কালেমা যিকির ইস্তেগফার ও আল্লাহর সন্তুষ্টির বর্ণনা
কালেমা যিকির ইস্তেগফার ও আল্লাহর সন্তুষ্টির বর্ণনা >> হাদীসে কুদসী এর মুল সুচিপত্র দেখুন
কালেমা যিকির ইস্তেগফার ও আল্লাহর সন্তুষ্টির বর্ণনা
তাওহীদের ফযীলত
আহলে তাওহীদকে জাহান্নাম থেকে বের করা
বেতাকার হাদীস ও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর ফযীলত
আল্লাহর রহমতের প্রশস্ততা
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশকারীদের প্রতি হুশিয়ারি
মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে বলা নিষেধ
আল্লাহর ভয়ের ফযীলত
যিকিরের ফযীলত ও নেক আমল দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা
যিকির ও নেককারদের সঙ্গের ফযীলত
তওবা ও ইস্তেগফারের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা
আল্লাহর সাক্ষাত যে পছন্দ করে আল্লাহ তার সাক্ষাত পছন্দ করেন
বান্দার জন্য আল্লাহর মহব্বতের নিদর্শন
৭. অনুচ্ছেদঃ তাওহীদের ফযিলত
হাদীসঃ ১২ -আবু যর (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ বলেনঃ যে একটি নেকি নিয়ে আসবে তার জন্য তার দশগুণ এবং আমি আরও বেশি বৃদ্ধি করব। যে একটি পাপ নিয়ে আসবে তার বিনিময় সমান একটি পাপ অথবা আমি ক্ষমা করব। যে এক বিঘত আমার নিকটবর্তী হইবে আমি একহাত তার নিকটবর্তী হব। যে এক হাত আমার নিকটবর্তী হইবে আমি তার এক বাহু নিকটবর্তী হব। যে আমার নিকট হেঁটে আসবে আমি তার নিকট দ্রুত যাব। যে দুনিয়া ভর্তি পাপসহ আমার সাথে সাক্ষাত করে, আমার সাথে কাউকে শরিক না করে, আমি তার সাথে অনুরূপ ক্ষমাসহ সাক্ষাত করব”।
(সহিহ মুসলিম, মুসনাদে আহমদ ওইবনু মাজাহ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ১৩ -আবু সায়িদ খুদরি (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “দাবি নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যেমন ঝগড়া হয়, তা মুমিনগণ কর্তৃক তাহাদের ভাইদের সম্পর্কে যাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হয়েছে, তাহাদের রবের সাথে ঝগড়ার চেয়ে অধিক কঠিন নয়। তিনি বলেনঃ তারা বলবেঃ হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সাথে সালাত আদায় করত, আমাদের সাথে সিয়াম পালন করত ও আমাদের সাথে হজ করত, কিন্তু আপনি তাহাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়েছেন। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলবেনঃ যাও তাহাদের থেকে যাকে তোমরা চিনো তাকে বের কর। তিনি বলেনঃ তাহাদের নিকট তারা আসবে, তাহাদের চেহারা দেখে তাহাদেরকে তারা চিনবে, তাহাদের কাউকে আগুন পায়ের গোছার অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে, তাহাদেরকে তারা বের করিবে অতঃপর বলবেঃ হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা বের করেছি। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলবেনঃ বের কর যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ঈমান রহিয়াছে। অতঃপর বলবেনঃ যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ঈমান রহিয়াছে। এক সময় বলবেনঃ যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান রহিয়াছে”।
(নাসায়ি ওইবনু মাজাহ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
৮. অনুচ্ছেদঃ আহলে তাওহীদকে জাহান্নাম থেকে বের করা
হাদীসঃ ১৪ -আবু সায়িদ খুদরি (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “জান্নাতিরা জান্নাতে ও জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করিবে, অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ বের কর যার অন্তরে সর্ষে পরিমাণ ঈমান রহিয়াছে, ফলে তারা সেখান থেকে বের হইবে এমতাবস্থায় যে কালো হয়ে গেছে, অতঃপর তাহাদেরকে বৃষ্টির নহর অথবা সঞ্জীবনী নহরে নিক্ষেপ করা হইবে, ফলে তারা নতুন জীবন লাভ করিবে যেমন নালার কিনারায় ঘাস জন্মায়। তুমি দেখনি তা হলুদ আঁকাবাঁকা গজায়?”।
(সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
৯. অনুচ্ছেদঃ বেতাকার হাদিস ও লাইলাহা ইল্লাল্লাহুর ফযিলত
হাদীসঃ ১৫ -আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর ইব্ন আস (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সবার সামনে নাজাত দিবেন, তার সামনে নিরানব্বইটি দফতর খোলা হইবে, প্রত্যেক দফতর চোখের দৃষ্টি পরিমাণ লম্বা। অতঃপর তিনি বলবেনঃ তুমি এর কিছু অস্বীকার কর? আমার সংরক্ষণকারী লেখকরা তোমার ওপর যুলম করেছে? সে বলবেঃ না, হে আমার রব। তিনি বলবেনঃ তোমার কোন অজুহাত আছে? সে বলবেঃ না, হে আমার রব। তিনি বলবেনঃ নিশ্চয় আমার নিকট তোমার একটি নেকি রহিয়াছে, আজ তোমার ওপর কোন যুলম নেই, অতঃপর একটি বেতাকা/কার্ড বের হইবে, যাতে রয়েছেঃ
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
তিনি বলবেনঃ তোমার (কাজের) ওজন প্রত্যক্ষ কর। সে বলবেঃ হে আমার রব এতগুলো দফতরের সাথে একটি কার্ড কি (কাজে আসবে)? তিনি বলবেনঃ নিশ্চয় তোমার ওপর যুলম করা হইবে না। তিনি বলেনঃ অতঃপর সবগুলো দফতর এক পাল্লায় ও কার্ডটি অপর পাল্লায় রাখা হইবে, ফলে দফতরগুলো ওপরে উঠে যাবে ও কার্ডটি ভারী হইবে। আল্লাহর নামের বিপরীতে কোন জিনিস ভারী হইবে না”।
(সুনান তিরমিযি, মুসনাদে আহমদ ওইবনু মাজাহ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১০. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর রহমতের প্রশস্ততা
হাদীসঃ ১৬ -আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমার রহমত আমার গোস্বাকে অতিক্রম করেছে”।
(সহিহ মুসলিম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১১. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশকারীদের প্রতি হুশিয়ারি
হাদীসঃ ১৭ -আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)কে বলিতে শুনেছিঃ “বনি ইসরাইলে দুই বন্ধু ছিল। তাহাদের একজন পাপ করত, দ্বিতীয়জন খুব ইবাদত গুজার ছিল। ইবাদত গুজার তার বন্ধুকে সর্বদা পাপে লিপ্ত দেখত, তাই সে বলত বিরত হও, একদিন সে তাকে কোন পাপে লিপ্ত দেখে বলেঃ বিরত হও। সে বলিলঃ আমাকে ও আমার রবকে থাকতে দাও, তোমাকে কি আমার ওপর পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছে? ফলে সে বলিলঃ আল্লাহর কসম আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন না, অথবা তোমাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। অতঃপর তাহাদের উভয়ের রূহ কবজ করা হল এবং তারা উভয়ে আল্লাহর দরবারে একত্র হল। তিনি ইবাদত গুজারকে বলেনঃ তুমি কি আমার ব্যাপারে অবগত ছিলে? অথবা আমার হাতে যা রহিয়াছে তার ওপর তুমি ক্ষমতাবান ছিলে? আর পাপীকে তিনি বলেনঃ যাও আমার রহমতে তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর। আর অপর ব্যক্তির জন্য বলেনঃ তাকে নিয়ে জাহান্নামে যাও
(আবু দাউদ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃহাসান হাদিস
হাদীসঃ ১৮ -জুনদুব (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “জনৈক ব্যক্তি বলেছে আল্লাহর কসম আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা বললেনঃ কে সে আমার ওপর কর্তৃত্ব করে যে, আমি অমুককে ক্ষমা করব না? আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম আর তোমার আমল বিনষ্ট করলাম ”। অথবা যেরূপ তিনি বলেছেন।
(সহিহ মুসলিম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসে কুদসীঃ ১৯ -আবু সায়িদ খুদরি (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “বনি ইসরাইলে এক লোক ছিল যে নিরানব্বই জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে, অতঃপর জানার জন্য বের হল, এক সংসারবিরাগীর নিকট আসল, তাকে জিজ্ঞাসা করিল ও তাকে বলিলঃ কোন তওবা আছে কি? সে বলিলঃ না, ফলে তাকেও হত্যা করিল। অতঃপর সে লোকদের জিজ্ঞেস করতে থাকল, তখন এক ব্যক্তি তাকে বলিলঃ তুমি অমুক অমুক গ্রামে আস, (রাস্তায়) তাকে মৃত্যু পেয়ে বসল, সে বক্ষ দ্বারা ঐ গ্রামের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করিল। তার ব্যাপারে রহমত ও আযাবের ফেরেশতাগণ তর্কে লিপ্ত হল। আল্লাহ তাআলা এ জনপদকে নির্দেশ করিলেন যে, নিকটবর্তী হও, আর এ জনপদকে নির্দেশ করিলেন যে, দূরবর্তী হও। অতঃপর আল্লাহ বললেনঃ উভয় জনপদের দূরত্ব পরিমাপ কর। দেখা গেল এ জনপদের দিকে সে এক বিঘত বেশী অগ্রসর, তাই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল”।
(সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১২. অনুচ্ছেদঃ মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে বলা নিষেধ
হাদীসঃ ২০ -আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে বলিতে শোনঃ মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে, তাহলে সেই অধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ নিশ্চয় সে ধ্বংসপ্রাপ্ত”।
(মুসনাদে আহমদ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃহাসান হাদিস
১৩. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর ভয়ের ফযিলত
হাদীসঃ ২১ -হুযায়ফা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের পূর্বে এক ব্যক্তি ছিল, সে তার নিজের (যে সকল খারাপ কাজ করেছে সে সকল) আমলের ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করত (যে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হইবে), তাই সে তার পরিবারকে বলিলঃ আমি যখন মারা যাব আমাকে গ্রহণ করিবে, (এবং আমাকে পুড়িয়ে ছাই করে নিবে) অতঃপর প্রবল ঝড়ের দিন আমাকে সমুদ্রে ছিটিয়ে দিবে, তারা তার সাথে অনুরূপ করিল। আল্লাহ তাকে (মৃত্যুর পর) একত্র করিলেন, অতঃপর বললেনঃ কিসে তোমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে যা তুমি করেছে? সে বলিলঃ তোমার ভয় ব্যতীত কোন বস্তু আমাকে উদ্বুদ্ধ করে নি, ফলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন”।
(সহিহ বুখারি ও নাসায়ি) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ২২ -আবু সায়িদ (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ “তিনি পূর্বের জনৈক ব্যক্তির উল্লেখ করিলেন- অথবা তোমাদের পূর্বের- তিনি একটি বাক্য বলিলেন অর্থাৎ আল্লাহ তাকে সম্পদ ও সন্তান দান করিয়াছেন, যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হল সে তার সন্তানদের বলিলঃ আমি তোমাদের কেমন পিতা ছিলাম? তারা বলিলঃ উত্তম পিতা। সে বলিলঃ সে তো আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণ জমা করেনি, আল্লাহ যদি তাকে পান অবশ্যই শাস্তি দিবেন। তোমরা এক কাজ কর, আমি যখন মারা যাব আমাকে জ্বালাও, যখন আমি কয়লায় পরিণত হব আমাকে পিষ অথবা বলেছেন চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেল, অতঃপর যখন প্রচণ্ড ঝড়ের দিন হইবে আমাকে তাতে ছিটিয়ে দাও”। নবী (সাঃআঃ) বলেনঃ সে এ জন্য তাহাদের থেকে ওয়াদা নিলো, আমার রবের কসম, তারা তাই করিল, অতঃপর প্রচণ্ড ঝড়ের দিন ছিটিয়ে দিল। অতঃপর আল্লাহ তাআলা বললেনঃ কুন’ (হও), ফলে সে দণ্ডায়মান ব্যক্তিতে পরিণত হল। আল্লাহ বললেনঃ হে আমার বান্দা কিসে তোমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, যে তুমি করেছ যা করার? সে বলিলঃ তোমার ভয়- অথবা তোমার থেকে পলায়নের জন্য- তিনি বললেনঃ আল্লাহর দয়া ব্যতীত তার অন্য কিছু তাকে উদ্ধার করে নি। আরেকবার বলেনঃ রহম ব্যতীত অন্য কিছু তার নসিব হয়নি”।
(সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ২৩ -আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “জনৈক ব্যক্তি যে কখনো ভাল কাজ করেনি বলেছেঃ যখন সে মারা যায়, তাকে জ্বালাও, অতঃপর তার অর্ধেক স্থলে ও অর্ধেক সমুদ্রে ছিটিয়ে দাও, আল্লাহর কসম, যদি আল্লাহ তার নাগাল পান তাহলে তিনি এমন শাস্তি দিবেন, যা জগতের কাউকে দিবেন না। অতঃপর আল্লাহ সমুদ্রকে নির্দেশ করিলেন, ফলে সে তার মধ্যে যা ছিল জমা করিল, এবং স্থলকে নির্দেশ করিলেন ফলে সে তার মধ্যে যা ছিল জমা করিল। অতঃপর বললেনঃ তুমি কেন করেছ? সে বলিলঃ তোমার ভয়ে, তুমিই ভাল জান। ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন”।
(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম ও নাসায়ি) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১৪. অনুচ্ছেদঃ যিকিরের ফযিলত ও নেক আমল দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা
হাদীসঃ ২৪ – আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণা মোতাবেক আমি। আমি তার সাথে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে। যদি সে আমাকে তার অন্তরে স্মরণ করে আমি তাকে আমার অন্তরে স্মরণ করি। যদি সে আমাকে মজলিসে স্মরণ করে আমি তাকে তাহাদের চেয়ে উত্তম মজলিসে স্মরণ করি। যদি সে আমার নিকট এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার নিকট একহাত অগ্রসর হই, যদি সে আমার নিকট একহাত অগ্রসর হয় আমি তার নিকট একবাহু অগ্রসর হই। যদি সে আমার নিকট আসে হেঁটে আমি তার নিকট যাই দ্রুত”।
(সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম, সুনান তিরমিযি ওইবনু মাজাহ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ২৫ -আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেনঃ “আল্লাহ বলেছেনঃ আমার বান্দা যখন এক বিঘত এগিয়ে আমার সাথে সাক্ষাত করে আমি তার সাথে সাক্ষাত করি একহাত এগিয়ে। যখন সে একহাত এগিয়ে আমার সাথে সাক্ষাত করে আমি একবাহু এগিয়ে তার সাথে সাক্ষাত করি। যখন সে আমার সাথে সাক্ষাত করে একবাহু এগিয়ে আমি তার নিকট আসি আরও দ্রুত পদক্ষেপে”।
(সহিহ মুসলিম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ২৬ -শুরাইহ্ রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবিদের এক ব্যক্তিকে বলিতে শুনেছিঃ নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে বনি আদম, তুমি আমার দিকে দাঁড়াও আমি তোমার দিকে চলব, তুমি আমার দিকে চল আমি তোমার দিকে দ্রুত পদক্ষেপে যাব”।
(মুসনাদে আহমদ) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ২৭ – মাকাল ইব্ন ইয়াসার থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের রব বলেনঃ হে বনি আদম, তুমি আমার ইবাদতের জন্য মনোনিবেশ করো, আমি তোমার অন্তরকে সচ্ছলতায় ভরে দেব, তোমার হাত রিজিক দ্বারা পূর্ণ করে দেব। হে বনি আদম, তুমি আমার থেকে দূরে যেয়ো না, ফলে আমি তোমার অন্তর অভাবে পূর্ণ করে দেব এবং তোমার দু’ হাতকে কর্মব্যস্ত করে দেব”।
(হাকেম) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ লিগাইরিহি
১৫. অনুচ্ছেদঃ যিকির ও নেককারদের সঙ্গের ফযিলত
হাদীসঃ ২৮ -আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহর কতক ফেরেশতা রহিয়াছে তারা যিকিরকারীদের তালাশে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। যখন কোন কওমকে আল্লাহর যিকিরে মশগুল দেখে তারা একে অপরকে আহ্বান করেঃ তোমাদের লক্ষ্যের দিকে আস”। তিনি বলেনঃ “অতঃপর তাহাদেরকে তারা নিজেদের ডানা দ্বারা দুনিয়ার আসমান পর্যন্ত ঢেকে নেয়। তিনি বলেনঃ অতঃপর তাহাদের রব তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, -অথচ তিনি তাহাদের চেয়ে অধিক জানেন- আমার বান্দাগণ কি বলে? ফেরেশতারা বলেঃ তারা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছে, আপনার বড়ত্ব ঘোষণা করছে, আপনার প্রশংসা করছে ও আপনার মর্যাদা ঘোষণা করছে। তিনি বলেনঃ অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ তারা কি আমাকে দেখেছে? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ না, আল্লাহর কসম, তারা আপনাকে দেখেনি। তিনি বলেনঃ অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ যদি তারা আমাকে দেখত কেমন হত? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ যদি তারা আপনাকে দেখত তাহলে আরও কঠিন ইবাদত করত, অধিক মর্যাদা ও প্রশংসার ঘোষণা করত, অধিক তসবিহ পাঠ করত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ তারা আমার নিকট কি চায়? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ তারা আপনার নিকট জান্নাত চায়? তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ তারা কি জান্নাত দেখেছে? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ না, হে রব, তারা জান্নাত দেখে নি। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ যদি তারা জান্নাত দেখত কেমন হত? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ যদি তারা জান্নাত দেখত তাহলে তার জন্য তারা আরো অধিক আগ্রহী হত, অধিক তলবকারী হত ও তার অধিক আশা পোষণ করত। তিনি বলেনঃ তারা কার থেকে পানাহ চায়? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ জাহান্নাম থেকে। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ তারা কি জাহান্নাম দেখেছে? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ না, আল্লাহর কসম, হে রব তারা জাহান্নাম দেখেনি। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ যদি তারা জাহান্নাম দেখত কেমন হত? তিনি বলেনঃ ফেরেশতারা বলেঃ যদি তারা জাহান্নাম দেখত তাহলে তার থেকে অধিক পলায়ন করত, তাকে অধিক ভয় করত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ তোমাদের সাক্ষী রাখছি আমি তাহাদেরকে ক্ষমা করে দিলাম। তিনি বলেনঃ তাহাদের এক ফেরেশতা বলেঃ তাহাদের মধ্যে অমুক রহিয়াছে যে তাহাদের দলের নয়, সে অন্য কাজে এসেছে। তিনি বলেনঃ তারা এমন জমাত যাদের কারণে তাহাদের সাথীরা মাহরুম হয় না”।
(সহিহ বুখারি) হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ২৯ – আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমি আমার বান্দার সাথেই আছি যখন সে আমাকে স্মরণ করে ও তার দুই ঠোট নড়ে”। (মুসনাদে আহমদ,ইবনু মাজাহ)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ৩০ – আবু হুরাইরা ও আবু সায়িদ (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ তারা উভয়ে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)কে দেখেছেন, তিনি বলেছেনঃ “বান্দা যখন বলেঃ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ তিনি বলেনঃ আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা ঠিক বলেছে, আমি ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, আমিই মহান। বান্দা যখন বলেঃ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ তিনি বলেনঃ আমার বান্দা ঠিক বলেছে, একলা আমি ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই। বান্দা যখন বলেঃ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ لَا شَرِيكَ لَهُ তিনি বলেনঃ আমার বান্দা ঠিক বলেছে, আমি ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, আমার কোন শরীক নেই। বান্দা যখন বলেঃ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ তিনি বলেনঃ আমার বান্দা ঠিক বলেছে, আমি ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, রাজত্ব আমার, আমার জন্যই প্রশংসা। বান্দা যখন বলেঃ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، তিনি বলেনঃ আমার বান্দা ঠিক বলেছে, আমি ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, আমার তৌফিক ব্যতীত পাপ থেকে বিরত থাকা ও ইবাদত করার ক্ষমতা নেই”। (ইব্ন মাজাহ, সুনান তিরমিযি, ইব্ন হুমাইদ ও ইব্ন হিব্বান)
শায়খ আলবানি হাদিসটি সহিহ বলেছেন। হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১৬. অনুচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তেগফারের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা
হাদীসঃ ৩১ – আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে শুনিয়াছি, তিনি বলেছেনঃ “কোন বান্দা পাপে লিপ্ত হল, অথবা বলেছেনঃ কোন পাপ করিল। অতঃপর বলেঃ হে আমার রব আমি পাপ করেছি, অথবা বলেঃ পাপে লিপ্ত হয়েছি আমাকে ক্ষমা করুন। তার রব বলেনঃ আমার বান্দা কি জানে তার রব রহিয়াছে, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যে পরিমাণ চান সে বিরত থাকে। অতঃপর পাপে লিপ্ত হয় অথবা পাপ সংগঠিত করে, অতঃপর বলেঃ হে আমার রব, আমি দ্বিতীয় পাপ করেছি অথবা দ্বিতীয় পাপে লিপ্ত হয়েছি, আপনি তা ক্ষমা করুন। আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা কি জানে তার রব রহিয়াছে, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমার বান্দাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যে পরিমাণ চান সে বিরত থাকে। অতঃপর কোন পাপ করে অথবা বলেছেনঃ পাপে লিপ্ত হয়। তিনি বলেনঃ সে বলেঃ হে আমার রব আমি পাপ করেছি অথবা পাপে লিপ্ত হয়েছি আবারও, আপনি আমার জন্য তা ক্ষমা করুন। আল্লাহ বলেনঃ আমার বান্দা কি জানে তার রব রহিয়াছে, যিনি পাপ ক্ষমা করেন ও তার জন্য পাকড়াও করেন? আমি আমার বান্দাকে তিনবারই ক্ষমা করে দিলাম, সে যা চায় আমল করুক”। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ৩২ – আবু সায়িদ খুদরি (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)কে বলিতে শুনেছিঃ “ইবলিস তার রবকে বলেছেঃ আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি বনি আদমকে ভ্রষ্ট করতেই থাকব যতক্ষণ তাহাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেনঃ আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি তাহাদের ক্ষমা করতে থাকব যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইস্তেগফার করে”। (মুসনাদে আহমদ)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ৩৩ – আলি ইব্ন রাবিয়াহ
থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আলিকে দেখেছিঃ
“একটি চতুষ্পদ জন্তু আনা হল যেন
সে তাতে আরোহণ করে,
তিনি যখন তার ওপর
নিজ পা রাখলেন বললেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ যখন তার পিঠে স্থির
বসলেন বললেনঃ الْحَمْدُ لِلَّهِ، অতঃপর বললেনঃ﴿سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِي سَخَّرَ
لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُۥ مُقۡرِنِينَ ١٣﴾
“পবিত্র-মহান সেই সত্তা
যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন।
আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ
করতে সক্ষম ছিলাম না” (সূরা যুখরুফঃ১৩) অতঃপরঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ তিনবার,
اللَّهُ أَكْبَرُ তিনবার
বলিলেন, অতঃপর বললেনঃ
سُبْحَانَكَ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ
إِلَّا أَنْتَ
(“আপনি কতই-না পবিত্র,
নিশ্চয় আমি আমার নিজের
নফসের উপর যুলুম করেছি,
সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয় আপনি ব্যতীত কেউ
গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না”)
অতঃপর হাসলেন, বলা হলঃ হে
আমিরুল মুমেনিন কি জন্য হাসলেন?
তিনি বললেনঃ আমি নবী (সাঃআঃ)কে দেখেছি, তিনি
করিয়াছেন যেরূপ আমি করেছি, অতঃপর
তিনি হেসেছেন। আমি
বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল
কি জন্য হাসলেন? তিনি
বললেনঃ “তোমার রব তার বান্দাকে
দেখে আশ্চর্য হন, যখন সে
বলে আমার পাপ ক্ষমা
করুন, সে জানে আমি
ব্যতীত কেউ পাপ ক্ষমা
করিবে না”। (আবু দাউদ, সুনান তিরমিযি ও মুসনাদে আহমদ)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১৭. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর সাক্ষাত যে পছন্দ করে আল্লাহ তার সাক্ষাত পছন্দ করেন
হাদীসঃ ৩৪ – আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমার বান্দা যখন আমার সাক্ষাত পছন্দ করে আমি তার সাক্ষাত পছন্দ করি। যখন সে আমার সাক্ষাত অপছন্দ করে আমি তার সাক্ষাত অপছন্দ করি”। (সহিহ বুখারি)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
১৮. অনুচ্ছেদঃ বান্দার জন্য আল্লাহর মহব্বতের নিদর্শন
হাদীসঃ ৩৫ – আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাঃআঃ) বলেনঃ “আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে মহব্বত করেন জিবরিলকে ডেকে বলেনঃ আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তুমি তাকে মহব্বত কর ফলে জিবরিল তাকে মহব্বত করেন। অতঃপর জিবরিল আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা করেনঃ আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তোমরা তাকে মহব্বত কর ফলে আসমানবাসীরা তাকে মহব্বত করে, অতঃপর জমিনে তার জনপ্রিয়তা রাখা হয়”। (সহিহ বুখারি)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
হাদীসঃ ৩৬ – আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু আঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে মহব্বত করেন জিবরিলকে ডাকেন, অতঃপর বলেনঃ আমি অমুককে মহব্বত করি অতএব তুমি তাকে মহব্বত কর। তিনি বলেনঃ “ফলে জিবরিল তাকে মহব্বত করে, অতঃপর সে আসমানে ঘোষণা করেঃ আল্লাহ অমুককে মহব্বত করেন অতএব তোমরা তাকে মহব্বত কর, ফলে আসমানবাসী তাকে মহব্বত করে”। তিনি বলেনঃ “অতঃপর জমিনে তার জন্য গ্রহণযোগ্যতা রাখা হয়। পক্ষান্তরে যখন তিনি কোন বান্দাকে অপছন্দ করেন জিবরিলকে ডাকেন অতঃপর বলেনঃ আমি অমুককে অপছন্দ করি অতএব তুমি তাকে অপছন্দ কর”। তিনি বলেনঃ “ফলে জিবরিল তাকে অপছন্দ করে, অতঃপর সে আসমানবাসীদের মধ্যে ঘোষণা দেয়, আল্লাহ অমুককে অপছন্দ করে অতএব তোমরা তাকে অপছন্দ কর”। তিনি বলেনঃ ফলে তারা তাকে অপছন্দ করে, অতঃপর জমিনে তার জন্য নিন্দা রাখা হয়”। (সহিহ মুসলিম)
হাদিসের মান নির্ণয়ঃসহিহ হাদিস
Leave a Reply