যে ব্যক্তি রাত্র ঘুমিয়ে সকাল করিল তার প্রসঙ্গে আলোচনা ।
যে ব্যক্তি রাত্র ঘুমিয়ে সকাল করিল তার প্রসঙ্গে আলোচনা । >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২৮. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি রাত্র ঘুমিয়ে সকাল করিল তার প্রসঙ্গে আলোচনা ।
১৭০২. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি সম্পর্কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর কাছে বলা হল যে, সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটায় [অর্থাৎ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে না ] এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ ঐ লোকটি এমন যার কানে শাইত্বন পেশাব করে দিয়েছে অথবা বলেছেন, দু কানে।{৩৫}
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৬৮৭, ইসলামিক সেন্টার-১৬৯৮]
{৩৫} শাইত্বনের পেসাব দ্বারা শাইত্বন কর্তৃক ব্যক্তির বিপর্যয় বুঝানো হয়েছে । এ ক্ষেত্রে উপহাসচ্ছলে তাঁকে উজ্জীবিত করা উদ্দেশ্য । [মুসলিম শারহে নাবাবী-১ম খণ্ড ২৬৪পৃষ্টা]
১৭০৩. আলী ইবনি আবু ত্বলিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] একদিন রাতের বেলা তাহাঁর ও ফাত্বিমাহ্ [রাদি.]–এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমরা কি [তাহাজ্জুদের] নামাজ আদায় কর না? তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সবাই তো আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি ইচ্ছা করলে আমাদেরকে জাগিয়ে দিতে পারেন। {আলী [রাদি.] বলেছেন} আমি এ কথা বললেঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফিরে গেলেন। যখন তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন, আমি শুনলাম তখন তিনি উরুর উপরে সজোরে হাত চাপড়ে বলছেনঃ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিতর্ক করিতে অভ্যস্ত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৬৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৬৯৫]
১৭০৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি এটি নবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। তিনি [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিদ্রা যায় তখন শাইত্বন তাহাঁর মাথার শেষ প্রান্তে অর্থাৎ ঘাড়ে তিনটা গিরা দেয়। প্রত্যেকটা গিরাতে সে ফুঁক দিয়ে বলে, এখনো অনেক রাত আছে [ঘুমিয়ে থাক] তাই যখন সে ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর সে ওযু করলে আরো একটি গিরাসহ মোট দুটি গিরা খুলে যায়। আর যখন সে [তাহাজ্জুদের ] নামাজ আদায় করে তখন সবগুলো গিরা খুলে যায়। এভাবে সে কর্মতৎপর ও প্রফুল্ল মনের অধিকারী হয়ে সকাল জেগে উঠে। অন্যথায় মানুষ বিমর্ষ ও অলস মন নিয়ে জেগে উঠে।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৬৮৯, ইউ.সে. ১৬৯৬]