সাদকাহ যদি কোন ফাসিক্ব বা অনুরূপ কোন অসৎ ব্যক্তির হাতে পড়ে তাহলেও দাতা এর সাওয়াব পাবে
সাদকাহ যদি কোন ফাসিক্ব বা অনুরূপ কোন অসৎ ব্যক্তির হাতে পড়ে তাহলেও দাতা এর সাওয়াব পাবে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২৪. অধ্যায়ঃ সাদকাহ যদি কোন ফাসিক্ব বা অনুরূপ কোন অসৎ ব্যক্তির হাতে পড়ে তাহলেও দাতা এর সাওয়াব পাবে
২২৫২
আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ এক ব্যক্তি বলিল, আমি আজ রাতে কিছু দান-খয়রাত করব। অতঃপর সে সাদকাহ নিয়ে বের হয়ে এক যিনাকারীকে তা অর্পণ করিল। ভোরে লোকেরা বলাবলি করিতে লাগল যে, আজ রাতে এক ব্যক্তি যিনাকারীকে দান-খয়রাত করেছে। অতঃপর সে ব্যক্তি বলিল, হে আল্লাহ্! সকল প্রশংসা তোমার জন্য। আমার প্রদত্ত সাদকাহ তো যিনাকারীর হাতে গিয়ে পড়েছে। এরপর সে [আবার] বলিল, আজ আমি আরো কিছু সাদকাহ করব। অতঃপর সে তা নিয়ে বের হয়ে এক ধনী লোকের হাতে অর্পণ করিল। লোকজন ভোরে আলাপ করিতে লাগল যে, আজ রাতে কে যেন এক ধনী লোককে সাদকাহ দিয়ে গেছে। সে বলিল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা তোমার জন্য। আমার সাদকাহ তো ধনীর হাতে গিয়ে পড়েছে। তারপর সে পুনরায় বলিল, আমি আজ রাতে কিছু সাদকাহ দিব। সাদকাহ নিয়ে বের হয়ে সে এক চোরের হাতে অর্পণ করিল। অতঃপর সকালে লোকজন বলাবলি করিতে লাগল আজ রাতে কে যেন চোরকে সাদকাহ দিয়েছে। সে বলিল, হে আল্লাহ! সকল প্রশংসা তোমারাই। আমার প্রদত্ত সাদকাহ যিনাকারী, ধনী ও চোরের হাতে পড়ে গেছে। অতঃপর এক ব্যক্তি [মালাক বা সে যুগের কোন নবী] এসে তাকে বলিল, তোমার প্রদত্ত সকল সাদকাহই কবুল হয়েছে। যিনাকারীকে দেয়া সাদকাহ কবুল হওয়ার কারণ হলো- সম্ভবতঃ সে ঐ রাতে যিনা থেকে বিরত ছিল [কেননা সে পেটের জ্বালায় এ কাজ করত]। ধনী ব্যক্তিকে যে সাদকাহ দেয়া হয়েছিল তা কবূল হওয়ার কারণ হলো ধনী ব্যক্তি এতে লজ্জিত হয়ে হয়ত নাসীহাত গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর দেয়া সম্পদ থেকে সেও দান করিবে বলে সঙ্কল্প করেছে। আর চোরকে দেয়া সাদকাহ কবূল হওয়ার কারণ হলো সম্ভবতঃ সে ঐ রাতে চুরি থেকে বিরত ছিল। কেননা সেও পেটের তাগিদে চুরি করত। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২২৩১, ইসলামিক সেন্টার-২২৩২]