কাপড় টাখনুর নীচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেয়া
কাপড় টাখনুর নীচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪৫. অধ্যায়ঃ চোগলখোরী জঘন্যতম হারাম
৪৬. অধ্যায়ঃ কাপড় টাখনুর নীচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেয়া ও [মিথ্যা] শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, রহ্মাতের নযরে তাকাবেন না, তাহাদের পবিত্র করবেন না। আর তাহাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
৪৫. অধ্যায়ঃ চোগলখোরী জঘন্যতম হারাম
১৯১. আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
হুযাইফাহ্ [রাঃআ:]-এর নিকট খবর পৌঁছল যে, এক ব্যক্তি চোগলখোরী করে বেড়ায়। তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি, কোন চোগলখোরই জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না। {৪৪}
[ই.ফা. ১৯২; ই.সে. ১৯৮]
{৪৪} একজনের কথা অন্যজনের সামনে এ জন্য বলে যে, তাহাদের মধ্যে যেন শত্রুতার সৃষ্টি হয় ও ঝগড়া-বিবাদ লেগে যায় তাকে নাম্মাম বা চোগলখোর বলে। [নাবাবী]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯২. হাম্মাম ইবনি আল হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি সাধারণ লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার নিকট পৌঁছাত। একদা আমরা মাসজিদে বসা ছিলাম। উপবিষ্ট লোকেরা বলিল, এ সে ব্যক্তি যে লোকজনের কথাবর্তা শাসনকর্তার নিকট পৌঁছায়। রাবী বলিলেন, এরপর সে উপস্থিত হলো এবং আমাদের পাশে বসে পড়ল। তখন হুযাইফাহ [রাঃআ:] বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি, কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে না”। {৪৫}
[ই.ফা. ১৯৩; ই.সে. ১৯৯]
{৪৫} ক্বাত্তাত ও নাম্মাল দুটোর অর্থ একই, অর্থাৎ চোগলখোর।
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৩. হাম্মাম ইবনি হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে হইতে বর্ণিতঃ
আমরা হুযাইফাহ্ [রাঃআ:]-এর সাথে মাসজিদে বসা ছিলাম। তাখন এক ব্যক্তি এলো ও আমাদের সাথে বসে পড়লো। তখন হুযাইফাহ্ [রাঃআ:] তাকে শোনানোর উদ্দেশ্যে বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-কে বলিতে শুনিয়াছি : চোগলখোর জান্নতে প্রবেশ করিতে পারবে না।
[ই.ফা. ১৯৪; ই.সে. ২০০]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪৬. অধ্যায়ঃ কাপড় টাখনুর নীচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেয়া ও [মিথ্যা] শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, রহ্মাতের নযরে তাকাবেন না, তাহাদের পবিত্র করবেন না। আর তাহাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
১৯৪. আবু যার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
নবি [সাঃআ:] বলেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামাতের দিন তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাহাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাহাদেরকে পবিত্র করবেন না। বরং তাহাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:] এ কথাটি তিনবার পাঠ করিলেন। আবু যার [রাঃআ:] বলে উঠলেন, তার তো ধ্বংস হইবে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। হে আল্লাহর রসূল! এরা কারা? তিনি বলিলেন, যে লোক পায়ের গোছার নীচে কাপড় ঝুলিয়ে চলে, কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয় এবং মিথ্যা শপথ করে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে।
[ই.ফা. ১৯৫; ই.সে. ২০১]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৫. আবু যার [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
নবি [সাঃআ:] বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না। [১] যে ব্যক্তি কোন কিছু দান করে খোঁটা দেয়; [২] যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করে দোকানদারী করে এবং [৩] যে ব্যক্তি টাখ্নুর নীচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করে।
বিশ্র ইবনি খালিদ [রাঃআ:] ….. শুবাহ্ [রাঃআ:] থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুলাইমানকে এ সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি। তিনি বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ তাআলা কথা বলেবেন না, তাহাদের প্রতি তাকাবেন না, তাহাদের [গুনাহ থেকে] পবিত্র করবেন না। আর তাহাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
[ই.ফা. ১৯৬; ই.সে. ২০২-২০৩]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৬. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:] বলেছেন, তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাহাদের [গুনাহ থেকে] পবিত্র করবেন না। রাবী আবু মুআবিয়াহ্ বলেন, তাহাদের প্রতি তাকাবেন না। আর তাহাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। [এরা হলো] ব্যভিচারী বুড়ো, মিথ্যাবাদী শাসক বা রাষ্ট্রপ্রধান ও অহঙ্কারী দরিদ্র ব্যক্তি।
[ই.ফা. ১৯৭; ই.সে. ২০৪]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৭. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:] বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, এদের দিকে নযরও দেবেন না এবং এদেরকে পবিত্রও করবেন না, বরং এদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। যে ব্যক্তির নিকট অতিরিক্ত পানি থাকা সত্ত্বেও তা পথিককে দেয় না। যে ব্যবসায়ী আস্রের পর {৪৬} তার পণ্য সামগ্রী ক্রেতার নিকট আল্লাহ্র কসম করে বিক্রি করে আর বলে, আমি এ পণ্য এতো এতো মূল্যে ক্রয় করেছিলাম, আর ক্রেতা তাকে সত্যবদী মনে করে, কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার তার উল্টো। যে ব্যক্তি ইমামের [রাষ্ট্রপ্রধান] হাতে কেবল পার্থিব স্বার্থে বাইআত গ্রহণ করে, যদি ইমাম তা কিছু পার্থিব সুযোগ দেয়, তাহলে সে তার বাইআতের প্রতিজ্ঞান পূরণ করে, আর যদি তা থেকে কিছু না দেয় তাহলে আর প্রতিজ্ঞা পূরণ করে না।
[ই.ফা. ১৯৮; ই.সে. ২০৫]
{৪৬} আসরের সালাতে ফেরেশতা উপস্থিত হয়, সেটা অত্যন্ত পবিত্রতম সময়, আর মিথ্যা কসম চরম অপরাধ [নাবাবী]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৮. যুহায়র ইবনি হার্ব এবং সাঈদ ইবনি আম্র আল আশআসী [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে রাবী জারীর বর্ণিত হাদীসে যে ব্যক্তি তার পণ্যের ব্যাপারে অন্যের সাথে দাম দরাদরি করে কথাটির উল্লেখ আছে।
[ই.ফা. ১৯৯; ই.সে. ২০৬]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৯৯. আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] থেকে যতদূর সম্ভব মারফূ সানাদে [অর্থাৎ নবি [সাঃআ:] থেকে] হইতে বর্ণিতঃ
তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাহাদের প্রতি রহমাতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না, তাহাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। [তারা হলো] যে ব্যক্তি আসরের সলাতের পর কোন মুসলিমের মালে উপর শপথ করে তা আত্মসাৎ করে। হাদীসের বাকী অংশ আমাশের হাদীসের অনুরূপ।
[ই.ফা. ২০০; ই.সে. ২০৭]
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply