ভিক্ষা করা যার জন্য জায়িয
ভিক্ষা করা যার জন্য জায়িয >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩৬. অধ্যায়: ভিক্ষা করা যার জন্য জায়িয
২২৯৪
ক্ববীসাহ্ ইবনি মুখারিক্ব আল হিলালী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার আমি [দেনার জমিন হয়ে] বিরাট অঙ্কের ঋণী হয়ে পড়লাম। কাজেই আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে এসে এজন্য তাহাঁর নিকট চাইলাম। তিনি বলিলেন, “যাকাত বা সদাক্বার মাল আসা পর্যন্ত আমার কাছে অপেক্ষা কর। তা এসে গেলে আমি তোমাকে তা থেকে দিতে নির্দেশ দিবো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি বললেনঃ হে ক্ববীসাহ্! মনে রেখো, তিন ব্যক্তি ছাড়া কারো জন্য হাত পাতা বা সাহায্য প্রার্থনা করা হালাল নয়। [১] যে ব্যক্তি [কোন ভাল কাজ করিতে গিয়ে বা দেনার জমিন হয়ে] ঋণী হয়ে পড়েছে। ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সাহায্য প্রার্থনা করা তার জন্য হালাল। যখন দেনা পরিশোধ হয়ে যাবে তখন সে এ থেকে বিরত থাকিবে। [২] যে ব্যক্তি প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয়েছে এবং এতে তার যাবতীয় সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে। তার জন্য সাহায্য চাওয়া হালাল যতক্ষন না তার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করিতে সক্ষম হয়। রাবীর সন্দেহ- তিনি কি ক্বিওয়াম শব্দ বলেছেন না সিদাদ শব্দ বলেছেন? [উভয় শব্দের অর্থ একই]। [৩] যে ব্যক্তি এমন অভাবগ্রস্ত হয়েছে যে, তার গোত্রের তিনজন জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন লোক সাক্ষ্য দেয় যে, “সত্যিই অমুক অভাবে পড়েছে” তার জন্য জীবিকা নির্বাহের পরিমাণ সম্পদ লাভ করার পূর্ব পর্যন্ত সাহায্য প্রার্থনা করা হালাল। হে ক্ববীসাহ্! এ তিন প্রকার লোক ছাড়া আর সকলের জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম। অতএব এ তিন প্রকার লোক ছাড়া যে সব লোক সাহায্য চেয়ে বেড়ায় তারা হারাম খায়। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৭২, ইসলামিক সেন্টার- ২২৭৩]