বিতর নামাজের দোয়া । কুনুত ও সালাম ফিরানোর পড় দুয়া

বিতর নামাজের দোয়া । কুনুত ও সালাম ফিরানোর পড় দুয়া

বিতর নামাজের দোয়া । কুনুত ও সালাম ফিরানোর পড় দুয়া << হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন

বিতর নামাজের দোয়া

বিত্‌রের কুনূতের দো‘আ
বিত্‌রের সালাত থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিকির

৩২. বিত্‌রের কুনূতের দো‘আ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ؛ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، [وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ]، تَبارَكْتَ رَبَّنا وَتَعَالَيْتَ

(আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া আ-ফিনী ফীমান আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, [ওয়ালা ইয়াইয্যু মান আ-দাইতা।] তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তাআ-লাইতা)।

১১৬-(১) “হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হিদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ, আপনিই চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না [এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না।] আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান”।

সুনান গ্রন্থকারগণ, আহমাদ, দারামী ও বাইহাকী এ হাদীসটি সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ১৪২৫; তিরমিযী, নং ৪৬৪; নাসাঈ, নং ১৭৪৪; ইবন মাজাহ, নং ১১৭৮; আহমাদ, নং ১৭১৮; দারামী, নং ১৫৯২; হাকিম, ৩/১৭২; বাইহাকী, ২/২০৯। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ১/১৪৪, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৯৪; ইরওয়াউল গালীল, লিল আলবানী, ২/১৭২।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُــــوذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্‌সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা)।

১১৭-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।”

সুনান গ্রন্থকারগণ ও আহমাদ হাদীসটি সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ১৪২৭; তিরমিযী, নং ৩৫৬৬; নাসাঈ, নং ১৭৪৬; ইবন মাজাহ, নং ১১৭৯; আহমাদ, নং ৭৫১। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮০; সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৯৪, আল-ইরওয়া, ২/১৭৫।

اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نعْبُدُ، وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ، وَنَخْشَى عَذَابَكَ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالكَافِرِينَ مُلْحَقٌ. اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعينُكَ، وَنَسْتَغْفِرُكَ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ، وَلاَ نَكْفُرُكَ، وَنُؤْمِنُ بِكَ، وَنَخْضَعُ لَكَ، وَنَخْلَعُ مَنْ يَكْفرُكَ

(আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু, ওয়ালাকা নুসাল্লী, ওনাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস, ওয়া নাহ্‌ফিদু, নারজূ রাহ্‌মাতাকা, ওয়া নাখশা আযা-বাকা, ইন্না আযা-বাকা বিলকাফিরীনা মুলহাক্ব। আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা, ওয়া নুসনী আলাইকাল খাইরা, ওয়ালা- নাকফুরুকা, ওয়ানূমিনু বিকা, ওয়া নাখদ্বা‘উ লাকা, ওয়ানাখলাউ মাই ইয়াকফুরুকা।)

১১৮-(৩) “হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি, আপনার জন্যই সালাত আদায় করি ও সাজদাহ করি, আমরা আপনার দিকেই দৌড়াই এবং দ্রুত অগ্রসর হই, আমরা আপনার করুণা লাভের আকাঙ্ক্ষা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় আপনার শাস্তি কাফিরদেরকে পাবে।”

“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা আপনার কাছে সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা চাই, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার সাথে কুফরি করি না, আপনার ওপর ঈমান আনি, আপনার প্রতি অনুগত হই, আর যে আপনার সাথে কুফুরী করে আমরা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।”

হাদীসটি বায়হাকী তাঁর ‘আস-সুনানুল কবরা’ গ্রন্থে সংকলন করেছেন এবং তার সনদ বিশুদ্ধ বলেছেন, ২/২১১। আর শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীল এর ২/১৭০ এ বলেন, ‘এর সনদ বিশুদ্ধ। আর তা উমর রা. থেকে মওকূফ হাদীসে বর্ণিত।

৩৩. বিত্‌রের সালাত থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিকির

سُبْحَانَ المَلِكِ القُدُّوسِ

(সুবহা-নাল মালিকিল ক্বুদ্দূস)

১১৯- “কতই না পবিত্র-মহান সেই মহাপবিত্র বাদশাহ!”

তিনবার বলতেন। তৃতীয়বারে উচ্চস্বরে টেনে টেনে পড়ে বলতেন,

 [رَبِّ الْمَلاَئِكَةِ وَالرُّوحِ]

([রাব্বিল মালা-ইকাতি ওয়ার-রূহ])।

“[যিনি ফিরিশতা ও রূহ -এর রব।]”

নাসাঈ, ৩/২৪৪, নং ১৭৩৪; দারা কুতনী, ২/৩১ ও অন্যান্যগণ। আর দুই ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ দারা কুতনীতে ২/৩১, নং ২ বেশি বর্ণিত। যার সনদ বিশুদ্ধ। আরও দেখুন, শু‘আইব আল-আরনাঊত ও আবদুল কাদের আল-আরনাঊত এর ‘যাদুল মা‘আদ’ গ্রন্থের সম্পাদনা ১/৩৩৭।


Leave a Reply