ফাজায়েলে কালেমায়ে তাইয়্যেবা
০ পরিচ্ছেদ কুরআন মাজিদে লা ইলাহা ইল্লালাহ এর বর্ণনা
১ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লালাহ-এর (যিক্র করার) ফাযীলাত।
২ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলা
৩ পরিচ্ছেদঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর
৪ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
৫ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়াআলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বায়তা ওয়ালা মুত্বিআ লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ।
৬ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়াআলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ দ্বীন ওয়ালাও কারিহাল কফিরুন। আহলুন নিআমি ওয়াল ফাদলি, ওয়াস সানায়িল হুসনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুল দ্বীন ওয়ালাও কারিহাল কাফিরুন।
৭ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ লা নাবুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন নিমাতু
৮ পরিচ্ছেদঃ আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু
০ পরিচ্ছেদ কুরআন মাজিদে লা ইলাহা ইল্লালাহ এর বর্ণনা
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَيُّ ٱلۡقَيُّومُ
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত ধারক।
[সূরা আল ইমরান ৩, আয়াত ২]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
شَهِدَ ٱللَّهُ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَأُوْلُواْ ٱلۡعِلۡمِ قَآئِمَۢا بِٱلۡقِسۡطِۚ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ
আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন, নিশ্চয় তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বুদ নেই এবং ফিরেশতাগণ ও ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়’।
[সুরা ইবরাহীম ৩, আয়াত: ১৮]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
أَلَمۡ تَرَ كَيۡفَ ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلٗا كَلِمَةٗ طَيِّبَةٗ كَشَجَرَةٖ طَيِّبَةٍ أَصۡلُهَا ثَابِتٞ وَفَرۡعُهَا فِي ٱلسَّمَآءِ
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ কীভাবে উপমা পেশ করেছেন? কালিমা তাইয়েবা, যা একটি ভাল বৃক্ষের ন্যায়, যার মূল সুস্থির আর শাখা-প্রশাখা আকাশে।
[সুরা ইবরাহীম ১৪ আয়াত ২৪]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡعَظِيمِ۩ ٢٦
আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই। তিনি মহা আরশের রব।
[সুরা নামল ২৭ আয়াত ৫৬]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِيٓ إِلَيۡهِ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعۡبُدُونِ
“আমরা তোমার পূর্বে যে রাসূলই প্রেরণ করেছি তাঁর নিকট এই প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছি যে, আমি ছাড়া অন্য কোনো সত্য মা‘বুদ নেই অতএব তোমরা আমারই ইবাদত কর’।
[সূরা আল-আম্বিয়া ২১, আয়াত: ২৫]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يُنَزِّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةَ بِٱلرُّوحِ مِنۡ أَمۡرِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦٓ أَنۡ أَنذِرُوٓاْ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱتَّقُونِ
“তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় নির্দেশে রূহ (ওহী) সহ ফিরিশতা প্রেরণ করেন এই বলে যে, তোমরা সতর্ক কর যে, আমি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বুদ নেই। অতএব, তোমরা আমাকেই ভয় কর”।
[সূরা আন-নাহল ১৬, আয়াত: ২]
১ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লালাহ-এর (যিক্র করার) ফাযীলাত।
আব হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন বান্দা খালেস মনে
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ
বলবে, অবশ্যই তার জন্য জান্নাতের দরজাগুলো খোলা হবে, যতক্ষণ না তা আল্লাহর আরশে না পৌঁছে, তবে যদি সে কাবীরাহ্ গুনাহ হইতে বিরত থাকে।
ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের ফাজায়েলে কালেমা অধ্যায়ের তৃতীয় পরিচ্ছেদের ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১১,১২,১৩,১৫,১৬,১৭,১৯,২১,২২,২৩,২৪,২৫,২৭,২৮,৩০,৩১,৩২,৩৩,৩৮,৩৯,৪০ নং হাদিস ইহা উল্লেখ করেছেন
মিসকাত-২৩১৪ [তিরমিজি; তিনি বলেন, হাদিসটি গরীব]{১}, {১} হাসান : তিরমিজি ৩৫৯০, সহীহ আস সগীর ৫৬৪৮, সহীহ আত তারগীব ১৫২৪। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একদিন মূসা [আঃ] বললেন, হে রব! আমাকে এমন একটি কালাম বা বাক্য শিখিয়ে দাও, যা দিয়ে আমি তোমার জিকির করিতে পারি। অথবা তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, তোমার কাছে দুআ করিতে পারি। তখন আল্লাহ তাআলা বললেনঃ হে মূসা! তুমি বলো,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ।
তখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, হে রব! তোমার প্রত্যেক বান্দাই তো এটা [কালিমা] বলে থাকে। আমি তো তোমার কাছে আমার জন্য একটি বিশেষ কালিমা চাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা তখন বললেন, হে মূসা! সাত আকাশ ও আমি ছাড়া এর সকল অধিবাসী এবং সাত জমিন যদি এক পাল্লায় রাখা হয়, আর লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ অন্য পাল্লায় রাখা হয়, তবে অবশ্যই লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ-এর পাল্লা ভারী হবে।
ফায়দাঃ মিসকাত – ২৩০৯ [শারহুস্ সুন্নাহ্]{১}, {১} জইফ : শারহুস্ সুন্নাহ ১২৭৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৯৩৬, জইফ আত তারগীব ৯২৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস, হাকেম বলেন, হাদীসটি সহীহ
উম্মু হানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ [বান্দার] কোন আমলই
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” -কে অতিক্রম করিতে পারে না এবং তা কোন গুনাহকেই মাফ না করিয়ে ছাড়ে না। {৩১২৯}
ইবনি মাজাহ ৩৭৯৭ {৩১২৯} হাদিসটি ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন।তাখরিজু কালিমাতুল ইখলাস ৫৬ নং পৃষ্ঠা। জিকিরের ফজিলত -এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বোত্তম জিকির হলো,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ
লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ আর সর্বোত্তম দুআ হলো,
الْحَمْدُ لِلّٰهِ
আলহামদুলিল্লা-হ।
ফায়দাঃ ইবনি মাজাহ এই হাদিসটির অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “প্রশংসাকারীদের ফজিলত” [ইবনি মাজাহ ৩৮০০ {৩১৩২} তিরমিজী ৩৩৮৩।১৪৯৭,মিশকাত ২৩০৬। আত তালীকুর রাগীব ২/২২৯।]
মিসকাত -২৩০৬, [তিরমিজি, ইবনি মাজাহ]{১}, {১} হাসান : তিরমিজি ৩৩৮৩, ইবনি মাজাহ ৩৮০০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮৩৪, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ১৩৭, শুআবুল ঈমান ৪০৬১, ইবনি হিববান ৮৪৬, সহীহাহ্ ১৪৯৭, সহীহ আত তারগীব ১৫২৬, সহীহ আল জামি ১১০৫ . এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ এর স্বীকৃতি দান করল এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য সব উপাস্যকে অস্বীকার করল, তার ধন- সম্পদ ও জীবন নিরাপদ হল এবং তার কৃতকর্মের হিসাব আল্লাহর ওপর বর্তাল”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে ইয়ামানে ইসলামের দাওয়াতের জন্য পাঠান তখন তাঁকে বলেন,
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩।
“তুমি আহলে কিতাবের নিকট যাচ্ছ, অতএব সর্বপ্রথম তাদেরকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর সাক্ষ্য দান করার জন্য আহ্বান করবে”
সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৩৪৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯।
২ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলা
আবু মূসা আল আশআরী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নাবী সাঃআঃ একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা বর্ণনাকারী বলেন, একটি চূড়া হয়ে যাচ্ছিলেন, যখন তার উপর উঠলেন তখন এক ব্যক্তি উচ্চকণ্ঠে বলিল,
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।, অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, ও আল্লাহ মহান
إِلاَّ | إِلٰهَ | لاَ |
ব্যতীত | ইলাহ | নেই |
أَكْبَرُ | وَاللهُ | اللهُ |
মহান | ও আল্লাহ | আল্লাহ |
বর্ণনাকারী বলেনঃ তখন রাসুল সাঃআঃ তাহাঁর খচ্চরের উপরে ছিলেন। তখন নাবী সাঃআঃ বলিলেন, তোমরা তো কোন বধির কিংবা কোন অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। তারপর তিনি বললেনঃ হে আবু মূসা, অথবা বললেনঃ হে আবদুল্লাহ। আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধন ভান্ডারের একটি বাক্য বলে দেব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, বলে দিন। তিনি বললেনঃ তা হচ্ছে
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
উচ্চারণঃ লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ, অর্থঃ আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই।
ফায়দাঃ ইমাম বুখারী, সহীহ বুখারী শরিফে এই হাদিসটির অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলা”। সহীহ বুখারী-৬৪০৯ [২৯৯২] আঃপ্রঃ- ৫৯৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫৪)
ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে উপরের হাদিসটি আবু মূসা এর সুত্রে হুবুহু বর্ণনা করেছেন এবং অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “যিকর নিম্নস্বরে করা মুস্তাহাব”। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৭২]
আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পৃথিবীর বক্ষে যে লোকই বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবারু ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, অর্থঃ আল্লাহু তাআলা ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, আল্লাহ সুমহান, খারাপকে রোধ করা এবং কল্যাণকে লাভ করার শক্তি আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কারো নেই),
তার অপরাধগুলো মাফ করা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির ন্যায় [বেশি] হয়।
ফায়দাঃ ইমাম তিরমিজি, জামে আত তিরমিজি শরিফে, আবু হুরাইয়া [রাদি.] হইতে এর একই হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিরমিজি-৩৪৬০, হাসানঃ তালীকুর রাগীব [হাঃ ২/২৪৯]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৩ পরিচ্ছেদঃ লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিনের মধ্যে একশবার পড়বে
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। অর্থঃআল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সকল প্রশংসা তাহাঁর জন্য। তিনিই প্রান দান করেন এবং মৃত্যু দেন। সকল কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান
إِلَّا | إِلٰهَ | لَا |
ছাড়া | মাবূদ | নেই |
لَا | وَحْدَه | اللّٰهُ |
নেই | এবং তিনি একক | আল্লাহ |
لَهُ | لَه | شَرِيْكَ |
তাহাঁরই | নেই | শারীক |
الْحَمْدُ | وَلَهُ | الْمُلْكُ |
প্রশংসা | তাহাঁরই | রাজত্ব |
يُمِيتُ | وَ | يُحْيِي |
মৃত্যু দেন | এবং | প্রান দান করেন |
كُلِّ | عَلٰى | وَهُوَ |
সকল | উপর | এবং তিনি |
قَدِيرٌ | شَىْءٍ | |
ক্ষমতাবান | বিষয়ের |
সে একশ গোলাম মুক্ত করার সাওয়াব লাভ করিবে এবং তার জন্য একশটি নেকী লেখা হইবে, আর তার একশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হইবে। আর সে দিন সন্ধ্যা অবধি এটা তার জন্য রক্ষাকবচ হইবে এবং তার চেয়ে অধিক ফাযীলাতপূর্ণ আমাল আর কারো হইবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া যে ব্যক্তি এ আমল তার চেয়েও অধিক করিবে।
ফায়দাঃ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি তার ফাজায়েলে আমল কিতাবের ফাজায়েলে জিকির অধ্যায়ের ১৯,৩৩ নং হাদিসে এবং ফাজায়েলে কালিমা অধ্যায়ের ৩ নং পরিচ্ছেদে ৩৪ নং হাদিসে ইহা উল্লেখ করেছেন
ইমাম বুখারী তার সহীহ বুখারী শরিফে এই হাদিসটির অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “লা ইলাহা ইল্লালাহ-এর (যিক্র করার) ফাযীলাত”। ৬৪০৩, আঃপ্রঃ ৫৯৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৮৪৮। ইমাম বুখারী তার সহীহ বুখারী শরিফের ৬৪০৪ নং হাদীসে একই অধ্যায়ে আমর ইবনু মাইমুন (রাদি.) এর বর্ণনায় বলেছেন “নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে লোক (এ কথাগুলো) দশবার পড়বে সে ঐ লোকের সমান হয়ে যাবে, সে লোক ইসমাঈল (আঃ) -এর বংশ থেকে একটা গোলাম মুক্ত করে দিয়েছে।”। (আঃপ্রঃ- ৫৯৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৯)
ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে উপরোক্ত হাদিসের অনুরুপ ২ টি হাদীস আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] এর সুত্রে বর্ণনা করেছেন এবং অধ্যায়ের নামকরন করেছেন “তাহলীল [ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলা], তাসবীহ্ [সুবহা-নাল্লা-হ বলা] ও দুআর ফযিলত” ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫০] ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমে একই অধ্যায়ে আমর ইবনি মাইমূন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর বর্ণনা সুত্রে বলেছেন যে ব্যক্তি দশবার উপরের তাসবিহ পাঠ করিবে সে যেন ইসমাঈল [আঃ]-এর বংশের চারজন গোলামকে মুক্তি করে দিলেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬০০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৬৫২]
রুকন আল-দীন মুহিউস সুন্নাহ তার মিসকাতুল মাসাবিহ শরিফে, আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর বর্ণনায় উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং পরিচ্ছেদের নামকরন করেছেন “”। মিসকাত-২৩০২, মুয়াত্ত্বা মালিক ৭১২, তিরমিজি ৩৪৬৮, ইবনি মাজাহ ৩৭৯৮, আহমাদ ৮০০৮, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৬, সহীহ আত তারগীব ৬৫৪, সহীহ আল জামি ৬৪৩৭। হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
ইমাম তিরমিজি তার জামে আত তিরমিজি শরিফে, আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর বর্ণনায় এই হাদিসটির পরিচ্ছেদের নামকরন করেছেন “”। তবে উহয়ি ওয়া ইউমিতু অংশটি বৃদ্ধি করেছেন। এখানে ৩ বার করে বলার
ইমাম তিরমিজি তার জামে আত তিরমিজি শরিফে, আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর বর্ণনায় এই হাদিসটির পরিচ্ছেদের নামকরন করেছেন “”। তবে উহয়ি ওয়া ইউমিতু অংশটি বৃদ্ধি করেছেন। এখানে ৩ বার করে বলার কথা আছে।
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
তিরমিজি-৩৪৬৮, “প্রান দান করেন এবং মৃত্যু দেন” এই অংশ ব্যতিত হাদীসটি সাহীহঃ আল – কালিমুত তাইয়্যিব তাহকীক সানি পৃষ্ঠা [২৬]
একই সানাদ সুত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত আছেঃ “যে লোক একশতবার “সুবাহানাল্লহি ওয়াবিহামদিহী” বলে তার গুনাহসমুহ ক্ষমা করা হয় তা সাগরের ফেনারাশির চেয়ে বেশি হলেও। সহীহঃ এটা [৩৪৬৬] নও হাদীসের পুনরুক্তি । আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
আবু হুরাইরাহ ও আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরাইরাহ ও আবু সাঈদ [রাদি.] সাক্ষ্য দেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বান্দা যখন
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর” [আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই, আল্লাহ মহান]
বলেন, তখন মহান আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নাই এবং আমিই মহান। বান্দা যখন বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু” [আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই, তিনি এক],
তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে, আমি একা ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নাই। বান্দা যখন বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লা শারীকা লাহু” [আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই, তাহাঁর কোনো শরীক নাই],
তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নাই এবং আমার কোনো শরীক নাই। বান্দা যখন বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু” [আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক এবং সকল প্রশংসা তাহাঁর],
তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে, আমি ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই, সার্বভৌমত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমারই। যখন সে বলে, “
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” [আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নাই, আল্লাহ ভিন্ন ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ হাসিলের কোনো শক্তি নাই],
তখন তিনি বলেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে। আমি ছাড়া কোনো ইলাহ নাই এবং আমি ভিন্ন ক্ষতি রোধ করার এবং কল্যাণ হাসিলের কোনো শক্তি নাই। আবু ইসহাক [রাদি.] বলেন, আল-আগার [রাদি.] আরও কিছু বলেছিলেন, যা আমি হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিনি। তাই আমি আবু জাফর [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করলাম যেibতিনি কি বলেছিলেন? তিনি বলেন, আল্লাহ যাকে মৃত্যুর সময় এই বাক্য বলার সৌভাগ্য দান করবেন, জাহান্নামের আগুন তাহাকে স্পর্শ করিতে পারবে না। {৩১২৬}
ইবনে মাজাহ এই হাদিসটির অধ্যায়ের নামকরন করেছেন ““লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর ফজিলত”। (ইবনে মাজাহ ৩৭৯৪)। ৩১২৬.তিরমিজি ৩৪৩০। আত তালিকুর রাগীব ৪/১৬৫।সহিহাহ ১৩৯০।উক্ত হাদিসের রাবি হামজাহ আয যায়্যাত সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল আযাদী বলেন,তিনি সত্যবাদী তবে তাহার স্মৃতিশক্তি দুর্বল।আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ।ইবনি আজার আল-আসকালনী বলেন,তিনি সত্যবাদী তবে কখনো কখনো হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন।যাকারিয়্যা বিন ইয়াহহিয়া আস সাজী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তাহার স্মৃতি শক্তি দুর্বল। ইয়াহহিয়া বিন মাঈন তাহাকে সিকাহ বলেন।।[তাহযিবুল কামালঃ রাবী নং ১৫০১,৭/৩১৪ নং পৃষ্ঠা ] জিকিরের ফজিলত -এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
রুকন আল-দীন মুহিউস সুন্নাহ আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] ও আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর বর্ণনায় একই হাদীস সঙ্কলন করেছেন। মিসকাত -২৩১০ [তিরমিজি, , {১} সহীহ লিগয়রিহী : তিরমিজি ৩৪৩০, সহীহ আত তারগীব ৩৪৮১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়াআলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বায়তা ওয়ালা মুত্বিআ লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ।
মুগীরাহ ইবনি শুবাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নামাজের সালাম ফিরানোর পর কোন দুআ পাঠ করতেন তা জানার জন্য মুআবিয়াহ (রাঃআঃ) মুগীরাহ ইবনি শুবাহর কাছে পত্র লিখলেন। অতঃপর মুগীরাহ (রাঃআঃ) মুআবিয়াহর (রাঃআঃ) নিকট পত্রের জবাব লিখে পাঠালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিতেন
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়াআলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বায়তা ওয়ালা মুত্বিআ লিমা মানাতা ওয়ালা ইয়ানফাউ যাল জাদ্দু মিনকাল জাদ্দ। অর্থঃআল্লাহ তাআলা ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সকল প্রশংসা তাহাঁর জন্য। তিনিই প্রান দান করেন এবং মৃত্যু দেন। সকল কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান।
مَانِعَ | لاَ | اللَّهُمَّ |
وَلاَ | أَعْطَيْتَ | لِمَا |
مَنَعْتَ | لِمَا | مُعْطِيَ |
ذَا | يَنْفَعُ | وَلاَ |
الْجَدُّ | مِنْكَ | الْجَدِّ |
ফায়দাঃ ইমাম আবুদ দাউদ তার সুনানু আবু দাউদ শরিফে মুগীরাহ ইবনি শুবাহ (রাঃআঃ) হইতে তার পিতার বর্ণনায় এই হাদিসটির অনুচ্ছেদের নামকরন করেছেন “নামাজে সালাম ফিরানোর পর কি পড়বে” । আবু দাউদ-১৫০৫ সহিহঃ মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
বুখারী ৮৪৪
তিরমিজি ৩৪৭৪
৭ পরিচ্ছেদঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ লা নাবুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন নিমাতু
আবুয-যুবাইর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,আব্দুল্লাহ ইবনিয যুবাইর (রাঃআঃ) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ , অর্থঃ
পাঠ করতেন। অতঃপর উপরোক্ত দুআর অনুরূপ। আরো বৃদ্ধি করেনঃ
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ لاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ লা নাবুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন নিমাতু
إِلاَّ | نَعْبُدُ | لاَ |
النِّعْمَةُ | لَهُ | إِيَّاهُ |
অতঃপর অবশিষ্ট হাদিস বর্ণনা করেন।
ফায়দাঃ ইমাম আবুদ দাউদ তার সুনানু আবু দাউদ শরিফে মুআবুয-যুবাইর (রাঃআঃ) হইতে তার পিতার বর্ণনায় এই হাদিসটির অনুচ্ছেদের নামকরন করেছেন “নামাজে সালাম ফিরানোর পর কি পড়বে”। আবু দাউদ-১৫০৭, সহিহ ঃ মুসলিম। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply