দান খায়রাত এর সাথে অন্যান্য সাওয়াবের কাজও করা ফযীলত
দান খায়রাত এর সাথে অন্যান্য সাওয়াবের কাজও করা ফযীলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২৬. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদ হইতে যে পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করিতে পারবে
২৭. অধ্যায়ঃ দান-খায়রাতের সাথে অন্যান্য সাওয়াবের কাজও করা ফযীলত
২৮. অধ্যায়ঃ খয়রাত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা; দান-খয়রাত করে তা গুনে রাখার কুফল
২৯. অধ্যায়ঃ দান-খয়রাত পরিমাণ যতই কম হোকনা কেন তা সত্ত্বেও উৎসাহ দেয়া-তা অবহেলা করা যাবে না
৩০. অধ্যায়ঃ গোপনে দান-খয়রাত করার ফাযীলাত
৩১. অধ্যায়ঃ সুস্থ ও স্বাবলম্বী এবং সম্পদের প্রতি আকর্ষণ থাকা অবস্থায় দান-খয়রাত করার ফাযীলাত
৩২. অধ্যায়ঃ নীচের হাতের চেয়ে উপরের হাত উত্তম। উপরের হাত অর্থে দানকারী এবং নীচের হাত অর্থে দান গ্রহণকারীকে বুঝানো হয়েছে
২৬. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদ হইতে যে পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করিতে পারবে
২২৫৮. আবু লাহ্ম-এর {আবদুল্লাহ [রাদি.]} আযাদকৃত গোলাম উমায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ছিলাম ক্রীতদাস। তাই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি আমার মালিকের সম্পদ থেকে কিছু দান করিতে পারি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ; আর তোমরা দুজনকেই এর অর্ধেক সাওয়াব পাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ২২৩৮]
২২৫৯. আবু লাহম [রাদি.]-এর মুক্ত গোলাম উমায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার মালিক আমাকে গোশ্ত শুকানোর জন্য নির্দেশ দিলেন। আমার কাছে জৈনক মিসকীন আসলো। আমি তাকে এ থেকে খাওয়ার জন্য দিলাম। এটা টের পেয়ে আমার মালিক আমাকে মারধর করিলেন। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে তাঁকে ব্যাপারটি জানালাম। তিনি তাঁকে ডেকে এনে বলিলেন, তুমি একে মারলে কেন? আমার মালিক বলেন, আমার খাদ্যদ্রব্য আমার অনুমতি ছাড়াই সে দান করে। তিনি বলেন, তোমরা দুজনেই এর সমান সাওয়াব পাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ২২৩৯]
২২৬০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করিলেন। তার একটি এই যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রী যেন [নফল] রোযা না রাখে। তার উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া সে যেন তার ঘরে প্রবেশ করার জন্য অন্য কাউকে অনুমতি না দেয়। তার [স্বামীর] নির্দেশ ছাড়া সে তার উপার্জিত সম্পদ থেকে যা কিছু দান করিবে তাতেও সে [স্বামী] অর্ধেক সাওয়াব পাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪০]
২৭. অধ্যায়ঃ দান খায়রাত এর সাথে অন্যান্য সাওয়াবের কাজও করা ফযীলত
২২৬১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি নিজ সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় জোড়া খরচ করে জান্নাতে তাকে এই বলে ডাকা হইবে যে, ওহে আল্লাহর বান্দা! এখানে আসো, এখানে তোমার জন্য উত্তম ও কল্যাণ রয়েছে। যে ব্যক্তি নামাযী তাকে নামাজের দরজা দিয়ে ডাকা হইবে, যে ব্যক্তি মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা দিয়ে ডাকা হইবে। সাদকাহ দানকারীকে সদাক্বার দরজা দিয়ে ডাকা হইবে এবং রোযাদারকে রোযার দরজা রাইয়্যান দিয়ে ডাকা হইবে। আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! কোন ব্যক্তিকে সবগুলো দরজা দিয়ে ডাকা হইবে কি? অর্থাৎ এমন কোন ব্যক্তি হইবে কি যাকে সবগুলো দরজা দিয়েই ডাকা হইবে? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হ্যাঁ, আর আমি আশা করি তুমিই হইবে তাদের মধ্যে সে ব্যক্তি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪০, ইসলামিক সেন্টার-২২৪১]
২২৬২. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪১, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪২]
২২৬৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জোড়ায় খরচ করিবে জান্নাতের দরজাগুলোর প্রত্যেক কোষাধ্যক্ষ তাকে ডেকে বলবে, হে অমুক ! এখানে আসো, এখানে আসো। আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! যাকে এভাবে সবগুলো দরজা থেকে ডাকা হইবে সে অসুবিধায় পড়ে যাবে না তো? তার কোন প্রকার অনিষ্টের সম্ভাবনা নেই তো? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি নিশ্চিতই আশা করি তুমিই হইবে তাদের সেই ব্যক্তি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪২, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪৩]
২২৬৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আজ তোমাদের মধ্যে কে রোযা রেখেছে? আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, আমি। তিনি বলিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে জানাযার সাথে গেছে? আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, আমি। তিনি বলিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে মিসকীনকে খাবার দিয়েছে? আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, আমি। তিনি বলিলেন, আজ তোমাদের মধ্যে কে রুগ্ন ব্যক্তিকে দেখিতে গেছে? আবু বকর [রাদি.] বলিলেন, আমি। অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যখন কোন ব্যক্তির মধ্যে এসব কাজের সমাবেশ ঘটে, সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৩, ইসলামিক সেন্টার-২২৪৪]
২৮. অধ্যায়ঃ খয়রাত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা; দান-খয়রাত করে তা গুনে রাখার কুফল
২২৬৫. আবু বাক্রের কন্যা আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ খরচ করো তবে কত খরচ করলে তা গুনে রেখো না। তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাকে গুনে গুনে দিবেন। [অর্থাৎ কম দিবেন]
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৪, ইসলামিক সেন্টার-২২৪৫]
২২৬৬. আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ খরচ করো তবে কত খরচ করলে তার হিসাব রেখো না। তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে গুনে গুনে দিবেন। আর জমা করে রেখো না তাহলে আল্লাহ জমা করে রাখবেন। [অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে দিবেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৫, ইসলামিক সেন্টার-২২৪৬]
২২৬৭. আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন …… পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪৭]
২২৬৮. আবু বাক্রের কন্যা আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ] এর কাছে এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! যুবায়র আমাকে যা কিছু দেয়, এছাড়া আমার কাছে আর কোন মালামাল নেই। আমি যদি এ থেকে দান করি তাহলে আমার কি গুনাহ হইবে? তিনি বলিলেন, তুমি তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী দান কর; কিন্তু পুঞ্জিভূত করে রেখো না। যদি জমা করে রাখো তাহলে আল্লাহ্ জমা করে রাখবেন। তোমাকে দিবেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪৮]
২৯. অধ্যায়ঃ দান-খয়রাত পরিমাণ যতই কম হোকনা কেন তা সত্ত্বেও উৎসাহ দেয়া-তা অবহেলা করা যাবে না
২২৬৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেনঃ হে মুসলিম মহিলাগণ! তোমাদের কোন প্রতিবেশী যদি ছাগলের খুরও উপহার দেয় তবুও তা তুচ্ছজ্ঞান করিবে না অর্থাৎ দাতা যেন লজ্জার বশীভূত হয়ে দান থেকে বিরত না থাকে এবং গ্রহীতাও যেন অল্প বলে অবজ্ঞা না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪৯]
৩০. অধ্যায়ঃ গোপনে দান খয়রাত করার ফযিলত
২২৭০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা এমন একদিন [ক্বিয়ামাতের দিন] তাহাঁর [আর্শের] ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তাহাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া অবশিষ্ট থাকিবে না। [১] ন্যায়পরায়ণ ঈমাম [জনগণের নেতা], [২] ঐ যুবক, যে আল্লাহ্ তাআলার ইবাদাতে মশগুল থেকে বড় হয়েছে, [৩] সে ব্যক্তি, যার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে রয়েছে [অর্থাৎ জামাআতের সাথে নামাজ আদায়ে যত্নবান], [৪] সে দুব্যক্তি, যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসে ও পরস্পর মিলিত হয় এবং এ জন্যই [পরস্পর] বিচ্ছিন্ন হয়, [৫] যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত এবং সুন্দরী রমনী [ব্যভিচারের জন্য] আহ্বান জানায় আর তার জবাবে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, [৬] যে ব্যক্তি এতটা গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কী দান করে তা তার বাম হাত টের পায়না এবং [৭] যে ব্যক্তি একাকী বসে আল্লাহকে স্মরণ করে আর তার চোখ দুটো [আল্লাহ্র ভয় বা ভালবাসায়] অশ্রুপাত করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫০]
২২৭১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন …… উবায়দুল্লাহ্র বর্ণিত হাদীসের অনূরূপ। সেখানে এ কথা রয়েছে যে ব্যক্তি মাসজিদ থেকে বের হয়ে পুনরায় এখানে ফিরে না আসা পর্যন্ত তার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫০, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫১]
৩১. অধ্যায়ঃ সুস্থ ও স্বাবলম্বী এবং সম্পদের প্রতি আকর্ষণ থাকা অবস্থায় দান-খয়রাত করার ফযিলত
২২৭২. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! কোন্ ধরনের সাদকাহ বা দান সবচেয়ে উত্তম? তিনি বলিলেন, তুমি এমন অবস্থায় দান করিবে, যখন তুমি সুস্থ-সবল, সম্পদের প্রতি আকর্ষণ প্রদর্শনকারী, দারিদ্র্যকে ভয়কারী ও এবং ঐশ্বর্যের আকাঙ্ক্ষাকারী। আর [সাদকাহ প্রদানে] বিলম্ব করিবে না জীবনের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত বিলম্ব করে প্রাণ কন্ঠনালী পর্যন্ত এসে গেলে তুমি বলবে, এটা অমুকের ওটা অমুকের- এরূপ ঠিক নয়। তখন তো এগুলো অমুকের হয়েই যাচ্ছে। অর্থাৎ তোমার মরার সাথে সাথে উত্তরাধীকারগণ নিয়ে নিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫১, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫২]
২২৭৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করিল, হে আল্লাহ্র রসূল! কোন ধরনের দানে বিরাট সাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়? তিনি বললেনঃ জেনে রাখ, তোমার পিতার শপথ! [আমি অবশ্য তোমাকে জানাচ্ছি] তুমি সুস্থ, সবল, ও অনুরক্ত অবস্থায় দান করিবে যে, তুমি দারিদ্রকে ভয় কর এবং ধনী হওয়ার বাসনা রাখ। আর দানের ব্যাপারে জীবন বায়ু কন্ঠনালী আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করো না যে, তখন বলিতে থাকিবে- অমুকের জন্য এটা, অমুকের জন্য ওটা। বরং তখন তো এসব অমুকের হয়েই যাবে। [অর্থাৎ তোমার আর দান করার প্রয়োজন হইবে না বরং তোমার মৃত্যুর পর এ সব উত্তরাধিকারীগণ নিয়ে নিবে]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫২, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫৩]
২২৭৪. উমারাহ্ ইবনিল ক্বাক্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
জারীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি [আরবী] এর স্থলে [আরবী] বলেছেন। এ সূত্রে বলা হয়েছেঃ কোন্ ধরনের দান-খয়রাত সর্বোত্তম?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫৩{ক} ]
৩২. অধ্যায়ঃ নীচের হাতের চেয়ে উপরের হাত উত্তম। উপরের হাত অর্থে দানকারী এবং নীচের হাত অর্থে দান গ্রহণকারীকে বুঝানো হয়েছে
২২৭৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিম্বারে দাঁড়িয়ে নাসীহাত করিলেন। তিনি বলিলেন, উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম। উপরের হাত হল দানকারী। আর নীচের হাত হলো দান গ্রহণকারী।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫৪]
২২৭৬. হাকীম ইবনি হিযাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ স্বচ্ছলতা বজায় রেখে যে দান করা হয় সেটাই উত্তম দান। উপরের হাত [বা দাতা] নীচের হাতের [বা ভিক্ষাকারীর] চেয়ে উত্তম। আর যাদেরকে লালন পালন করো তাদেরকে দিয়ে অর্থাৎ নিজের নিকটাত্মীয়দের দিয়ে দান-খয়রাত শুরু কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫৫]
২২৭৭. হাকীম ইবনি হিযাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর কাছে আমাকে কিছু দেয়ার জন্য আবেদন করলাম। তিনি আমাকে দিলেন। আমি আবার আবেদন করলাম। তিনি আবারও দিলেন। আমি পুনরায় আবেদন করলে তিনি দিলেন এবং বললেনঃ ““এ সম্পদ টাটকা এবং মিষ্টি।”” সুতরাং যে ব্যক্তি না চেয়ে এবং দাতার স্বত:স্ফূর্ত অনুদান হিসেবে এ মাল লাভ করিল তাকে এর মধ্যে বারাকাত দেয়া হইবে। আর যে ব্যক্তি কাকুতি মিনতি করে নিজেকে হীন ও অপমানিত করে তা লাভ করিল তাকে এ মালের মধ্যে বারাকাত দেয়া হয় না। তার অবস্থানটা ঐ ব্যক্তির মত যে খায় অথচ তুষ্ট হয় না। আর উপরের হাত [বা দাতা] নীচের হাতের [গ্রহণকারীর] চেয়ে উত্তম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫৬]
২২৭৮. আবু উমামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ “হে আদম সন্তান! তোমার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে মালামাল রয়েছে তা খরচ করিতে থাক; এটা তোমার জন্য উত্তম। আর যদি তুমি তা দান না করে কুক্ষিগত করে রাখো তাহলে এটা তোমার জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে। তবে প্রয়োজন পরিমান রাখায় কোন দোষ নেই। এজন্য তোমাকে ভৎসনাও করা হইবে না। যাদের প্রতিপালনের দায়িত্ব তোমার উপর রয়েছে তাদেরকে দিয়েই দান শুরু কর। উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ২২৫৭]
Leave a Reply