মক্কায় রাঃসাঃ এর সামনে বাইতুল মুকাদ্দাস পেশ করা
মক্কায় রাঃসাঃ এর সামনে বাইতুল মুকাদ্দাস পেশ করা << নবুওয়তের মুজিযা হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন
চতুর্বিংশ পরিচ্ছেদ -মক্কায় রাঃসাঃ এর সামনে বাইতুল মুকাদ্দাস পেশ করা ও তা দেখে বাইতুল মুকাদ্দাসের বর্ণনা দেওয়া।
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদি. আনহু হইতে বর্ণিত, তিনি রাঃসাঃ কে বলতে শুনেছেন, যখন [মিরাজের ব্যাপারে] কুরাইশরা আমাকে অস্বীকার করল, তখন আমি কা`বা শরীফের হিজর অংশের দাঁড়ালাম। আল্লাহ তা`আলা তখন আমার সম্মুখে বায়তুল মুকাদ্দাসকে প্রকাশ করে দিলেন, যার ফলে আমি দেখে দেখে বায়তুল মুকাদ্দাসেরসমূহ নিদর্শনগুলো তাদের কাছে বর্ণনা করছিলাম।[1]
আবু হুরাইরা রাদি. আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাঃসাঃ বলেন, আমি হাজরে আসৃওয়াদের কাছে ছিলাম। এ সময় কুরায়শরা আমাকে আমার মিরাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করতে শুরু করে। তারা আমাকে বায়তুল মুকাদ্দাসের এমন সব বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লাগল, যা আমি ভালভাবে দেখিনি। ফলে আমি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লাম। রাঃসাঃ বলেন, তারপর আল্লাহ তা`আলা আমার সম্মুখে বায়তুল মুকাদ্দাসকে উদ্ভাসিত করে দিলেন এবং আমি তা দেখছিলাম। তারা আমাকে যে প্রশ্ন করছিল, তার জবাব দিতে লাগলাম। এরপর নাবীগণের এক জামাতেও আমি নিজেকে উদ্ভাসিত দেখলাম। মূসা আলাইহিস সালামকে সালাতে দণ্ডায়মান দেখলাম। তিনি শানূয়া গোত্রের লোকদের মত মধ্যমাকৃতির। তাহাঁর চুল ছিল কোঁকড়ানো। হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকেও সালাতে দাঁড়ানো দেখলাম। উরওয়া ইবনু মাসঊদ আস-সাকাফী হচ্ছেন তাহাঁর নিকটতম সদৃশ। ইবরাহীম আলাইহিস সালামকেও সালাতে দাঁড়ান দেখলাম। তিনি তোমাদের এ সাথীরই সদৃশ। রাঃসাঃ বলেন, তারপর সালাতের সময় হলো, আমি তাহাঁদের ইমামতি করলাম। নামায শেষে এক ব্যক্তি আমাকে বলিলেন, হে মুহাম্মাদ রাঃসাঃ, ইনি জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক `মালিক`, ওকে সালাম করুন। আমি তাহাঁর দিকে তাকালাম। তিনি আমাকে আগেই সালাম করিলেন। [2]
[1] সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ৩৮৮৬, মুসলিম: ১৭০।
[2] সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ১৭২।