রাতের সালাত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়মিত আমালের ফযীলাত
রাতের সালাত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়মিত আমালের ফযীলাত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩০. অধ্যায়ঃ রাতের সালাত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়মিত আমালের ফযীলাত
১৭১২
আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একখানা চাটাই ছিল। রাতের বেলা তিনি এ চাটাই দিয়ে একটি কামরা বানাতেন এবং তার মধ্যে সালাত আদায় করিতেন। লোকজন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে এ সালাত আদায় করত এবং দিনের বেলা বিছিয়ে নিত। এক রাতে লোকজন বেশী ভীড় করলে তিনি [সাঃআঃ] লোকজনকে সম্বোধন করে বললেনঃ হে লোকজন যতটা আমাল তোমরা স্থায়ীভাবে করিতে সক্ষম হইবে ততটা আমাল করিবে। কেননা আল্লাহ তাআলা তোমাদের ইবাদাতের সাওয়াব দিতে ক্লান্ত হইবেন না। বরং তোমরাই ইবাদাত বন্দেগী করিতে করিতে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়বে। আর কম হলেও আল্লাহর কাছে স্থায়ী আমাল সর্বাপেক্ষা বেশী পছন্দনীয়। [বর্ণনাকারী বলেন] মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর অনুসারী ও বংশধরগণ যে আমাল করিতেন তা স্থায়ীভাবে সর্বদাই করিতেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৬৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৭০৪]
১৭১৩
আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ মর্মে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আল্লাহ তাআলার কাছে কোন্ ধরনের আমাল সবচাইতে বেশী প্রিয়। জবাবে তিনি বলেছিলেনঃ কম হলেও যে আমাল স্থায়ী [সে আমাল আল্লাহ তাআলার কাছে সবচাইতে বেশী প্রিয়]। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৬৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৭০৫]
১৭১৪
আলক্বামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উম্মুল মুমিনীন আয়িশা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম। বললামঃ হে উম্মুল মুমিনীন! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আমাল কেমন ছিল। তিনি কি কোন নির্দিষ্ট ইবাদাতের জন্য কোন বিশেষ দিন নির্দিষ্ট করে নিতেন? জবাবে আয়িশা [রাদি.] বললেনঃ না। তবে তাহাঁর আমাল ছিল স্থায়ী প্রকৃতির। আর তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে কাজ করিতে পারেন সেও সে কাজ করিতে পারবে? [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৬৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৭০৬]
১৭১৫
আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে এমন আমাল সবচেয়ে প্রিয় যা কম হলেও স্থায়ীভাবে করা হয়। হাদীসের বর্ণনাকারী ক্বাসিম ইবনি মুহাম্মাদ বলেছেনঃ আয়িশা [রাদি.] কোন্ আমাল শুরু করলে তা স্থায়ী ও অবশ্য করণীয় করে নিতেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭০০, ইসলামিক সেন্টার- ১৭০৭]
Leave a Reply