্টিপাত করে বলে গেল যে, এদের উভয়ের পাগুলো পরস্পরের অঙ্গ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮১]

৩৫১০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার ঘরে প্রবেশ করিলেন, খুব প্রফুল্ল চিত্তে। তিনি বললেনঃ হে আয়েশাহ! তুমি কি জান না যে, এ মুজায্‌যির-ই মুদলিজী আমার কাছে প্রবেশ করে উসামাহ্‌ এবং যায়দকে দেখিতে পেল। তারা ঢাকা ছিল এবং তাদের মাথাও আবৃত ছিল ও পা বেরিয়ে ছিল। তখন সে বলিল, এ পাগুলো পরস্পর পরস্পর থেকে অভিন্ন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮২]

৩৫১১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ক্বায়িফ এলো এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উসামাহ্‌ ইবনি যায়দ ও যায়দ ইবনি হারিসাহ্‌ তখন ঘুমন্ত ছিলেন। ক্বায়িফ তাদের দেখে বলিলেন, এদের উভয়ের পা-গুলো পরস্পর পরস্পর থেকে অভিন্ন। এ মন্তব্যে নবী [সাঃআঃ] খুশী হলেন এবং আয়িশা [রাদি.]-কে অবহিত করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮৩]

৩৫১২. হারমালাহ্ ইবনি ইয়াহ্ইয়া ও আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহিমাহুমুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

সকলেই যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্রে তাদের সানাদে হাদীসের মর্মানুযায়ী বর্ণনা করেন। তবে ইউনুস বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত আছে, তিনি ছিলেন একজন ক্বায়িফ।

[ই.ফা.৩৪৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮৪]

১২. অধ্যায়ঃ বাসর ঘর উদ্যাপনের পর স্ত্রী বাকিরা বা সায়্যিবা হলে স্বামীর সাথে থাকার ব্যাপারে কী পরিমাণ সময় লাভের অধিকারিণী

৩৫১৩. উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সালামাকে বিবাহ করেন, তখন তিনি তাহাঁর কাছে তিনদিন অবস্থান করেন এবং তিনি বলেন, তোমার ব্যাপারে তোমার গৃহকর্তার কাছে কোন প্রকার অবজ্ঞা নেই। তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমার কাছে সাতদিন থাকবো। যদি আমি তোমার কাছে সাতদিন থাকি তবে আমার অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গেও সাতদিন করে থাকব।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮৬, ই.সে ৩৪৮৫]

৩৫১৪. আবু বাক্‌র ইবনি আবদূর রহমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন উম্মুহ সালামহ্‌ [রাদি.]-কে বিয়ে করিলেন এবং তিনি [উম্মু সালামাহ্‌] [রাত যাপনের পরে] নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট থাকা অবস্থায় যখন সকাল হল তখন নাবি [সাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন, তোমার প্রতি তোমার স্বামীর কোন অনাদর অনাগ্রহ নেই। তুমি চাইলে তোমার কাছে সাতদিন [একাধারে] অবস্থান করব এবং তুমি চাইলে তিনদিন করব, এরপর [পালা করে] পরিক্রমা করব। উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.] বলিলেন, তিনদিন অবস্থান করুন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮৬]

৩৫১৫. আবু বাক্‌র ইবনি আবদুর রহমান [রা:] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.]-কে বিয়ে করিলেন এবং তাহাঁর সঙ্গে বাসর যাপনের পর বের হয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করিলেন, তখন উম্মু সালামাহ্‌ তার কাপড় টেনে ধরলেন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি চাইলে তোমার এখানে [অবস্থানের মেয়াদ] বাড়িয়ে দিব এবং তোমার নামে তা হিসাবে ধরব। [নিয়ম হল নব বিবাহিতা] কুমারীর জন্য সাতদিন ও বিধবার জন্য তিনদিন [প্রাথমিক অধিকার]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮৭]

৩৫১৬. আবদুর রহমান ইবনি হুমায়দ [রহ:] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮৮]

৩৫১৭. আবু বাক্‌র ইবনি আবদুর রহমান ইবনিল হারিস ইবনি হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি উল্লেখ করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বিয়ে করিলেন এবং তিনি কতিপয় বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন যার মাঝে এ কথাটিও রয়েছে যে, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তুমি যদি চাও তবে আমি তোমাকে সাতদিন সময় দিব এবং আমার অন্য স্ত্রীদেরও সাতদিন করে সময় দিব। তোমাকে সাতদিন সময় দিলে আমার অন্য স্ত্রীদেরও সাতদিন করে সময় দিতে হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৮৯]

৩৫১৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বিধবা [স্ত্রী ঘরে থাকা অবস্থায়] কুমারীকে বিয়ে করলে তার কাছে [প্রথমবারে লাগাতার] সাতদিন অবস্থান করিবে এবং কুমারী স্ত্রী থাকা অবস্থায় বিধবাকে বিয়ে করলে তার কাছে তিনদিন অবস্থান করিবে। [মধ্যবর্তী রাবী] খালিদ [রাদি.] বলেন, যদি আমি বলি যে, তিনি [ঊর্ধ্বতন রাবী আনাস] হাদীসটির সানাদ নবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত উন্নীত করে মারফূ করিয়াছেন তবে আমি তা সত্য বলেই জানব। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, সুন্নাত সম্মত করিয়াছেন তবে আমি তা সত্য বলেই জানব। বরং তিনি বলেছিলেন, [নতুন সহধর্মিণীর নিকট] অবস্থান করা সুন্নাতসম্মত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯০]

৩৫১৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সুন্নাত পদ্ধতি হল [নব বিবাহিতা] কুমারীর নিকট সাতদিন অবস্থান করা। খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি চাইলে বলিতে পারি যে, তিনি {আনাস [রাদি.]} হাদীসটি নবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত মারফু সানাদে উন্নীত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯১]

১৩. অধ্যায়ঃ রাত যাপনে স্ত্রীদের মাঝে পালাবন্টন এবং প্রত্যেকের কাছে এক রাত পরের দিবাভাগ সহ অবস্থান করা সুন্নাত

৩৫২০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, শেষ পর্যায়ে নবী [সাঃআঃ]-এর নয়জন সহধর্মিণী ছিলেন। নবী [সাঃআঃ] তাদের মাঝে পালাবন্টন কালে নয় দিনের আগে [পালার] প্রথম স্ত্রীর কাছে পুনরায় পৌছাতেন না। প্রতি রাতে নবী [সাঃআঃ] যে ঘরে অবস্থান করিতেন সেখানে তারা [নবী পত্নীগণ] সমবেত হইতেন। একরাতে তিনি যখন আয়িশা [রাদি.]-এর ঘরে ছিলেন তখন যায়নাব [রাদি.] সেখানে আগমন করলে নবী [সাঃআঃ] তার দিকে নিজের হাত প্রসারিত করিলেন। আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, ও তো যায়নাব! ফলে নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর হাত গুটিয়ে নিলেন। তখন তারা দুজন [আয়েশাহ ও যায়নাব] কথা কাটাকাটি করিতে লাগলেন। এমনকি তাদের কথা কাটাকাটিতে পরিণত হলো, ইতিমধ্যে নামাজের ইক্বামাত [এর সময় উপস্থিত] হলে আবু বকর [রাদি.] সেখান দিয়ে [সলাতে] যাচ্ছিলেন। তিনি ঐ দুজনের আওয়াজ শুনতে পেয়ে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি বের হয়ে আসুন এবং ওদের মুখে ধূলা-মাটি ছুঁড়ে [দিয়ে মুখ বন্ধ করে] দিন। তখন নবী [সাঃআঃ] বের হয়ে এলেন। আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, এখন নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর নামাজ আদায় করবেন, তার পরে তো আবু বকর [রাদি.] এসে আমাকে বকাঝকা ও গালমন্দ করবেন, পরে [তা-ই হল]। নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর নামাজ সমাধা করলে আবু বকর [রাদি.] আয়িশা [রাদি.]-এর নিকটে এসে তাকে কড়া কথা বলিলেন এবং বলিলেন, তুমি এমনটা করে থাক!

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯২]

১৪. অধ্যায়ঃ সতীন কে নিজের পালা হিবা করা বৈধ

৩৫২১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সাওদাহ্‌ বিনত যাম্‌আহ্‌ [রাদি.]-এর চেয়ে অধিক পছন্দনীয়া কোন নারীকে আমি দেখিনি যার দেহের মধ্যে আমি আমার অবস্থান পছন্দ করব- এমন এক নারী যার মাঝে ছিল [ব্যক্তিত্ব সুলভ] তেজস্বিতা। আয়িশা [রাদি.] বলেন, বৃদ্ধা হয়ে গেলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট তাহাঁর প্রাপ্য [পালার] দিনটি আয়িশা [রাদি.]-কে হিবা করে দিলেন। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার কাছে আমার পালার দিনটি আয়িশার জন্য দিয়ে দিলাম। ফলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য দুদিন পালা বন্টন করিতেন, তার নিজের [এক] দিন এবং সাওদাহ [রাদি.]-এর [এক] দিন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৩]

৩৫২২. আবু বাকর ইবনি আবু শায়বাহ্, আমর আন্ নাক্বিদ ও মুজাহিদ ইবনি মূসা [রহিমাহুমুল্লাহ] সকলে হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

পূর্বোক্ত সানাদে রিওয়ায়াত করেন যে, সাওদাহ্ [রাদি.] যখন বৃদ্ধা হয়ে গেলেন…[পূর্বোক্ত যুহায়র সানাদের ঊর্ধ্বতন রাবী] জারীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অনুরূপ। তবে [মুজাহিদ সানাদের ঊর্ধ্বতন রাবী] শাক্বীক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার হাদীসে অধিক বলেছেন যে, সাওদাহ্ [রাদি.] বলেছেন, সে {আয়িশা [রাদি.]} ছিল প্রথম নারী [কুমারী] যাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার পরে বিয়ে করেছিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৪]

৩৫২৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যে নারীরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর [স্ত্রী হওয়ার জন্য] আত্মানিবেদিতা হত আমি তাদের নির্লজ্জতায় বিস্ময় প্রকাশ করতাম এবং বলতাম, কোন নারী কি [এভাবে নির্লজ্জ হয়ে] আত্মনিবেদন করিতে পারে? পরে যখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করিলেন- “তুমি তাদের [স্ত্রীগণের মধ্যে] যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হইতে দূরে সরিয়ে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছে স্থান দিতে পার এবং যাকে তুমি দূরে রেখেছো তাকে [পুনরায়] কামনা করলে তাতে তোমার কোন অপরাধ হইবে না”- [সুরাহ্‌ আল আহ্‌যাব ৩৩:৫১]। আয়িশা [রাদি.] বলেন, আমি তখন বললামঃ আল্লাহর কসম আমি তো দেখছি আপনার প্রতিপালক আপনার মনোবাঞ্ছা পূরণে দ্রুতই সাড়া দিয়ে থাকেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৫]

৩৫২৪. আবু বাক্‌র ইবনি আবু শায়বাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলিতেন, কোন নারী কি কোন পুরুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করিতে লজ্জাবোধ করে না? অবশেষে আল্লাহ নাযিল করিলেন, “তুমি তাঁদের যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট থেকে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা তোমার কাছে স্থান দিতে পার” তখন আমি বললাম, “অবশ্যই আপনার প্রতিপালক আপনার মনোবাঞ্ছা পূরণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৬]

৩৫২৫. আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা সারিফ নামক স্থানে ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর সঙ্গে নবী পত্নী মায়মূনাহ্‌ [রাদি.]-এর জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তখন ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, ইনি নবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী। সুতরাং তোমার যখন তাহাঁর কফিন [লাশ] তুলবে তখন তাকে খুব জোড়ে নাড়া দিবে না এবং কাঁপাবে না; নরম ও আলতোভাবে তাঁকে তুলবে। কেননা, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে নয়জন স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের আটজনের জন্য রাত যাপনের পালা নির্ধারণ করিতেন এবং একজনের জন্য করিতেন না। [মধ্যবর্তী] রাবী আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, যাঁর জন্য পালা নির্ধারণ করিতেন না তিনি হলেন সফিয়্যাহ্‌ বিন্‌ত হুয়াই ইবনি আখত্বাব [রাদি.]।{৫৩}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৭]

{৫৩} উলামাগণ বলেন, রাবী আত্বার এখানে বিস্মৃতি ঘটেছে। সঠিক কথা হলো যে স্ত্রীর কোন পালা ছিল না তিনি হলেন সাওলা [রাদি.]।

৩৫২৬. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

ঐ সানাদে বর্ণিত। এ বর্ণনায় অতিরিক্ত বলা হয়েছে, আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেছেন, তিনি [মায়মূনাহ্] ছিলেন তাঁদের মাঝে সব শেষে মৃত্যুবরণকারিণী, তিনি মাদীনায় মৃত্যবরণ করেন।{৫৪}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৮]

{৫৪} কায্বী বলেন, বাহ্যিক কথা থেকে বুঝা যায় যে, আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর দ্বারা মায়মূনাকে উদ্দেশ্য করিয়াছেন। অথচ হাদীসে আছে তিনি মাক্কার নিকটবর্তী সারিফা নামক স্থানে মৃত্যবরণ করিয়াছেন। আর সর্বসম্মতিক্রমে মায়মূনার মৃত্যু হয়েছে ইক্ত সারিফা নামক স্থানে। সুতরাং মায়মূনাহ্ মাদীনায় মৃত্যুবরণ করিয়াছেন উদ্দেশ্য যথাযথ নয়। বরং সফিয়্যাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উদ্দেশ্য নিলে যথার্য হইবে।

১৫. অধ্যায়ঃ দ্বীনের মানদন্ডে বিবাহের জন্য কন্যা পছন্দ করা মুস্তাহাব

৩৫২৭. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে [সাধারণত] মেয়েদের বিয়ে করা হয়- কন্যার ধন-সম্পদের কারণে, তার বংশীয় আভিজাত্যের কারণে, তার রূপ-গুনের কারণে এবং তার দীনদারীর কারনে। তুমি ধার্মিকাকে পেয়ে ভাগ্যবান হও, [যদি এটা না কর তবে] তোমার দুহাত ধূলিমাখা হোক। {৫৫}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৯]

{৫৫} বিবাহের ক্ষেত্রে দীনদারী গুনকে অগ্রাধীকার দিতে হইবে। কেননা এটা ইহকাল ও পরকালে উভয়জগতে উপকারী। অন্য তিনটি গুণ দুনিয়াতে উপকারী হলেও আখিতারে কোন কাজে আসবেনা। সবকিছুর উপর দীনকে প্রাধান্য দেয়ার আরো কারণ হল মানুষ তার দীনদার সাথীর সাহচর্যে থেকে তার চরিত্র আচার-আচারণ থেকে উপকার পায় ও তার থেকে বারাকাত লাভ করে এবং ক্ষতিকর বিষয় থেকে নিরাপদ থাকে।

বাক্যটিকে দুআ, বিস্ময়, অনুপ্রেরণা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহার করা হয়। এ হাদীসের অনুপ্রেরনণা প্রদানের লক্ষ্যে বলা হয়েছে।

৩৫২৮. আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] আমাকে অবহিত করিয়াছেন যে, তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময়কালে আমি একটি মহিলাকে বিয়ে করলাম। পরে আমি নবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বলিলেন, হে জাবির, তুমি বিয়ে করেছো? আমি বললাম, জি হাঁ। তিনি বলিলেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, বিধবা। তিনি বলিলেন, তবে কুমারী নয় কেন? তুমি তার সঙ্গে সোহাগ-স্ফূর্তি করিতে পারতে। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল, আমার কয়েকটি [অবিবাহিতা] বোন রয়েছে তাই আমার আশংকা হল যে, বধূ [কুমারী হলে সে] আমার ও বোনদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিনা। তিনি [সাঃআঃ] বললেনঃ তবে তা-ই-ঠিক। মহিলাকে বিয়ে করা হয় তার দীনদারীর কারণে, তার সম্পদের কারণে ও তার রূপ-লাবণ্যের কারণে। তুমি ধার্মিকাকে পেয়ে ভাগ্যবান হও, [যদি এটা না কর তবে] তোমার দুহাত ধূলিমাখা হোক।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০০]

১৬. অধ্যায়ঃ কুমারীর পানিগ্রহণ মুস্তাহাব

৩৫২৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি জনৈকা মহিলাকে বিয়ে করলাম। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, তুমি কি বিয়ে করেছো? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলিলেন কোন কুমারীকে না বিধবাকে? আমি বললাম, একটি বিধবাকে। তিনি বলিলেন, তবে কুমারী ও তার আমোদ-স্ফূর্তি হইতে তুমি কতদূরে?

[মধ্যবর্তী] রাবী শুবাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, পরে আমি আম্‌র ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট এ হাদীস উল্লেখ করলে তিনি বলিলেন, আমিও তো জাবির [রাদি.]-এর নিকট তা শুনেছি। তিনি তো বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছিলেনঃ তবে কোন কিশোরী [তরুনী]-কে কেন নয়- যে তোমার সঙ্গে হাসি-তামাসা করত, তুমিও তার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করিতে?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০১]

৩৫৩০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ [রাদি.] মৃত্যু [শাহাদাত] বরণ করিলেন এবং নয়টি [কিংবা তিনি বলেছেন, সাতটি] কন্যা রেখে গেলেন। পরে আমি [জাবির] এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করলাম। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, হে জাবির, তুমি বিয়ে করেছো? আমি বললামঃ হাঁ। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তা কুমারী না বিধবা? আমি বললামঃ বরং বিধবা হে আল্লাহর রসূল। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তবে তা কোন তরুনী [কুমারী] কেন নয় যে, [ইয়াহ্‌ইয়া রিওয়ায়াতে] তুমি তার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করিবে, সেও তোমার সাথে ক্রীড়া-কৌতুক করিবে কিংবা তিনি [সাঃআঃ] বলেছিলেন, তুমি তার সঙ্গে হাস্য-রস করিতে, সেও তোমার সঙ্গে হাস্য-রস করত। জাবির [রাদি.] বলেন, আমি তাকে বললাম, [আমার পিতা] আবদুল্লাহ নয়টি [কিংবা সাতটি] মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন এবং আমি তাদের মাঝে তাদের মতো একজনকে নিয়া আসা অপছন্দ করলাম। তাই আমি এমন একটি মহিলাকে নিয়ে আসা পছন্দ করলাম যে তাদের দেখাশুনা করিবে এবং তাদের শুধরে দিবে ও গড়ে তুলবে। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তবে আল্লাহ তোমাকে বারাকাত দান করুন। তিনি আমাকে [এ ধরনের] কোন উত্তম কথা বলিলেন। আবু রবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে- “তুমি তার সঙ্গে আমোদ-স্ফূর্তি করিবে ও তার সঙ্গে হাস্য-রস করিবে, সেও তোমার সাথে হাস্য রস করিবে।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০২]

৩৫৩১. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ তুমি কি বিবাহ্‌ করেছো, হে জাবির? তিনি হাদীসটির পূর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন-যার শেষে রয়েছে এমন একটি মহিলাকে যে তাদের তত্বাবধান করিবে এবং তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে। নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ “তুমি সঠিক করেছো” …… এর পরের অংশ তিনি [কুতায়বাহ্‌] উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০৩]

৩৫৩২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, কোন এক যুদ্ধে আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা যখন প্রত্যাগমন করিতে লাগলাম তখন আমি আমার একটি ধীরগামী উটে করে দ্রুত চলার চেষ্টা করলাম। আমার পিছন থেকে একজন আরোহী আমার সঙ্গে মিলিত হল এবং সে তার হাতের একটি ছোট্ট বর্শা দিয়ে আমার উটকে খোঁচা দিল। ফলে আমার উটটি তোমার দেখা উটপালের শ্রেষ্ঠ উটের ন্যায় দ্রুতগতিতে চলতে লাগল। আমি তখন পিছনের দিকে তাকালাম- দেখি যে, আমি রয়েছি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পাশে। তিনি বলিলেন, হে জাবির! তোমার এ ব্যস্ততা কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমি ঘরে নতুন স্ত্রী রেখে এসেছি। তিনি বলিলেন, তুমি কি কোন কুমারীকে বিয়ে করেছো না কোন বিধবাকে? জাবির [রাদি.] বলেন, আমি বললামঃ বিধবাকে। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, কোন তরুনী [কুমারী]-কে কেন বিয়ে করলে না- যার সঙ্গে তুমি ক্রীড়া-কৌতুক করিতে এবং সেও তোমার সঙ্গে আমোদ-আহলাদ করত। জাবির [রাদি.] বলিলেন, আমরা যখন মাদীনার সন্নিকটে উপনীত হয়ে সেখানে প্রবেশ করিতে উদ্যত হলাম তখন তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, একটু অবকাশ দাও, রাত পর্যন্ত অর্থাৎ ইশার সময় আমরা প্রবেশ করব- যাতে এলোকেশিনী তার কেশ বিন্যাস করে নিতে পারে এবং স্বামী প্রবাসিনী পরিচ্ছন্নতা অর্জনের প্রস্তুতি নিতে পারে।

জাবির [রাদি.] বলেন, তিনি [সাঃআঃ] আরো বলিলেন, তুমি যখন পৌছে যাবে তখন সঙ্গ সুখ লাভ করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০৪]

৩৫৩৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে একটি যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমার উটটি আমাকে ধীরগামিতার শিকার বানাল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন আমার কাছে এসে আমাকে বলিলেন, হে জাবির, আমি বললাম জ্বী! তিনি বলিলেন, তোমার ব্যাপার কী? আমি বললাম আমার উট আমাকে ধীরগামিতায় ফেলে দিয়েছে এবং পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে আমি পিছনে পড়ে গিয়েছি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নেমে পড়ে তার [বাঁকামাথা] লাঠি দিয়ে উটকে গুতো দিলেন এরপর বলিলেন, আরোহণ কর, আমি তখন আরোহন করলাম। আমি [উটটিকে তার অতি দ্রুতগামিতার কারণে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে অতিক্রম করে যেতে দেখে ঠেকাতে লাগলাম। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি কি বিয়ে করেছো? আমি বললাম, হাঁ। তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম : বিধবা! তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, তবে কোন [কুমারীকে] কেন বিয়ে করলে না, যার সঙ্গে তুমি ক্রিয়া-কৌতুক করিতে, সেও তোমার সঙ্গে আমোদ ফূর্তি করত? আমি বললাম আমার বেশ কটি বোন [অবিবাহিতা] রয়েছে। তাই আমি এমন নারীকে বিয়ে করা পছন্দ করলাম যে তাদের গুছিয়ে রাখবে, তাদের মাথা আঁচড়ে দিবে এবং তাদের দেখাশোনা করিবে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি তো [মাদীনায়] উপনীত হইতে যাচ্ছ; তাই যখন পৌছে যাবে তখন স্ত্রীর সাথে মিলিত হইবে। পরে তিনি বলিলেন, তোমার উটটি বেঁচবে কি? আমি বললাম, জ্বী হাঁ। তিনি তখন আমার নিকট হইতে এক উকিয়্যার [চল্লিশ দিরহাম সমমূল্যের] বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যথাসময়ে মাদীনায় পৌছলেন। আমিও সকালে আগমন করে মাসজিদে [নাবাবীতে] পৌছলাম এবং তাঁকে মাসজিদের দরজায় পেয়ে গেলাম। তিনি বলেন, আমি যখন এলাম তুমি কি তখন এসেছো? আমি বললাম, জ্বী হাঁ। তিনি বলিলেন, তবে তোমার উটটি রেখে দাও এবং [মাসজিদে] প্রবেশ করে দুরাকাআত নামাজ আদায় করে নাও। জাবির বলেন, আমি প্রবেশ করে নামাজ আদায় করলাম। পরে ফিরে এলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এক উকিয়্যাহ্‌ ওজন করে দেয়ার জন্য বিলাল [রাদি.]-কে হুকুম করিলেন। বিলাল [রাদি.] তখন আমাকে ওজন করে দিলেন এবং ওজনে পাল্লা ঝুঁকিয়ে দিলেন। জাবির [রাদি.] বলেন, তখন আমি চলে যেতে লাগলাম। আমি কিছু দূরে চলে গেলে তিনি [সাঃআঃ] বললেনঃ জাবিরকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন আমাকে ডাকা হল। আমি [মনে মনে] বললাম, এখন উটটি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন অথচ আমার কাছে ওর চেয়ে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছু ছিল না। তিনি বলিলেন, “তোমার উট তুমি নিয়ে যাও আর তোমার মূল্য তোমারই রইল”।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০৫]

৩৫৩৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ছিলাম। আমি ছিলাম আমার একটি [পানিবাহী] উটের পিঠে। ওটি ছিল কাফিলার পশ্চাদ্বর্তীদের মাঝে। জাবির [রাদি.] বলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে পিটুনী দিলেন কিংবা [বর্ণনা দ্বিধা] তিনি বলেছেন যে, তাকে খোঁচা দিলেন- আমার [আবু নায্‌র] ধারণা তিনি [জাবির] বলেছেন যে, কোন কিছু দিয়ে যা তার সঙ্গে ছিল। জাবির [রাদি.] বলেন, এরপর সে [উট] কাফিলার লোকদের আগে আগে চলে যেতে লাগল এবং আমাকে [আমার ধরে রাখা লাগামসহ] টেনে নিয়ে যেতে লাগল। এমন কি আমি তাকে ঠেকিয়ে রাখছিলাম। জাবির [রাদি.] বলেন, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-বললেনঃ এত এত-এর বিনিময়ে এটি তুমি আমার কাছে বেঁচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির [রাদি.] বলেন, আমি বললামঃ এটি আপনার জন্য, হে আল্লাহর নবী! তিনি বলিলেন, এত এত-তে সেটি তুমি আমার কাছে বেচবে কি? এবং আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। জাবির [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, এটি আপনার। জাবির [রাদি.] বলেন, নবী [সাঃআঃ] আমাকে আরও বলিলেন, তোমার পিতার [মৃত্যুর] পরে তুমি কি বিয়ে করেছো? আমি বললাম, জ্বি হাঁ। তিনি বলিলেন, বিধবা না কুমারীকে? জাবির [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, বিধবাকে। তিনি বলিলেন, “তবে তুমি কোন কুমারীকে বিয়ে করলে না কেন- যে তোমাকে আমোদ-প্রমোদে রাখত আর তুমি তার সঙ্গে ক্রীড়া স্ফূর্তি করিতে।”

[রাবী] আবু নায্‌রাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ কথাটি [অর্থাৎ আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন!] ছিল একটি বাক্যাংশ যা মুসলিমগণ তাদের কথাবার্তায় [কথার মাত্রা ও বাচনভঙ্গী রূপে] উচ্চারণ করিতেন। তারা বলেতেন এরূপ ও এমন কর…আল্লাহ তোমার মাগফিরাত করুন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৬]

১৭. অধ্যায়ঃ দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ সতী নারী

৩৫৩৫. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুনিয়ার উপভোগের উপকরণ [ভোগ্যপণ্য] এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০৭]

১৮. অধ্যায়ঃ মহিলাদের সদুপদেশ দেয়া

৩৫৩৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নারী পাঁজরের হাড়ের ন্যায় [বাঁকা]। যখন তুমি তাকে সোজা করিতে যাবে তখন তা ভেঙ্গে ফেলবে আর তার মাঝে বক্রতা রেখে দিয়েই তা দিয়ে তুমি উপকার হাসিল করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৫০৮]

৩৫৩৭. ইবনি শিহাব যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০৯]

৩৫৩৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের একটি হাড় দিয়ে। সে কখনো তোমার জন্য কোন নিয়মতান্ত্রিকতায় স্থির থাকিবে না। সুতরাং তুমি যদি তাকে দিয়ে উপকৃত হইতে চাও তবে তার বক্রতা অবশিষ্ট রেখেই তাকে দিয়ে উপকৃত হইতে হইবে। আর তাকে সোজা করিতে গেলে তুমি তাকে ভেঙ্গে ফেলবে- আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা অর্থ হল তাকে ত্বলাক দেয়া।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫১০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫১০]

৩৫৩৯. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যখন কোন বিষয় প্রত্যক্ষ করিবে তখন হয়ত উত্তম কথা বলবে অন্যথায় চুপ থাকিবে। আর নারীদের প্রতি কল্যাণের [ও সদাচরণের] অঙ্গীকার গ্রহণ কর। কেননা পাঁজরের একটি হাড় দিয়ে নারী সৃজিত হয়েছে এবং পাঁজরের সবচেয়ে বেশি বাঁকা হল তার উপরের অংশ। তুমি তাকে সোজা করিতে গেলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে [যথাবস্থায়] ছেড়ে রাখলে তা সদা বাঁকা থেকে যাবে থেকে যাবে। নারীদের কল্যানের নাসীহাত গ্রহণ ও অঙ্গীকারবদ্ধ হও।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫১১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫১১]

৩৫৪০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মুমিন পুরুষ কোন মুমিন নারীর প্রতি বিদ্বেষ-ঘৃনা পোষণ করিবে না; [কেননা] তার কোন চরিত্র অভ্যাসকে অপছন্দ করলে তার অন্য কোন [চরিত্র-অভ্যাস] টি সে পছন্দ করিবে। ….. কিংবা [এধরনের] অন্য কিছু বলেছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫১২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫১২]

৩৫৪১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫১৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৫১৩]

১৯. অধ্যায়ঃ হাওয়া [আঃ]-এর অপরাধ না ঘটলে কোন নারীই স্বামীর খিয়ানাত করত না

৩৫৪২. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, যদি হাও্‌ওয়া [আঃ] না হইতেন তবে যুগ যুগান্তরে কোন নারী তার স্বামীর বিশ্বাস ভঙ্গ করত না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫১৪]

৩৫৪৩. হাম্মদ ইবনি মুনাব্বিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এ হল রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আমাদের কাছে আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর বর্ণিত হাদীস। তিনি অনেক হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন। তার মাঝে অন্যতম ….. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আরো বলেছেনঃ বানূ ইসরাঈলীরা না হলে খাদ্য নষ্ট হত না এবং গোশ্ত বিকৃত দুর্গন্ধযুক্ত হত না এবং হাও্ওয়া [আঃ] না হলে যুগ যুগান্তরে কোন নারী তার স্বামীর বিশ্বাস ভঙ্গ করত না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫১৫]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply