যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে
যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪. অধ্যায়ঃ যে ঈমানের বদৌলত জান্নাতে পাওয়া যাবে এবং যে ব্যক্তি [আল্লাহর] নির্দেশকে আঁকড়ে ধরবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে
১২ -আবু আইয়ূব [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
আবু আইয়ূব [রাঃআ:] বলেন যে, কোন এক সফরে এক বেদুঈন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-এর সম্মুখে এসে তাহাঁর উটনীর লাগাম ধরে ফেললো। এ সময় তিনি সফরে ছিলেন। সে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! অথবা হে মুহাম্মদ [সাঃআ:]! আমাকে এমন কিছু কাজের কথা বলুন যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দিবে এবং আগুন [জাহান্নাম] থেকে দূরে রাখবে। বর্ণনাকালী বলেন, নবি [সাঃআ:] থেমে গেলেন। তিনি সহাবাদের দিকে তাকালেন। অতঃপর বললেনঃ নিশ্চয়ই তাকে অনুগ্রহ করা হয়েছে, অথবা তিনি বললেনঃ তাকে হিদায়াত দান করা হয়েছে। তিনি বললেনঃ তুমি কি বলেছিলে? রাবী বলেন, লোকটি তার কথার পুনরাবৃত্তি করলো। নবি [সাঃআ:] বলিলেন, আল্লাহর ইবাদাত করো, তাহাঁর সাথে কোন কিছুকে অংশী স্থাপন করো না, সলাত কায়িম কর, যাকাত আদায় কর, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখ, এবার উটনীটি ছেড়ে দাও।
[ই.ফা. ১২, ই.সে ১২] মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৩ – আবু আইয়ূব [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নবি [সাঃআ:] হতে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪ -আবু আইয়ূব [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নবি [সাঃআ:]-এর খিদমাতে হাযির হয়ে আরয করলো, আমাকে এমন একটি আমালের কথা বলে দিন, যে আমাল আমাকে জান্নাতের কাছে পৌঁছে দিবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। ন্নবী [সাঃআ:] বললে, তুমি আল্লাহর ইবাদাত করিবে, তাহাঁর সাথে কোন কিছু শারীক করিবে না, সলাত কায়িম করিবে, যাকাত দিবে এবং আত্মীতার সম্বর্ক বজায় রাখবে। সে ব্যক্তি চলে গেলে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:] বললে, তাকে যে আমালের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা দৃঢ়তার সাথে পালন করলে জান্নতে প্রবেশ করিবে। আর আবু শাইবার বর্ণনায় [আরবী] এর স্থলে [আরবী] রয়েছে।
[ই.ফা. ১৪, ই.সে ১৪] মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৫ -আবু হুরাইরাহ [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
এক বেদুঈন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-এর কাছে এসে আরয করলো, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন কাজের নির্দেশ দিন, যা করলে আমি জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারি। তিনি বলিলেন, আল্লাহর ইবাদাত করো, তাহাঁর সাথে কাউকে অংশীদার করো না, ফারয সলাত কায়িম করো, নির্ধারিত যাকাত আদায় করো এবং রমাযানের সওম পালন করো। সে লোক বলিল : সে সত্তার শপথ! যাঁহার হাতে আমার প্রাণ, আমি কখনো এর মধ্যে বৃদ্ধিও করবো না, আর তা থেকে কমাবও না। লোকটি যখন চলে গেলো, নবি [সাঃআ:] বললেনঃ যদি কেউ কোন জান্নাতী লোক দেখে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এ ব্যক্তিকে দেখে নেয়।
[ই.ফা. ১৫; ই.সে. ১৫] মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৬ -জাবির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নুমান ইবনি কাওকাল [রাঃআ:] নবি [সাঃআ:]-এর নিকট এসে বললেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি বলুন, যদি আমি হারামকে জেনে বর্জন করি এবং হালালকে হালাল বলে গ্রহণ করি তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবো? নবি [সাঃআ:] বলিলেন, হ্যাঁ।
[ই.ফা. ১৬; ই.সে. ১৬] মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৭ -জাবির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
নুমান ইবনি কাওকাল [রাঃআ:] বলেছেন, হে আল্লাহর রসূল! বাকী অংশ উপরোক্ত বর্ণনার অনুরূপ। তবে তিনি তাহাঁর বর্ণনায় তাতে কোন কিছু বর্ধিত করব না কথাটি অতিরিক্ত উল্লেখ করিয়াছেন।
[ই.ফা. ১৭; ই.সে. ১৭] মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৮ -জাবির [রাঃআ:] হইতে বর্ণিতঃ
কোন এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:]-এর খিদমাতে আরয করিলেন, আপনি কি মনে করেন, যদি আমি ফারয সলাত সমূহ আদায় করি, রমাযানের সিয়াম পালন করি, হালালকে হালাল জানি এবং হারামকে হারাম জানি এবং যদি এর অতিরিক্ত কিছু না করি, তাহলে আমি কি জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবো? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআ:] বলিলেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বলিলেন, আল্লাহর কসম! আমি এর উপর কিছুমাত্র বাড়াবো না।
[ই.ফা. ১৮; ই.সে. ১৮] মুসলিম শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস