ত্বওয়াফ করা, রামাল ও হাজারে আসওয়াদ চুম্বন

ত্বওয়াফ করা, রামাল ও হাজারে আসওয়াদ চুম্বন

উমরার ত্বওয়াফ  এবং হজ্জের প্রথম ত্বওয়াফে রামাল >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৩৯. অধ্যায়ঃ উমরার ত্বওয়াফে এবং হাজ্জের প্রথম ত্বওয়াফে রামাল [দ্রুত পদক্ষেপে অতিক্রম] করা মুস্তাহাব
৪০. অধ্যায়ঃ ত্বওয়াফের সময় দুই রুকনে ইয়ামানীতে চুম্বন করা মুস্তাহাব, অপর দুই [শামী] রুকন ব্যতীত
৪১. অধ্যায়ঃ ত্বওয়াফের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা মুস্তাহাব
৪২. অধ্যায়ঃ উট ও অন্যান্য সওয়ারীতে আরোহণ করে ত্বওয়াফ করা এবং আরোহীর জন্য লাঠি ইত্যাদির সাহায্যে পাথর স্পর্শ করা জায়িয

৩৯. অধ্যায়ঃ উমরার ত্বওয়াফ  এবং হজ্জের প্রথম ত্বওয়াফে রামাল [দ্রুত পদক্ষেপে অতিক্রম] করা মুস্তাহাব

২৯৩৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বায়তুল্লাহ্য় প্রথমবারের ত্বওয়াফে তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে এবং চার চক্কর স্বাভাবিক পদক্ষেপে তাওয়াফ করিতেন। তিনি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈর সময় [বাত্বনুল মাসীল] মাসীল উপত্যকার মধ্যবর্তী স্থানে দৌড়াতেন। ইবনি উমর [রাদি.]-ও তাই করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯১৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৩]

২৯৩৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রথমে মক্কায় পৌঁছে হজ্জ ও উমরার জন্য বায়তুল্লাহ্র যে তাওয়াফ করিতেন, তাতে তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে এবং চার চক্কর স্বাভাবিক পদক্ষেপে সম্পন্ন করিতেন। অতঃপর দুরাকআত সালাত আদায় করিতেন। অতঃপর সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯১৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৪]

২৯৪০. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি দেখেছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় পৌঁছে যখন হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করিতেন, তখন তিনি সাত চক্করের মধ্যে তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে সমাধান করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯১৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৫]

২৯৪১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাজারে আসওয়াদ থেকে শুরু করে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত তিন চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে এবং চার চক্কর স্বাভাবিক গতিতে সম্পন্ন করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯১৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৬]

২৯৪২. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি উমর [রাদি.] হাজারে আসওয়াদ থেকে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপে তাওয়াফ করিয়াছেন এবং উল্লেখ করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯১৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৭]

২৯৪৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাজারে আসওয়াদ থেকে দ্রুত পদক্ষেপে তিন চক্কর দিয়েছেন এবং হাজারে আসওয়াদে পৌঁছে শেষ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯১৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৮]

২৯৪৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দ্রুত পদক্ষেপে হাজারে আসওয়াদ থেকে হাজারে আসওয়াদ পর্যন্ত তিন তাওয়াফ সম্পন্ন করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২০, ইসলামিক সেন্টার- ২৯১৯]

২৯৪৫. আবু তুফায়ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, বায়তুল্লাহর চারদিক তিনবার দ্রুত গতিতে এবং চারবার স্বাভাবিক গতিতে প্রদক্ষিণ করা কি আপনি সুন্নাত মনে করেন? আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা তা সুন্নাত মনে করে। তিনি বলিলেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে। রাবী বলেন, আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম- “তারা সত্য বলেছে এবং অসত্য বলেছে”-আপনার এ কথার ব্যাখ্যা কী? তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় আগমন করলে মুশরিকরা বলিল, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর সাহাবীগণেরা শারীরিক দূর্বলতার কারণে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিতে সক্ষম হইবে না। তারা তাহাঁর প্রতি হিংসা পোষণ করত। তাই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর সাহাবীগণকে দ্রুত পদক্ষেপে তিনবার এবং স্বাভাবিক গতিতে চারবার [বায়তুল্লাহ] প্রদক্ষিণ করার নির্দেশ দেন। আমি তাঁকে [পুনরায়] বললাম, আপনি আমাকে সাফা-মারওয়ার মাঝে সওয়ার অবস্থায় প্রদক্ষিণ সম্পর্কে অবহিত করুন, তা কি সুন্নাত? কারণ আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা মনে করে তা সুন্নাত। তিনি বলিলেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে। আমি তাকে বললাম, “তারা সত্য বলেছে এবং অসত্যও বলেছে”-আপনার এ কথার ব্যাখ্যা কী? তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় এলেন। তাহাঁর আশেপাশে প্রচুর লোক সমাগম হলো। এমনকি যুবতী মেয়েরা পর্যন্ত [তাঁকে একটু দেখার জন্য] ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। লোকেরা বলাবলি করছিল, ইনি মুহাম্মাদ ইনি মুহাম্মাদ। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে থেকে লোকদেরকে হটিয়ে দেয়া হতো না। তাহাঁর আশেপাশে প্রচুর লোক সমাগম হবার কারণে তিনি [উষ্ট্রীতে] আরোহণ করেন, অথচ স্বাভাবিক গতিতে পদব্রজে যাওয়া ও সাঈ করা উত্তম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২১, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২০]

২৯৪৬. আল জুরায়রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে অত্র সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণিত। তিনি বলেন, “তারা মাক্কাবাসী হিংসুক সম্প্রদায়”। তবে তিনি [আরবী] বলেননি তাঁরা তার সঙ্গে হিংসা করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২২, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২১]

২৯৪৭. আবু তুফায়ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]–কে বললাম, আপনার সম্প্রদায় বলে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বায়তুল্লাহ্‌র ত্বওয়াফে ও সাফা-মারওয়ার সাঈতে রামাল করিয়াছেন, আর এটা সুন্নাত। তিনি বলিলেন, তারা সত্য বলেছে এবং অসত্য বলেছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২২]

২৯৪৮. আবুত্ব-তুফায়ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে বললাম, আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখছি। তিনি বলিলেন, আমার কাছে তাহাঁর বিবরণ পেশ কর। তিনি বলিলেন, আমি তাঁকে মারওয়ার নিকট একটি উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় দেখেছি। তাহাঁর চারপাশে লোকের ভীড় ছিল। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, হ্যাঁ, তিনিই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]। কারণ সাহাবীগণের তাড়িয়ে দেয়া হতো না এবং তাদের ধমকও দেয়া হতো না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৩]

২৯৪৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও তাহাঁর সাহাবীগণ মক্কায় আগমন করিলেন। ইয়াসরিবের জ্বর তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছিল। মুশরিকরা বলিল, আগামীকাল তোমাদের এখানে একদল লোক আসবে- যাদেরকে জ্বরে দুর্বল করে দিয়েছে এবং তারা তাতে ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়েছে। মুশরিকরা হাতীম-এ বসে থাকল। নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীগণকে নির্দেশ দিলেন, তারা যেন তিন চক্কর দ্রুতপদে এবং হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মাঝখানে স্বাভাবিক গতিতে চলে- যাতে মুশরিকদেরকে তাদের বীরত্ব দেখানো যায়। মুশরিকরা বলিল, তোমরা তো এদের সম্পর্কে ধারণা করেছিলে যে, জ্বর তাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে অথচ তারা এমন শক্তিশালী। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দয়াপরবশ হয়ে তাদেরকে সাত চক্কর দ্রুত পদক্ষেপে সম্পন্ন করিতে নির্দেশ দেননি [যাতে তারা ক্লান্ত হয়ে না যায়]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৪]

২৯৫০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বরেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এজন্য দ্রুত পদক্ষেপে বায়তুল্লাহ-এর তাওয়াফ করিয়াছেন- যাতে তিনি মুশরিকগণকে স্বীয় শক্তি প্রদর্শন করিতে পারেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৫]

৪০. অধ্যায়ঃ ত্বওয়াফের সময় দুই রুকনে ইয়ামানীতে চুম্বন করা মুস্তাহাব, অপর দুই [শামী] রুকন ব্যতীত

২৯৫১. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দুই ইয়ামানী রুকন ব্যতীত বায়তুল্লাহর অন্য কিছু স্পর্শ করিতে দেখিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৬]

২৯৫২. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার পিতার হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রুক্নে আসওয়াদ [হাজারে আসওয়াদ সংযুক্ত কোণ] এবং তৎসংলগ্ন দিকের কোণ যা জুমাহী গোত্রের বসতির দিকে অবস্থিত, ব্যতীত বায়তুল্লাহর আর কোন রুকন স্পর্শ করিতেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৭]

২৯৫৩. আবদুল্লাহ [ইবনি উমর] [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাজারে আসওয়াদ ও রুক্নে ইয়ামানী ব্যতীত আর কিছু স্পর্শ করিতেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯২৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৮]

২৯৫৪. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এ দুই রুক্ন অর্থাৎ ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদ কোণ স্পর্শ করা পরিত্যাগ করিনি- যখন থেকে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তা স্পর্শ করিতে দেখেছি। তা কষ্টকর বা সুবিধাজনক যে কোন অবস্থায় হোক না কেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩০, ইসলামিক সেন্টার- ২৯২৯]

২৯৫৫. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি উমর [রাদি.]-কে হাজারে আসওয়াদ স্বহস্তে স্পর্শ করে তাতে চুমু খেতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে যে দিন তা করিতে দেখেছি- তখন থেকে আমি তা কখনো পরিত্যাগ করিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩১, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩০]

২৯৫৬. আবু তুফায়ল আল বাক্‌রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দুই রুক্‌নে ইয়ামানী ব্যতীত কখনও অন্য কিছু স্পর্শ করিতে দেখিনি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩২, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩১]

৪১. অধ্যায়ঃ ত্বওয়াফের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা মুস্তাহাব

২৯৫৭. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তাহাঁর পিতা তাঁকে বর্ণনা করিতে যেয়ে বলেছেন যে, উমর ইবনিল খাত্ত্বাব [রাদি.] হাজারে আসওয়াদে চুম্বন করে বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমি নিশ্চিত জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র। আমি যদি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তোমায় চুম্বন করিতে না দেখতাম তবে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।

অনুরূপ একটি হাদীস যায়দ ইবনি আসলাম থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩২]

২৯৫৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উমর [রাদি.] হাজারে আসওয়াদকে চুম্বন করিলেন এবং বলিলেন, আমি তোমাকে চুম্বন করছি বটে কিন্তু অবশ্যই জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র। কিন্তু আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তোমায় চুম্বন করিতে দেখেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৪, ইসলামিক সেন্টার- নেই]

২৯৫৯. আবদুল্লাহ ইবনি সারজিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি লৌহ মানব অর্থাৎ উমর ইবনিল খাত্ত্বাব [রাদি.]-কে কৃষ্ণ পাথর হাজারে আসওয়াদ চুমো দিতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে চুম্বন করব এবং আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একটি পাথর, তুমি কারও ক্ষতিও করিতে পার না এবং উপকারও করিতে পার না।

আমি যদি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তোমায় চুম্বন করিতে না দেখতাম তবে আমি তোমায় চুম্বন করতাম না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩৩]

২৯৬০. আবিস ইবনি রবীআহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উমর [রাদি.]-কে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করিতে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন, আমি অবশ্যই তোমায় চুম্বন করছি এবং আমি জানি যে, তুমি অবশ্যই একটি পাথর। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তোমায় চুম্বন করিতে না দেখলে আমি কখনও তোমায় চুম্বন করতাম না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩৪]

২৯৬১. সুওয়ায়দ ইবনি গাফালাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উমর [রাদি.]-কে হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করিতে এবং তা জড়িয়ে ধরতে দেখেছি। তিনি বলেছেন, আমি তোমার প্রতি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর গভীর ভালোবাসা লক্ষ্য করেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩৫]

২৯৬২. সুফ্‌ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর [রাদি.] বলেছেন, কিন্তু আমি আবুল ক্বাসিম রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তোমার প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করিতে দেখেছি। এ বর্ণনায় “তিনি তা জড়িয়ে ধরলেন” কথার উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩৬]

৪২. অধ্যায়ঃ উট ও অন্যান্য সওয়ারীতে আরোহণ করে তাওয়াফ করা এবং আরোহীর জন্য লাঠি ইত্যাদির সাহায্যে পাথর স্পর্শ করা জায়িয

২৯৬৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উটে সওয়ার হয়ে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেন এবং একটি ছড়ির [মিহজান] সাহায্যে রুকন [পাথর] স্পর্শ করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩৭]

২৯৬৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উটনীর উপর থেকে [বায়তুল্লাহ] তাওয়াফ করেন এবং তাহাঁর ছড়ির সাহায্যে পাথর স্পর্শ করেন- যেন লোকেরা তাঁকে দেখিতে পায়। তিনি উঁচুতে থাকেন যাতে তারা তাঁকে মাসআলাহ্-মাসায়িল জিজ্ঞেস করিতে পারে, কেননা তিনি লোক দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৪০, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৩৮]

২৯৬৫. আবু যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন : বিদায় হাজ্জে নবী [সাঃআঃ] সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করিয়াছেন-যাতে লোকেরা তাঁকে দেখিতে পায়, তিনি সবার উপরে থাকেন এবং তার নিকট তারা [প্রয়োজনের বিষয়] জিজ্ঞেস করিতে পারে। কারণ লোকেরা তাঁকে বেষ্টন করে রেখেছিল। ইবনি খাশ্রমের বর্ণনায় “তারা যেন তাঁকে প্রয়োজনীয় বিষয়ে জিজ্ঞেস করিতে পারে” কথাটুকু উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৪১, ইসলামিক সেন্টার-২৯৩৯]

২৯৬৬. আয়িশাহ্ [রাদি. হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উটে সওয়ার হয়ে কাবার চতুর্দিকে প্রদক্ষিন করেন এবং রুকন স্পর্শ করেন- লোকদের তাহাঁর নিকট থেকে হটিয়ে দেয়াটা অপছন্দ হওয়ার কারণে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৪২, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৪০]

২৯৬৭. মারূফ ইবনি খার্রাবূয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু তুফায়ল [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করিতে, তাহাঁর সাথের লাঠি দিয়ে রুকন স্পর্শ করিতে এবং লাঠিতে চুম্বন করিতে দেখেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৯৪১]

২৯৬৮. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আমার অসুস্থতার কথা জানালাম। তিনি বলিলেন, তুমি সওয়ারী অবস্থায় লোকদের পেছন থেকে তাওয়াফ কর। উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] বলেন, আমি [সেভাবে] তাওয়াফ করলাম- তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বায়তুল্লাহ্র পাশে নামাজ আদায় করছিলেন। আর তিনি তাতে তিলাওয়াত করছিলেন : আত্ব তূর, ওয়া কিতাবিম্ মাস্তূর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯৪৪, ইসলামিক সেন্টার-২৯৪২]


Posted

in

by

Comments

One response to “ত্বওয়াফ করা, রামাল ও হাজারে আসওয়াদ চুম্বন”

Leave a Reply