কোন লোককে বিদায় দেয়ার সময় যে দুয়া পাঠ করিতে হয় [তিরমিজি]
কোন ব্যক্তি তাহার ঘর থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে যে দুআ পড়বে [ইবনে মাজাহ]
কোন ব্যক্তি তাহার ঘরে প্রবেশের প্রাক্কালে যে দুআ পড়বে [ইবনে মাজাহ]
সফরে যাওয়ার সময় যে দুয়া পাঠ করিতে হয় [ইবনে মাজাহ, তিরমিজি]
কোন জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে যে দুয়া পাঠ করিবে [তিরমিজি]
সফর হইতে ফিরে এসে যে দুয়া পাঠ করিবে [তিরমিজি]
বাজারে প্রবেশের দুয়া [তিরমিজি]
সফরকালে দুয়া চাওয়া [তিরমিজি]
মুসাফিরের দুয়া প্রসঙ্গে যা উল্লেখ আছে [তিরমিজি]
আরাফাতে দুপুরের পর পাঠের দুয়া [তিরমিজি]
মুসাফিরের নিকট দুয়ার আবেদন [তিরমিজি]
অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ কোন লোককে বিদায় দেয়ার সময় যে দুয়া পাঠ করিতে হয়
৩৪৪২ : ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন কোন লোককে নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বিদায় দেয়ার সময় তাকে নিজের হাতে ধরতেন এবং যতক্ষন পর্যন্ত সে নিজের হাত নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হইতে না ছাড়াতেন সে পর্যন্ত তিনিও তার হাত ছাড়তেন না। তিনি বলিতেনঃ
أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَآخِرَ عَمَلِكَ
আসতাওদিয়ুল্লাহি দিনিকা ওয়া আ¬মানাতাকা ওয়া আখিরা আমালিকা
(তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ আমলের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তাআলাকে আমানতদার নিযুক্ত করলাম )।
সফরে বের হওয়ার দোয়া-সহীহঃ সহীহাহ ,[হাঃ ১৬,২৪৮৫] , আল-কালিমুত , তাইয়্যিব তাহক্বিক্ব সানী [হাঃ ১৬৯/১২২] এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৪৪৩ : সালিম [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
কোন লোক সফরের উদ্দেশে রাওয়ানা হলে ইবনি উমর [রাদি.] তাকে বলিতেন , আমার কাছে আস। আমি তোমাকে বিদায় সম্ভাষণ জানাব। যেভাবে রাসুলাল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাদেরকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতেন। তিনি বলিতেনঃ
أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ
আসতাওদিয়ুল্লাহি দিনিকা ওয়া আ¬মানাতাকা ওয়া খাওয়াতিমা আমালিকা
(তোমার দ্বীন , ঈমান ও সর্বশেষ আমলের জন্য আমি আল্লাহ তাআলাকে যিম্মাদার করলাম )।
সহীহঃ প্রাগুক্ত। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
অনুচ্ছেদ-৪৫ঃ অনুরুপ প্রসঙ্গ
৩৪৪৪ : আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন , নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর কাছে এক লোক এসে বলিল , হে আলাহর রাসুল ! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে পাথেয় দিন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে তাক্বওয়ার পাথেয় দান করুন। সে বলিল, আরো বেশি দিন। তিনি বললেনঃ তোমার গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করুন। সে বলিল , আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক ! আমাকে আরো বেশি দান করুন। তিনি বললেনঃ তিনি [আল্লাহ তাআলা] তোমার জন্য মঙ্গলকে সহজতর করুন , তুমি যেখানেই থাক।
হাসান সহীহঃ আল-কালিমুত , তাইয়্যিব তাহক্বিক্ব সানী [হাঃ ১৭০]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ
অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ [সফরকালে দুয়া চাওয়া]
৩৪৪৫ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি বলিল, হে আলাহর রাসুল ! আমি সফরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি, অতএব উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ অবশ্যই তুমি আল্লাহ তাআলার ভয় [তাক্বওয়া] অবলম্বন করিবে এবং প্রতিতি উচ্চ জায়গায় যাওয়ার সময় তাকবীর ধ্বনি দিবে। যখন লোকটি চলে যাচ্ছিল সে সময় রাসুলাল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ
اللَّهُمَّ اطْوِ لَهُ الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ
আল্লাহুম্মায়ি লাহুল আরদা ওয়া হাওঅয়িন আলায়হিস সাফরি
হে আল্লাহ ! তার পথের ব্যবধান কমিয়ে দাও এবং তার জন্য সফর সহজতর করে দাও “।
সফরে বের হওয়ার দোয়া-হাসানঃ ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[হাঃ ২৭৭১]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস
কোন ব্যক্তি তাহার ঘর থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে যে দুআ পড়বে [ইবনে মাজাহ]
উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] যখন তাহাঁর ঘর থেকে বের হইতেন তখন বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أَزِلَّ أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা আন আদিল্লা আও আজিল্লা আও আজলিমা আও উজলামা আও আজহালা আও ইউজহালা আলাইয়া, ( “হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে, পদঙ্খলন ঘটা থেকে, অত্যাচার করা থেকে, অত্যাচারিত হওয়া থেকে, অজ্ঞতাসুলভ আচরণ করা থেকে বা আমার প্রতি কারো অজ্ঞতাসুলভ আচরণ থেকে।) {৩২১৬}
{৩২১৬} তিরমিজি ৩৪২৭, নাসাঈ ৫৪৮৬, আবু দাউদ ৫০৫৪, আহমাদ ২৬০৭৬, ২৬১৮৯। আখরীজুল কালিমুত তায়্যিব ৫৯। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
ইবনে মাজাহ ৩৮৮৪
তিরমিজি ৩৪২৬ : আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঘর হইতে কেউ বাইরে রাওয়ানা হওয়াকালে যদি বলে,
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّ
বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়া লা কুওঅয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
“আল্লাহ তাআলার নামে, আল্লাহ তাআলার উপরই আমি নির্ভর করলাম, আল্লাহতা আলার সাহায্য ব্যতীত বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই”,
তবে তাকে বলা হয় [আল্লাহ তাআলাই] তোমার জন্য যথেষ্ট, [অনিষ্ট হইতে] তুমি হিফাযাত অবলম্বন করেছ। আর তার হইতে শাইতান দূরে সরে যায়।
সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী [হাঃ ২৪৪৩], তালীকুর রাগীব [হাঃ ২/২৬৪], আল-কালিমুত তাইয়্যিব [হাঃ ৫৮/৪৯]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
অনুচ্ছেদ-৩৫ঃ [ঘর হইতে বের হওয়ার সময় নাবী [সাঃআঃ] এর পঠিত দু আ]
তিরমিজি ৩৪২৭ : উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যখন নাবী [সাঃআঃ] ঘর হইতে বাইরে রাওয়ানা হইতেন তখন বলিতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا
বিস্মিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্না তাউজু বিকা মিন আন নাজিল্লা আও নাদিল্লা আও নাজলিমা আও নুজলামা আও নাজহালা আও ইউজহালা আলাইনা
“আল্লাহ তাআলার নামে, আল্লাহ তাআলার উপর আমি নির্ভর করলাম। হে আল্লাহ ! আমরা পদস্থলন হইতে কিংবা পথভ্রষ্ঠতা হইতে কিংবা যুলম করা হইতে কিংবা অত্যাচারিত হওয়া হইতে কিংবা অজ্ঞতাবশত কারো প্রতি মন্দ আচরণ হইতে বা আমাদের প্রতি কারো অজ্ঞতা প্রসূত আচরণ হইতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই”।
সফরে বের হওয়ার দোয়া-সহীহঃ ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[হাঃ ৩৮৮৪]। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
ইবনে মাজাহ ৩৮৮৫ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.], হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] যখন তাহাঁর ঘর থেকে বের হইতেন তখন বলিতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ التُّكْلاَنُ عَلَى اللَّهِ
বিসমিল্লাহি লা হাওলা ওয়া লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিত তুকলানু আলাল্লাহি, আল্লাহ্র নামে, আল্লাহ্ ছাড়া ক্ষতি রোধ করা বা কল্যাণ হাসিল করার শক্তি কারো নেই। ভরসা আল্লাহ্র উপর”। {৩২১৭}
{৩২১৭} হাদিস ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন। দঈফাহ ৪২৪৩। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
সফরে যাওয়ার সময় যে দুয়া পাঠ করিতে হয়
ইবনে মাজাহ ৩৮৮৮ :আবদুল্লাহ বিন সারজিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরে রওয়ানার প্রাক্কালে বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَالْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْرِ وَدَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَسُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ
আলাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন ওয়া’সাইস সাফারি ওয়া কাল-বারিল মুনকলাবি ওয়াল হাওরি বা’দাল কাওরি ওয়া দা’ওয়াতিল মাজলুমি ওয়া সুয়েল মাঞ্জারি ফিল আহলে ওয়াল মালা, (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সফরের ব্যর্থতা, প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা, নির্যাতিতের বদদোয়া এবং পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদের প্রতি কুদৃষ্টি থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি )।
আবু মুআবিয়ার বর্ণনায় আরো আছে ঃ তিনি ফিরে এসেও অনূরূপ বলিতেন। {৩২২০}
{৩২২০} মুসলিম ১৩৪৩,তিরমিজি ৩৪৩৯,নাসাঈ ৫৪৯৮,৫৪৯৯,৫৫০০, আহমাদ ২০২৪৭,২০২৫৭ দারেমী ২৬৭২ সহীহ আবু দাঊদ ২৩৩৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩৪৩৮ : আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সফরে বের হইতেন, সে সময় প্রথমে সওয়ারীতে আরোহণ করিতেন, তারপর নিজের আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করিতেন। অধঃস্তন বর্ণনাকারী শুবাহ আঙ্গুল উঁচু করে ইশারা করে দেখিয়েছেন। তারপর রাসুলাল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا بِنُصْحِكَ وَاقْلِبْنَا بِذِمَّةٍ . اللَّهُمَّ ازْوِ لَنَا الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْنَا السَّفَرَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ
আল্লাহুম্মা আ্নতাস সহিবু ফিস সাফারি, ওয়াল খলীফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মাশ হাবনা বি নুশহিকা ওয়াকলিবনা বিজিম্মাতি। আল্লাহুম্মাজ ওয়া লানাল আরদা ওয়া হাইন আলাইনাস সাফরা। আল্লাহুম্মা ইন্নী আয়ু’যু বিকা মিন ওয়াছা-ইসসাফারি ওয়া কিতাবাতিল মানযরি ওয়াসূইলমুনকলাবি
হে প্রভু! সফরে তুমি আমার সঙ্গী এবং আমার [অনুপস্হিতিতে] আমার পরিবার –পরিজনের [আমার] প্রতিনিধি। হে আল্লাহ ! মঙ্গল সহকারে তুমি আমাদের সঙ্গী হও এবং তোমার জামানতে আমাদেরকে ফিরাও। হে আল্লাহ! মাটিকে [সফরের দীর্ঘ পথ] আমাদের জন্য সংকুচিত করে দাও এবং সফর আমাদের জন্য সহজ কর। হে আল্লাহ ! তোমার নিকট আমি সফরের ক্লান্তি হইতে এবং ফিরে আসার দুশ্চিন্তা ও ব্যর্থতা হইতে আশ্রয় প্রার্থনা করি “।
সফরে বের হওয়ার দোয়া-সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ [হাঃ ২৩৩৯] এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৪৩৯ : আবদুল্লাহ ইবনিস সারজিস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সফরে রাওয়ানা হইতেন , সে সময় বলিতেনঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الأَهْلِ اللَّهُمَّ اصْحَبْنَا فِي سَفَرِنَا وَاخْلُفْنَا فِي أَهْلِنَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمُنْقَلَبِ وَمِنَ الْحَوْرِ بَعْدَ الْكَوْنِ وَمِنْ دَعْوَةِ الْمَظْلُومِ وَمِنْ سُوءِ الْمَنْظَرِ فِي الأَهْلِ وَالْمَالِ
আলাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন ওয়া’সাইস সাফারি ওয়া কালাবারতল মুনকলাবি ওয়া মিনাল হাওরি বা’দাল কাওনি ওয়া মিন দা’ওয়াতিল মাজলুমি ওয়া মিন সুয়েল মাঞ্জারি ফিল আহলে ওয়াল মালা
“ হে আল্লাহ ! তুমি সফরে আমার সঙ্গী এবং আমার [অনুপস্হিতিতে] আমার পরিবার-পরিজনের তুমিই [আমার] স্হলাভিষিক্ত। হে আল্লাহ ! আমাদের সফরে তুমি আমাদের সাথী হও এবং আমাদের পরিবার –পরিজনের জন্য আমাদের প্রতিনিধি হও। হে আল্লাহ ! তোমার কাছে আমরা সফরের ক্লান্তি , ফিরে আসার ব্যর্থতা , প্রাচুর্যের পরে রিক্ততা , নির্যাতিতের অভিশাপ এবং পরিবার –পরিজন ও মাল-সম্পত্তির প্রতি কু- দৃষ্টি হইতে তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি “।
সফরে বের হওয়ার দোয়া-সহীহঃ ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[হাঃ ৩৮৮৮] ,মুসলিম। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
কোন জায়গায় যাত্রাবিরতি করলে যে দুয়া পাঠ করিবে
৩৪৩৭ : খাওলা বিনতুল হাকীম আস-সুলামিয়াহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলাল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ কোন লোক যদি কোন জায়গায় অবতরন করে বলে,
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ
আউজু বি কালিমা তিল্লাহিত তাম্মাতি মিন সাররি মা খালাক
( আমি আল্লাহ তাআলার সম্পূর্ণ বাক্যর দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করি তাহাঁর সকল সৃষ্টির ক্ষতি হইতে)
সে উক্ত জায়গা ত্যাগ করা পর্যন্ত কোন কিছুই তার অনিষ্ট করিতে পারবে না।
সহীহঃ ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[হাঃ ৩৫৪৭], মুসলিম। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ সফর হইতে ফিরে এসে যে দুয়া পাঠ করিবে
৩৪৪০ : আল-বারাআ ইবনি আযিয [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
সফর হইতে প্রত্যাবর্তন করে নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলিতেনঃ
آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ
আ-য়িবুনা তা-য়িবুনা আবিদুনা লিরব্বানা হামিদুন
(আমরা [সফর হইতে হিফাযাতে] ফিরে আসা ব্যক্তি , তাওবাহকারী , ইবাদাতকারী , আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী)
সহীহঃ সহীহ আবু দাউদ [হাঃ ২৩৩৯]। আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ । এ হাদীস সুফিয়ান সাওরী আবু ইসহাক হইতে , তিনি আল-বারাআ [রাদি.] হইতে এই সনদে রিওয়ায়াত করিয়াছেন কিন্তু আর-রাবী ইবনিল বারাআ এর উল্লেখ করেননি । শুবাহর বর্ণনাটিই অনেক বেশি বিশুদ্ধ ।এ অনুচ্ছেদে ইবনি উমর , আনাস ও জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে । এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৪৪১ : আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সফর হইতে ফিরে এসে মাদীনার প্রাচীরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেন এবং মাদীনার প্রতি মুহাব্বতের কারনে তাহাঁর উস্ট্রী দ্রুত হাঁকাতেন , আর অপর কোন পশু হলে তাও তাড়াতাড়ি চালাতেন।
সহীহঃ বুখারী ৮৭৪ নং হাদীসের সংক্ষেপিত। এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
বাজারে প্রবেশের দুয়া [তিরমিজি]
৩৪২৮ : মুহাম্মাদ ইবনি ওয়াসি [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ
আমি মক্কায় পৌঁছালে আমার ভাই সালিম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তার বাবা হইতে, তার দাদার সনদে আমার কাছে হাদীস রিওয়ায়াত করেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক বাজারে প্রবেশ করে বলে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكُ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহইয়ি ওয়া ইউউমিতু ওয়া হুয়া হায়্যু লা ইয়ামুতু বি ইয়াদিহিল খয়রু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
“আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই, সকল ক্ষমতা তাহাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাহাঁর জন্য, তিনিই প্রাণ দান করেন ও মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবি, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাহাঁর হাতেই মঙ্গল এবং তিনিই সবসময় প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতার অধিকারী”,
তার জন্য আল্লাহ তাআলা দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার দশ লক্ষ গুণ সম্মান বৃদ্ধি করেন।
হাসানঃ ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[হাঃ ২২৩৫]। আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি গারীব । এ হাদীস যুবাইর পরিবারের কোষাধ্যক্ষ আমর ইবনি দীনার সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে একই রকম রিওয়ায়াত করিয়াছেন । এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৩৪২৯ : সালিম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও তার দাদা হইতে বর্ণীতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বাজারে গিয়ে বলে, “
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহইয়ি ওয়া ইউউমিতু ওয়া হুয়া হায়্যু লা ইয়ামুতু বি ইয়াদিহিল খয়রু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তিনি এক, তাহাঁর কোন অংশীদার নেই, তিনিই সমস্ত কিছুর ক্ষমতার অধিকারী, সকল প্রশংসা তাহাঁর তিনিই প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু দেন, তিনি চিরজীবি, তিনি কক্ষনো মৃত্যুবরণ করবেন না, তাহাঁর হাতেই কল্যাণ, সমস্ত কিছুর উপর তিনি সর্বশক্তিমান”,
তার জন্য আল্লাহ তাআলা তার জন্য দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার জন্য জান্নাতে একখানা ঘর তৈরি করেন।
হাসানঃ দেখুন পূর্বের হাদীস। এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস