বিতর নামাজ এর রাকাত সংখ্যা ও দোয়া কুনুত

বিতর নামাজ এর রাকাত সংখ্যা ও দোয়া কুনুত

এ বিষয়ে আরও পড়ুন >> মুয়াত্তা মালিক  >> সহীহ বুখারী >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে

আদাবুল মুফরাদ >> সহীহ মুসলিম >> আবু দাউদ >> ইবনে মাজাহ >> তিরমিজি >> নাসাঈ >> মিশকাত >> রিয়াদুস সালেহীন >> বুলুগুল মারাম হাদীস শরীফ হতে

দোয়া কুনুত ডাউনলোড করতে হলে pdf করুন। আমি দোয়া কুনুত মুখস্ত করার জন্য নিম্নে বিভিন্ন রকমের দোয়া উল্লেখ করেছি সরাসরি হাদিস থেকে। দোয়া এর শব্দগুলো বিভিন্ন হাদিসে বিভিন্ন ভাবে আছে।

বিতরের পরে দুআ পাঠ
বেতের নামাজের দুআ কুনুত
বিত্‌রের নামাজ অন্তে দোয়ার সময় হস্তদ্বয় উঠানোর ব্যাপারে আধিক্য পরিহার করা [নাসাঈ]
বিতর নামাযের ফযিলত [তিরমিজি]
বিতর নামাজের আদেশ [নাসাঈ]
এক রাকআত বিতর নামাজ [বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, মুয়াত্তা মালিক, মিশকাত]
তিন রাকআত বিতর নামাজ [আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, মুয়াত্তা মালিক]
পাঁচ রাকআত বিতর নামাজ [আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত]
সাত রাকআত বিতর নামাজ [তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত]
নয় রাকআত বিতর নামাজ [নাসাঈ মিশকাত]
এগার রাকআত বিতর নামাজ [নাসাঈ, মিশকাত]
তের রাকআত বিতর নামাজ [নাসাঈ, মিশকাত]
বিত্‌রের নামাজ কত রাকআত [নাসাঈ, মিশকাত]
বিতরের ওয়াক্ত [বুখারী, আবু দাউদ, নাসাঈ, মুয়াত্তা মালিক]
বিতর নামাযের কিরাআত [তিরমিজি, নাসাঈ]
বিত্‌রের নামাজ অন্তে সিজদার পরিমাণ [নাসাঈ]
বিত্‌রের নামাজ অন্তে তাসবীহ পাঠ করা [নাসাঈ]
বেতের নামাজ দুইবার আদায় করিবে না [আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ]
বিতরের নামাজ ফরয নয় [তিরমিজি]
বেতের নামাজ মুস্তাহাব [আবু দাউদ]
যে ব্যক্তি বেতের নামাজ আদায় করেনি [আবু দাউদ]
বিতরের পূর্বে ঘুমানো মাকরূহ [তিরমিজি, নাসাঈ]
বিতরের জন্য নাবী (সাঃআঃ) কর্তৃক তাহাঁর পরিবার-পরিজনকে জাগানো [বুখারী]
বিতর যেন রাতের সর্বশেষ সালাত হয় [বুখারী, মুসলিম]
ভোর হওয়ার পূর্বে বিত্‌রের নামাজ আদায় করার নির্দেশ [নাসাঈ]
ফজরের আযানের পর বিত্‌রের নামাজ আদায় করা [নাসাঈ]
ফজরের দুরাকআত সুন্নাত এবং বিত্‌রের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে নামাজ আদায় করা মুবাহ হওয়া সম্পর্কে [নাসাঈ]
সওয়ারী জন্তুর উপর বিতরের সালাত [বুখারী, তিরমিজি, নাসাঈ]
সফর অবস্থায় বিতর [বুখারী, মুয়াত্তা মালিক]
রুকুর আগে ও পরে কুনুত পাঠ করা [বুখারী]

আবূদাঊদ -১৪২৭: ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর বিতর সলাত শেষে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

“আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমু‘আফাতিকা মিন ‘উকুবাতিকা ওয়া আউ‘যুবিকা মিনকা লা উহসী সানা ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা ‘নাফসিকা।” [অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার ক্রোধ হইতে আশ্রয় চাই। আপনার শাস্তি হইতে আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই। আমি আপনার থেকে সর্বপ্রকারের আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গণনা করে শেষ করিতে পারবো না, বরং আপনি আপনার নিজের যেরূপ প্রশংসা করিয়াছেন, ঠিক সেরূপই।”

أَعُوذُ إِنِّي اللَّهُمَّ
আশ্রয় চাইআমি হে আল্লাহ
سَخَطِكَ مِنْ بِرِضَاكَ
আপনার ক্রোধহইতে আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে
عُقُوبَتِكَ مِنْ وَبِمُعَافَاتِكَ
আপনার শাস্তিহইতে আপনার ক্ষমার মাধ্যমে
مِنْكَ بِكَ وَأَعُوذُ
ثَنَاءً أُحْصِي لاَ
كَمَا أَنْتَ عَلَيْكَ
نَفْسِكَعَلَى أَثْنَيْتَ

ঈমাম আবু দাউদ [রহঃ] বলেন, হিশাম হাম্মাদের প্রাক্তন শায়খ এবং ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন হইতে আমার কাছে এ হাদিস পৌঁছে যে, তার থেকে হাম্মাদ ইবনু সালামাহ ছাড়া অন্য কেউ এ হাদিস বর্ণনা করেননি। উবাই ইবনু কা‘ব [রাঃআঃ] সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বিতর সলাতে রুকূ‘র আগে কুনূত পাঠ করিয়াছেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহঃ] বলেন, সাঈদ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবযা হইতে তার পিতা থেকে নবী [সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এ হাদীসে কুনূতের কথা এবং উবাইয়ের নাম উল্লেখ নেই। অনুরূপ ভাবে ‘আবদুল আ‘লা এবং মুহাম্মাদ ইবনু বিশর আল-আবদী বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি এ হাদিসটি ঈসা ইবনু ইউনুসের সাথে কুফাতে শুনেছেন। তবে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। একইভাবে হিশাম আদ-দাসতাওয়াঈ এবং শু‘বাহ [রহঃ] ক্বাতাদাহ [রাঃআঃ] সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। এখানেও কুনূতের কথা উল্লেখ নেই। যুবাইদী সূত্রে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম] রুকূ‘র পূর্বে কুনূত পাঠ করিয়াছেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহঃ] বলেন, এরূপও বর্ণিত হয়েছে যে, উবাই [রাঃআঃ] রমাযানের অর্ধ মাস কুনূত পাঠ করিতেন। দোয়া কুনুত – হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

আলী বিন আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

নবী [সাঃআঃ] বিত্‌রের নামাজের শেষে বলিতেন ঃ

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سُخْطِكَ وَأَعُوذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

[আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবি রিদাকা মিন সুখতিক, ওয়া আউযুবি মুআফাতিকা মিন উকূবাতিক, ওয়া আউযুবিকা মিনকা লা উহসী সানাআ আলায়ক, আনতা কামা আসনায়তা আলা নাফসিক]

অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির উসীলায় আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, আপনার ক্ষমার উসীলায় আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই, আপনার সৌন্দর্যময় গুনাবলীর উসীলায় আপনার মহিমময় গুণাবলী থেকে আশ্রয় পাই, আমি আপনার প্রশংসা গণনা করে শেষ করিতে পারি না, আপনি আপনার প্রশংসারই অনুরূপ”। {১১৭৯}

ইবনে মাজাহ ১১৭৯, {১১৭৯} তিরমিজি, ৩৫৬৬, না, ১৭৪৭, আহমাদ, ১৪২৭। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪৩০, মিশকাত ১২৭৬, সহিহ আবু দাউদ ৮২৩।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

নাসাই ১৭৪৭. আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম] তাহাঁর বিত্‌রের নামাজের শেষে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমু‘আফাতিকা মিন ‘উকুবাতিকা ওয়া আউ‘যুবিকা মিনকা লা উহসী সানা ‘আলাইকা আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা ‘নাফসিকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার ক্রোধ হইতে আশ্রয় চাই। আপনার শাস্তি হইতে আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

তিরমিজি ১৭৪৫. আবুল জাউযা [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, হাসান [রাঃআঃ] বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দিয়েছিলেন যেগুলো আমি বিত্‌রের কুনূতে পড়ে থাকিঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া আফিনী ফীমান ‘আফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

আবুল হাওরা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল-হাসান ইবনি আলী (রাঃআঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে এমন কতগুলো বাক্য শিখিয়েছেন, যা আমি বেতের নামাজে পাঠ করে থাকি। তা হলোঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

“আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়াআ-ফিনী ফীমানআ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বা-রিক লী ফীমা আতাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইয্‌যু মান আ-দাইতা তাবা-রাকতা র ব্বানা ওয়া তাআলাইতা।

আবু দাউদ ১৪২৫, হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২৬. আবু ইসহাক হইতে বর্ণিতঃ উপরোক্ত সানাদ ও অর্থে বর্ণিত। তাতে শেষাংশে রয়েছেঃ এগুলো বিতরের কুনূতে বলেছেন। কিন্তু এ কথা উল্লেখ নেই যে,আমি এগুলো বিতরে বলেছি। বেতের নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১৪২৭. আলী ইবনি আবু তালিব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর বেতের নামাজ শেষে বলিতেনঃ

 اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিরিদাকা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমুআফাতিকা মিনউকুবাতিকা ওয়া আউযুবিকা মিনকা লা উহসী সানাআলাইকা আনতা কামা আসনাইতাআলানাফসিকা। (অর্থ ঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার ক্রোধ হইতে আশ্রয় চাই। আপনার শাস্তি হইতে আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই।

আমি আপনার থেকে সর্বপ্রকারের আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গণনা করে শেষ করতে পারবো না, বরং আপনি আপনার নিজের যেরূপ প্রশংসা করিয়াছেন, ঠিক সেরূপই।”

ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, হিশাম হাম্মাদের প্রাক্তন শায়খ এবং ইয়াহইয়া ইবনি মাঈন হইতে আমার কাছে এ হাদিস পৌঁছে যে, তার থেকে হাম্মাদ ইবনি সালামাহ ছাড়া অন্য কেউ এ হাদিস বর্ণনা করেননি। উবাই ইবনি কাব (রাঃআঃ) সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বেতের নামাজে রুকূর আগে কুনূত পাঠ করিয়াছেন। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, সাঈদ ইবনিআবদুর রহমান ইবনি আবযা হইতে তার পিতা থেকে নাবী (সাঃআঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এ হাদীসে কুনূতের কথা এবং উবাইয়ের নাম উল্লেখ নেই। অনুরূপ ভাবেআবদুল আলা এবং মুহাম্মাদ ইবনি বিশর আল-আবদী বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু তিনি এ হাদিসটি ঈসা ইবনি ইউনুসের সাথে কুফাতে শুনেছেন। তবে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। একইভাবে হিশাম আদ-দাসতাওয়াঈ এবং শুবাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ক্বাতাদাহ (রাঃআঃ) সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। এখানেও কুনূতের কথা উল্লেখ নেই। যুবাইদী সূত্রে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) রুকূর পূর্বে কুনূত পাঠ করিয়াছেন। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, এরূপও বর্ণিত হয়েছে যে, উবাই (রাঃআঃ) রমাযানের অর্ধ মাস কুনূত পাঠ করতেন। বেতের নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

মিশকাত ১২৯০নং

اَللّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُثْنِيْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ، وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ، اَللّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ، وَلَكَ نُصَلِّيْ وَ نَسْجُدُ، وَإِلَيْكَ نَسْعى وَنَحْفِدُ، نَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشى عَذَابَكَ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحَقٌ

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা, অনুসনি আলাইকাল খয়রা কুল্লাহু, অনাশকুরুকা ওয়া লা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউঅনাতরুকু মাঁই য়্যাফজুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদ, ওয়া লাকা নুসাল্লী ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাসআ ওয়া নাহ্‌ফিদ, নারজু রাহ্‌মাতাকা ওয়া নাখশা আযাবাক, ইন্না আযাবাকা বিল কুফফারি মুলহাক্ব।
অর্থ:-হে  আল্লাহ!  নিশ্চয়  আমরা  তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি এবং ক্ষমা ভিক্ষা করিতেছি, তোমার নিমিত্তে যাবতীয় কল্যাণের প্রশংসা করিতেছি, তোমার কৃতজ্ঞতা করি ও কৃতঘ্নতা করি না, তোমার যে অবাধ্যতা করে তাহাঁকে আমরা ত্যাগ করি এবং তাহাঁর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমার জন্যই নামাজ পড়ি এবং সেজদা করি, তোমার দিকেই আমরা ছুটে যাই। তোমার রহ্‌মতের আশা রাখি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি, নিশ্চয় তোমার আযাব কাফেরদেরকে পৌঁছবে।

তিরিজি ৪৬৪. আবুল হাওরা [রঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হাসান ইবনি আলী [রাদি.] বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলো আমি বিতরের নামাযে পাঠ করে থাকিঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া আফিনী ফীমান ‘আফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ফাইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা, “হে আল্লাহ! যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছো আমাকেও তাহাদের সাথে হিদায়াত কর, যাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছ তুমি তাহাদের সাথে আমার প্রতিও উদারতা দেখাও। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাহাদের সাথে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ কর। তুমি আমাকে যা দান করেছ তার মধ্যে বারকাত দাও। তোমার নির্ধারিত খারাবি হইতে আমাকে রক্ষা কর। কেননা তুমিই নির্দেশ দিতে পার, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। যাকে তুমি বন্ধু ভেবেছ সে কখনও অপমানিত হয় না। তুমি কল্যাণময়, তুমি সুউচ্চ”।

সহিহ। ইরওয়া- [৪২৯], মিশকাত- [১২৭৩], তালীক আলা-ইবনি খুজাইমাহ- [১০৯৫], সহীহ্‌ আবু দাঊদ- [১২৮১]। এ অনুচ্ছেদে আলী [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদীস। আবুল হাওরার সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা এ হাদীসটি জানতে পারিনি। আবুল হাওরার নাম বারীআহ্‌ ইবনি শাইবান।

বিতরে দুআ কুনূতের ব্যাপারে উল্লেখিত হাদীসের চেয়ে বেশি ভাল হাদীস আমাদের জানা নেই। বিতরের কুনূতের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলেছেন, সারা বছর [প্রতি রাতে] বিতরের নামাযে কুনূত পাঠ করিতে হইবে। তিনি রুকূ করার পূর্বে কুনূত পাঠ করা পছন্দ করিয়াছেন। কিছু বিশেষজ্ঞের এটাই মত। সুফিয়ান সাওরী, ইবনিল মুবারক, ইসহাক এবং কুফাবাসীগণও একইরকম মত দিয়েছেন। আলী [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে, তিনি কেবল রামাযান মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই রুকূ করার পর কুনূত পাঠ করিতেন, অন্য সময়ে কুনূত পাঠ করিতেন না। কিছু বিশেষজ্ঞ এ মত দিয়েছেন। ঈমাম শাফি এবং আহমাদও এ কথাই বলেছেন।বিতর নামাজ – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

আবূদাঊদ -১৪২৫: আবুল হাওরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল-হাসান ইবনু আলী (রাদি) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে এমন কতগুলো বাক্য শিখিয়েছেন, যা আমি বিতর সলাতে পাঠ করে থাকি। তা হলোঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

“আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া আফিনী ফীমান ‘আফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইয্‌যু মান ‘আদাইতা তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা।

দোয়া কুনুত -হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

আবূদাঊদ -১৪২৬: আবূ ইসহাক থেকে বর্ণিতঃ

উপরোক্ত সানাদ ও অর্থে বর্ণিত। তাতে শেষাংশে রয়েছেঃ এগুলো বিতরের কুনূতে বলেছেন। কিন্তু এ কথা উল্লেখ নেই যে, ‘আমি এগুলো বিতরে বলেছি।’

হাসান বিন আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার নানা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বিতর নামাজের কুনূত পড়ার জন্য কতগুলো বাক্য শিক্ষা দিয়েছে ঃ

 اللَّهُمَّ عَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَاهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ سُبْحَانَكَ رَبَّنَا تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ

আল্লাহুম্মা আফিনী ফীমান আফায়ত ওয়াতাওল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়ত, ওয়াহদীনী ফীমান হাদায়ত, ওয়াকীনী শাররা মা কদায়ত, ওয়া বারিকলী ফীমান আতায়ত, ইন্নাকা লা তাকদী আলায়ক, ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাওঁ ওয়ালায়ত, সুবহানাকা রব্বানা তাবারাকতা ওয়া তাআলায়ত। অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! যাদের প্রতি তোমার উদারতা প্রদর্শন করেছো, তাহাদের সাথে আমাকেও উদারতা প্রদর্শন করো, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছো, তাহাদের সাথে আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো, যাদের তুমি হিদায়াত দান করেছো তাহাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত দান করো। তোমার নির্ধারিত অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করো। তুমি আমাকে যা দান করেছো তাতে বরকত দাও। কেবল তুমিই নির্দেশ দিতে পারো, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। তুমি যার পৃষ্ঠপোষকতা দাও, সে কখনও অপমানিত হয় না। হে আমাদের রব! তুমি পবিত্র ,কল্যাণময় ও সুউচ্চ”। {১১৭৮}

ইবনে মাজাহ ১১৭৮, {১১৭৮} তিরমিজি,৪৬৪, না,১৭৪৫, ১৭৪৬ আহমাদ, ১৪২৫ আ, ১৭২০, ২৭৮২০। তাহকিক আলবানিঃ সহিহ। তাখরিজ আলবানিঃ ইরওয়াহ ৪২৯, মিশকাত ১২৭৩, তালীক ইবনি খুযাইমাহ ১০৯৫, সহিহ আবু দাউদ ১১৮১।হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

তিরমিজি ১৭৪৬. হাসান ইবনি আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম] আমাকে এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিত্‌রের নামাজে [পড়বার জন্য] তিনি বলেছেন, তুমি বলঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

“আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ফা ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

তিরমিজি হাদিস – ৪৬৪ নং: আবুল হাওরা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাসান ইবনু ‘আলী (রাদি) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলো আমি বিতরের নামাযে পাঠ করে থাকিঃ

 اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

আল্লাহুম্মাহ দিনি ফি মান হাদাইতা ওয়া আফিনি ফি মান আফাইতা ওয়া তাওল্লানি ফি মান তাওলাইতা ওয়া বারিকলি ফি মান আতাইতা ওয়া কিনি সাররা কাদাইতা ফা ইন্নাকা তাকদি ওয়ালা ইয়উকদা আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াজিল্লু মান আদাইতা তাবারক্তা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা। “হে আল্লাহ! যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছো আমাকেও তাদের সাথে হিদায়াত কর, যাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছ তুমি তাদের সাথে আমার প্রতিও উদারতা দেখাও। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ কর। তুমি আমাকে যা দান করেছ তার মধ্যে বারকাত দাও। তোমার নির্ধারিত খারাবি হতে আমাকে রক্ষা কর। কেননা তুমিই নির্দেশ দিতে পার, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। যাকে তুমি বন্ধু ভেবেছ সে কখনও অপমানিত হয় না। তুমি কল্যাণময়, তুমি সুউচ্চ”।

তিরমিজি ও আবু দাউদ এর বর্ণনা ক্বারি ও হাদিসের কথা একী, তবে তিরমিজি তে ফা সব্দটি বেশি আছে। সহীহ্‌। ইরওয়া- (৪২৯), মিশকাত নং (১২৭৩), তা’লীক আলা-ইবনু খুজাইমাহ-নং (১০৯৫), সহীহ্‌ আবূ দাঊদ- (১২৮১)।

এ অনুচ্ছেদে ‘আলী [রাদি] হইতেও হাদিস বর্ণিত আছে। আবু ‘ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদিস। আবুল হাওরার সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা এ হাদিসটি জানতে পারিনি। আবুল হাওরার নাম বারী’আহ্‌ ইবনু শাইবান।
বিতরে দুআ কুনূতের ব্যাপারে উল্লেখিত হাদিসের চেয়ে বেশি ভাল হাদিস আমাদের জানা নেই। বিতরের কুনূতের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রহিয়াছে। আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ [রাদি] বলেছেন, সারা বছর [প্রতি রাতে] বিতরের নামাযে কুনূত পাঠ করিতে হইবে। তিনি রুকূ করার পূর্বে কুনূত পাঠ করা পছন্দ করিয়াছেন। কিছু বিশেষজ্ঞের এটাই মত। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারক, ইসহাক এবং কুফাবাসীগণও একইরকম মত দিয়েছেন। ‘আলী [রাদি] হইতে বর্ণিত আছে, ‘তিনি কেবল রামাযান মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই রুকূ করার পর কুনূত পাঠ করিতেন, অন্য সময়ে কুনূত পাঠ করিতেন না।’ কিছু বিশেষজ্ঞ এ মত দিয়েছেন। ঈমাম শাফিঈ এবং আহমাদও এ কথাই বলেছেন। দোয়া কুনুত – হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

ইবনে মাজা হাদিস – ১১৭৮নং : হাসান বিন আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার নানা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিত্‌র সলাতের কুনূত পড়ার জন্য কতগুলো বাক্য শিক্ষা দিয়েছে :

 اللَّهُمَّ عَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَاهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ سُبْحَانَكَ رَبَّنَا تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ

(আল্লাহুম্মা আফিনী ফীমান আফায়ত ওয়াতাওল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়ত, ওয়াহদীনী ফীমান হাদায়ত, ওয়াকীনী শাররা মা কদায়ত, ওয়া বারিকলী ফীমান আ’তায়ত, ইন্নাকা লা তাকদী আলায়ক, ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাওঁ ওয়ালায়ত, সুবহানাকা রব্বানা তাবারাকতা ওয়া তাআলায়ত।)

অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! যাদের প্রতি তোমার উদারতা প্রদর্শন করেছো, তাদের সাথে আমাকেও উদারতা প্রদর্শন করো, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছো, তাদের সাথে আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো, যাদের তুমি হিদায়াত দান করেছো তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত দান করো। তোমার নির্ধারিত অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করো। তুমি আমাকে যা দান করেছো তাতে বরকত দাও। কেবল তুমিই নির্দেশ দিতে পারো, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। তুমি যার পৃষ্ঠপোষকতা দাও, সে কখনও অপমানিত হয় না। হে আমাদের রব! তুমি পবিত্র ,কল্যাণময় ও সুউচ্চ”। [১১৭৮]

[১১৭৮] তিরমিযী,৪৬৪, না,১৭৪৫, ১৭৪৬ আহমাদ, ১৪২৫ আ, ১৭২০, ২৭৮২০। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪২৯, মিশকাত ১২৭৩, তালীক ইবনু খুযাইমাহ ১০৯৫, সহীহ আবী দাউদ ১১৮১।দোয়া কুনুত -হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

ইবনে মাজা হাদিস – ১১৭৯নং: আলী বিন আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিত্‌রের সলাতের শেষে বলতেন :

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سُخْطِكَ وَأَعُوذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

(আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবি রিদাকা মিন সুখতিক, ওয়া আউযুবি মুআফাতিকা মিন উকূবাতিক, ওয়া আউযুবিকা মিনকা লা উহসী সানাআ আলায়ক, আনতা কামা আসনায়তা আলা নাফসিক)

অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির উসীলায় আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, আপনার ক্ষমার উসীলায় আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই, আপনার সৌন্দর্যময় গুনাবলীর উসীলায় আপনার মহিমময় গুণাবলী থেকে আশ্রয় পাই, আমি আপনার প্রশংসা গণনা করে শেষ করতে পারি না, আপনি আপনার প্রশংসারই অনুরূপ”। [১১৭৯]

[১১৭৯] তিরমিযী, ৩৫৬৬, না, ১৭৪৭, আহমাদ, ১৪২৭। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৪৩০, মিশকাত ১২৭৬, সহীহ আবী দাউদ ৮২৩। দোয়া কুনুত – হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

ইবনে মাজা হাদিস – ৩৮৩০ ঃ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর দুআয় বলিতেন ঃ

رَبِّ أَعِنِّي وَلاَ تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِي وَلاَ تَنْصُرْ عَلَىَّ وَامْكُرْ لِي وَلاَ تَمْكُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِي وَيَسِّرِ الْهُدَى لِي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ بَغَى عَلَىَّ رَبِّ اجْعَلْنِي لَكَ شَكَّارًا لَكَ ذَكَّارًا لَكَ رَهَّابًا لَكَ مُطِيعًا إِلَيْكَ مُخْبِتًا إِلَيْكَ أَوَّاهًا مُنِيبًا رَبِّ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي وَاغْسِلْ حَوْبَتِي وَأَجِبْ دَعْوَتِي وَاهْدِ قَلْبِي وَسَدِّدْ لِسَانِي وَثَبِّتْ حُجَّتِي وَاسْلُلْ سَخِيمَةَ قَلْبِي

রব্বা আয়িন্নি ওয়া লা তুয়েনু আলাইয়া ওয়ানসুরনি ওয়ালা তানসুর আলাইয়া ওয়াহ দিনি ওয়া ইসসিরিল হুদা লি ওয়ান সুরনি আলা মান বাগা আলাইয়া রব্বাজ আলনি লাকা সাক্কারান লাকা জাক্কারান লাকা রাহহাবান লাকা মুতিয়ান ইলাইকা মুখইনান ইলাইকা আও ওয়াহান মুনিবান রব্বা তাকাব্বাল তাওবাতি ওয়াগসিল হাওবাতি ওয়া আজিব দাওইয়াতি ওয়াহদি কালবি ওয়া সাদ্দিদ লিসাবি ওয়া সাব্বিত্ হুজ্জাতি ওয়াসলুল সাখিমাতা কালবি ( হে প্রভু! আমাকে সাহায্য করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করো না, আমাকে সহযোগিতা করো এবং আমার বিরুদ্ধে কাউকে সহযোগিতা করো না, আমার জন্য কৌশল এঁটো, আমার বিরুদ্ধে কৌশল এঁটো না, আমাকে হেদায়াত দান করো, আমার জন্য হেদায়াতের পথ সহজতর করো এবং যে ব্যক্তি আমার উপর অত্যাচার ও সীমা লঙ্ঘন করে তাহার বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো। হে প্রভু! আমাকে তোমার জন্য কৃতজ্ঞ বান্দা বানাও, তোমার জন্য অনেক যিকিরকারী, তোমাকে অধিক ভয়কারী, তোমার অধিক আনুগত্যকারী, তোমার নিকট অনুনয়-বিনয়কারী ও তোমার দিকে প্রত্যাবর্তনকারী বানাও। হে আমার রব! আমার তওবা কবুল করো, আমার সমস্ত গুনাহ ধুয়ে-মুছে ফেলো, আমার দুআ কবুল করো, আমার অন্তরকে হেদায়াত দান করো, আমার যবানকে সোজা রাখো, আমার যুক্তি-প্রমাণ বহাল করো এবং আমার মনের সমস্ত হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত করো। )

আবুল হাসান আত-তানাফিসী [রাদি.] বলেন – আমি ওয়াকী[রাদি.] কে বললাম, আমি কি তা বেতেরের কুনূতে পড়তে পারি? তিনি বলেন, হাঁ। {৩১৬২}

{৩১৬২} তিরমিজি ৩৫৫১, আবু দাউদ ১৫১০, আহমাদ ১৯৯৮। আয যিলাল ৩৮৪। হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

নাসাই হাদিস – ১৭৪৫নং : আবূল জাউযা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হাসান (রাঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দিয়েছিলেন যেগুলো আমি বিত্‌রের কুনূতে পড়ে থাকিঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

“আল্লাহুম্মা ইহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া আফিনী ফীমান ‘আফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লী ফীমা আতাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্‌দা ‘আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইতা, তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা।

দোয়া কুনুত – হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

নাসাই হাদিস – ১৭৪৬নং: হাসান ইব্‌ন আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়াসসাল্লাম) আমাকে এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিত্‌রের সালাতে (পড়বার জন্য) তিনি বলেছেন, তুমি বলঃ

اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ، فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ

দোয়া কুনুত – হাদিসের মানঃ দুর্বল হাদিস

১৭৪৭. আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম] তাহাঁর বিত্‌রের নামাজের শেষে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

Leave a Reply