দ্বীনের মানদন্ডে বিবাহের জন্য কন্যা পছন্দ করা মুস্তাহাব
দ্বীনের মানদন্ডে বিবাহের জন্য কন্যা পছন্দ করা মুস্তাহাব >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১৫. অধ্যায়ঃ দ্বীনের মানদন্ডে বিবাহের জন্য কন্যা পছন্দ করা মুস্তাহাব
৩৫২৭
আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে [সাধারণত] মেয়েদের বিয়ে করা হয়- কন্যার ধন-সম্পদের কারণে, তার বংশীয় আভিজাত্যের কারণে, তার রূপ-গুনের কারণে এবং তার দীনদারীর কারনে। তুমি ধার্মিকাকে পেয়ে ভাগ্যবান হও, [যদি এটা না কর তবে] তোমার দুহাত ধূলিমাখা হোক। {৫৫} [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৯৯]
{৫৫} বিবাহের ক্ষেত্রে দীনদারী গুনকে অগ্রাধীকার দিতে হইবে। কেননা এটা ইহকাল ও পরকালে উভয়জগতে উপকারী। অন্য তিনটি গুণ দুনিয়াতে উপকারী হলেও আখিতারে কোন কাজে আসবেনা। সবকিছুর উপর দীনকে প্রাধান্য দেয়ার আরো কারণ হল মানুষ তার দীনদার সাথীর সাহচর্যে থেকে তার চরিত্র আচার-আচারণ থেকে উপকার পায় ও তার থেকে বারাকাত লাভ করে এবং ক্ষতিকর বিষয় থেকে নিরাপদ থাকে।
বাক্যটিকে দুআ, বিস্ময়, অনুপ্রেরণা ইত্যাদি অর্থে ব্যবহার করা হয়। এ হাদীসের অনুপ্রেরনণা প্রদানের লক্ষ্যে বলা হয়েছে।
৩৫২৮
আত্বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] আমাকে অবহিত করিয়াছেন যে, তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সময়কালে আমি একটি মহিলাকে বিয়ে করলাম। পরে আমি নবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি বলিলেন, হে জাবির, তুমি বিয়ে করেছো? আমি বললাম, জি হাঁ। তিনি বলিলেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, বিধবা। তিনি বলিলেন, তবে কুমারী নয় কেন? তুমি তার সঙ্গে সোহাগ-স্ফূর্তি করিতে পারতে। আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল, আমার কয়েকটি [অবিবাহিতা] বোন রয়েছে তাই আমার আশংকা হল যে, বধূ [কুমারী হলে সে] আমার ও বোনদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিনা। তিনি [সাঃআঃ] বললেনঃ তবে তা-ই-ঠিক। মহিলাকে বিয়ে করা হয় তার দীনদারীর কারণে, তার সম্পদের কারণে ও তার রূপ-লাবণ্যের কারণে। তুমি ধার্মিকাকে পেয়ে ভাগ্যবান হও, [যদি এটা না কর তবে] তোমার দুহাত ধূলিমাখা হোক। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৫০১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৫০০]