দালালি ব্যবসা – যে সকল বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়।

দালালি ব্যবসা – যে সকল বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়।

দালালি ব্যবসা – যে সকল বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়। >> সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ১২, অধ্যায়ঃ (১১-২১)=১১টি

১২/১১. অধ্যায়ঃ যে সকল বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়।
১২/১২. অধ্যায়ঃ মুনাবাযা ও মুলামাসা পদ্ধতির ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।
১২/১৩. অধ্যায়ঃ দুজনের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় বা দরদাম চলাকালে তৃতীয় পক্ষ যেন তাতে অংশগ্রহণ না করে।
১২/১৪. অধ্যায়ঃ নাজাশ ধরণের দালালী নিষিদ্ধ।
১২/১৫. অধ্যায়ঃ স্থানীয় লোকজন যেন বহিরাগতদের পক্ষ থেকে ক্রয়-বিক্রয় না করে।
১২/১৬. অধ্যায়ঃ পণ্য বাজারে পৌঁছার পূর্বেই পথিমধ্যে এগিয়ে গিয়ে তা ক্রয় করা নিষেধ।
১২/১৭. অধ্যায়ঃ ক্ ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর পৃথক না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের এখতিয়ার বহাল থাকে।
১২/১৮. অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ে এখতিয়ার প্রসঙ্গে।
১২/১৯. অধ্যায়ঃ ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মতভেদ হলে।
১২/২০. অধ্যায়ঃ তোমার মালিকানায় যা নেই তা বিক্রয় করা নিষিদ্ধ এবং ঝুঁকি গ্রহণ করা ছাড়া লাভে অংশীদার হওয়া নিষিদ্ধ।
১২/২১. অধ্যায়ঃ সম-কর্তৃত্বসম্পন্ন দু ব্যক্তি কোন জিনিস বিক্রয় করলে তা প্রথম ক্রেতা পাবে।

১২/১১. অধ্যায়ঃ যে সকল বস্তু ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়।

২১৬৭. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কা বিজয়ের বছর তথায় অবস্থানকালে বলেনঃ আল্লাহ ও তাহাঁর রাসুল মদ, মৃতজন্তু, শুকর ও মূর্তির ক্রয়-বিক্রয় হারাম করেছেন। তাহাকে বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মৃত জন্তুর চর্বি সম্পর্কে কি বলেন? কারণ এটি নৌকায় লাগানো হয়, চামড়া প্রক্রিয়াজাত করিতে ব্যবহৃত হয় এবং লোকেরা তা দিয়ে বাতিও জালায়। তিনি বলেন, না এগুলোও হারাম। এরপর রাসুলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, আল্লাহ ইহুদীদের ধ্বংস করুন! আল্লাহ তাহাদের জন্য চর্বি হারাম করলে তারা এটিকে গলিয়ে বিক্রয় করে এবং এর মুল্য ভোগ করে। {২১৬৭}

{২১৬৭} সহীহুল বুখারী ২২৩৬, ৪৬৩৩, মুসলিম ১৫৮১, তিরমিজি ১২৯৭, নাসায়ী ৪২৫৬, ৪৬৬৯, আবু দাউদ ৩৪৮৬, আবু দাউদ ১৪০৮৬, বায়হাকী ৯/৩৫৫, ইবনি হিব্বান ৪৯৩৭, ইরওয়া ১২৯০, রাওদুন নাদীর ৪৪৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৬৮. আবু উমামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] গায়িকা ক্রয়-বিক্রয় করিতে, তাহাদের উপার্জন ও তাহাদের মুল্য ভোগ করিতে নিষেধ করেছেন। {২১৬৮}

{২১৬৮} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সহিহাহ ২৯২২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু জাফার আর-রাযী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অধিক সন্দেহ করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন শুআয়ব আন-নাসায়ী ও আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭২৮৪, ৩৩/১৯২ নং পৃষ্ঠা] ২. আসিম বিন বাহদালাহ সম্পর্কে আবু বকর আল-বাযযার বলেন, তিনি হাফিয ছিলেন না, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এমন কাউকে পাইনি। আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল ছাড়া তার মাঝে অন্নি কোন দোষ পাইনি। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। ইসমাইল বিন উলায়্যাহ বলেন, তার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩০০২, ১৩/৪৭৩ নং পৃষ্ঠা] ৩. আবুল মুহাল্লাব সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু জাফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনি হাজার আল-আসকালানী ও ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯৯, ২৮/৬০ নং পৃষ্ঠা] উক্ত হাদিসটি হাসান কিন্তু আবুল মুহাল্লাব এর কারণে সনদটি খুবই দুর্বল। তাছাড়াও তার উসতায উবায়দুল্লাহ আল-ইফরিকী আবু উমামাহ থেকে হাদিস শ্রবন করেননি। হাদিসটির ৭৮ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ১ টি জাল, ১২ টি অধিক দুর্বল, ২২ টি দুর্বল, ১৭ টি হাসান, ২৬ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১২৮২, ৩১৯৫, আহমাদ ২১৬৬৪, ২১৭৭৬, মুজামুল আওসাত ৬৮৩৯, ৮৫৪১, আল-ফাওয়াইদ ১৫৫৫।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২/১২. অধ্যায়ঃ মুনাবাযা ও মুলামাসা পদ্ধতির ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।

২১৬৯. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুনাবাযা ও মুলামাসা পদ্ধতির ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছেন। {২১৬৯}

{২১৬৯} সহীহুল বুখারী ৩৬৮, ২১৪৬, ৫৮২১, মুসলিম ১৫১১, তিরমিজি ১৩১০, নাসায়ী ৪৫০৯, ৪৫১৩, ৪৫১৭, আহমাদ ৮৭১৩, ২৭৬১৯, ৯৩০১, ৯৬১১, ২৭২৪৫, ৯৭৯৫, ৯৮১৩, ৯৮৬৮, ১০০৬৪, ১০৩৭১, ১০৪৬৫, মুয়াত্তা মালেক ১৩৭১, ১৭০৪, বায়হাকী ৬/১৩৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৭০. আবু সাইদ আল খুদরি [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] মুনাবাযা ও মুলামাসা পদ্ধতির ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছেন। অধস্তন রাবি সাহলের বর্ণনায় আরও আছে যে, সুফিয়ান বলিয়াছেন, মুলামাসা এই যে, “ক্রেতা পন্য হাত দিয়ে স্পর্শ করলেই তা ক্রয় করা বাধ্যতামুলক হয়ে যায়, সে তা সচক্ষে না দেখলেও”। আর মুনাবাযা হল এরূপ বলা যে, “তোমার হাতের বস্তু আমার দিকে নিক্ষেপ করো এবং আমি আমার হাতের বস্তু তোমার দিকে নিক্ষেপ করবো।” [এভাবে ক্রয় বিক্রয় অনুষ্ঠান]। {২১৭০}

{২১৭০} সহীহুল বুখারী ২১৪৪, ২১৪৭, ৫৮২০, ৬২৮৪, মুসলিম ১৫১২, নাসায়ী ৪৫১০, ৪৫১১, ৪৫১২, ৪৫১৪, ৪৫১৫, আবু দাউদ ৩৩৭৭, আহমাদ ১০৬৩৯, ১১২৫৫, ১১২৭৯, ১১৪৮৯, দারেমী ২৫৬২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৩. অধ্যায়ঃ দুজনের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় বা দরদাম চলাকালে তৃতীয় পক্ষ যেন তাতে অংশগ্রহণ না করে।

২১৭১. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কেউ যেন অপর কারো ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে। {২১৭১}

{২১৭১} সহীহুল বুখারী ২১৩৯, ২১৬৫, ৫১৪২, মুসলিম ১৪১২, তিরমিজি ১২৯২, নাসায়ী ৩২৪৩, ৪৫০৩, ৪৫০৪, আবু দাউদ ৩৪৩৬, ২০৮১, আহমাদ ৪৫১৭, ৪৭০৮, ৫২৮২, ৫৩৭৫, ৫৮২৮, ৫৯৯৮, ৬০২৪, ৬০৫২, ৬১০০, ৬২৪০, ৬৩৭৫, মুয়াত্তা মালেক ১৩৯০, দারেমী ২১৭৬, ২৫৬৭, বায়হাকী ৫/৩৪৫, ৭/১৭৯, ইবনি হিব্বান ৬৯৭৯, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ৩/৩৭৪, ইরওয়া ১২৯৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৭২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যাক্তি যেন তার ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের উপর ক্রয়-বিক্রয় না করে এবং তার ভাইয়ের দরদামের উপর দরদাম না করে। {২১৭২}

{২১৭২} সহীহুল বুখারী ২১৪০, ২১৫০, ২১৬০, ২১৬২, ২৭২৩, ২৭২৭, মুসলিম ১৪১৩, ১৫১৫, ২৫৬৪, তিরমিজি ১১৩৪, নাসায়ী ৩২৩৯, ৪৪৯১, ৪৪৯৬, ৪৫০২, ৪৫০৬, ৪৫০৭, আবু দাউদ ৩৪৪৩, ৭৬৪১, ৭৬৭০, ৮০৩৯, ২৭৪২৯, ৮৫০৫, ৮৭১৫, ৮৮৭৬, ৯০৫৪, ২৭৪৯৩, ৯১৬০, ৯২৩৪, ৯৫৮৫, ৯৬৩৫, ৯৯৪৩, ১০২২৭, ১০২৭১, ১০৩১১, ১০৪৬৩, মুয়াত্তা মালেক ১৩৯১, ইরওয়া ১২৯৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৪. অধ্যায়ঃ নাজাশ ধরণের দালালী নিষিদ্ধ।

২১৭৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] নাজাশ নিষিদ্ধ করেছেন।¬¬¬ {২১৭৩}

{২১৭৩} সহীহুল বুখারী ২১৪২, ৬৯৬৩, মুসলিম ১৫১৬, নাসায়ী ৪৪৯৭, ৪৫০৫, আহমাদ ৪৫১৭, ৫২৮২, ৫৮২৭৮, ৬৪১৫, মুয়াত্তা মালেক ১৩৯২, দারেমী ২৫৬৭, বায়হাকী ৫০/২৭০, ইরওয়া ১৩১৮, গায়াতুল মারাম ৩৩৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু হুযাফাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে অভিযুক্ত। ঈমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। ফাদল বিন সাহল বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবদুল বাকী বিন কানি আল-বাগদাদী ও ইয়াহইয়া বিন মুহাম্মাদ বলেন, তিনি দুর্বল। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১০, ১/২৬৬ নং পৃষ্ঠা] উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবু হুযাফাহ এর কারণে সনদটি দুর্বল। হাদিসটির ৬৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২ টি জাল, ১৭ টি খুবই দুর্বল, ২৮ টি দুর্বল, ৯ টি হাসান, ৭ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ২১৪২, ৬৯৬৩, মুসলিম, ১৫১৯, তিরমিযি ১৩০৪, আবু দাউদ ৩৪৩৮, আহমাদ ৫৮৩৬, মুজামুল আওসাত ১১১৭, শারহুস সুন্নাহ ২০৯৭।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৭৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, তোমরা নাজাশ করিবে না। {২১৭৪}

{২১৭৪} সহীহুল বুখারী ২১৫০, ২১৬০, ২৭২৩, ২৭২৭, ৬০৬৬, মুসলিম ১৪১৩, ১৫১৫, ২৫৬৪, তিরমিজি ১৩০৪, নাসায়ী ৩২৩৯,৪৪৯১, ৪৪৯৬, ৪৫০২, ৪৫০৬, ৪৫০৭, আবু দাউদ ৩৪৩৮, আহমাদ ৭২০৭, ৭৬৪১, ৭৬৭০, ৭৭৯৮, ৭৮১৫, ৮৫০৫, ৮৭১৩, ৮৮৭৬, ৯০৫৫, ৯১৬০, ৯৬১১, ৯৬৭৫, ৯৯৪৩, ১০১৩৮, ১০২৭১, ১০৪১৭, মুয়াত্তা মালেক ১৩৯১, বায়হাকী ৫/২৭১, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ২/১৬, রাওদুন নাদীর ১১৭৪, ১১৭৫। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৫. অধ্যায়ঃ স্থানীয় লোকজন যেন বহিরাগতদের পক্ষ থেকে ক্রয়-বিক্রয় না করে।

২১৭৫. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, স্থানীয় লোকজন যেন বহিরাগতদের পক্ষ থেকে ক্রয়-বিক্রয় না করে। তোমরা লোকদের স্বাধীনভাবে ছেড়ে দাও। আল্লাহ তাহাদের একজনের দ্বারা অপরজনকে রিযিক দান করেন। {২১৭৫}

{২১৭৫} সহীহুল বুখারী ২১৪০, ২১৫০, ২১৬০, ২১৬২, ২৭২৩, ২৭২৭, মুসলিম ১৪১৩, ১৫১৫, ১৫২০, তিরমিজি ১২২২, নাসায়ী ৩২৩৯, ৪৪৯১, ৪৪৯৬, ৪৫০৬, ৪৫০৭, আহমাদ ৭২০৭, ৭২৭০, ৭৪০৬, ৭৬৪১, ৮৭১৫, ৮৮৭৬, ৮৯৬৯, ৯১৬০, ৯৮৭২, ৯৯০৬, ৯৯৪৩, ৯৯৯৩, ১০১৩৮, ১০২৭১, ১০৪১৭, মুয়াত্তা মালেক ১৩৯১, বায়হাকী ৫/২৭০, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ২/৪৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৭৬. জাবির বিন আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, স্থানীয় লোকজন যেন বহিরাগতদের পক্ষ থেকে ক্রয়-বিক্রয় না করে। তোমরা লোকদের স্বাধীনভাবে ছেড়ে দাও। আল্লাহ তাহাদের একজনের দ্বারা অপরজনকে রিযিক দান করেন। {২১৭৬}

{২১৭৬} মুসলিম ১৫২২, তিরমিজি ১২২৩, আবু দাউদ ৩৪৪২, আহমাদ ১৩৮৭৯, ১৩৯৩০, ১৪৭২১, ১৪৭৯৮, গায়াতুল মারাম ২১৭৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৭৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্থানীয় লোকদেরকে বহিরাগতদের পক্ষে ক্রয়-বিক্রয় করিতে নিষেধ করেছেন। রাবী বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]কে জিজ্ঞেস করলাম, বহিরাগতদের পক্ষে স্থানীয় লোকদের বেচাকেনার অর্থ কী? তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজন যেন তার দালাল না সাজে। {২১৭৭}

{২১৭৭} সহীহুল বুখারী ২১৫৮, ২১৬৩, ২২৭৪, মুসলিম ১৫২১, ৪৫০০, আবু দাউদ ৩৪৩৯, আহমাদ ৩৪৭২, বায়হাকী ৫/৩৩৩, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ২/৪৫, গায়াতুল মারাম ৩৩১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৬. অধ্যায়ঃ পণ্য বাজারে পৌঁছার পূর্বেই পথিমধ্যে এগিয়ে গিয়ে তা ক্রয় করা নিষেধ।

২১৭৮. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন তোমরা বাজারের বাইরে গিয়ে পণ্যবাহীদের সাথে সাক্ষাত করে তা ক্রয় করো না। কেউ এভাবে এগিয়ে গিয়ে তা ক্রয় করলে পণ্যের বাহক বাজারে পৌঁছার পর তার বিক্রয় বাতিলের এখতিয়ার লাভ করে। {২১৭৮}

{২১৭৮} সহীহুল বুখারী ২১৫০, ২১৬২, ২৭২৭, মুসলিম ১৫১৫, ১৫১৯, তিরমিজি ১২২১, নাসায়ী ৪৪৮৭, ৪৪৯৬, ৪৫০১, আবু দাউদ ৩৪৩৭, ৩৪৪৩, আহমাদ ৭২৬৩, ৭৭৬৬, ৮৭১৫, ৮৮৭৬, ৮৯৬৯, ৮৯৮৩, ৯০৫৫, ২৭২৪৯, মুয়াত্তা মালেক ১৩৯১, দারেমী ২৫৬৬, ইরওয়া ১৩১৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৭৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাজারের বাইরে গিয়ে পণ্যবাহীদের সাথে সাক্ষাত করিতে নিষেধ করেছেন। {২১৭৯}

{২১৭৯} মুসলিম ১৫১৭, গায়াতুল মারাম ৩৩৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৮০. আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাজারের বাইরে গিয়ে বিক্রয়কারীদের পণ্য ক্রয় করিতে নিষেধ করেছেন। {২১৮০}

{২১৮০} সহীহুল বুখারী ২১৪৯, মুসলিম ১৫১৭, তিরমিজি ১২২০, আহমাদ ৪০৮৫, গায়াতুল মারাম ৩৩৬। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৭. অধ্যায়ঃ ক্ ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর পৃথক না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের এখতিয়ার বহাল থাকে।

২১৮১. আব্দুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, দুজন লোক একত্রে অবস্থান করে পরস্পর ক্রয়-বিক্রয় করলে তারা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের এখতিয়ার বহাল থাকে অথবা একজন অপরজন কে এখতিয়ার দিলেও তা বহাল থাকে। অতএব একজন অপরজনকে এখতিয়ার প্রদান করার পরে ক্রয়-বিক্রয় করলে তাহাদের ক্রয়-বিক্রয় অবধারিত হয়ে যায়। এ অবস্থায় ক্রয়-বিক্রয়কারী কোন পক্ষ তা প্রত্যাহার না করে পৃথক হয়ে গেলে তাহাদের ক্রয়-বিক্রয় বহাল হয়ে যায়। {২১৮১}

{২১৮১} সহীহুল বুখারী ২১০৭, ২১০৯, ২১১১, ২১১২, ২১১৩, মুসলিম ১৫৩১, তিরমিজি ১২৪৫, নাসায়ী ৪৪৬৫, ৪৪৬৬, ৪৪৬৭, ৪৪৬৮, ৪৪৬৯, ৪৪৭০, ৪৪৭১, ৪৪৭২, ৪৪৭৩, ৪৪৭৪, ৪৪৭৫, ৪৪৭৬, ৪৪৭৭, ৪৪৭৮, ৪৪৭৯, ৪৪৮০,আবু দাউদ ৩৪৫৪, আহমাদ ৩৯৫, ৪৪৭০, ৪৫৫২, ৫১৩৬, ৫৩৯৫, ৫৯৭০, ৬১৫৮, মুয়াত্তা মালেক ১৩৭৪, ইরওয়া ৫/১৫৪, রাওদুন নাদীর ৫৪১। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৮২. আবু বারযাহ আল-আসলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা পৃথক না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের এখতিয়ার বহাল থাকে। {২১৮২}

{২১৮২} আহমাদ ১৯৩১২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৮৩. সামুরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর থেকে পৃথক না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের এখতিয়ার বহাল থাকে। {২১৮৩}

{২১৮৩} নাসায়ী ৪৪৮১, ৪৪৮২। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।দালালি ব্যবসা হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৮. অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ে এখতিয়ার প্রসঙ্গে।

২১৮৪. জাবির বিন আব্দুল্লাহ [রাদি. হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক বেদুইনের নিকট থেকে এক বোঝা উটের খাদ্য ক্রয় করেন। ক্রয়-বিক্রয় চূড়ান্ত হয়ার পর রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, তোমার [ক্রয়-বিক্রয় বহাল রাখার বা বাতিল করার] এখতিয়ার প্রয়োগ করিতে পারো। বেদুইন বললো, আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন। আমি বিক্রয় বহাল রাখলাম। {২১৮৪}

{২১৮৪} তিরমিজি ১২৪৯। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

২১৮৫. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ক্রয়-বিক্রয় কেবল পারস্পারিক সম্মতিতে অনুষ্ঠিত হয়। {২১৮৫}

{২১৮৫} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ১২৮৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সাদ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনি হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাহাকে সিকাহ বলিয়াছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/১৯. অধ্যায়ঃ ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মতভেদ হলে।

২১৮৬. আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদি.] আশআস বিন কায়স [রাদি.] এর নিকট রাষ্ট্রের গোলামসমূহের মধ্য থেকে একটি গোলাম বিক্রয় করেন। পরে তার মূল্য নিয়ে তাহাদের মধ্যে মতভেদ হয়। ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলেন, আমি বিশ হাজারে তোমার নিকট বিক্রয় করেছি। আর আশআস বিন কায়স [রাদি.] বলেন, আমি দশ হাজারে আপনার নিকট থেকে ক্রয় করেছি। ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলেন, তুমি চাইলে আমি তোমার নিকট একটি হাদিস বলিতে পারি, যা আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট শুনিয়াছি। কায়স [রাদি.] বলেন, তা পেশ করুন। আবদুল্লাহ বিন মাসউদ [রাদি.] বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে মূল্য নিয়ে বিরোধ বাধলে এবং এ ব্যাপারে কোন সাক্ষী না থাকলে এবং বিক্রীত পণ্যও অবিকল বিদ্যমান থাকলে বিক্রেতার কথাই গ্রহণযোগ্য হইবে অথবা উভয়ে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি রদ করিবে। কায়স [রাদি.] বলেন, আমি এই ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি রদ করলাম। অতএব তিনি গোলাম ফেরত দিলেন। {২১৮৬}

{২১৮৬} আহমাদ ৪৪২৮, ইরওয়া ১৩২২, ১৩২৩ সহিহাহ ৭৯৮। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু লায়লা সম্পর্কে ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সিকাহ। শুবাহ ইবনিল হাজ্জাজ বলেন, আমি তার চেয়ে দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন ব্যাক্তি আর কাউকে দেখিনি। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইবনি মাঈন বলেন, সমস্যা নেই। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪০৬, ২৫/৬২২ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/২০. অধ্যায়ঃ তোমার মালিকানায় যা নেই তা বিক্রয় করা নিষিদ্ধ এবং ঝুঁকি গ্রহণ করা ছাড়া লাভে অংশীদার হওয়া নিষিদ্ধ।

২১৮৭. হাকীম বিন হিযাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বলিলাম, ইয়া রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]! এক ব্যক্তি আমার নিকট থেকে এমন কিছু কিনতে চায়, যা আমার নিকট বিদ্যমান নাই। আমি কি তার সাথে বিক্রয় চুক্তিতে আবদ্ধ হইতে পারি? তিনি বলেনঃ তোমার নিকট যা বিদ্যমান নেই, তা তুমি বিক্রয় করো না। {২১৮৭}

{২১৮৭} তিরমিজি ১২৩২, ১২৩৩, ১২৩৪, ১২৩৫, নাসায়ী ৪৬১৩, আবু দাউদ ৩৫০৩, আহমাদ ১৪৮৮৮, ১৫১৪৫, ইরওয়া ১২৯২, রাওদুন নাদীর ২৯৬, মিশকাত ২৮৬৭। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২১৮৮. আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, যে জিনিস তোমার নিকট বিদ্যমান নেই, তা বিক্রয় করা হালাল নয়। আর লোকসানের ঝুঁকি গ্রহণ না করা পর্যন্ত মুনাফা গ্রহণ করা হালাল নয়। {২১৮৮}

{২১৮৮} তিরমিজি ১২৩৪, নাসায়ী ৪৬১১, আবু দাউদ ৩৫০৪, আহমাদ ৬৫৯১, ৬৬৩৩, ৬৮৭৯, দারেমী ২৫৬০, বায়হাকী ৫/১৬৭, ৩৩৯, ইবনি হিব্বান ৪৩২১, আত-তহাবী ৪/৪৬, ইরওয়া ৫/১৪৭, সহিহাহ ১২১২, মিশকাত ২৮৭০। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহিহ।হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ

২১৮৯. আত্তাব বিন আসীদ [উসাউদ] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন তাহাকে মক্কায় পাঠান তখন তাহাকে [লোকসানের] ঝুঁকি বহন না করা পর্যন্ত মুনাফা গ্রহণ করিতে নিষেধ করেন। {২১৮৯}

{২১৮৯} হাদিসটি ঈমাম ইবনি মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী ৬/৭৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহিহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনি মাঈন তাহাকে সিকাহ বলিয়াছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ঈমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ নং পৃষ্ঠা]হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

১২/২১. অধ্যায়ঃ সম-কর্তৃত্বসম্পন্ন দু ব্যক্তি কোন জিনিস বিক্রয় করলে তা প্রথম ক্রেতা পাবে।

২১৯০. উকবাহ বিন আমির অথবা সামুরা বিন জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, কোন ব্যাক্তি কোন জিনিস পরপর দুজন ক্রেতার নিকট বিক্রয় করলে তা প্রথম ক্রেতা পাবে। {২১৯০}

{২১৯০} তিরমিজি ১১১০, নাসায়ী ৪৬৮২, আবু দাউদ ২০৮৮, আহমাদ ১৬৮৯৮, ১৯৫৮১, ১৯৬০৯, ১৯৬২৮, ১৯৬৯৪, ১৯৭৫০, দারেমী ২১৯৩, বায়হাকী ৭/১৪১, আল-হাকিম ফিল-মুসতাদরাক ২/১৭৫, ইরওয়া ১৮৫৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ যইফ।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২১৯১. হাসান বিন সামুরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, কর্তৃত্বসম্পন্ন দুব্যক্তি কোন জিনিস বিক্রয় করলে তা প্রথম ব্যক্তি [ক্রেতা] পাবে। {২১৯১}

{২১৯১} নাসায়ী ৪৬৮২, বায়হাকী ২/২৯, ইরওয়া ১৮৫৩। তাহকিক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী হুসায়ন বিন আবুস সারী আল-আসকালানী সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও তিনি অপরিচিত। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী ও ইবনি হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু আরুবাহ আল-হাররানী ও ঈমাম যাহাবী বলেন, তিনি মিথ্যুক। মুহাম্মাদ বিন আবুস সারী আল-আসকালানী বলেন, তোমরা আমার ভাই এর নিকট থেকে কেউ হাদিস গ্রহন করিও না, কারণ তিনি মিথ্যুক। [তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৩৩১, ৬/৪৬৮ নং পৃষ্ঠা] ২. সাঈদ বিন বাশীর সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়।হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply

Discover more from HADIS QURAN

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading