ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদ হইতে যে পরিমাণ সম্পদ ব্যয়
ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদ হইতে যে পরিমাণ সম্পদ ব্যয় >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২৬. অধ্যায়ঃ ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদ হইতে যে পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করিতে পারবে
২২৫৮
আবু লাহ্ম-এর {আবদুল্লাহ [রাদি.]} আযাদকৃত গোলাম উমায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ছিলাম ক্রীতদাস। তাই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করলাম, আমি কি আমার মালিকের সম্পদ থেকে কিছু দান করিতে পারি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ; আর তোমরা দুজনকেই এর অর্ধেক সাওয়াব পাবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ২২৩৮]
২২৫৯
আবু লাহম [রাদি.]-এর মুক্ত গোলাম উমায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার মালিক আমাকে গোশ্ত শুকানোর জন্য নির্দেশ দিলেন। আমার কাছে জৈনক মিসকীন আসলো। আমি তাকে এ থেকে খাওয়ার জন্য দিলাম। এটা টের পেয়ে আমার মালিক আমাকে মারধর করিলেন। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে তাঁকে ব্যাপারটি জানালাম। তিনি তাঁকে ডেকে এনে বলিলেন, তুমি একে মারলে কেন? আমার মালিক বলেন, আমার খাদ্যদ্রব্য আমার অনুমতি ছাড়াই সে দান করে। তিনি বলেন, তোমরা দুজনেই এর সমান সাওয়াব পাবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ২২৩৯]
২২৬০
আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করিলেন। তার একটি এই যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রী যেন [নফল] রোযা না রাখে। তার উপস্থিতিতে তার অনুমতি ছাড়া সে যেন তার ঘরে প্রবেশ করার জন্য অন্য কাউকে অনুমতি না দেয়। তার [স্বামীর] নির্দেশ ছাড়া সে তার উপার্জিত সম্পদ থেকে যা কিছু দান করিবে তাতেও সে [স্বামী] অর্ধেক সাওয়াব পাবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ২২৪০]