মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ

মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ

মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৪৮. অধ্যায়ঃ মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ

১০১৫

আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন [একাকি] নামাজ আদায় করে সে যেন নিজের সামনে দিয়ে কাউকে চলাচল করিতে না দেয়। সে সাধ্যমত তাকে বাধা দিবে। অতিক্রমকারী যদি এ থেকে বিরত হইতে না চায় তবে সে [নামাজ আদায়কারী] যেন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কেননা সে একটা শাইতান। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১০০৯, ইসলামিক সেন্টার- ১০২০]

১০১৬

ইবনি হিলাল অর্থাৎ- হুমায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি এবং আমার এক সাথী কোন একটি ব্যাপারে আলাপ রত ছিলাম। এমন সময় আবু সালিহ “আস্‌ সাম্মান” বলে উঠলেন, আমি আবু সাঈদ-এর কাছে যা শুনেছি এবং দেখেছি তা তোমাকে বলছি। এক জুমুআর দিন আমি আবু সাঈদ-এর সাথে ছিলাম। তিনি একটি জিনিস সামনে রেখে লোকেদের আড়াল করে নামাজ আদায় করছিলেন। এমন সময় আবু মুআয়ত গোত্রের একটি যুবক সেখানে এসে উপস্থিত হলো। সে আবু সাঈদ-এর সামনে দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করিল। তিনি তার গলা ধরে ফিরিয়ে দিলেন। কিন্তু যুবকটি আবু সাঈদ-এর সামনে দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। সে পুনরায় তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেষ্টা করিল। তিনি পূর্বের চেয়ে অধিক জোরে গলা ধাক্কা দিয়ে তাকে ফিরিয়ে দিলেন। সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে গেল। ইতিমধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে গেল। সে বের হয়ে  মারওয়ানের কাছে উপস্থিত হয়ে [তার বিরুদ্ধে] অভিযোগ দায়ের করিল। রাবী বলেন, ইতিমধ্যে আবু সাঈদও মারওয়ানের কাছে এসে উপস্থিত হলেন। মারওয়ান তাকে লক্ষ্য করে বলিল, আপনার এবং আপনার ভাতিজার মধ্যে কি ঘটেছে? সে এসে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। আবু সাঈদ [রাদি.] উত্তরে বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –কে বলিতে শুনেছি : তোমাদের কেউ যখন কোন কিছু দিয়ে লোকেদের আড়াল করে নামাজ আদায় করে; এমতাবস্থায় কেউ যদি তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করিতে চায় সে যেন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়। যদি সে বিরত হইতে অস্বীকার করে তবে সে [নামাজ আদায়কারী] যেন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কেননা সে একটা শাইতান। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১০১০, ইসলামিক সেন্টার- ১০২১]

১০১৭

আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামাজ আদায় করে, সে যেন নিজের সামনে দিয়ে কাউকে আতিক্রম করিতে না দেয়। যদি সে বিরত না হয়, তবে [নামাজ আদায়কারী] তার [অতিক্রমকারীর] বিরুদ্ধে [লড়াই করিবে] অস্ত্র ধারণ করিবে। কেননা তার সাথে শাইতান রয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১০১১, ইসলামিক সেন্টার- ১০২২]

১০১৮

ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি এ সূত্রেও উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১০১২, ইসলামিক সেন্টার- ১০২৩]

১০১৯

বুস্‌র ইবনি সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

যায়দ ইবনি খালিদ আল জুহানী তাকে আবু জুহায়ম-এর কাছে পাঠালেন। উদ্দেশ্য নামাজ আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী সম্পর্কে তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর কাছে যা শুনেছেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা। আবু জুহায়ম বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নামাজ আদায়কারীর সামনে দিয়ে চলাচলকারী যদি জানত সে কত বড় পাপ করছে; তাহলে সে তার সামনে দিয়ে চলাচল করার পরিবর্তে চল্লিশ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা নিজের জন্য ভাল মনে করত। আবু নায্‌র বলেন, তিনি কি চল্লিশ দিন না চল্লিশ মাস না চল্লিশ বছর বলেছেন- তা আমার জানা নেই। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১০১৩, ইসলামিক সেন্টার- ১০২৪]

১০২০

জুহায়ম আল আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি এ সূত্রেও মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১০১৪, ইসলামিক সেন্টার- ১০২৫]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply