কুলক্ষন , গণক, জ্যোতির্বিদ্যা, রেখা টেনে ও পাখি উড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা

কুলক্ষন , গণক, জ্যোতির্বিদ্যা, রেখা টেনে ও পাখি উড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা

কুলক্ষন , গণক, জ্যোতির্বিদ্যা, রেখা টেনে ও পাখি উড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ৩০, ভবিষ্যৎ কথন ও কুলক্ষন-সুলক্ষণ, অনুচ্ছেদঃ ২১-২৪=৩টি

অনুচ্ছেদ-২১ঃ গণক সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-২২ঃ জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-২৩ঃ মাটিতে রেখা টেনে এবং পাখি উড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা
অনুচ্ছেদ-২৪ঃ অশুভ লক্ষণ

অনুচ্ছেদ-২১ঃ গণক সম্পর্কে

৩৯০৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি গণকের নিকট গেলে [বর্ণনাকারী মূসা তার হাদিসে বলেন] এবং তার কথা বিশ্বাস করলে অথবা স্ত্রীর সাথে [ মুসাদ্দাদের বর্ণনায় রয়েছে] ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে অথবা স্ত্রীর পশ্চাৎ দ্বারে সহবাস করলে সে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, সে তা থেকে দায়মুক্ত [অর্থাৎ ইসলামের গণ্ডির বাইরে]।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২২ঃ জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে

৩৯০৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর জ্ঞান শিক্ষা করলো সে যাদু বিদ্যার একটা শাখা শিক্ষা করলো। তা যতো বৃদ্ধি পাবে যাদুবিদ্যাও ততো বাড়বে।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩৯০৬. যায়িদ ইবনি খালিদ আল-জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার সময় এক রাতে সামান্য বৃষ্টি হওয়ার পর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে নিয়ে ফাজরের সলাত আদায় করিলেন। সলাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে ফিরে বলিলেনঃ তোমরা কি জানো, তোমাদের রব কী বলিয়াছেন? তারা বলিলেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলিয়াছেন, সকালবেলা আমার বান্দাদের কেউ আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং কেউ অবিশ্বাসী হয়েছে। যে বলেছে, আল্লাহর দয়া ও রহমাতে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে, সে আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী। আর যে বলেছে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি হয়েছে, সে আমার প্রতি অবিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৩ঃ মাটিতে রেখা টেনে এবং পাখি উড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা

৩৯০৭. কাতান ইবনি কাবীসাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ পাখীর সাহায্যে ভাল-মন্দ নির্ণয় করা, কোন কিছুকে অশুভ লক্ষণ ভাবা এবং মাটিতে রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় কুফুরী। আত-তার্ক্ব হচ্ছে কংকর নিক্ষেপ করে অশুভ লক্ষণ নির্ণয় করা। আল-ইয়াফা হচ্ছে মাটিতে দাগ টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করা। {৩৯০৭}

{৩৯০৭} আহমাদ। সনদের হাইয়ান ইবনিল আলা সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাজহুল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৯০৮. আওফা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল-ইয়াফাহ হচ্ছে শুভ-অশুভ লক্ষণ নির্ণয়ের জন্য পাখী উড়ানো, এবং আত-তারক্ব হচ্ছে মাটিতে দাগ টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করা।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৩৯০৯. মুআবিয়াহ ইবনিল হাকাম আস-সুলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে কিছু লোক রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করে থাকে। তিনি বলেনঃ নাবীগনের মধ্যকার একজন নাবী রেখা টানতেন। যার রেখা টানা তাহাঁর রেখার অনুরূপ হইবে সে ঠিক আছে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৪ঃ অশুভ লক্ষণ

৩৯১০. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক, কোন বস্তুকে কুলক্ষন ভাবা শিরক। একথা তিনি তিনবার বলিলেন। আমাদের কারো মনে কিছু জাগা স্বাভাবিক, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনি তা দূর করে দিবেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯১১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ সংক্রামক রোগ বলিতে কিছু নেই। কুলক্ষণ বলিতে কিছু নেই, সফর মাসকেও অশুভ মনে করা যাবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত রয়েছে তাও অবান্তর। তখন এক বেদুঈন বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার উটের পাল অনেক সময় মরুভূমির চারন ভূমিতে থাকে, মনে হয় যেন নাদুস-নুদুস জংলী হরিণ। অতঃপর সেখানে কোন একটি চর্মরোগ আক্রান্ত উট এসে আমার সুস্থ উটগুলোর সাথে থেকে এদেরকেও চর্মরোগী বানিয়ে দেয়। তিনি বলিলেনঃ প্রথম উটটির রোগ সৃষ্টি করলো কে? মামার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিয়াছেন, অতঃপর এক ব্যক্তি আবু হুরায়রা [রাদি.] সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রোগাক্রান্ত উটকে যেন সুস্থ উটের সাথে একত্রে পানি পানের জায়গায় না আনা হয়।” আবু হুরায়রার [রাদি.] এ হাদিস শুনে এক ব্যক্তি বললো, আপনি কি এ হাদিস বর্ণনা করেননি যে, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ সংক্রামক ব্যাধি বলিতে কিছু নেই, সফর মাসকে অশুভ মনে করিবে না এবং পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত আছে তা অবান্তর?” তখন আবু হুরায়রা বলেন, না, আমি তোমাদের নিকট এরূপ হাদিস বলিনি। যুহরী বলেন, আবু সালামাহ [রাদি.] বলিয়াছেন, তিনি অবশ্যই এ হাদিস বর্ণনা করেছেন, তবে আমি আবু হুরায়রা্কে এ হাদিস ছাড়া কখনো কোন হাদিস ভুলে যেতে শুনিনি।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯১২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ ছোঁয়াচে রোগ বলিতে কিছু নেই, পেঁচা সম্পর্কে যেসব কথা প্রচলিত তা সঠিক নয়, কোন নক্ষত্রের নির্দিষ্ট তারিখে আকাশের কোন স্থানে অবস্থান করলে বৃষ্টিপাত হয় এরূপ বিশ্বাসও ঠিক নয় এবং সফর মাসকে অশুভ মনে করিবে না।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯১৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ ভূত-প্রেত নেই।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৩৯১৪. ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

ঈমাম মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে নাবী [সাঃআঃ]-এর বাণী লা সাফারা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তৎকালীন আরবের লোকেরা সফর মাসকে [যুদ্ধের জন্য] বৈধ ঘোষনা করতো। তারা উক্ত মাসকে এক বছর বৈধ এবং এক বছর নিষিদ্ধ গণ্য করতো। সেজন্য নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন সফর নেই। {৩৯১৪}

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৩৯১৫. বাক্বিয়্যাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি মুহাম্মাদ ইবনি রাশিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে নাবী [সাঃআঃ]-এর বাণী অর্থাৎ পেঁচা সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জাহিলী যুগে লোকেরা ধারনা করতো কাউকে মৃত্যুর পর দাফন করা হলে ঐ মৃত ব্যক্তি কবর থেকে পেঁচা হয়ে বেরিয়ে আসে। অতঃপর তাহাঁর বাণী অর্থাৎ সফর মাস সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলিলেন, আমরা শুনিয়াছি, জাহিলী যুগে লোকেরা সফর মাসে কোথাও যাত্রা করাকে কুলক্ষুনে মনে করতো। তাই নাবী [সাঃআঃ] সফর মাসকে অশুভ মনে করিতে নিষেধ করেন। মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] বলেন, সে যুগে কেউ যদি বলতো, সফর মাসে পেটে ব্যথা হয়। সবাই বলতো, এটা সংক্রামক। তাই তিনি বলিয়াছেনঃ সফর মাস এরূপ নয় যেরূপ তোমরা ধারনা করে থাকো।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৩৯১৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ ছোঁয়াচে রোগ নেই, কোন কিছুকে অশুভ মনে করাও ঠিক নয়। ফাল আমার নিকট প্রিয়। ফাল হলো অর্থবোধক উত্তম বাক্য।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯১৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একটি শব্দ শুনতে পেলেন। যা তাহাঁর নিকট আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি বলিলেনঃ তোমার মুখ হইতে নিঃসৃত তোমার ফাল গ্রহণ করলাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯১৮. আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা বলতো, সফর মাস পেটের ব্যাথায় মাস। আমি বলিলাম, হামা কি? তিনি বলেন, লোকেরা বলতো, হামা হলো দাফনকৃত লাশের চিৎকারকারী আত্মা। আসলে এটা মানুষের প্রেতাত্মা নয়, বরং একটি প্রাণী।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৩৯১৯. আহমাদ আল-কুরাশী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট শুভ-অশুভ লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলে তিনি বলিলেনঃ হাঁ, শুভ লক্ষণ হচ্ছে ফাল। এমন অশুভ কিছু নেই যা মুসলিমকে কোন কাজে বা কোথাও যাত্রা হইতে বিরত রাখতে পারে। তবে তোমাদের মাঝে কেউ যদি কোন অসুবিধাজনক কিছু দেখিতে পায়, তাহলে সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! আপনিই তো কল্যাণদাতা এবং আপনিই তো অকল্যাণ দূরকারী। আপনি ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই, শক্তিও নেই”। {৩৯১৯}

{৩৯১৯} বায়হাক্বী। সানাদে হাবীব ইবনি আবু সাবিত রয়েছে। তার ইরসাল ও তাদলীস প্রচুর এবং তিনি এটি আন্ আন্ শব্দে বর্ণনা করেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৯২০. আবদুল্লাহ ইবনি বুরাইদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] কোন কিছুকেই কুলক্ষণ মনে করিতেন না। তিনি কোথাও কোন কর্মচারীকে প্রেরণ করলে তার নাম জানতে চাইতেন। উক্ত নাম তাহাঁর পছন্দ হলে তিনি খুশি হইতেন এবং তাহাঁর মুখমন্ডল উজ্জ্বল দেখাতো। আর উক্ত নাম অপছন্দ হলে তাহাঁর চেহারায় অসন্তোষের ছাপ ভেসে উঠতো। তিনি কোন জনপদে প্রবেশ করলে তার নাম জিজ্ঞেস করিতেন। সেই নাম তাহাঁর পছন্দ হলে তিনি খুশী হইতেন এবং তাহাঁর চেহারা উজ্জ্বল দেখা যেতো। পক্ষান্তরে সেই নাম অপছন্দ হলে তাহাঁর চেহারায় অসন্তোষের ছাপ ভেসে উঠতো।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯২১. সাদ ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিতেনঃ পেঁচা অশুভ নয়, ছোঁয়াচে রোগ নেই এবং কোন জিনিস অশুভ হওয়া ভিত্তিহীন। যদি কোন কিছুর মধ্যে অশুভ কিছু থাকতো তহালে ঘোড়া, নারী ও বাড়ী এই তিন জিনিসের মধ্যে থাকতো।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯২২. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কুলক্ষণ যদি কিছুতে থাকতো তবে তা বাড়ি, নারী ও ঘোড়াতে থাকতো।

শায।

ঈমাম মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে ঘোড়া ও বাড়ির অশুভ হওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এমন অনেক বাড়ি আছে, যাতে কোন পরিবার বসবাস করে ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর আরেকটি পরিবার এসে বসবাস করে, তারাও ধ্বংস হয়ে যায়। আমার মতে এটা এই হাদিসের ব্যাখ্যা, তবে আল্লাহই অধিক জানেন।

সহিহ মাক্বতূ। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উমার [রাদি.] বলিয়াছেন, বন্ধ্যা নারীর চেয়ে ঘরের চাটাই বা মাদুরটি উত্তম। {৩৯২২} যয়ীফ মাওকুফ। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

৩৯২৩.ফারওয়া ইবনি মুসাইক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আরদ আব্‌য়ান নামে আমাদের একটা জমি আছে, যাতে আমরা শস্য উৎপন্ন করে থাকি, কিন্তু তা খুবই অস্বাস্থ্যকর। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ এ জমিটা ত্যাগ করো, কারণ রোগব্যধির প্রাদুর্ভূত এলাকার ধ্বংস ডেকে আনে। {৩৯২৩}

{৩৯২৩} আহমাদ। সানাদে ইয়াহইয়া ইবনি আবদুল্লাহ ও ফারওয়ার মাঝে ইনকিতা হয়েছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩৯২৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা এমন একটি বাড়িতে বসবাস করতাম যেখানে আমাদের জনবল ও ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছিল। অতঃপর আমরা স্থানান্তরিত হয়ে অন্য একটি বাড়িতে বসবাস করিতে থাকি, এখানে আমাদের জনবল ও সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে। নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা এ বাড়ি ছেড়ে দাও, স্থানটি নিন্দনীয়।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩৯২৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক কুষ্ঠ রোগীর হাত ধরে তাহাঁর সঙ্গে খাবারের পেয়ালায় তা রেখে বলিলেনঃ আল্লাহর উপর আস্থা রেখে এবং তাহাঁর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে খাও।

{৩৯২৫} তিরমিজি, ইবনি মাজাহ। সনদের মুফায্‌যাল ইবনি ফাযালাহ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ যয়ীফ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি গরীব। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply