তাবলীগের বয়ান ১ – সূরা ফালাক
قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ ١
(1) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে,
উসমান ইবনি আফ্ফান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ প্রতিদিন ভোরে ও প্রতি রাতের সন্ধ্যায় যে কোন বান্দা এ দুয়াটি তিনবার পাঠ করিবে কোন কিছুই তার অনিষ্ট করিতে পারবে না ঃ
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
“বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াযুর্রু মাআস্মিহি শাইয়ূন ফিল আরযি, ওয়ালা ফিস্ সামায়ি ওয়া হুয়াস্ সামীউল আলীম”। অর্থ ঃ “আল্লাহ তাআলার নামে” যাঁর নামের বারাকাতে আকাশ ও মাটির ভিতরে কোন কিছুই কোন অনিষ্ট করিতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।”
لاَ | الَّذِي | بِسْمِ اللَّهِ |
না | যাঁর | আল্লাহ তাআলার নামে |
اسْمِهِ | مَعَ | يَضُرُّ |
নামের | সঙ্গে | অনিষ্ট |
الأَرْضِ | فِي | شَيْءٌ |
মাটির | ভিতরে | কিছুই |
السَّمَاءِ | فِي | وَلاَ |
আকাশ | ভিতরে | ও না |
الْعَلِيمُ | السَّمِيعُ | وَهُوَ |
সর্বজ্ঞানী | সর্বশ্রোতা | তিনি |
বান [রঃ]-এর শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। [উক্ত হাদীস রিওয়ায়াতকালে] এক লোক [অধঃস্তন বর্ণনাকারী] তার দিকে তাকাতে থাকলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কি প্রত্যক্ষ করছো? শোন! আমি তোমার কাছে যে হাদীস রিওয়ায়াত করেছি তা অবিকল বর্ণনা করেছি। তবে আমি যেদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছি ঐ দুয়াটি পাঠ করিনি এবং আল্লাহ তাআলা ভাগ্যের লিখন আমার উপর কার্যকর করিয়াছেন।
তিরমিজি ৩৩৮৮ঃ হাসান সহীহ ঃ ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[হাঃ ৩৮৬৯]। আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ ٢
2) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে,
আবূ সালিহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আস্লাম গোত্রের এক লোককে বলিতে শুনিয়াছি, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বসা ছিলাম। তখন তাহাঁর এক সঙ্গী এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি রাতে দংশিত হওয়ার কারণে সারারাত ঘুমাতে পারিনি। তিনি বলিলেন, কিসে দংশন করেছে? আমি বললাম, বিচ্ছু। তিনি বললেনঃ রাতের বেলায় তুমি যদি একথা বলতেঃ
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
“আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক” (আমি আল্লাহ পাকের কল্যাণকর বাক্যাবলীর ওয়াসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করিয়াছেন তার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি),
اللَّهِ | بِكَلِمَاتِ | أَعُوذُ |
আল্লাহ পাকের | কল্যাণকর বাক্যাবলীর | আশ্রয় প্রার্থনা করছি |
شَرِّ | مِنْ | التَّامَّةِ |
অনিষ্ট | থেকে | ওয়াসীলায় |
خَلَقَ | مَا | |
সৃষ্টি করিয়াছেন | যা |
তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় কোন কিছুই তোমার ক্ষতি করিতে পারতো না।
ইমাম আবু দাউদ, আবূ সালিহ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সুনান আবু দাউদ ৩৮৯৮, সহীহ]
ইমাম আবু দাউদ, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সুনান আবু দাউদ ৩৮৯৯, দুর্বল ]
ইবনে মাজাহ, আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৫১৮, সহীহ]
ইবনে মাজাহ, খাওলাহ বিনতু হাকিম (রাদিআল্লাহু আঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [ইবনে মাজাহ ৩৫৪৭, সহীহ]
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ٣
(3) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়
৩৩৯০ঃ আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে নাবী [সাঃআঃ] বলিতেন ঃ
“আমরা রাতে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ তাআলার বিশ্বজাহানও রাতে উপনীত হল। সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাহাঁর কোন শারীক নেই”।
বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা হয় তিনি আরো বলেছেনঃ
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ أُرَاهُ قَالَ فِيهَا لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল আজরি ওয়াল কাসালি, ওয়াল হারামি, ওয়াল ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজাবিল কাবরি, ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া, ওয়াল মামাতি
“রাজত্ব তাহাঁরই এবং সকল প্রশংসাও তাহাঁরই। সর্ববিষয়ে তিনি সর্বশক্তিমান। [হে আল্লাহ] তোমার নিকট আমি এ রাতের মাঝে নিহিত মঙ্গল এবং এ রাতের পরে নিহিত মঙ্গল কামনা করি। আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাইছি এ রাতের অমঙ্গল এবং এ রাতের পরে সমস্ত অমঙ্গল হইতে। তোমার কাছে আমি আশ্রয় চাই অলসতা ও বার্ধক্যের অনিষ্ট হইতে। আমি তোমার কাছে আরো আশ্রয় চাই [জাহান্নামের] আগুনের আযাব ও কবরের শাস্তি হইতে।”
তিনি ভোরে উপনীত হয়েও একই দুয়া করিতেন ঃ
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ
আসবাহনা ওয়া আসবাহাল মুল্কু লিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি
“আমরা ভোরে উপনীত হলাম এবং আল্লাহ তাআলার বিশ্বজাহানও ভোরে উপনীত হল। সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য……।
সহীহ ঃ মুসলিম [হাঃ ৮/৮২]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ ٤
(4) আর গিরায় ফুঁ-দানকারী নারীদের অনিষ্ট থেকে
আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আবু ত্বলহা (রাদি.) কে বললেনঃ তুমি তোমাদের ছেলেদের ভিতর থেকে আমার খিদমাত করার উদ্দেশে একটি ছেলে খুঁজে নিয়ে এসো। আবু ত্বলহা (রাদি.) গিয়ে আমাকে তাহাঁর সাওয়ারীর পিছনে বসিয়ে নিয়ে এলেন। তখন থেকে আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর খিদমাত করে আসছি। যখনই কোন বিপদ দেখা দিত, তখন আমি তাঁকে অধিক করে এ দুআ পড়তে শুনতাম :
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজজি, ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি, ওয়াল জুবনি, ওয়া দ্দালায়েদ্দাইন, ওয়া গালাবাতির রিজাল। হে আল্লাহ! আমি দুশ্চিন্তা, পেরেশানী, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের আধিপত্য থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
أَعُوذُ | إِنِّي | اللَّهُمَّ |
আশ্রয় প্রার্থনা | আমি | হে আল্লাহ |
الْهَمِّ | مِنَ | بِكَ |
দুশ্চিন্তা | থেকে | আপনার |
وَالْكَسَلِ | وَالْعَجْزِ | وَالْحَزَنِ |
অলসতা | অপারগতা | পেরেশানী |
وَضَلَعِ | وَالْجُبْنِ | وَالْبُخْلِ |
ঋণের বোঝা | কাপুরুষতা | কৃপণতা |
الرِّجَالِ | وَغَلَبَةِ | الدَّيْنِ |
মানুষের | আধিপত্য |
আমি সর্বদা তাহাঁর খিদমাত করে আসছি, এমনকি যখন আমরা খাইবার থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলাম, তখন তিনি সফীয়্যাহ বিনতু হুয়াইকে সঙ্গে নিয়ে আসলেন। তিনি তাঁকে গনীমতের সম্পদ থেকে নিজের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। তখন আমি তাঁকে দেখছিলাম যে, তিনি তাঁকে একখানা চাদর অথবা একখানা কম্বল দিয়ে ঢেকে নিজের পেছনে বসিয়েছিলেন। যখন আমরা সবাই সাহবা নামক স্থানে পৌঁছলাম, তখন আমরা হাইস নামীয় খাবার তৈরী করে একটি চর্মের দস্তরখানে রাখলাম। তিনি আমাকে পাঠালে আমি গিয়ে কয়েকজনকে দাওয়াত করলাম। তাঁরা এসে আহার করে গেলেন। এটি ছিল সফীয়্যাহর সঙ্গে তাহাঁর বাসর যাপন। অতঃপর তিনি রওয়ানা হলে উহুদ পর্বত তাহাঁর সামনে দেখা গেল। তখন তিনি বললেনঃ এ এমন একটি পর্বত যা আমাদের ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। তারপর যখন মাদীনাহর কাছে পৌঁছলেন, তখন তিনি বললেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّمُ مَا بَيْنَ جَبَلَيْهَا مِثْلَ مَا حَرَّمَ بِهِ إِبْرَاهِيمُ مَكَّةَ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مُدِّهِمْ وَصَاعِهِمْ
আল্লাহুম্মা উহাররেমু মা বাইনা জাবালাইহা মিনকা মা হাররামা বিহি ইবরাহিমু মাক্কাতা, আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি মুদ্দিহিম ওয়া সায়েহিম,
হে আল্লাহ! আমি মাদীনাহর দুটি পর্বতের মধ্যবর্তী জায়গাকে হারাম (ঘোষণা) করছি, যে রকম ইবরাহীম (আঃ) মক্কাকে হারাম (ঘোষণা) করেছিলেন। হে আল্লাহ! আপনি তাদের মুদ্দ ও সাতে বারাকাত দান করুন।
(৬৩৬৩ আঃপ্রঃ- ৫৯১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১০)
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ٥
(5) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে
আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অসুস্থ হয়ে পড়লে জিব্রীল [আঃ] এ দুআ পড়ে তাঁকে ফুঁকে দিতেন, তিনি বলিতেন,
بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ইয়ুবরিকা ওয়া মিন কুল্লি দায়িন ইয়াসফিকা ওয়া মিন সাররি হাসিদিন ইজা হাসাদা ওয়া সাররি কুল্লি জিয়াইন, অর্থ আল্লাহ্র নামে তিনি আপনাকে সুস্থতা দান করুন, সব ব্যাধি থেকে আপনাকে মুক্ত করুন, আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে এবং যখন সে হিংসা করে এবং সকল প্রকার কুদৃষ্টি ব্যক্তির ক্ষতি হইতে।
يُبْرِيكَ | اللَّهِ | بِاسْمِ |
আপনাকে মুক্ত করু | আল্লাহ্র | নামে |
دَاءٍ | كُلِّ | وَمِنْ |
ব্যাধি | সব | থেকে |
شَرِّ | وَمِنْ | يَشْفِيكَ |
অনিষ্ট | থেকে | আপনাকে সুস্থতা দান করুন |
حَسَدَ | إِذَا | حَاسِدٍ |
হিংসা | যখন | হিংসা |
ذِي | كُلِّ | وَشَرِّ |
সকল | ক্ষতি | |
عَيْنٍ | ||
কুদৃষ্টি |
ইমাম মুসলিম, আয়িশাহ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [সহীহ মুসলিম ৫৫৯২, ইঃফাঃ ৫৫১১, ইঃসেঃ ৫৫৩৬
আবূ উমামাহ বিন হুনায়ফ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
আমির বিন রাবীআহ (রাদিআল্লাহু আঃ) সাহল বিন হুনায়ফ (রাদিআল্লাহু আঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন গোসল করছিলেন। আমির (রাদিআল্লাহু আঃ) বলেন, আমি এমন খুবসুরত সুপুরুষ দেখিনি, এমনকি পর্দানশীন নারীকেও এরুপ সুন্দর দেখিনি, যেমন আজ দেখলাম। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাহল (রাদিআল্লাহু আঃ) বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলেন। তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে যাওয়া হল এবং তাঁকে বলা হলো, ধরাশায়ী সাহলকে রক্ষা করুন। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কাকে অভিযুক্ত করছো? তারা বললো, আমির বিন রাবীআহ কে। তিনি বলেন, তোমাদের কেও বদনজর লাগিয়ে তার ভাইকে কেন হত্যা করিতে চায়? তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের মনোমুগ্ধকর কিছু দেখলে যেন তার জন্য বরকতের দুআ’ করে। অতঃপর তিনি পানি নিয়ে ডাকলেন, অতঃপর আমিরকে উযু করিতে নির্দেশ দিলেন। তিনি তার মুখমণ্ডল, দু’হাত কনুই পর্যন্ত, দু’পা গোছা পর্যন্ত ও লজ্জাস্থান ধৌত করিলেন। তিনি আমিরকে পাত্রের (অবশিষ্ট) পানি সকলের উপর ঢেলে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি সাহলের পেছন দিক থেকে পানি ঢেলে দেয়ার জন্য আমিরকে নির্দেশ দেন।
ইবনু মাজাহ, আবূ উমামাহ বিন হুনায়ফ (রাঃ) এর সুত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন [ইবনু মাজাহ ৩৫০৯, সহীহ]
Leave a Reply