আল ফিকহুল আকবর
লেখক : ইমাম আবু হানিফা
জন্মঃ ইরাক
ম্রিত্তুঃ ১৫০ হিঃ
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
বিষয় : ঈমান ও আকীদা
আল ফিকহুল আকবর-আস (সুন্নাহ পাবলিকেশন্স) = ৩২০৳ |
আল ফিকহুল আকবর ঃ তাওহীদের ভিত্তি এবং যার উপর ইতিক্ন্দের (বিশ্বাস) বিশুদ্ধতা অপরিহার্য, তা হলো, মুসলমানগণ এ বলে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করা যে, “আমি ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর, তাঁর ফিরিস্তাদের উপর, তাঁর কিতাবসমুহের উপর, তাঁর রাসুলগণের উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, মৃত্যুর পর জীবিত হওয়ার উপর, আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে (নির্ধারিত) ভাল-মন্দের উপর, হিসেব-নিকেশ, মীজান এবং জান্নাত-জাহান্নামের উপর ।” এসবগুলো অবশ্যই সত্য ৷ তিনি এক ও অদ্বিতীয় ৷ তিনি (আল্লাহ) একজন হওয়া গণনার ভিত্তিতে নয়, বরং এ ভিত্তিতে যে, তাঁর কোন শরীক নেই। আল্লাহ্ তায়ালা ইরসাদ করেন,
অর্থাৎ্ঃ “হে নবীবর (দঃ)! আপনি বলুন, আল্লাহ এক, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি কাউকে জন দেননি, আর না তাঁকে কেউ জনা দিয়েছে। তাঁর সমতুল্য ও সমকক্ষ কেউ নেই (হওয়া অসন্তব)।”
সৃষ্টি জগতে আল্লাহ তায়ালা কোন বন্তুর ন্যায় নয়, আর না৷ তাঁর সৃষ্টিতে কোন বন্তু তাঁর ন্যায় হতে পারে। তিনি স্বীয় পবিভ্রতম সত্ত্বা ও কর্মণত নাম এবং গুণাবলী সহকারে চিরকাল থেকে ছিলেন আর চিরকাল থাকবেন। তাঁর সত্তাগত গুণাবলী হায়াত অর্থাৎ চিরকাল জীবিত থাকা, কুদ্রত অর্থাৎ প্রত্যেক বস্তুর উপর শক্তিমান হওয়া, ইল্ম (সব কিছু জ্ঞাত হওয়া), তাঁর পবিভ্রতম কালাম (বাণী), শ্রবণ শক্তি গুণাবলী ।
তাঁর (সিফাতে ফে’লী) কর্মগত গুণাবলীর : মধ্যে তখলীক (সৃষ্টি করা), তারজীকৃ (সবাইকে জীবিকা প্রদান করা), ইন্শা, ইবদা”, সন্য়া” ইত্যাদি অন্তরভুক্ত।.(ইনৃশা, ইবদা’ ও সন্য়া’ শব্দত্রয়ের অর্থ হলো,মূল থেকেইএমন নতুন বসতু আবিস্কার করা ইতিপূর্বে যার কোন অস্তিতু ছিলো না।) তাঁর আরো অনেক কর্মগত. গুণাবলী রয়েছে।
আর তিনি নিজ শক্তিবলে শক্তিমান ।তিনি স্বীয় কর্মসহকারে কর্তা । আর “কর্ম’ হলো তাঁর অনন্তকালীন ও চিরন্তন গুণ (আযলী সিফাত), ‘কর্তা” হলেন স্বয়ং আল্লাহ্ তায়ালাই, আর ক্রিয়ার কর্ম (মাফ’উল) অর্থাৎ কর্তার সৃষ্টবস্তু হলো মাখলুক। আর আল্লাহ তায়ালার কর্ম মাখলুক (সৃষ্টি) নয়। তাঁর পবিত্রতম, মহান সিফাত না নব আবিষ্কৃত, আর না তা সৃষ্টি। সুতরাং যারা এ উক্তি করে যে, “আল্লাহ তায়ালার গুণাবলী মাখলুক অথবা ধ্বংসশীল কিংবা তাতে নিশ্ুপতা অবলম্বন করে অথবা সন্দেহ পোষণ করে তাহলে তারা নাস্তিক ও কাফির” ।
কুরআন করীম আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালাম । মাসহাফে লিখিত, বক্ষসমূহে সংরক্ষিত, যা মানুষের মুখে অসংখ্যবার পাঠ করা হয় এবং তু নবী ক্রীম দে)-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর আমাদের এ শব্দাবলী যারা আমরা কুরআন আদায় করে থাকি তাহলো মাখলুক। আর আমাদের এ লিখা যদ্বারা আমরা কুরআনের (শব্দ) লিখি তাও মাখলুক । আর এ কুরআন করীম, যা আল্লাহর কালাম তা মাখলুক নয়।
আর কুরআন করীমে হযরত মুসা (আঃ) অথবা অন্যান্য আব্িয়া আলায়হিমুস সালাম-এর যেসব ইতিহাস ও কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে এ ং ফেরআউন ও মালউন ইবলিসের যে ঘটনাসমূহ ব্যক্ত হয়েছে, এ সকল _ বাণী আল্লাহ তায়ালার কালাম, যার সংবাদ আল্লাহ তায়ালা নিজ পক্ষ থেকে দিয়েছেন । আল্লাহ্ তায়ালার কালামতো অবশ্যই মাখলুক নয় । কিন্তু হযরত মুসা (আঃ) ও অন্যান্য সকল সৃষ্টির কথা মাখলুক। কেননা, কুরআন করীম আল্লাহ তায়ালার কালাম । সুতরাং তা ব্বাদীম (ধ্বংসহীন), আর না তা সৃষ্টির কথা (যা ধ্বংসশীল)।
হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার কালাম শ্রবণ করেছেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ ফরমান-
(ওয়াকাল্লামাল্লাহু মুসা তাকলীমা’) অর্থাৎ আল্লাহ্ তায়ালা মুসার সাথে কথা বলেছেন। নিঃসন্দেহে
আল্লাহ তায়ালা কালামকারী ছিলেন, অতচ্ হযরত মুসা আলায়হিস সালাম তখনও কথা বলছিলেন না। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা চিরকাল থেকে সৃষ্টিকর্তা পছিলেন। আর কোন বস্তু তাঁর ন্যায় নেই। তিনি র্বদষ্টা ও সর্বশ্রোতা। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা যখন হযরত মুসা (আঃ)-এর সাথে কালাম করেছেন, তখন তিনি তাঁকে এ কালাম ছারা মহিমাৰিত করেছেন, যা তাঁর চিরকালীন গুণ ছিলো, আর এ অবস্থা তার অন্যান্য সকল গুণাবলীরও, যা মাখলুকের গুণাবলীর বিপরীত যা হাদিস, ধ্বংসশীল ও মাখলুক ।
আল্লাহ তায়ালা জ্ঞানময় ও বিজ্ঞ। কিন্তু তাঁর জ্ঞান আমাদের জ্ঞানের ন্যায় নয়। তিনি শক্তি রাখেন, আমাদের শক্তির ন্যায় নয়। তিনি দেখেন, কিন্তু ভা আমাদের দেখার ন্যায় নয়। তিনি শ্রবণ করেন কিন্তু তা আমাদের শ্রাবণের ন্যায় নয়। ভিনি বাক্যালাপ করেন, কিন্তু ভা আমাদের কথা-বার্তার ন্যায় নয়। কেননা, আমরা যয্ত্রাতি তথা জ্ঞান, মুখ এবং অক্ষরসমূহ ইত্যাদি ছারা কথা বলে থাকি কিনতু আল্লাহ তায়ালা সাজ-সরঞ্জাম ও অক্ষর ঘারা কালাম (করা থেকে পবিত্র) করেন না। কেননা, সকল অক্ষর মাখলুক আর আল্লাহ তায়ালার বাণী মাথলুক নয়। আঁরাহ তায়ালার পবিব্রতম জাত হলো ৬০৪ শাঈ’ বেস), কিনতু তা কোন মাখলুকের বস্তুর ন্যায় নয়। আর ‘শাঈ’ অর্থ হলো (ওজুদ) অন্তিত্ব। তার অন্তিতবের জন্য না কোন শরীরের প্রয়োজন, আর না জাওহার (১২১৯) ও আরজ (১৯১০), না তাঁর কোন সীমা রয়েছে, না কোন গ্রতিতবন্থী। আর না তাঁর কোন শরীক ও অনুরূপ দৃষ্টান্ত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালার হাত, চেহারা ও আত্মা (নাফস) রয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা কুরআনে করীমে ইরশাদ করেছেন। সুতরাং কুরআন করীমে আল্লাহ তায়ালা হাত, চেহারা ও আত্মার উল্লেখ করেছেন, তা তাঁর আকৃতিবিহীন শুণাবলী। এটা ও বলা যাবেনা যে, হাভ দ্বারা তাঁর কুদরত অথবা নি’মাতই উদ্দেশ্য। এ কারণে যে, এমনি বলার দ্বারা সিফাত বাতিল হয়ে যায়। এটা কদরিয়া ও মুতাজিলা সম্্রদায়ের বনবয। কিন্তু হাত তাঁর এমন একটি গুণ যার হাবীক্ত-মূলতন্ত ও রহস্য সম্পর্কে আমরা অনবহিত। টুগযব ও সতুষ্টি আল্লাহ তায়ালার আকৃতিহীন দু’টি গুণাবলী। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বনু সৃষ্টি করেছেন। আর এ সৃষ্টি করা কোন বস্তু থেকে নয়। আল্লাহ ব্তায়ালা অনন্তকালে আজল) সকল বনু সৃষ্টি করার পূর্বে এসব কিছু সম্পর্ক জানী ছিলেন। তাঁর পৰি্রতম সন্ত আল্লাহ) সকল বনুতে স্বীয় শক্ত . প্রয়োগ করে তাতে নিজ নির্দেশ জারী করেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতে এমন কোন বস্তু নেই যা তাঁর ইচ্ছা জ্ঞান এবং তীর কথার তাকুদীর এবং লাওহ-ই হজে পিখর বাইরে হবে। কিছু লাওহই মাহে তা লিপিনধ করা গুণ ‘সহকারেই, হুকুম সহকারে নয়।
? ভাগ্য, নিয়তি ও ইচ্ছা ইত্যাদি তাঁর আকৃতিবিহীন অনন্তকালীন ও স্থায়ী ২ গুণাবলী। আর আল্লাহ তায়ালা অস্তিত্বহীন ও সৃষ্টিহীন বস্তুকে | হবে যখন তিনি তা সৃষ্টি করবেন। আল্লাহ্ তায়ালা প্রতিটি অস্তিত্বময় বন্ধু. সম্পর্কে সম্যক অবগত যখন তা নিজ অস্তিত্ব সহকারে সৃষ্টি ও অস্তিত্ব লাভ করবে । আর জ্ঞাত আছেন তা কিভাবে ধ্বংস হবে। (আল্লাহ তায়ালা দণ্ডায়মান তল জনাব ক করম দান তা জনন আতা চ্ সে বসে, তবন তার অবস্থা বসা অবস্থায় জ্ঞাত হন। এটা ব্যতীত যে, তাঁর জ্ঞান পরিবর্তন হয় অথবা নতুন ধ্বংসশীল জ্ঞান তাঁর হাসিল হয়। কেননা, .. পরিবর্তন-পরিবর্ধন, মতানৈকা-মতবিরোধ ধ্বংসশীল সৃষ্টিরই বৈশিষ্ট্য এবং তা ? সৃষ্টিতেই হয়ে থাকে “ষ্টার জ্ঞানে নয়)।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মাখলুককে কুফর ও ঈমান থেকে সুষ্ঠুরূপে সৃষ্টি ঁ করেছেন, অতঃপর এগুলোকে উদ্দেশ্য করে নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিষেধ করেছেন। সুতরাং কাফির নিজ কর্ম, অস্বীকার এবং সত্য থেকে বিসুখ হওয়ার কারণে কাফির হিসেবে পরিগণিত। তাদের এ কুফর (অবাধ্যতা) আল্রাহ তায়ালাকে ত্যাগ করার কারণেই ।
আর মুমিন ও মুসলমান নিজ কর্ম, স্বীকৃতি ও সত্যকে থুহণের নিমিত্ত ঈমানদার হয়েছে। এ ঈমান আল্লাহ তায়ালার তাওফীক ূ এবং তার জন্য তর সাহায্যের কারণে নসিব হয়েছে।
আল্লাহ ভায়ালা আদমের (আঃ) বংশধরদের তাঁর পিষ্ঠ থেকে সন্তানের ্ আকৃতিতে বের করে জ্ঞানবান ও বোধশকতি সম্পন্ন হিসেবে তৈরি করেছেন। হু অতঃপর সম্বোধন করে তাঁদের ঈমান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কুফর থেকে শা পাতা নিষেধ করেছেন। তখন সকলেই তাঁর রাবুবিয়্যতের [্রভৃতু) স্বীকার করেছেন।
এ ভিত্তিতে আদমের বংশধরদের থেকে কতেক (লোক) ঈমানদার হয়েছে। অতঃপর তারা এ ঈমানী ফিতরাতের [স্বাভাবিকতু) উপর সৃষ্টি হতে লাগলো । এরপর যারা কুফর করেছে তারা ঈমানী ফিতরাতে পরিবর্তন সাধন করেছে।
আর যারা ঈমান গ্রহণ করেছে এবং স্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে, তারা তাতে সুদৃঢ় ও চিরস্থায়ী থেকেছে।
আর আল্লাহ্ তায়ালা কাউকে ঈমান ও কুফরের উপর শক্তি প্রয়োগ করেন না। আর তিনি সৃষ্টিগতভাবে কাউকে মুমিন-কাফির হিসেবেও সৃষ্টি করেননি । কিন্তু তিনি তাদের নিষ্ঠাবান মানুষরূপে সৃষ্টি করেছেন।
ইমান ও কুফুরি বান্দাদেরই কর্ম । আল্লাহ্ তায়ালা ভালভাবেই জানেন যে, নিজ কুফর অবস্থায় কোন্ বান্দা কুফর করছে। এরপর বান্দা যখন ঈমান গ্রহণ করে, তখন সে তার ঈমানের অবস্থা জেনে নেয় এবং তা অটুটও, রাখে। কিন্তু তার জ্ঞান ও গুণে কোন পরিবর্তন সাধিত হয় না।
বান্দার সকল কর্ম, নড়াচড়া ও নীরবতা এবং ভার সকল উপার্জন সৃষ্টিকারী মূলতঃ আল্লাহ্ তায়ালা । এসবই তাঁর ইচ্ছা, জ্ঞান, ভাগ্য এবং নিয়তির অন্তর্ভূক্ত । আর প্রত্যেক পূণ্য আল্লাহ্ তায়ালার হুকুম, তাঁর মহববত ও সন্তুষ্টি, জ্ঞান ও ইচ্ছা এবং তাঁর নিয়তি (তাকুদীর) ছারা প্রমাণিত। আর কুকর্ম সমূহও তাঁর জ্ঞান, নিয়তি এবং ইচ্ছার মধ্যে গণ্য । তাঁর মহব্বত, সন্তুষ্টি এবং নির্দেশ এগুলোর সাথে সম্পর্কিত নয়।
সকল আই্বিয়া কিরাম আলায়হিমুস সালাম কবীরা, সশীরা, কুফর এবং সব ধরণের দোষ-ত্র্টি থেকে সম্পূর্ণ পাক-সাফ ও পবিত্র। সকলের একমত্যে তাঁদের থেকে পদন্মলন ঘটেছে । আর সৈয়দে আলম হুজুর নবীয়ে করীম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর হাবীব, তাঁর খাস বান্দা, নবী ও রাসুল। তিনি পবিত্র, নিষ্পাপ এবং নিফলংক। তিনি যুহুর্তের জন্যও মূর্তি পুজার ইচ্ছাও করেননি । আর না তিনি আল্লাহ তায়ালার সাথে শরীক স্থির করেছেন, আর না কোন সময় কখনো সপীরা ও কবীরা গুণাহের ইচ্ছা করেছেন। তাঁর উপর আল্লাহ তায়ালার দরন্দ ও সালাম, এবং সবাইর উপর । দি ।
আই্বিয়া কিরাম আলায়হিমুস সালামের পর সকল লোকদের মধ্যে সর্বোস্তম হলেন-*হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদি আল্লাহু তায়ালা আনহু, অতঃপর হযরত ওর বিন খাত্তাব আল-ফারুক রাদি আল্লাহু আনহু, এরপর হযরত ওসমান ইবনে আফফান যুনুরাঈন রাদি আল্লাহু আনহু, তৎপর হযরত আলী আবী তালিব আল-সুরদাতা রাদি আল্লাহু তায়ালা আন্ছ। এরা সবাই তায়ালার ইবাদতকার, সত্যপথে প্রতিষ্ঠিত, এবং সত্যপদ্থীদের সাথে ছিলেন। আমরা তাঁদের সবারই সাথে ভালবাসা ও মহব্বত রাখি।
আর না কোন গুনহের কারণে কোন মুসলমানকে কাফির বলে সাব করি । যদিও তা কবীরা গুনাহ তথা মহাপাপই হোক, যদি সে তা বৈধ জান না করে। এর দ্বারা আমরা ঈমানের নাম-নিশানা দৃরীভূত করিনা! আমরা এদের প্রকৃত মুমিন নাম দিয়ে থাকি। কেননা, মুমিন ফাসিক হওয়া আছে, কাফির নয়”
চামড়ার মোটা মোজায় মাসেহ করা সুন্নাত। আর রমযান মাসের রাত্রে ববহ নামাজ সুন্নাত । আমরা বলছিনা যে, মুসলমানদের পাপ স্পর্শ ক , আমরা এও বলছি না যে, পাপীরা জাহানামে প্রবেশ করবে না। আর লা আমরা এটা বলছি যে, তারা চিরকাল জাহারামে অবস্থান করবে ॥ যদিও রা ফাসিক হয় কিনতু দুনিয়া থেকে ঈমানদার অবস্থায় মারা গিয়েছে। আমরা এটাও বলছিনা যে, আমাদের সৎকর্মসমূহ গ্রহণযোগ্য এবং আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা হয়ে গিয়েছে যেমন মারজিয়া সম্প্রদায়ের অভিমত। কিনতু
রিয়া (লৌকিকভা প্রদর্শন) যখন কোন কর্মে সংঘটিত হয়ে যায়, তখন তা পণ্যকে বাতিল করে দেয়। এ অবস্থায়ই অহংকার ও আত্মগর্বের
কারামাত আওলিয়ায়ে কিরামের জন্য হক ও সঠিক। কিন্তু এসব অস্বাভাবিক ওণাবলীর সাথে উল্লেখ করেছেন। কোন বান্দা এমন শক্তি ও সামর্থ কর্ম আল্লাহর শক্রুদের থেকেও প্রকাশ পেয়েছে যেমন শয়তান, ফেরআউন ও দাঙ্জাল প্রমুখ) হানীল শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, তাদের থেকে এমনি ‘ক্লাখেনা যেভাবে ভার ইবাদতের হক রয়েছে এবং যার সে উপযোগী তার ইবাদত
সংঘটিত হয়েছে, এমন সংঘটিত হবে। সুতরাং তা আমরা না মোজেজা করবে কিনতু তাঁর নির্দেশের মাধ্যমেই তাঁর ইবাদত করবে যেমন তিনি স্বীয়
বলবো, না কারামাত ৷ বরং আমরা তা তাদের জন্য ‘কাযায়ে হাজত’ নামে কিতাব ও তাঁর রাসুল সুন্নাতে নির্দেশ দিয়েছেন
আখ্যায়িত করবো । আর আমাদের এ নামে আখ্যায়িত করা এ ভিত্তিতে যে,
আর প্রত্যেক মুসলমান মারিফাত, ইয়াক্থীন (দৃঢ় বিশ্বাস), তাওয়াকুল, আল্লাহ্ তায়ালা নিজ শত্রুদের জন্য দুনিয়াতে ইসতিদ্রাজ (কুদরতী কানুনের ৫ হাব্বত, সমষ্টি, ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙখা ও ঈমান ইত্যাদিতে একই বিপরীত কথা যা অমুসলিমদের থেকে প্রকাশ পায়) পদ্ধতিতে এবং পরকালে সম । ঈমান ব্যতীত অন্যান্য সবকর্মে ভিন্ন! আল্লাহ তায়ালা স্বীয় বান্দাদের তাদের শাস্তির জন্য প্রয়োজনসমূহ পূরণ করেন । তখন সে নিজে নিজে খুশী হয়ে উ অনুগ্রহশীল ও ন্যায়পরায়ণ। কখনো তিনি নিজ বান্দার অধিকারের যায়, আর অবাধ্যতা ও কুফরে আরো কঠোরতা অবলম্বন করে । আর এসবগুলো ও কয়েক গণ বৃদ্ধি করে নিজ করুণায় তাদের পুণ্য প্রদান করেন! আর বৈধ ও সম্ভব । পাপের উপর নিজ ন্যায়পরায়ণতার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করেন আবার আল্লাহ্ তায়ালা সৃষ্টিজগত সৃষ্টির পূর্বেও সৃষ্টিকর্তা, জীবিকা প্রদানের পূর্বেও নিজ অনুগহে ক্ষমা করেন।
জীবিকা প্রদানকারী (রাজ্জাক) ছিলেন। পরকালে আল্লাহ্ তায়ালা সুমিনদের “আশ্বিয়ায়ে কিরাম আলায়হিমুস সালামের শাফায়াত সঠিক (হক)।
আর স্বীয় দীদার ছারা ধন্য করবেন, আর সকল মুসলমান তাঁর দর্শন ছারা মাদের প্রিয় নবী বিশ্বকুল সরদার হুজুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি মহিমাৰিত হবেন। যদিও তারা তাকে জান্নাতে স্ৃচক্ষে দৃষ্টান্ত ও 9 মর শাফায়াত পাপী ও গুনাহগার মুসলমান এমনকি কবীরা আকৃতিবিহীন প্রত্যক্ষ করবে । তখন আল্লাহ্ ও মাখলুকের মধ্যখানে কোন দূরত্ব ুনাহকারী মুদলমানদের জন্যও প্রমানিত রয়েছে যারা শাস্তির উপযোগী ।” থাকবে না। ২ আর কিয়ামত দিবসে সীজানে (দাঁডিপাল্লা) আমলসমূহ, পরিমাপ করা হক।
ঈমান হলো, মৌখিক স্বীকৃতি ও আন্তরিক শ্বীকৃতির নাম । আসমান ও র রাসুলে পাক (দঃ)-এর হাউজ হক। জমীনের অধিবাসীদের ঈমান মুমান বিহি*২:)-১-* (যার উপর ঈমান আনা আর ঝগড়াটে লোকদের মধ্যে পৃথ্যসহকারে প্রতিদান প্রদান করা হক । যদি এর কোন পুণ্য না থাকে, ভাহলে তাদের আমলনামায় পাপ অন্তত করে হয়েছে)-এর ভিত্তিতে বেশীও হয় না, কমও হয় না। নিশ্চয়ই বিশ্বাস ও স্বীকৃতির তত
ভিত্তিতে তারতম্য হয়ে থাকে। সকল মুসলমান ঈমান ও তাওহীদে এক সমান। দে হক ও জায়েজ। জানাও জাহানাম৯উভর এখনও সৃষ্ট রয়েছে। এ অবশ্যই আমলের ক্ষেত্রে পরস্পরের উপর মর্যাদা রয়েছে। আর ইসলাম আল্লাহ তায়ালার নির্দেশসমূহের পূর্বে, বশ্যতা, আনুগত্ স্বীকার এবং আত্মসমর্পন করার নাম। সুতরাং অভিধানিক দৃষ্টিতে ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে কিন্তু ঈমান ইসলাম ব্যতীত হয় না, আর না ইসলাম ঈমান বাতীত পাওয়া যায়। এ উভয় উদরের সাথে পৃষ্ঠের সম্পর্কের ন্যায় ।
আর হ্বীন, ঈমান ও ইসলাম পূর্ণ শরীয়তের নাম। আমরা আল্লাহ তায়ালার পরিচয় লাভ করি যেভাবে তার পরিচয় লাভের হক হযরাতে আই্বিয়ায়ে কিরাম-এর জন্য মু’জিজা প্রমাণিত রয়েছে আর মত খনো মৃত্যুবরণ করবে না। আর আল্লাহ তায়ালার শান্তি ও তাঁর পৃণ্য কখনো ধ্বংস হবেনা । আল্লাহ তায়ালা নিজ করুণায় যাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন, আর যাকে ইচ্ছা স্বীয় ন্যায়-পরায়ণতার মাধ্যমে ত্রষ্টতার অতল হবরে নিক্ষেপ করেন। তিনি অতল গহবরে নিক্ষেপ করা, আর তাকে ছেড়ে য়া হলো ‘খাযলান’। খাঘলান-এর ব্যাখ্যা হলো, আল্লাহ্ তায়ালা স্বীয় বান্দাকে জ রেযা ও স্ুষ্টির দিকে তওফীক দিবেনা । এটা তাঁর আদল ও ইনসাফ । রূপ পাণীর অপমানের উপর শাস্তি প্রদান করেন। আমাদের জন্য এটা বলা
বৈধ নয় যে, শয়তান মুমিন বান্দার ঈমান জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু আমরা এটা বলতে পারবো যে, বান্দা যখন ঈমান পরিত্যাগ করে, তখন শয়তান তার ঈমান উঠিয়ে নেয়।
কবরে মুনকির-নকীরের যে সাওয়াল হবে তা সঠিক। বান্দার শরীরে তার কবরে আত্মা ফিরিয়ে দেওয়া হক। কবরের চাপ এবং এর শাস্তি সত্য। এসবগুলো কাফির ও কতেক পাপী মুসলমানদের জন্য ।
আর প্রত্যেক এ বস্তু যা সম্মানিত ওলামা কিরাম ফারসী ভাষায় আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতম গুণাবলী, উল্লেখ করেছেন, তা বলা জায়েজ আছে। কিন্তু ‘ইয়াদ’ (হাত) শব্দটি ব্যতীত। তা ফার্সী ভাষায় বলা যাবে। আর আকৃতি ও দৃষ্টান্ত বিহীনভাবে আল্লাহ তায়ালার “চেহারা মোবারক’ বলা জায়েজ আছে। আল্লাহতায়ালা থেকে নৈকট্য ও দূরে অবস্থান করা বৃদ্ধিম্হাসের তারতম্যর ভিত্তিতে নয়। কিন্তু এটা কারামত ও অস্বাভাবিকত্ের ভিত্তিতে । আর. আনুগত্যশীল বান্দা আকৃতিহীনভাবে তাঁর নিকটে, পাপী ও অবাধ্য বান্দা আকতিহীনভাবে তাঁর থেকে দূরে । নিকটে, দূরে ও অগ্রে হওয়া প্রার্থনাকারীদের জন্য বলা হয়ে থাকে । আর জান্নাতে তার পাশে অবস্থান এবৎ তাঁর (আপ্লাহ) সম্মুখে দপ্তায়মান হওয়াও দৃষ্টান্ত এবং আকৃতিহীনভাবে।
পবিত্র কুরআন করীম রাসুলুপ্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ হয়েছে আর তা মাসহাফসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে । আর কুরআন করীমের সকল আয়াত কালামের অর্থের দিক দিয়ে মর্যাদা ও মাহান্ছো সবই সমান। তবে কুরআনের কতেক আয়াত সম্পর্কে যিক্র এবং যিক্রকৃত উভয়ের ফযিলত উল্লেখ রয়েছে। যেমন আয়াতুল কুরসী । কেননা, এতে আল্লাহ তায়ালার ভীতি, মহানতু, মর্যাদা এবং তাঁর গুণাবলী বিধৃত হয়েছে। সৃতরাং এ আয়াতে উভয় ফযীলত অর্থাৎ যিক্র ও ফযীলতের সমাবেশ ঘটেছে। কতেক আয়াতে শুধুমাত্র কোন ফযীলত নেই। কেননা, তারা কাফের অনুরূপভাবে আল্লাহ তায়ালার সকল নামসমূহ, গুণাবলী ও মাহাত্যু, মহানঝ্ৰ ও মর্ধাদায় সমান। এ উভয়টায় কোন পার্থক্য নেই।
হযরত কাসিম, তাহির ও ইব্রাহীম রাদি আল্লাহু আনহুম রাসুলে সৈয়দ আলম হুজুর পুরনূর (দঃ)-এর সন্তান ছিলেন। আর সৈয়দা ফাতেমা, যয়নব ও উন্মে কুলসূম রাদি আল্লাহু আন্হন্া রাসুলুল্লাহ
আর মানুষের যখন আল্লাহ্ তায়ালার তাওহীদের সৃদ্্মতা ও মুল রহস্য ‘জল্পর্কে কোন সন্দেহে পতিত হয়, তাহলে ভার উপর অপরিহার্য সে, ঠিক যে ুহর্তে এর উপরই বিশ্বাস স্থাপন করা যা আল্লাহর নিকট সঠিক। শেষ পর্যন্ত যদি কোন দক্ষ আলিম পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করে নেয়া । আর সন্দেহের মুহুর্তে সন্ধানে বিলম্বের কোন অবকাশ নেই আর সে অবস্থায় নিশ্ুপতা অবলম্বন করা ওজর নয়। যদি নিশ্চুপতা অবলম্বন করে তাহলে কাফির হয়ে যাবে।
আর মিরাজের ঘটনা হক ও সঠিক। সে তার অস্বীকার করবে সে বিদ্আতী ও ত্রষ্ট। আর দজ্জালের আবির্ভাব, ইয়াজুজ-মাজুজের প্রাদুর্ভাব, সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া, আসমান থেকে হযরত ঈসা (আঃ) এর আগসন এবং কিয়ামত দিবসের বসব নিদর্শন তা বিশুদ্ধ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে তা সঠিক এবং সংঘটিত হবেই। আল্লাহ্ তায়ালা যাকে ইচ্ছে সঠিক ও সরল পথের দিকে হিদায়ত প্রদান করে থাকেন।
-$ সমাপ্ত £-
Leave a Reply