বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্‌ফার করা মুস্তাহাব

বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্‌ফার করা মুস্তাহাব

বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্‌ফার করা মুস্তাহাব>> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১২. অধ্যায়ঃ বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্‌ফার করা মুস্তাহাব
১৩. অধ্যায়ঃ যিক্‌র নিম্নস্বরে করা মুস্তাহাব

১২. অধ্যায়ঃ বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্‌ফার করা মুস্তাহাব

৬৭৫১। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাহাবী আগার আল মুযানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার অন্তরে কখনো কখনো অলসতা দেখা দেয়, তাই আমি দৈনিক একশ বার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৬] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

৬৭৫২। আবু বুরদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-এর সহাবা আগার [রাদি.] হইতে শুনেছি, তিনি ইবনি উমর [রাদি.]-এর নিকট হাদীস বর্ণনা করিতে গিয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ্ করো। কেননা আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদিন একশ বার তাওবাহ্ করে থাকি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৭]

৬৭৫৩। শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৮]

৬৭৫৪। আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় হওয়ার আগে তাওবাহ্ করিবে আল্লাহ তাআলা তার তাওবাহ্ কবূল করবেন। {৮}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৬৯]

{৮} কিয়ামাতের প্রাক্কালে সূর্য পশ্চিমাকাশে উদিত হইবে। পশ্চিম দিকে সূর্যোদয় হওয়ার পরে আর কারো তাওবাহ্ আল্লাহ তাআলা কবূল করবেন না।

১৩. অধ্যায়ঃ যিকর নিম্নস্বরে করা মুস্তাহাব

৬৭৫৫ : আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তখন মানুষেরা উচ্চৈঃস্বরে তাক্বীর পাঠ করিতেছিল। নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ হে মানবজাতি! তোমরা জীবনের উপর সদয় হও। কেননা তোমরা তো কোন বধির অথবা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছো না। নিশ্চয়ই তোমরা ডাকছো সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী সত্তাকে যিনি তোমাদের সাথেই আছেন। আবু মূসা [রাদি.] বলেন, আমি তাহাঁর পিছে ছিলাম। তখন আমি বলছিলাম, আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কোন ভাল কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং মন্দ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই। তখন তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, হে আবদুল্লাহ ইবনি কায়স! আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে কোন একটি গুপ্তধনের কথা জানিয়ে দিব? আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল! অতঃপর তিনি বলিলেন, তুমি বলো,

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

“লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”, অর্থাৎ- আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো [ভাল কর্মের দিকে] এগিয়ে যাওয়া এবং [খারাপ কর্ম থেকে] ফিরে আসার সামর্থ্য নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭০]

৬৭৫৬ : আসিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে তার হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭১]

৬৭৫৭ : আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তারা [সহাবাগণ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলেন এবং তারা একটি উঁচু টিলায় আরোহণ করতিছিলেন। তিনি বলেন, লোক যখনই কোন টিলার উপরে উঠত তখন উচ্চকণ্ঠে

لاَ إِلَهَ إِلاَ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

“লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার” [আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ্ নেই এবং আল্লাহ মহান]

বলত। তিনি [রাবী] বলেন, তখন নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা তো অবশ্যই কোন বধির কিংবা অনুপস্থিত সত্তাকে ডাকছো না। তিনি বলেন, এরপর নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবু মূসা অথবা হে আবদুল্লাহ ইবনি কায়স! আমি কি তোমাকে এমন এক কালিমাহ্ সম্পর্কে জানিয়ে দিব না যা জান্নাতের গুপ্তধন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! তা কি? তিনি বলিলেন,

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ (অর্থাৎ- আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার সামর্থ্য নেই)

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭২]

৬৭৫৮ : আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিকট আগমন করিলেন। এরপর তিনি তার হুবহু হাদীস উল্লেখ করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭১]

৬৭৫৯ : আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

কোন এক যুদ্ধে আমরা রসূল [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তারপর তিনি আসিম-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭৪]

৬৭৬০ : আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে কোন এক যুদ্ধাভিযানে ছিলাম। তারপর তিনি সম্পূর্ন হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি তার বর্ণনায় বলেছেন, “ঐ সত্তার শপথ, তোমরা যাকে ডাকছো তিনি তোমাদের উটের গর্দানের চেয়েও অতি নিকটবর্তী।” তবে তার হাদীসে

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ

“লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ” কথাটির উল্লেখ নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭৫]

৬৭৬১ : আবু মূসা আল আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেনঃ আমি কি তোমাকে এমন একটি কালিমাহ্ সম্পর্কে জানিয়ে দিব না যা জান্নাতের গুপ্তধন? কিংবা তিনি বলেছেন, জান্নাতের গুপ্ত ধনসমূহের মধ্য হইতে একটি গুপ্তধনের কথা কি বলব না? তখন আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি বলিলেন,

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّ

লা- হাওলা ওয়ালা- কূওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ (অর্থাৎ- [আল্লাহর সহযোগিতা ছাড়া কারো ভাল কর্ম করার এবং খারাপ কর্ম থেকে ফিরে আসার সামর্থ্য নেই)

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭৬]

৬৭৬২ : আবু বাক্‌র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট বলিলেন, আপনি আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমি আমার সলাতে দুআ করব। তিনি বলিলেন, তুমি বলো,

اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَبِيرًا

আল্ল-হুম্মা ইন্নী যলাম্তু নাফ্সী যুলমান কাবীরা (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর বড় যুল্ম করেছি)

কুতাইবাহ্ [রাদি.] বলেন,

كَثِيرًا – وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

কাসীরা, ওয়ালা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আন্তা ফাগফির্লী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনী ইন্নাকা আন্তাল গফূরুর রহীম (অর্থাৎ- অনেক। আপনি ছাড়া কেউ পাপরাশি মার্জনা করিতে পারে না। সুতরাং আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে মাফ করুন এবং আমার উপর দয়া করুন। অবশ্যই আপনি একমাত্র ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু )

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭৭]

৬৭৬৩ : আবুল খায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আবদুল্লাহ ইবনি আম্‌র ইবনিল আস [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন যে, আবু বকর সিদ্দীক [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আপনি আমাকে এমন একটি দুআ শিখিয়ে দিন যার সাহায্যে আমি আমার সলাতে ও গৃহে নিয়মিত দুআ পড়তে পারি। তারপর তিনি লায়স-এর হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তাছাড়া হাদীসে রয়েছে যে, তিনি [আরবী] বলেছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭৮]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply