দরূদ পড়ার ফজিলত। অন্যের উপর দরূদ পড়া

দরূদ পড়ার ফজিলত। অন্যের উপর দরূদ পড়া

দরূদ পড়ার ফজিলত। অন্যের উপর দরূদ পড়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

দরূদ পড়ার ফজিলত। অন্যের উপর দরূদ পড়া

৮০/৩২. অধ্যায় : নাবী এর উপর সালাত পাঠ করা ।
৮০/৩৩. অধ্যায় : নাবী ব্যতীত অন্য কারো উপর দরূদ পড়া যায় কিনা?
৮০/৩৪. অধ্যায় নাবী এর বাণী : হে আল্লাহ! আমি যাকে কষ্ট দিয়েছি, সে কষ্ট তার চিত্তশুদ্ধির উপায় এবং তার জন্য রহমাতে পরিণত করুন ।

৮০/৩২. অধ্যায় : নাবী এর উপর সালাত পাঠ করা ।

৬৩৫৭. আবদুর রহমান ইবনু আবু লাইলা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

একবার আমার সঙ্গে কাব ইবনু উজরাহ (রাদি.) এর দেখা হলো। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে একটি হাদিয়া দেবো না। তা হলো এইঃ একদিন নাবী আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন, তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনাকে কেমন করে সালাম দেব, আমরা আপনার উপর কীভাবে সালাত (দূরুদ) পাঠ করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে,

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ 

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ কামা সাল্লাইতা আলা আ-লি ইব্রাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা ‘আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ), হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর ও তাহাঁর পরিবারবর্গের উপর রাহমাত নাযিল করুন, যেমন আপনি ইবরাহীম (আঃ) এর পরিবারের উপর রাহমাত বর্ষণ করিয়াছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর ও তাহাঁর পরিবারবর্গের উপর বারাকাত অবতীর্ণ করুন, যেমন আপনি ইবরাহীম (আঃ) এর পরিবারবর্গের উপর বারাকাত অবতীর্ণ করিয়াছেন নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল।

(আঃপ্রঃ- ৫৯১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৪)

৬৩৫৮। আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একবার আমরা বললাম : হে আল্লাহর রাসুল! এই যে আসসালামু আলাইকা তা তো আমরা জেনে নিয়েছি। তবে আপনার উপর সালাম কীভাবে পাঠ করবো? তিনি বলিলেন, তোমরা পড়বে :

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَآلِ إِبْرَاهِيمَ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ, আব্দিকা ও রসুলিকা কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা  ওয়া বারিক আলা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলি মুহাম্মদ কামা বারিকতা আলা ইব্রাহিম ওয়া আলা ইব্রাহিম, হে আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দা ও আপনার রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) এর উপর রাহমাত বর্ষণ করুন। যেমন করে আপনি ইবরাহীম (আঃ) এর উপর রাহমাত অবতীর্ণ করিয়াছেন। আর আপনি মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) ও তাহাঁর পরিবারবর্গের উপর বারাকাত নাযিল করুন, যে রকম আপনি ইবরাহীম (আঃ) -এর উপর এবং ইব্রাহীম (আঃ) -এর পরিবারবর্গের উপর বারাকাত অবতীর্ণ করিয়াছেন।

(আঃপ্রঃ- ৫১২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৫)

৮০/৩৩. অধ্যায় : নাবী ব্যতীত অন্য কারো উপর দরূদ পড়া যায় কিনা?

আল্লাহ তাআলার বাণী : আপনি তাদের জন্য দুআ করুন । নিশ্চয়ই আপনার দুআ তাদের জন্য শান্তিদায়ক । (সুরা আত্ তাওবাহ ৯/১০৩)

৬৩৫৯. সুলাইমান ইবনু হারব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

সুলাইমান ইবনু হারব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে আবু আওফা (রাদি.) বর্ণনা করেন। যখন কেউ নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট তার সদাকাহ নিয়ে আসতেন, তখন তিনি দুআ করিতেন :

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলাইহে, হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রাহমাত নাযিল করুন। আমার পিতা একদিন সদাকাহ নিয়ে তাহাঁর কাছে এলে তিনি দুআ করিলেন :

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِي أَوْفَى‏

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা আলি আবি আওফা, হে আল্লাহ! আপনি আবু আওফার পরিবারবর্গের উপর রাহমাত বর্ষণ করুন।

(আঃপ্রঃ- ৫৯১৩,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৬)

৬৩৬০। আবু হুমায়দ সাঈদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

একবার লোকেরা বলিল : হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনার উপর কীভাবে সালাত পাঠ করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা পড়বে,

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَأَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আযওয়াঝিহি ওয়া জুররিয়্যাতিহি কামা সাল্লাইতা আলা আলি ইবরাহিম; ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদিঁউ ওয়া আযওয়াঝিহি ওয়া জুররিয়্যাতিহি কামা বারাকতা আলা আলি ইবরাহিম; ইন্নাকা হামিদুম মাঝিদ, হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের ও তাহাঁর স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততি উপর রাহমাত অবতীর্ণ করুন। যেমন করে আপনি ইবরাহীম (আঃ) -এর পরিবারবর্গের উপর রাহমাত অবতীর্ণ করিয়াছেন। আর আপনি মুহাম্মাদ, তাহাঁর স্ত্রী এবং তাহাঁর সন্তানদের উপর বারাকাত অবতীর্ণ করুন, যেমনিভাবে আপনি ইবরাহীম (আঃ) -এর পরিবারবর্গের উপর বারাকাত অবতীর্ণ করিয়াছেন। আপনি অতি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল।

(আঃপ্রঃ- ৫৯১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৭)

৮০/৩৪. অধ্যায় নাবী এর বাণী : হে আল্লাহ! আমি যাকে কষ্ট দিয়েছি, সে কষ্ট তার চিত্তশুদ্ধির উপায় এবং তার জন্য রহমাতে পরিণত করুন ।

৬৩৬১. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী কে এ দুআ করিতে শুনেছেন :

اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আল্লাহুম্মা ফাআইয়্যূমা মু’মিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্‘আল যালিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়ামাতি, হে আল্লাহ! যদি আমি কোন মুমিন লোককে খারাপ বলে থাকি, তবে আপনি সেটাকে ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য আপনার নৈকট্য অর্জনের উপায় বানিয়ে দিন।

[মুসলিম ৪৫/২৫, হাদীস ২৬০১]আঃপ্রঃ-৫৯১৫ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৮)


Posted

in

by

Tags:

Comments

One response to “দরূদ পড়ার ফজিলত। অন্যের উপর দরূদ পড়া”

Leave a Reply