জুমুআর দিন, খুত্বাহ, নামাজ ও সুন্নাত নামাজ সম্পর্কে
জুমুআর দিন প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষের ওপর গোসল করা ওয়াজিব >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিনে প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষের ওপর গোসল করা ওয়াজিব প্রসঙ্গে এবং এ সম্পর্কে যা নির্দেশ দেয়া হয়েছে
২. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিনে সুগন্ধি ও মিসওয়াক ব্যবহার প্রসঙ্গে
৩. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিন খুত্বাহ্ চলাকালীন সময় চুপ থাকা প্রসঙ্গে
৪. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিন একটি বিশেষ সময় প্রসঙ্গে
৫. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিবসের মর্যাদা
৬. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিবসে এ উম্মাতের একটি উপঢৌকন
৭. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিনে [নামাজ] প্রস্তুতির ফাযীলাত
৮. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিনে যে ব্যক্তি [খুত্বাহ্] শ্রবণ করে এবং চুপ থাকে তার মর্যাদা
৯. অধ্যায়ঃ পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সময় জুমুআর নামাজ প্রসঙ্গে
১০. অধ্যায়ঃ [জুমুআর] নামাজের পূর্বে দুটি খুতবাহ্ এবং এর মাঝে জালসাহ্ [বৈঠক] প্রসঙ্গে
১১. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার এ উক্তি প্রসঙ্গেঃ “যখন তারা দেখল ব্যবসায় ও কৌতুক তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তার দিকে ছুটে গেল”
১২. অধ্যায়ঃ জুমুআর নামাজ পরিতাগ করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারী [ডাঁট]
১৩. অধ্যায়ঃ জুমুআর নামাজ এবং খুত্বাহ্ হালকা করা প্রসঙ্গে
১৪. অধ্যায়ঃ ইমামের খুত্বাহ্ প্রদানকালে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা
১৫. অধ্যায়ঃ খুত্বার মাঝে ইল্ম শিক্ষাদান সম্পর্কে।
১৬. অধ্যায়ঃ জুমুআর সলাতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি পাঠ করিতেন
১৭. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি পাঠ করিতেন
১৮. অধ্যায়ঃ জুমুআর নামাজের পর সুন্নাত নামাজ সম্পর্কে
১. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিন প্রত্যেক বয়ঃপ্রাপ্ত পুরুষের ওপর গোসল করা ওয়াজিব প্রসঙ্গে এবং এ সম্পর্কে যা নির্দেশ দেয়া হয়েছে
১৮৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ জুমুআর সলাতে আসতে মনস্থ করলে সে যেন গোসল করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮২৮]
১৮৩৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিম্বারের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় বলেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতে যায় সে যেন গোসল করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২২, ইসলামিক সেন্টার- ১৮২৯]
১৮৩৮. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩০]
১৮৩৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩১]
১৮৪০. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা জুমুআর দিন উমর ইবনিল খাত্ত্বাব [রাদি.] জনগণের উদ্দেশে খুতবা দিচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাহাবীগণের মধ্যকার জনৈক ব্যক্তি প্রবেশ করলে উমর [রাদি.] তাকে ডেকে বলিলেন, এটা কোন্ সময়? তিনি বলেন, আমি আজ খুব ব্যস্ত ছিলাম এবং বাড়ীতে যাওয়ার অবসর পাইনি। এমতাবস্থায় আযান শুনতে পেলাম। তাই আমি ওযূর অতিরিক্ত কিছুই করিতে পারিনি। উমর [রাদি.] বলেন, শুধু ওযূও চলে, তবে তুমি জানো যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] গোসল করার নির্দেশ দিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩২]
১৮৪১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা জুমুআর দিন উমর ইবনিল খাত্ত্বাব [রাদি.] লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখন উসমান ইবনি আফ্ফান [রাদি.] প্রবেশ করেন। উমর [রাদি.] তার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, লোকদের কি হল যে, তারা আযানের পরও [মাসজিদে আসতে] বিলম্ব করে। উসমান [রাদি.] বলেন, হে আমীরুল মুমিনীন ! আমি আযান শোনার পর ওযূ করা ছাড়া অতিরিক্ত আর কিছু করিনি, অতঃপর এসে পৌছেছি। উমর [রাদি.] বলেন, ওযূও চলে তবে আপনারা কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেননি, তোমাদের কেউ যখন জুমুআর সলাতে আসে সে যেন গোসল করে?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৩]
১৮৪২. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জুমুআর দিন গোসল করা অপরিহার্য।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৪]
১৮৪৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, লোকজন তাদের বাড়ি-ঘর থেকে এবং মাদীনার উপকণ্ঠ থেকে জুমুআর নামাজ আদায় করিতে আসত। তারা আবা [এক প্রকার ঢিলা পোশাক] পরিধান করে আসত এবং তাতে ময়লা লেগে যেত। এতে তাদের দেহ নির্গত ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা যদি তোমাদের দিনটিতে অধিক পবিত্রতা অর্জন করিতে, তোমরা যদি এ দিনে পবিত্রতা অর্জন করিতে !
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৫]
১৮৪৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, লোকজন ছিল শ্রমজীবী। তাদের কাজের জন্য বিকল্প লোক ছিল না। তাদের [ঘর্মাক্ত] দেহে দুর্গন্ধ ছড়াত। তাই তাদের বলা হল, তোমরা যদি জুমুআর দিন গোসল করিতে !
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮২৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৬]
২. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিনে সুগন্ধি ও মিসওয়াক ব্যবহার প্রসঙ্গে
১৮৪৫. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ জুমুআর দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির গোসল ও মিসওয়াক করা কর্তব্য এবং সামর্থ্য থাকলে সে যেন সুগন্ধি ব্যবহার করে। অধস্তন বর্ণনাকারী বুকায়র আবদুর রহমান-এর উল্লেখ করেননি এবং সুগন্ধির ব্যাপারে তার বর্ণনায় আছেঃ “এমনকি স্ত্রীর সুগন্ধি থেকে হলেও।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩০, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৭]
১৮৪৬. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি জুমুআর দিন গোসল সম্পর্কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বাণী উল্লেখ করিয়াছেন। ত্বাউস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে বললাম, সে সুগন্ধি ব্যবহার করিবে, না তৈল ব্যবহার করিবে, যদি তা তার পরিবারের মওজুদ থাকে? তিনি বলেন, আমি তা জানি না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৮]
১৮৪৭. ইসহাক্ব ইবনি ইব্রাহীম, হারূন ইবনি আবদুল্লাহ[রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. উভয়ে একই সানাদে ইবনি জুরায়জ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩২, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৩৯]
১৮৪৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ প্রত্যেক মুসলিমদের ওপর আল্লাহর অধিকার এই যে, সে প্রতি সাতদিন অন্তর গোসল করিবে, মাথা ও দেহ ধৌত করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪০]
১৮৪৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন জানাবাতের [ফরয গোসল] গোসলের মত গোসল করিল, অতঃপর দিনের প্রথমভাগে মাসজিদে এল, সে যেন একটি উট কুরবানী করিল। অতঃপর যে ব্যক্তি আসলো সে যেন একটি গরু কুরবানী করিল; অতঃপর যে ব্যক্তি আসলো সে যেন একটি ভেড়া কুরবানী করিল, অতঃপর যে ব্যক্তি আসলো সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করিল, অতঃপর যে ব্যক্তি আসলো সে যেন একটি ডিম কুরবানী করিল। অতঃপর ঈমাম যখন খুতবাহ্ দিতে [দাঁড়ালেন] তখন মালাকগণ খুতবাহ্ শোনার জন্য উপস্থিত হন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪১]
৩. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিন খুত্বাহ্ চলাকালীন সময় চুপ থাকা প্রসঙ্গে
১৮৫০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ ইমামের খুত্বাহ্ দানরত অবস্থায় তুমি যদি তোমার সাথীকে বল, চুপ কর তবে তুমি অনর্থক কাজ করলে।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪২]
১৮৫১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে শুনেছি ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪৩]
১৮৫২. ইবনি শিহাব [রাদি.] থেকে উভয় সানাদ সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
এ হাদীস পূর্বোক্ত সানাদে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে ইবনি জুরায়জ [রাদি.] ইব্রাহীম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি ক্বারিয বলেছেন [আবদুল্লাহ ইবনি ইব্রাহীম ইবনি ক্বারিয স্থলে]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪৪]
১৮৫৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ জুমুআর দিন ইমামের খুত্বাহ্ চলাকালে তুমি তোমার সাথীকে যদি বল চুপ কর তবে, তুমি অনর্থক কাজ করলে। আবুয্ যিনাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, [আরবি] আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর গোত্রের ভাষায়, আসলে তা হইবে [আরবি]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪৫]
৪. অধ্যায়ঃ জুমার দিন একটি বিশেষ সময় প্রসঙ্গে
১৮৫৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুমুআর দিন সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তাতে এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন কোন মুসলিম বান্দা নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করলে অবশ্যই তিনি তাকে তা দান করেন। কুতায়বাহ্ [রাদি.]-এর বর্ণনায় আরো আছেঃ তিনি তাহাঁর হাত দ্বারা মুহূর্তটির স্বল্পতার প্রতি ইঙ্গিত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪৬]
১৮৫৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবুল ক্বাসিম [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জুমুআর মধ্যে অবশ্যই এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন কোন মুসলিম নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করে তিনি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করেন। তিনি তাহাঁর হাত দ্বারা সে মুহূর্তটির স্বল্পতার প্রতি ইঙ্গিত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪০, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪৭]
১৮৫৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবুল ক্বাসিম [সাঃআঃ] বলেছেন ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৪৮]
১৮৫৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবুল ক্বাসিম [সাঃআঃ] বলেছেন ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
১৮৫৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, জুমুআর দিনের মধ্যে অবশ্যই এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন কোন মুসলিম আল্লাহর নিকট কল্যান প্রার্থনা করে নিশ্চয়ই তিনি তাকে তা দান করেন। তিনি বলেনঃ সে মুহূর্তটি অতি স্বল্প।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫০]
১৮৫৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেন, এ সানাদ সূত্রে “সে মুহূর্তটি স্বল্প” কথাটি উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫১]
১৮৬০. আবু মূসা আল আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] আমাকে জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কি তোমার পিতাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে জুমুআর দিনের বিশেষ মুহূর্তটি সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করিতে শুনেছ? বর্ণনাকারী বলেনঃ আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি পিতাকে বলিতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ ইমামের বসা থেকে নামাজ শেষ করার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সে মুহূর্তটি নিহিত।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫২]
৫. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিবসের মর্যাদা
১৮৬১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমুআর দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদাম [আঃ]-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাঁকে জান্নাতে দাখিল করা হয়েছে এবং এ দিন তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেয়া হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫৩]
১৮৬২. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমুআর দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদাম [আঃ]-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন সেখান থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে, জুমুআর দিনই ক্বিয়ামাত সংঘটিত হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫৪]
৬. অধ্যায়ঃ জুমুআর দিবসে এ উম্মাতের একটি উপঢৌকন
১৮৬৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমরা সর্বশেষ উম্মাত কিন্তু ক্বিয়ামাতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। যদিও সকল উম্মাতকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আর আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে সকল উম্মাতের শেষে। অতঃপর যে দিনটি আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করিয়াছেন, সেদিন সম্পর্কে তিনি আমাদের হিদায়াতও দান করিয়াছেন। সেদিনের ব্যাপারে অন্যান্যরা আমাদের পিছনে রয়েছে, [যেমন] ইয়াহূদীরা [আমাদের] পরের দিন এবং খৃষ্টানরা তাদেরও পরের দিন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫৫]
১৮৬৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমরা সবশেষে আগত উম্মাত এবং আমরা ক্বিয়ামাতের দিন হব অগ্রবর্তী ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫৬]
১৮৬৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমরা সবশেষে আগত উম্মাত, কিন্তু ক্বিয়ামাতের দিন আমরা হব সর্বাগ্রবর্তী, আমরাই প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করব। অথচ তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে এবং আমাদেরকে তা দেয়া হয়েছে তাদের পরে। তারা বিরোধে লিপ্ত হয়ে পড়ল কিন্তু তারা যে সত্য দ্বীনের ব্যপারে বিরোধে লিপ্ত হয়েছিল, আল্লাহ আমাদেরকে সে দিন সম্পর্কে হিদায়াত দান করিয়াছেন। তিনি বলেনঃ আমাদের জন্য আজকে জুমুআর দিন আর ইয়াহূদীদের জন্য পরের দিন এবং খৃষ্টানদের জন্য তারও পরের দিন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৫০, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫৭]
১৮৬৬. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আমরা সবশেষে আগত উম্মাত কিন্তু কিয়ামতের দিন সবার অগ্রবর্তী থাকব। অথচ তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের আগে এবং আমাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের পরে। এটি তাদের সেদিন যা তাদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল, কিন্তু তারা এ দিনটি সম্পর্কে মতভেদে লিপ্ত হল। আল্লাহ আমাদেরকে দিনটির ব্যাপারে হিদায়াত দান করিয়াছেন। অতএব, তারা আমাদের পশ্চাদগামী, ইয়াহূদীরা পরের দিন [শনিবার] এবং খৃষ্টানরা তারও পরের দিন [রবিবার]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৫১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৫৮]
১৮৬৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তারা বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ্ আমাদের পুর্ববর্তীদেরকে জুমুআর দিন সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেননি বিরোধে লিপ্ত হওয়ার কারণে। তাই ইয়াহূদীদের জন্য শনিবার এবং খৃষ্টানদের জন্য রবিবার জুমুআহ্ নির্ধারিত হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে [পৃথিবীতে] আনলেন এবং আমাদেরকে জুমুআর দিনের সঠিক সন্ধান দিলেন। অতএব তিনি জুমুআর দিন, শনিবার ও রবিবার এভাবে [বিন্যাস] করিলেন, এভাবে তারা ক্বিয়ামাতের দিন আমাদের পশ্চাদবর্তী হইবে। আমরা পৃথিবীবাসীর মধ্যে শেষে আগমনকারী উম্মাত এবং ক্বিয়ামাতের দিন হব সর্বপ্রথম। যাদের সমগ্র সৃষ্টির সর্বপ্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হইবে। অধস্তন বর্ণনাকারী ওয়াসিল [রাদি.]-এর বর্ণনায় আছে “সকলের মধ্যে”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৫২, ইসলামিক সেন্টার-১৮৫৯]
১৮৬৮. হুযায়ফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমাদেরকে জুমুআর দিন সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেয়া হয়েছে এবং আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দেননি। ….. হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা বর্ণনাকারী ইবনি ফুযায়ল [রাদি.]-এর বর্ণনায় অনুরূপ।
[ই.ফা.১৮৫৩,ই.সে ১৮৬০]
৭. অধ্যায়ঃ জুমার দিনে নামাজ প্রস্তুতির ফাযীলাত
১৮৬৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: জুমার দিন এলে মাসজিদে যতগুলো দরজা আছে তার প্রতিটিতে মালাকগণ [ফেরেশতারা] নিযুক্ত হন এবং তারা আগমনকারীদের নাম ক্রমানুসারে নথিবদ্ধ করেন। ঈমাম যখন [মিম্বারে] বসেন তখন তারা নথিপত্র গুটিয়ে নিয়ে আলোচনা শোনায় চলে আসেন। মাসজিদে সর্বপ্রথম আগমনকারী মুসল্লী উট কুরবানীকারীর সমতুল্য, তৎপরে আগমনকারী গরু কুরবানীকারীর সমতুল্য, তৎপরে আগমনকারী মেষ কুরবানীকারীর সমতুল্য, অতঃপর আগমনকারী মুরগী কুরবানীকারীর সমতুল্য, তৎপরে আগমনকারী ডিম দানকারীর সমতুল্য নেকী পাবে।
[ই.ফা.১৮৫৪, ইসলামিক সেন্টার-১৮৬১]
১৮৭০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা.১৮৫৫,ইসলামিক সেন্টার-১৮৬২]
১৮৭১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ মাসজিদের দরজাগুলোর প্রতিটিতে একজন করে মালায়িকাহ্ নিয়োজিত থাকেন। তিনি আগমনকারীদের নাম [তাদের আগমনের] ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ করেন। মাসজিদে সর্বপ্রথম আগমনকারী উট কুরবানীকারীর সমতুল্য ….. এভাবে পর্যায়ক্রমে তুলনা করা হয়েছে, এমনকি একটি ডিমের মতো ক্ষুদ্র বস্তু দানের তুলনা দিয়েছেন। ঈমাম যখন [খুতবাহ্ দেয়ার উদ্দেশ্যে মিম্বারে] বলেন তখন নথিপত্র গুটিয়ে ফেলা হয় এবং মালাকগণ [ফেরেশতামণ্ডলী] খুত্বার আলোচনা শুনতে হাজির হন।
[ই.ফা.১৮৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৬৩]
৮. অধ্যায়ঃ জুমার দিনে যে ব্যক্তি খুতবাহ শ্রবণ করে এবং চুপ থাকে তার মর্যাদা
১৮৭২. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার সলাতে আসল, অতঃপর সাধ্যমত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিল, অতঃপর ইমামের খুত্বাহ্ শেষ হওয়া পর্যন্ত নীরব থাকল, অতঃপর ইমামের সাথে [জুমার] নামাজ আদায় করিল, এতে তার দু জুমার মধ্যকার দিনসমূহের এবং আরো তিন দিনের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
[ই.ফা.১৮৫৭,ইসলামিক সেন্টার-১৮৬৪]
১৮৭৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করার পর জুমার সলাতে এলো, নীরবে মনোযোগ সহকারে খুতবাহ্ শুনল, তার পরবর্তী জুমুআহ্ পযর্ন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি [অহেতুক] কঙ্কর স্পর্শ করিল সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করিল।
[ই.ফা.১৮৫৮, ইসলামিক সেন্টার-১৮৬৫]
৯. অধ্যায়ঃ পশ্চিমাকাশে সূর্য ঢলে পড়ার সময় জুমার নামাজ প্রসঙ্গে
১৮৭৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে জুমার নামাজ আদায় করতাম, অতঃপর ফিরে আসতাম এবং আমাদের উষ্ট্রীগুলোকে বিশ্রাম দিতাম। অধস্তন বর্ণনাকারী হাসান [রাদি.] বলেন, আমি উর্ধ্বতন বর্ণনাকারী জাফার [রাদি.]-কে বললাম, সেটা কোন সময় হত? তিনি বলেন, সূর্য ঢলে যাওয়ার সময়।
[ই.ফা.১৮৫৯, ই.সে ১৮৬৬]
১৮৭৫. আবু জাফার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করেন, রসূলুল্লাহ[সাঃআঃ] কোন মুহূর্তে জুমার নামাজ আদায় করিতেন? তিনি বলেন, তিনি নামাজ শেষ করার পর আমরা আমাদের উটের পালের নিকট যেতাম এবং সেগুলোকে বিশ্রাম দিতাম। অধস্তন বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনায় আরো আছেঃ যখন সূর্য ঢলে যেত, অর্থাৎ- পানিবাহী উটগুলো [বিশ্রাম নিত]।
[ই.ফা.১৮৬০, ইসলামিক সেন্টার-১৮৬৭]
১৮৭৬. সাহ্ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা জুমার নামাজ আদায়ের পরই বিশ্রাম গ্রহণ করতাম এবং দুপুরের আহার করতাম। ইবনি হুজ্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনায় আরো আছে, “রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর যুগে।
[ই.ফা.১৮৬১, ইসলামিক সেন্টার-১৮৬৮]
১৮৭৭. সালামাহ্ ইবনি আকওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সূর্য ঢলে যাওয়ার পর আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে জুমার নামাজ আদায় করতাম, অতঃপর ছায়া অনুসরণ করিতে করিতে ফিরে আসতাম।
[ই.ফা.১৮৬২, ই. সে.১৮৬৯]
১৮৭৮. সালামাহ্ ইবনি আকওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে জুমার নামাজ আদায়ের পর যখন ফিরে আসতাম তখন আমাদের ছায়া গ্রহনের উপযোগী প্রাচীরের কোন ছায়া পড়ত না [অথার্ৎ সূর্য ঢলে যাওয়ার পরপরই নামাজ আদায় করা হত]।
[ই.ফা.১৮৬৩, ইসলামিক সেন্টার-১৮৭০]
১০. অধ্যায়ঃ [জুমার] নামাজের পূর্বে দুটি খুতবাহ এবং এর মাঝে জালসাহ্ [বৈঠক] প্রসঙ্গে
১৮৭৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবাহ দিতেন, অতঃপর বসতেন, অতঃপর দাঁড়াতেন, যেমন আজকাল তোমরা করে থাক।
[ই.ফা.১৮৬৪, ই.সে১৮৭১]
১৮৮০. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুটি খুতবাহ দিতেন, উভয় খুত্বার মাঝখানে বসতেন এবং [খুত্বায়] কুরআন পড়তেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন। {৪১}
[ই.ফা ১৮৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৭২]
৪১ খুত্বাতে আল্লাহর প্রশংসা, নবী [সাঃআঃ]-এর প্রতি দরূদ, সমবেত জনতার জন্য প্রয়োজনীয় নাসীহাত এবং দুআ থাকতে হইবে। এতদ্ভিন্নতা খুত্বাহ্ হইবে না।
[মুসলিম শারহে নাবাবী, ১ম খণ্ড ২৮৪ পৃষ্ঠা]
উল্লেখ্য যে, যে নাসীহাত জনগণের বোধগম্য ভাষায় হয় না তা কিছুতেই খুত্বাহ্ হইবে না। আল্লাহ প্রত্যেক রসূলকে আপন জাতির ভাষার উপরই পাঠিয়েছেন যেন তাদের বর্ণনা দিয়ে বুঝাতে পারেন।
[সুরা ইবরাহীম ১৪:৪]
১৮৮১. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁড়ানো অবস্থায় খুত্বাহ্ দিতেন, অতঃপর বসতেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে আবার [দ্বিতীয়] খুত্বাহ্ দিতেন। যে ব্যক্তি তোমাকে অবহিত করেছে যে, তিনি বসা অবস্থায় খুত্বাহ্ দিতেন, সে মিথ্যা বলেছে। আল্লাহ্র শপথ! আমি নিশ্চয়ই তাহাঁর সাথে দুহাজারেরও অধিকবার নামাজ আদায় করেছি [জুমার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ]।
[ই.সা.১৮৬৬, ইসলামিক সেন্টার-১৮৭৩]
১১. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার এ উক্তি প্রসঙ্গেঃ “যখন তারা দেখল ব্যবসায় ও কৌতুক তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তার দিকে ছুটে গেল”
১৮৮২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] দাঁড়ানো অবস্থায় জুমার দিন খুত্বাহ্ দিতেন। একদা জুমার নামাজের খুত্বাহ চলাকালে সিরিয়ার একটি বণিক এসে পৌঁছালে বারোজন লোক ব্যতীত সকলে তাদের নিকট ছুটে চলে গেল। তখন সুরা জুমার এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ
وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انْفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَائِمًا
[অর্থ] “যখন তারা দেখল ব্যবসা ও কৌতুকের বিষয়, তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল”- [সূরাহ আল জুমুআহ্ ৬২:১১]।
[ই.ফা.১৮৬৭, ইসলামিক সেন্টার-১৮৭৪]
১৮৮৩. হুসায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হুসায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে একই সানাদে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খুত্বাহ্ দিতেন এবং তিনি “দাঁড়ানো অবস্থায় ” কথাটুকু উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৬৮, ইসলামিক সেন্টার-১৮৭৫]
১৮৮৪. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা জুমার দিন নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর সাথে ছিলাম। এমতাবস্থায় কিছু ছাতুর চালান এসে পৌছল। বর্ণনাকারী বলেন, লোকজন সেদিকে চলে গেল এবং বারোজন ব্যতীত আর কেউ ছিল না। আমি এদের সাথে ছিলাম। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আল্লাহ তাআলা অবতীর্ন করেন।
وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انْفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَائِمًا
[অনুবাদ] : “যখন তারা দেখল ব্যবসা ও কৌতুকের বিষয়, তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল …..”-[সুরা আল জুমুআহ ৬২ :১১] আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৭৬]
১৮৮৫. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা এক জুমার দিন নবী [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন [জুমার খুতবাহ দিচ্ছিলেন]। এমতবস্থায় একটি বণিক দল মাদীনায় এসে পৌছল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সহাবীগন সেদিকে ছুটে গেলেন। এমনকি বারোজন ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট ছিলেন না। আবু বাক্র ও উমর [রাদি.]-ও এদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ
وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انْفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَائِمًا
“যখন তারা দেখল ব্যবসা ও কৌতুকের বিষয় তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল- [সুরাহ্ জুমুআহ ৬২ : ১১]”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭০, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৭৭]
১৮৮৬. কাব ইবনি উজ্রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, তিনি মাসজিদে প্রবেশ করিলেন এবং তখন আবদুর রাহমান ইবনিল হাকাম বসা অবস্থায় খুত্বাহ্ দিচ্ছিলেন। কাব [রাদি.] বলেন, তোমরা এ নরাধমের প্রতি লক্ষ্য কর, সে বসে বসে খুত্বাহ্ দিচ্ছে। {৪২} অথচ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَإِذَا رَأَوْا تِجَارَةً أَوْ لَهْوًا انْفَضُّوا إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَائِمًا
এবং যখন তারা দেখল ব্যবসা ও কৌতুকের বিষয়, তখন তারা তোমাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে সেদিকে ছুটে গেল- [সুরাহ আল জুমুআহ ৬২ : ১১]।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৭৮]
{৪২} এ হাদীস এবং পুর্বোক্ত হাদীস জুমার দিনে বসে বসে খুত্বাহ্ দানকারী ইমামের জন্য হুশিয়ারী যারা একই সাথে দুটো বিদআত জড়ো করিয়াছেন- [১] খুত্বার পুর্বে বয়ান করা, [২] বসে বসে বয়ান করা।
১২. অধ্যায়ঃ জুমার নামাজ পরিতাগ করার ব্যাপারে হুঁশিয়ারী [ডাঁট]
১৮৮৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমর ও আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তারা উভয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলিতে শুনেছেন : যারা জুমার নামাজ ত্যাগ করে তাদেরকে এ অভ্যাস বর্জন করিতে হইবে। নতুবা আল্লাহ তাদের অন্তরে সীল মেরে দিবেন, অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭২, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৭৯]
১৩. অধ্যায়ঃ জুমার নামাজ এবং খুতবাহ হালকা করা প্রসঙ্গে
১৮৮৮. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ আদায় করতাম। তাহাঁর নামাজ ও খুতবাহ ছিল মধ্যম [দীর্ঘও নয় অতি সংক্ষিপ্তও নয়]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮০]
১৮৮৯. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-এর সাথে বহু ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছি। তাহাঁর নামাজও ছিল সংক্ষিপ্ত এবং তাহাঁর খুতবাহও ছিল মধ্যম। অধস্তন বর্ণনাকারী আবু বাক্র যাকারিয়্যা-এর বর্ণনায় আছে : সিমাক থেকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮১]
১৮৯০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন খুতবাহ [ভাষণ] দিতেন তখন তাহাঁর চক্ষুদ্বয় রক্তিম বর্ণ ধারণ করত, কণ্ঠস্বর জোরালো হত এবং তাহাঁর রাগ বেড়ে যেত, এমনকি মনে হত, তিনি যেন শত্রুবাহিনী সম্পর্কে সতর্ক করছেন আর বলছেন: তোমরা ভোরেই আক্রান্ত হইবে, তোমরা সন্ধ্যায়ই আক্রান্ত হইবে। তিনি [সাঃআঃ] আরো বলিতেন: আমি ও ক্বিয়ামাত এ দুটির ন্যায় [স্বল্প ব্যবধান] প্রেরিত হয়েছি, তিনি মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুল মিলিয়ে দেখাতেন। তিনি [সাঃআঃ] আরো বলিতেন: অতঃপর উত্তম বাণী হল– আল্লাহর কিতাব এবং উত্তম পথ হল মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর প্রদর্শিত পথ। অতীব নিকৃষ্ট বিষয় হল [ধর্মের মধ্যে] নতুন উদ্ভাবন [বিদআত]। প্রতিটি বিদআত ভ্রষ্ট। তিনি আরো বলিতেনঃ আমি প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তির জন্য তার নিজের থেকে অধিক উত্তম [কল্যাণকামী]। কোন ব্যক্তি সম্পদ রেখে গেলে তা তার পরিবার-পরিজনের প্রাপ্য। আর কোন ব্যক্তি ঋণ অথবা অসহায় সন্তান রেখে গেলে সেগুলোর দায়িত্ব আমার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৩]
১৮৯১. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] জুমার দিন আল্লাহর প্রশংসা ও তাহাঁর গুণগান করে তাহাঁর খুতবাহ [ভাষণ] শুরু করিতেন, অতঃপর প্রয়োজনীয় কথা বলিতেন। [ভাষণে] তাহাঁর কণ্ঠস্বর জোরালো হত… হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববৎ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৪]
১৮৯২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত খুত্বায় আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা ও গুণগান করিতেন, অতঃপর বলিতেন: আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন তাকে কেউ বিপথগামী করিতে পারে না এবং তিনি যাকে বিপথগামী করেন তাকে কেউ হিদায়াত করিতে পারে না। সর্বোত্তম বাণী হল আল্লাহর কিতাব, … অতঃপর হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা সাক্বাফী বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৫]
১৮৯৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যিমাদ মাক্কায় আগমন করেন। তিনি আয্দ শানূয়াহ্ গোত্রের সদস্য। তিনি বাতাস লাগার ঝাড়ফুঁক করিতেন। তিনি মাক্কার কতক নির্বোধকে বলিতে শুনলেন, মুহাম্মাদ নিশ্চয়ই উন্মাদ। যিমাদ বলেন, আমি যদি লোকটিকে দেখতাম তাহলে আল্লাহ হয়ত আমার হাতে তাকে আরোগ্য দান করিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাহাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন, হে মুহাম্মাদ! আমি এসব বাতাস লাগার ঝাড়ফুঁক করি। আল্লাহ যাকে চান তাকে আমার হাতে আরোগ্য দান করেন। আপনি কি ঝাড়ফুঁক করাতে চান? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন: নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। আমি তাহাঁর প্রশংসা করি, তাহাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হিদায়াত দান করেন, কেউ তাকে বিপথগামী করিতে পারে না এবং তিনি যাকে বিপথগামী করেন, কেউ তাকে হিদায়াত দান করিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাহাঁর কোন শারীক নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাহাঁর বান্দা ও রসূল। অতঃপর বর্ণনাকারী বলেন, যিমাদ বলিলেন, আপনি এ কথাগুলি আমাকে পুনরায় শুনান। অতএব, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সে কথাগুলো তাকে তিনবার পুনরাবৃত্তি করে শুনান। বর্ণনাকারী বলেন, যিমাদ বলিল, আমি অনেক গণক, যাদুকর ও কবির কথা শুনেছি, কিন্তু আপনার এ কথাগুলোর অনুরূপ কথা আমি শুনিনি। এ কথাগুলো সমুদ্রের গভীরে পৌঁছে গেছে। বর্ণনাকারী বলেন, যিমাদ বলেন, আপনার হাত প্রসারিত করুন, আমি আপনার নিকট ইসলামের বায়আত গ্রহণ করব। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে বায়আত করালেন [ইসলাম গ্রহণ করালেন]। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃতোমার সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও কি [বায়আত প্রযোজ্য]? যিমাদ বলেন, আমার সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেও। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি ক্ষুদ্র সামরিক বাহিনী [সারিয়্যা] প্রেরণ করলে তারা তার সম্প্রদায়ের এলাকা দিয়ে অতিক্রম করে। তখন বাহিনী প্রধান সৈন্যবাহিনীকে বলেন, তোমরা কি এদের থেকে কিছু গ্রহণ করেছ? দলের একজন বলিল, আমি তাদের থেকে একটি পানি পাত্র নিয়েছি। সেনা নায়ক বলেন, তোমরা সেটি ফেরত দাও। কারণ তারা যিমাদ-এর সম্প্রদায় [তাদের কিছুই গ্রহণ করা বৈধ হইবে না। কেননা যিমাদ নিজে এবং নিজের সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বায়আত গ্রহণ করিয়াছেন]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৬]
১৮৯৪. আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আম্মার [রাদি.] আমাদের উদ্দেশে সংক্ষেপে একটি সারগর্ভ ভাষণ দিলেন। তিনি মিম্বার থেকে নামলে আমরা বললাম, হে আবুল ইয়াক্বযান! আপনি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ ভাষণ দিয়েছেন, তবে যদি তা কিছুটা দীর্ঘ করিতেন। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি: কোন ব্যক্তির দীর্ঘ নামাজ ও সংক্ষিপ্ত ভাষণ তার প্রজ্ঞার পরিচায়ক। অতএব, তোমরা নামাজকে দীর্ঘ এবং ভাষণকে সংক্ষিপ্ত কর। অবশ্যই কোন কোন ভাষণে যাদুকরি প্রভাব থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৭]
১৮৯৫. আদী ইবনি হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জনৈক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ]-এর সামনে ভাষণ দিল। সে বলিল, যে বক্তি আল্লাহ ও তাহাঁর রসূলের আনুগত্য করে সে সঠিক পথ পেল। আর যে ব্যক্তি তাদের অবাধ্যচরণ করিল, সে পথভ্রষ্ট হল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তুমি নিকৃষ্ট বক্তা, তুমি এভাবে বল, “যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা করিল ও রসূলের অবাধ্যতা করিল”। ইবনি নুমায়র বলেন, “পথভ্রষ্ট হল”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮০, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৮]
১৮৯৬. সফ্ওয়ান ইবনি ইয়ালা ইবনি উমাইয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নবী [সাঃআঃ]-কে মিম্বারের উপর থেকে পাঠ করিতে শুনলেন: “তারা চিৎকার করে বলবে, হে মালিক [জাহান্নামের দারোগা]”- [সূরাহ যুখরুফ ৪৩:৭৭]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৮৯]
১৮৯৭. আমরাহ বিনতু আবদুর রহমান [রাদি.] থেকে তার এক বোন হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জুমার দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুখ থেকে শুনে সূরাহ্ ক্বাফ মুখস্থ করেছি। তিনি প্রতি জুমার দিন মিম্বারে দাঁড়িয়ে এ সূরাহ্ পড়তেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮২, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯০]
১৮৯৮. আমরাহ্ [রাদি.] তার এক বোনের সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
যিনি তার বয়োজ্যেষ্ঠা ছিলেন। ….. সুলায়মান ইবনি বিলালের হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯১]
১৮৯৯. হারিস ইবনি নুমান [রাদি.]-এর এক কন্যা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুখ থেকে শুনেই সূরাহ ক্বাফ মুখস্থ করেছি। তিনি প্রতি জুমার খুতবায় এ সূরাহ্ পড়তেন। বর্ণনাকারী আরো বলেন, আমাদের ও রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একই রন্ধনশালা ছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯২-ক]
১৯০০. উম্মু হিশাম বিনতু হারিসাহ্ ইবনি নুমান [রাদি.]-এর জনৈকা কন্যার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, দেড়-দুই বছর যাবৎ আমাদের ও রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একই রান্না ঘর ছিল। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুখ থেকে শুনেই [ وَالْقُرْآنِ الْمَجِيدِ] সূরাটি মুখস্থ করেছি। তিনি প্রতি জুমার দিন মিম্বারে দাঁড়িয়ে জনগণের উদ্দেশে প্রদত্ত খুতবায় এ সূরাটি পড়তেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯২]
১৯০১. উমারাহ্ ইবনি রুয়াইবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বিশ্র ইবনি মারওয়ানকে মিম্বারে দাঁড়িয়ে তাহাঁর উভয় হাত উত্তোলন করিতে দেখে বলেন, আল্লাহ এ হাত দুটিকে ধ্বংস করুন। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা ব্যতীত আর কিছু দেখিনি। বর্ণনাকারী তার তর্জনী দ্বারা ইশারা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৩]
১৯০২. হুসায়ন ইবনি আবদুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি জুমার দিন বিশ্র ইবনি মারওয়ানকে তার দু হাত উপরে তুলতে দেখলাম। উমরাহ্ ইবনি রুবাইবাহ্ বলেন ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৪]
১৪. অধ্যায়ঃ ইমামের খুতবাহ প্রদানকালে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা
১৯০৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী [সাঃআঃ] জুমার দিন খুতবাহ দিচ্ছিলেন। তখন জনৈক ব্যক্তি উপস্থিত হলে নবী [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃহে অমুক! তুমি কি নামাজ আদায় করেছে? সে বলিল, না। তিনি বলেন: উঠে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর [তাহিয়্যাতুল মাসজিদ]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৫]
১৯০৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় দু রাকআত নামাজের উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৬]
১৯০৫. আম্র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন: রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুমার দিন জিজ্ঞেস করিলেন: তুমি [তাহিয়্যাতুল মাসজিদ] নামাজ আদায় করেছ? সে বলিল, না। তিনি বললেনঃওঠো এবং দু রাকআত নামাজ আদায় কর। কুতায়বার বর্ণনায় আছে, তিনি বললেনঃতুমি দু রাকআত নামাজ আদায় কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯০, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৭]
১৯০৬. আম্র ইবনি দীনার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন। নবী [সাঃআঃ] জুমার দিন মিম্বারের উপর খুতবাহ দানরত অবস্থায় জনৈক ব্যক্তি মাসজিদে এসে উপস্থিত হল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি দু রাকআত নামাজ আদায় করেছ? সে বলিল, না। তিনি বলিলেন, নামাজ আদায় কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯১, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৮]
১৯০৭. আম্র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন: রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খুতবাহ দিচ্ছিলেন। তিনি বলিলেন, তোমাদের কেউ জুমার দিনে [মাসজিদে] এলো আর তখন যদি ঈমাম [হুজ্রা থেকে] বের হয়ে থাকেন, তবে সে দু রাকআত নামাজ আদায় করে নিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯৯২, ইসলামিক সেন্টার- ১৮৯৯]
১৯০৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুমাআর দিন মিম্বারে উপবিষ্ট থাকা অবস্থায় সুলায়ক আল গাত্বাফানী মাসজিদে এসে [তাহিয়্যাতুল মাসজিদ] নামাজ আদায় করার আগেই বসে পড়ল। নবী [সাঃআঃ] তাকে বলেন: তুমি কি দু রাকআত নামাজ আদায় করেছো? সে বলিল, না। তিনি বলেন, তুমি উঠে দু রাকআত নামাজ আদায় কর।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০০]
১৯০৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জুমার দিন সুলায়ক আল গাত্বাফানী এসে উপস্থিত হল, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তখন খুতবাহ দিচ্ছিলেন। সে বসে পড়লে তিনি তাকে বলেন: হে সুলায়ক! উঠে সংক্ষেপে দু রাকআত নামাজ আদায় কর। ….. অতঃপর তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, জুমার দিন তোমাদের কেউ যখন আসে এমতাবস্থায় যে, ঈমাম খুতবাহ দিচ্ছেন তখন সে যেন সংক্ষেপে দু রাকআত নামাজ আদায় করে …..।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০১]
১৫. অধ্যায়ঃ খুত্বার মাঝে ইল্ম শিক্ষাদান সম্পর্কে।
১৯১০. আবু রিফাআহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি যখন নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট পৌঁছলাম, তখন তিনি খুতবাহ দিচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! এক আগন্তুক তার দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিতে এসেছে। সে জানে না তার দ্বীন কি? বর্ণনাকারী বলেন, একটি চেয়ার আনা হল, মনে হয় এর পায়াগুলো ছিল লোহার। বর্ণনাকারী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাতে বসে আল্লাহ তাঁকে যা শিখিয়েছেন তা আমাকে শিক্ষা দিতে লাগলেন, অতঃপর এসে তাহাঁর অবশিষ্ট খুতবাহ্ শেষ করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০২]
১৬. অধ্যায়ঃ জুমার সলাতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি পাঠ করিতেন
১৯১১. ইবনি আবু রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-কে মারওয়ান মাদীনাহ্ প্রশাসক নিয়োগ করে মাক্বায় চলে যান। আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] আমাদেরকে নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করিতেন। তিনি সুরা জুমার পর দ্বিতীয় রাকআতে [আরবী] সুরা পড়েন। [নামাজ শেষে] আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] বলেন, নিশ্চয়ই আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জুমার দিন এ সুরা দুটি পাঠ করিতে শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৩]
১৯১২. উবায়দুল্লাহ ইবনি আবু রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
মারওয়ান আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-কে প্রশাসক নিয়োগ করিলেন ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে অধস্তন বর্ণনাকারী হাতিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনায় আছে, তিনি প্রথম রাকআতে সুরা আল জুমুআহ্ এবং দ্বিতীয় রাকআতে “ইযা- জা-আকাল মুনাফিকূন” [সূরা আল মুনাফিকূন] পাঠ করেন। আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর রিওয়ায়াতে সুলায়মান ইবনি বিলাল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৪]
১৯১৩. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দু ঈদের সলাতে ও জুমার সলাতে “সাব্বিহিস্মা রব্বিকাল আলা-“ ও “হাল আতা-কা হাদীসুল গ-শিয়াহ্” সূরাদ্বয় পাঠ করিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঈদ ও জুমুআহ্ একই দিন হলেও তিনি উভয় সলাতে ঐ সূরাদ্বয় পাঠ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৫]
১৯১৪. ইব্রাহীম ইবনি মুহাম্মাদ ইবনিল মুন্তাশির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৮৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৬]
১৯১৫. উবায়দুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ[রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যহ্হাক ইবনি ক্বায়স [রাদি.] নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.]-কে চিঠি লিখে জিজ্ঞেস করিলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জুমার দিন সুরা জুমুআহ্ ব্যতীত আর কোন সুরা পাঠ করিতেন? তিনি বলেন, তিনি “হাল আতা-কা হাদীসুল গ-শিয়াহ্” সূরাহ পাঠ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০০, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৭]
১৭. অধ্যায়ঃ জুমার দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি পাঠ করিতেন
১৯১৬. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] জুমার দিন ফজরের সলাতে “আলিফ লা~ম মী~ম তান্যীলুস্ সাজ্দাহ্” [সূরাহ্ আস্ সাজদাহ্] ও “হাল আতা- আলাল ইনসা-নি হীনুম্ মিনাদ্ দাহ্রি” [সূরাহ আদ্ দাহ্র] এবং জুমার সলাতে সূরাতুল জুমুআহ ও সূরাহ্ মুনাফিকূন পাঠ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০১, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৮]
১৯১৭. সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] খেকে একই সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০২, ইসলামিক সেন্টার- ১৯০৯]
১৯১৮. মুখাও্ওয়াল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে একই সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
ঈদ ও জুমার নামাজের সূরাহ্ সম্পর্কে সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১০]
১৯১৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] জুমার দিন ফাজ্রের সলাতে “আলিফ লা~ম মী~ম তান্যীল” ও “হাল আতা-“ সূরাদ্বয় পাঠ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১১]
১৯২০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] জুমার দিন ফাজ্রের সলাতে প্রথম রাকআতে “আলিফ লা~ম মী~ম তান্যীল” [সুরা আস্ সাজদাহ্] এবং দ্বিতীয় রাকআতে “হাল আতা- আলাল ইনসা-নি হীনুম্ মিনাদ্ দাহ্রি লাম ইয়াকুন শায়আম্ মাযকূরা-” [সূরাহ আদ্ দাহ্র] সূরাদ্বয় পাঠ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১২]
১৮. অধ্যায়ঃ জুমার নামাজের পর সুন্নাত নামাজ সম্পর্কে
১৯২১. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন জুমার নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন তার পরে চার রাকআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৩]
১৯২২. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমরা জুমার নামাজের পর আরো নামাজ আদায় করলে চার রাকআত [সুন্নাত] আদায় কর। আম্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার রিওয়ায়াতে আরো বলেন, ইবনি ইদরীস বলেছেন যে, সুহায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তোমরা তাড়াহুড়ায় থাকলে মাসজিদে দু রাকআত এবং [বাড়িতে] ফিরে গিয়ে দু রাকআত আদায় করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৪]
১৯২৩. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমাদের কেউ জুমার নামাজের পর নামাজ আদায় করিতে চাইলে সে যেন চার রাকআত আদায় করে। জারীর [রাদি.]-এর রিওয়ায়াতে “তোমাদের মধ্যে কথাটুকু যুক্ত হয়নি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৫]
১৯২৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি জুমার নামাজ আদায় করে ফিরে এসে নিজ বাড়িতে দু রাকআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিতেন। তিনি পুনরায় বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাই করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯০৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৫]
১৯২৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নাফ্ল নামাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, তিনি জুমার নামাজের পর ফিরে না আসা পর্যন্ত নামাজ আদায় করিতেন না, অতঃপর নিজ বাড়িতে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন। ইয়াহ্ইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, মনে হয় আমি আদায় করেছি [বর্ণনা করেছি], তিনি নামাজ আদায় করিতেন অথবা অবশ্যই [নামাজ আদায় করিতেন]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯১০, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৭]
১৯২৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] জুমার নামাজের পর দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯১১, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৮]
১৯২৭. উমর ইবনি আত্বা ইবনি আবুল খুওয়ার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
নাফি ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাকে নামির-এর ভাগ্নে সায়িব-এর নিকট একটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করিতে পাঠান যা মুআবিয়াহ্ [রাদি.] তার নামাজের ব্যাপারে লক্ষ্য করিয়াছেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি মাক্বসূরায় দাঁড়িয়ে তাহাঁর সাথে জুমার নামাজ আদায় করলাম। ইমামের সালাম ফিরানোর পর আমি আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে [সুন্নাত] নামাজ আদায় করলাম। তিনি প্রবেশ করে আমাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি বলিলেন, তুমি যা করেছো তার পুনরাবৃত্তি করো না। তুমি জুমার নামাজ আদায় করার পর কথা না বলা পর্যন্ত অথবা বের না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত কোনরূপ নামাজ আদায় করো না। কারণ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে এরূপ নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা কথা না বলা অথবা বের হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত যেন নামাজ না আদায় করি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯১২, ইসলামিক সেন্টার- ১৯১৯]
১৯২৮. উমর ইবনি আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
নাফি ইবনি জুবায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাকে নামির-এর ভাগ্নে সায়িব ইবনি ইয়াযীদ-এর নিকট পাঠান। ….. হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বের ন্যায়। তবে তিনি বলেন: তিনি সালাম ফিরালে আমি আমার জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। এ সূত্রে ঈমাম শব্দটি যুক্ত হয়নি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৯১৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৯২০]
Leave a Reply