সৎকাজ , কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ ও ভূ-সম্পত্তি দেখিতে যাওয়া

সৎকাজ , কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ ও ভূ-সম্পত্তি দেখিতে যাওয়া

সৎকাজ , কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ ও ভূ-সম্পত্তি দেখিতে যাওয়া << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ৬, দান্যতা, কৃপণতা ও দোষ

১১৪. অনুচ্ছেদঃ দুনিয়ার সৎকর্মশীলগণই আখেরাতে সৎকর্মশীল হিসেবে গণ্য হইবে।
১১৫. অনুচ্ছেদঃ প্রতিটি সৎকাজ দান-খয়রাততুল্য।
১১৬. অনুচ্ছেদঃ রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ।
১১৭. অনুচ্ছেদঃ উত্তম কথা।
১১৮. অনুচ্ছেদঃ সজি বাগানে গমন এবং থলে ভর্তি জিনিসপত্রসহ তা কাঁধে বহন করে বাড়ি ফেরা।
১১৯. অনুচ্ছেদঃ ভূ-সম্পত্তি দেখিতে যাওয়া।
১২০. অনুচ্ছেদঃ মুসলমান তার ভাইয়ের আয়নাস্বরূপ।

১১৪. অনুচ্ছেদঃ দুনিয়ার সৎকর্মশীলগণই আখেরাতে সৎকর্মশীল হিসেবে গণ্য হইবে।

২২০. কাবীসা ইবনি বুরমা আল-আসাদী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। আমি তাকে বলিতে শুনেছিঃ দুনিয়ার সৎকর্মশীলগণই আখেরাতে সৎকর্মশীল গণ্য হইবে এবং দুনিয়ার পাপিষ্ঠরাই আখেরাতেও পাপিষ্ঠ গণ্য হইবে

[উসদুল গা বাযযার]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

২২১. হারমালা ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি রওনা হয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি তাহাঁর নিকট উপস্থিত থাকতেই নাবী [সাঃআঃ] তাকে চিনে ফেলেন। তিনি রওয়ানা হলে আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহর শপথ আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট যাবো এবং আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়াবো। আমি হেঁটে হেঁটে তার নিকট গিয়ে তার সামনে দাড়ালাম। আমি বললাম, আপনি আমাকে কি কাজের নির্দেশ দিবেন? তিনি বলেনঃ হে হারমালা ! তুমি সৎকাজ করিবে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকিবে। অতঃপর আমি ফিরে এসে আমার বাহনের নিকট এলাম, আবার ফিরে গিয়ে তার নিকট আমার স্থানে দাঁড়ালাম। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে কি কাজ করার নির্দেশ দিবেন? তিনি বলেনঃ “হে হারমালা! তুমি সৎকাজ করিবে এবং পাপ কাজ বর্জন করিবে। তুমি লক্ষ্য করো, তোমার কান কি শুনতে পছন্দ করে? তোমার সম্প্রদায় তোমার অনুপস্থিতিতে যা বললে তুমি আনন্দ পাও তা করো এবং তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার সম্প্রদায় যা বললে তুমি অপছন্দ করো তা থেকে বিরত থাকো”। হারমালা [রাঃআঃ] বলেন, আমি ফিরে এসে ভেবে দেখলাম, তা এমন দু’টি কথা, যাতে কিছুই বাদ পড়েনি

তায়ালিসী, আদাবুল মুহাদ্দিস, ইসা বাযযার]।আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২২২. সালমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

পৃথিবীর সৎকর্মশীল লোকেরাই আখেরাতে সৎকর্মশীল গণ্য হইবেন। মহানাবী [সাঃআঃ] একথা বলেছেন।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

১১৫. অনুচ্ছেদঃ প্রতিটি সৎকাজ দান-খয়রাততুল্য।

২২৩. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ প্রতিটি সৎকাজ দান-খয়রাততুল্য

[বোখারী, মুসলিম, হাকিম]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২৪. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের দান-খয়রাত করা ওয়াজিব। সাহাবীগণ বলেন, সে যদি তা করিতে সক্ষম না হয় বা তা করিতে না পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে স্বহস্তে কাজ করে নিজেকে লাভবান করিবে এবং দান-খয়রাত করিবে। সাহাবীগণ বলেন, যদি তার সে সামর্থ্য না থাকে বা সে তা না করিতে পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে দুস্থ-বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করিবে। সাহাবীগণ বলেন, সে যদি তাও না করিতে পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে কল্যাণের বা সৎকাজের আদেশ দিবে। তারা বলেন, যদি সে তাও না করিতে পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে অপরের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকিবে। এটাই তার জন্য দানস্বরূপ।

-[বোখারী, মুসম, নাসায়ী] আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২৫. আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ]-কে বলা হলো, সর্বোত্তম আমল কি? তিনি বলেনঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তার পথে জিহাদ। বলা হলো, আযাদ করার জন্য সর্বোত্তম গোলাম কে? তিনি বলেনঃ যার মূল্য সর্বাধিক এবং যে নিজ মনিব পরিবারের অধিক প্রিয়। প্রশ্নকারী বললো, আপনার কি মত, আমি যদি কোন কোন কাজ করিতে সক্ষম না হই? তিনি বলেনঃ তাহলে কোন কারিগরের কাজে সাহায্য করো অথবা অনভিজ্ঞ লোকের কাজ করে দাও। সে বললো, আপনি কি

মনে করেন, যদি তা করিতে আমি অপারগ হই? তিনি বলেনঃ তোমার অনিষ্ট থেকে লোকজনকে নিরাপদ থাকতে দাও। কেননা তাও সদাকা যা তোমার নিজের জন্য করিতে পারো [২১৯ নং দ্র.]।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২৬. আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

বলা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ! বিত্তবানরা সওয়াব লুটে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা যেমন নামায পড়ি, তারাও নামায পড়েন, আমরা যেমন রোযা রাখি, তারাও রোযা রাখেন এবং তারা তাহাদের উদৃত্ত মাল থেকে দান-খয়রাত করেন। তিনি বলেনঃ আল্লাহ কি তোমাদের জন্য দান-খয়রাতের ব্যবস্থা রাখেননি? নিশ্চয় প্রতিটি তাসবীহ ও তাহমীদ দানস্বরূপ এবং তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর মিলনও দানস্বরূপ। সাহাবীগণ বলেন, তার যৌনমিলনও কি দানস্বরূপ। তিনি বলেনঃ যদি সে হারাম পথে তা চরিতার্থ করতো তবে কি তা তার জন্য পাপ হতো না? অনুরূপ সে তা হালালভাবে চরিতার্থ করলে তার জন্য সওয়াব রহিয়াছে

[মুসলিম, আবু দাউদ, আহমাদ, ইবনি খুযাইমাহ]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১৬. অনুচ্ছেদঃ রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ।

২২৭. আবু বারযা আল-আসলামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! আমাকে একটি আমল শিখিয়ে দিন, যা আমাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবে। তিনি বলেনঃ জনপথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করো

[মুসলিম, ইবনি মাজাহ, আহমাদ, ইবনি হিব্বান]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ এক ব্যক্তি রাস্তা অতিক্রমকালে তার সামনে কাঁটা পড়লো। সে বললো, আমি অবশ্যই এই কাঁটা সরিয়ে ফেলবো, যাতে তা কোন মুসলমানকে কষ্ট দিতে না পারে। তাকে [এই] কাজের উসীলায় ক্ষমা করা হয়

[বোখারী, মুসলিম, ইবনি হিব্বান]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২২৯. আবু যার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার উমাতের ভালো-মন্দ সমুদয় আমল আমার সামনে পেশ করা হলো। আমি তাহাদের নেক আমলসমূহের মধ্যে জনপথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানোও দেখিতে পেলাম এবং তাহাদের বদ আমলসমূহের মধ্যে মসজিদে নিক্ষিপ্ত খুখুও দেখিতে পেলাম যা মাটি দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়নি

[বোখারী, মুসলিম, ইবনি মাজাহ, আহমাদ, ইবনি খুজাইমাহ, ইবনি হিব্বান]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১৭. অনুচ্ছেদঃ উত্তম কথা।

২৩০. আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াযীদ আল-খাতমী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রতিটি সৎকাজ একটি দানস্বরূপ

[আবু দাউদ]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৩১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ]-কে কিছু দেয়া হলে তিনি বলিতেনঃ যাও, এটা অমুক নারীকে

দিয়ে এসো। কেননা সে ছিল খাদীজার বান্ধবী। এটি নিয়ে অমুক মহিলার ঘরে যাও। কেননা সে খাদীজাকে মহব্বত করতো

২৩২. হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

[বাযযার, হাকিম, ইবনি হিব্বান]। আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

তোমাদের নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রতিটি সৎকাজই দানস্বরূপ

[মুসলিম,দা]।আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১৮. অনুচ্ছেদঃ সজি বাগানে গমন এবং থলে ভর্তি জিনিসপত্রসহ তা কাঁধে বহন করে বাড়ি ফেরা।

২৩৩. আমর ইবনি আবু কুররা আল-কিন্দী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমার পিতা আবুল কুররা [রাহিমাহুল্লাহ] সালমান [রাঃআঃ]-এর নিকট তার বোনের বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। তিনি তাতে অসম্মত হলেন এবং বুকায়রা নাম্নী নিজ মুক্তদাসীকে বিবাহ করিলেন। আবু কুররা [রাহিমাহুল্লাহ] সালমান [রাঃআঃ] ও হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর মধ্যকার মনোমালিন্যের কথা জানতে পারলেন। তিনি তার খোঁজে গেলেন। তাকে জানানো হলো যে, তিনি তার সব্জি বাগানে আছেন। তিনি সেখানে গেলেন এবং তার সাক্ষাত পেলেন। তার সাথে সব্জি ভর্তি একটি ঝুড়ি ছিল। তিনি এর হাতার মধ্যে তার লাঠি ঢুকিয়ে তা কাঁধে তুলে নিলেন। তিনি বলেন, হে আবদুল্লাহর পিতা! আপনার ও হুযায়ফা [রাঃআঃ]-র মধ্যে কি ঘটেছে? আবু কুররা [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, সালমান [রাঃআঃ] পড়লেন, “মানুষ তাড়াহুড়া প্রবণ” [১৭ : ১১]। অতএব তারা রওয়ানা হয়ে সালমান [রাঃআঃ]-র বাড়িতে এসে পৌছলেন। সালমান [রাঃআঃ] ঘরে প্রবেশ করে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলিলেন। আবু কুররাকে অনুমতি দিলে তিনিও ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরে একখানা মাদুর বিছানো ছিল। সালমান [রাঃআঃ] বলেন, আপনার দাসীর বিছানায় বসুন। সে নিজের জন্য তা পেতেছে। অতঃপর তিনি তার সাথে কথা শুরু করিলেন এবং বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অসন্তুষ্ট অবস্থায় যা বিভিন্নজনকে বলিতেন, হুযায়ফা [রাঃআঃ] তা লোকদের নিকট বর্ণনা করেন। এসব সম্পর্কে আমার নিকট এসে আমাকে জিজ্ঞেস করা হতো। আমি বলতাম, হুযায়ফা-ই তার কথা সম্পর্কে অধিক অবগত। লোকজনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়া আমি অপছন্দ করতাম। লোকজন আবার হুযায়ফার কাছে গিয়ে বলতো, সালমান [রাঃআঃ] আপনার বক্তব্যকে সমর্থনও করেননি এবং মিথা প্রতিপন্নও করেননি। হুযায়ফা [রাঃআঃ] আমার নিকট এসে বলেন, হে সালমানের মায়ের পুত্র সালমান। আমিও বললাম, হে হুযায়ফার মায়ের পুত্র হুযায়ফা! তুমি বিরত হইবে, অন্যথায় আমি উমারকে তোমার সম্পর্কে লিখে জানাবো। আমি তাকে উমারের ভয় প্রদর্শন করলে তিনি আমাকে ত্যাগ করেন। অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ “আমিও আদমেরই সন্তান। [হে আল্লাহ] আমি আমার কোন উম্মাতকে অকারণে ভর্ৎসনা করলে বা গালি দিলে তুমি তা তার পক্ষে দোয়ারূপে গ্রহণ কর” [আবু দাউদ, আহমাদ]।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৩৪

ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

উমার [রাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা আমার সাথে চলো, আমাদের লোকজনের এলাকায় ঘুরে আসি। আমরা রওয়ানা হলাম। আমি ও উবাই ইবনি কাব [রাঃআঃ] ছিলাম সকলের পেছনে। আকাশে মেঘ উঠলে উবাই [রাঃআঃ] বলেন, হে আল্লাহ! আমাদের থেকে এর কষ্ট দূর করো। পরে আমরা অন্যান্যদের সাথে গিয়ে মিলিত হলাম। তাহাদের হাওদাসমূহ ভিজে গিয়েছিল। তারা জিজ্ঞেস করলো, আমাদের উপর যা [বৃষ্টি] বর্ষিত হলো তা কি তোমাদের উপর হয়নি? আমি বললাম, ইনি [উবাই] মহামহিম আল্লাহর নিকট এর কষ্ট সরিয়ে নেয়ার জন্য দোয়া করেছিলেন। উমার [রাঃআঃ] বলেন, তোমাদের সাথে আমাদের জন্যও দোয়া করলে না কেন [তারীখ ইবনি আসাকির]।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১১৯. অনুচ্ছেদঃ ভূ-সম্পত্তি দেখিতে যাওয়া।

২৩৫

আবু সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি আবু সাঈদ খুদরী [রাঃআঃ]-র নিকট আসলাম। তিনি ছিলেন আমার বন্ধু। আমি বললাম, আপনি কি আমাদের সাথে খেজুর বাগানে বেড়াতে যাবেন না? অতএব তিনি তার কালো চাদর পরিহিত অবস্থায় রওয়ানা হলেন।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২৩৬

উম্মু মূসা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি আলী [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, নাবী [সাঃআঃ] আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]-কে গাছে উঠে কিছু নিয়ে আসতে হুকুম দিলেন। তার সাথীরা আবদুল্লাহ [রাঃআঃ]-র উরুর দিকে তাকিয়ে তার কৃশতার কারণে তারা হেসে দিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা কেন হাসছো? [পুণ্যের] পাল্লায় আবদুল্লাহর পা উহুদ পাহাড়ের তুলনায় অধিক ভারী হইবে।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

১২০. অনুচ্ছেদঃ মুসলমান তার ভাইয়ের আয়নাস্বরূপ।

২৩৭

আবু হুরাইরা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

মুমিন ব্যক্তি তার ভাইয়ের আয়নাস্বরূপ। সে তার মধ্যে কোনরূপ দোষ দেখিতে পেলে তা সংশোধন করে দেয়।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৩৮

আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মুমিন ব্যক্তি তার ভাইয়ের আয়নাস্বরূপ। এক মুমিন অপর মুমিনের ভাই। সে তার অনুপস্থিতিতে তার সম্পদের হেফাযত করিবে [এবং তার অবর্তমানেও তার হেফাযত করিবে] [দারেমী]।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২৩৯

মুসতাওরিদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি মুসলমানের মাল থেকে [অবৈধভাবে] গ্রাস করলে, আল্লাহ জাহান্নামের অনুরূপ এক গ্রাস তাকে খাওয়াবেন। কেউ মুসলমানের বস্ত্র [অবৈধভাবে] হরণ করলে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অনুরূপ বস্ত্র পরাবেন। কেউ মুসলমানের প্রতিপক্ষ হয়ে নাম-যশের দাবিদার হলে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন নাম-যশের জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন [আবু দাউদ, আহমাদ]।

আল আদাবুল মুফরাদ হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

By ইমাম বুখারী

এখানে কুরআন শরীফ, তাফসীর, প্রায় ৫০,০০০ হাদীস, প্রাচীন ফিকাহ কিতাব ও এর সুচিপত্র প্রচার করা হয়েছে। প্রশ্ন/পরামর্শ/ ভুল সংশোধন/বই ক্রয় করতে চাইলে আপনার পছন্দের লেখার নিচে মন্তব্য (Comments) করুন। “আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়” -বুখারি ৩৪৬১। তাই এই পোস্ট টি উপরের Facebook বাটনে এ ক্লিক করে শেয়ার করুন অশেষ সাওয়াব হাসিল করুন

Leave a Reply