কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য বলা
কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য বলা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪. অধ্যায়ঃ কোন ভাইয়ের কেনা-বেচার সময় তার মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য বলা , কেউ কোন বস্তু কেনার জন্য দরাদরি করছে তার উপরে দরাদরি করা, ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়াই মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে দাম বলা এবং বেশী দেখানোর জন্যে ওলানে দুধ জমা করা হারাম
৩৭০৩. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমাদের মধ্যে একে অপরের দামের উপর দাম বাড়িয়ে যেন কোন বস্তু ক্রয় না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৬৯]
৩৭০৪. ইবনি উমর [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ কোন লোক যেন তার ভাইয়ের ক্রয় করার সময় তার উপর বেশী মূল্য বলে ক্রয় না করে এবং কেউ যেন তার অপর ভাইয়ের বিবাহের প্রস্তাবের উপরে তার অনুমতি ছাড়া প্রস্তাব না পাঠায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭০]
৩৭০৫. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: “কোন মুসলিম যেন অন্য মুসলিমের মূল্যের উপর মূল্য না বলে।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭১]
৩৭০৬. আহমদ ইবনি ইব্রাহীম দাওরাকী, মুহাম্মদ ইবনিল মুসান্না ও উবাইদুল্লাহ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
কোন ভাইয়ের দরদাম করার সময় কেউ যেন ঐ জিনিসের দরদাম না করে। দাওরাকীর রিওয়ায়াতে [আরবী] এর স্থলে [আরবী] বলা হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭২ ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭২]
৩৭০৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেনার উদ্দেশে কাফিলার সাথে আগেই গিয়ে সাক্ষাৎ করা যাবে না। তোমাদের কেউ যেন অপরের দাম বলার উপর দাম না বলে। কেনার উদ্দেশে ছাড়া মালের দাম বলে বৃদ্ধি করো না। শহরবাসী যেন পল্লীবাসী লোকের থেকে এগিয়ে গিয়ে দ্রব্য নিয়ে বিক্রি না করে। আর উট ও বকরীর ওলানে দুধ জমা করে না রাখে। এ অবস্থায় কেউ তা খরিদ করলে তার জন্য দুপথের এক পথ অবলম্বনের অনুমতি রয়েছে- হয় সে তা রেখে দিবে, না হয় সে তা ফেরত দিবে এক সা খেজুরসহ। {৯}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৩]
{৯} এক সা খেজুরসহ ফেরত দেয়ার কারণ এই যে, যেহেতু ফেরত দেয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত ক্রেতা উক্ত জন্তুর দুধ দ্বারা উপকৃত হয়েছে।
৩৭০৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন- পণ্য দ্রব্য নিয়ে আগমনকারীদের দিকে সামনে অগ্রসর হয়ে খরিদ করার উদ্দেশে সাক্ষাৎ করিতে, শহুরে লোকদের এগিয়ে গিয়ে গ্রাম্য লোকদের থেকে পণ্য ক্রয় করিতে, কোন সতীনকে তার অপর সতীনকে তালাক দিতে [স্বামীর কাছে] বলিতে, মূল্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশে দাম বলিতে, বিক্রয়ের পূর্বে দোহন না করে ওলানে দুধ জমা করে রাখতে এবং অপর ভাইয়ের দরদামের উপর দরদাম করিতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৪,ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৪]
৩৭০৯. আবু বাকর ইবনি নাফি, মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না ও আবদুল ওয়ারিস ইবনি আবদুস সামাদ শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে গুনদার ও ওয়াহব- এর হাদীসে আছে, “নিষেধ করা হয়েছে।” আর আবদুস সামাদের হাদীসে আছে-রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন। যেমনটি আছে শুবাহ থেকে মুআয বর্ণিত হাদীসে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৫]
৩৭১০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশে মূল্য বলিতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৬৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৩৬৭৬]